নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
"২০০০ সালের ঘটনা। পর্তুগালের সেরা খেলোয়াড় লুইস ফিগো খেলে বার্সেলোনা দলে। তখনকার সময়ে সে বার্সেলোনার সেরা খেলোয়াড়। ছুটি কাটাতে সে পরিবার সহ গিয়েছে সার্ডিনিয়াতে। রাত ২টা--৩টার দিকে ফিগো টেলিফোন দিলো বার্সেলোনা দলের প্রেসিডেন্টকে। তাকে জানালো তার কাছে দুইটা টিকিট রয়েছে। একটি মাদ্রিদের আরেকটি বার্সেলোনার। তাকে যদি আয়ের অর্থ বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে সে বার্সেলোনায় থাকবে আর তা না হলে সে বার্সেলোনার চির শত্রু রিয়েল মাদ্রিদে চলে যাবে। বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট তাকে বলেছিল সে যদি টাকার জন্য চলে যেতে চায় তাহলে সে চলে যাক।" এর পরেরটা সবই ইতিহাস।
উপরের বর্ণনাটি তৎকালীন বার্সেলোনা দলের প্রেসিডেন্ট হুয়ান গ্যাস্পার্টের। তবে এগুলো সবই অস্বীকার করেছে লুইস ফিগো। ফিগোর বর্ণনা অনুযায়ী সে বলেছে যে সে বার্সেলোনা দলের জন্য যা করেছে দল সেসবের কিছুই মূল্যায়ন করেনি। অনেক অভিমান নিয়েই সে দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে মাদ্রিদে।
The Figo Affair: The Transfer that Changed Football ডকুইমেন্টরীর কথা বলছিলাম এতক্ষণ। লুইস ফিগো বার্সেলোনার সেরা খেলোয়াড় ছিল। বার্সার ফ্যানরা তাকে ভীষন পছন্দ করতো। দলের জন্য সে অনেক ট্রফিও এনে দিয়েছিল। এবং বহুবার সে বিভিন্ন জায়গায় সে বলে বেড়াতো বার্সেলোনা তার কতো ভালো লাগে। অথচ সেই ফিগোই ২০০০ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যায় রিয়েল মাদ্রিদে। বার্সেলোনার সব ফ্যানরা মনে করে ফিগো তাদের সাথে বেইমানী করেছে।
আসলে যে কোনো ঘটনারই দুটি পক্ষ থাকে এবং কোনো পক্ষই নিজেকে দোষী ভাবেনা কখনই। The Figo Affair: The Transfer that Changed Football এমনই একটি ডকুইমেন্টরী যেখানে কেউ কারোর দোষ স্বীকার করেনা, সবাই তাদের নিজস্ব স্থান থেকে অনড় থাকে। যুক্তি স্থাপন করতে থাকে যে তারাই সঠিক। পুরো ডকুইমেন্টরী লুইস ফিগোর কাহীনি দেখানো হয় সে কেনো বার্সেলোনা ছেড়ে মাদ্রিদে গেলো। এক পক্ষ বলতে থাকে ফিগো বেইমানী করেছে আর ফিগো বলতে থাকে সে পরিস্থিতির স্বীকারের কারণে মাদ্রিদে গিয়েছে।
মাদ্রিদে গিয়ে সে দলের জন্য বহু ট্রফি এনেছে এবং সেরা খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে। যারা ফুটবল ফ্যান তাদের এই ডকুইমেন্টরী অবশ্যই দেখা উচিত।
©somewhere in net ltd.