নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
গতকালকের কথা। ১৬ই ডিসেম্বর। আমাদের বিজয় দিবস। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে। Liverpool vs Tottenham খেলা নিয়ে বেশ অপেক্ষায় ছিলাম। নিউ ইয়র্ক সময় দুপুর ৩টায় খেলাটি শুরু হবে। ঐদিকে দুপুর ২টা থেকে বরফ পড়া শুরু হয়েছে। যেনতেনো তুষারপাত নয় সাংঘাতিক তুষারপাত যাকে বলে। বাইরে বরফ পড়া দেখছিলাম। খেলা অবশেষে শুরু হলো। দুইটাই আমার ভালো লাগার দল যদিও লিভারপুল আমার সবচেয়ে ফেভারিট দল।
Liverpool vs Tottenham খেলা নিয়ে এতোক্ষণে হয়তো অনেক আলোচনা হয়ে গিয়েছে তবে আমি একটু দেরী করেই কিছু কথা বলতে চাই, আমার অনুভূতি জানাতে চাই। এই খেলাটি পুরো ম্যাচ চলাকালীন যেমন উত্তপ্ত ছিল, খেলার শেষেও তেমন উত্তপ্ত ছিল। শুধু খেলার শেষেও নয়, সোশাল মিডিয়াও অনেক গরম ছিল। খেলার শেষে জোসে মোরিনহো ক্লপকে বলেই বসেছিল: "Best Team Lost" যেটা শুনে ক্লপের সাথে তার একটু কথা কাটাকাটিও হয়ে যায়।
খেলাটি বেশ চমৎকার ছিল। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ সবই ছিল। লিভারপুল এমনিতেই আমার প্রিয় একটি দল আর এবারে টটেনহ্যামকেও অসাধারণ লাগছে কারণ মোরিনহো যেকোনো দলকে ট্রফি জিতিয়ে দিতে সক্ষম। Anfield এ নিজেদের মাঠে লিভারপুল ২০১৭ সালে শেষবারের মতো হেরেছিল তাই টপ ফেভারিট হিসেবে লিভারপুলই ছিল। নিজেদের মাঠে লিভারপুলের সাথে হয়তো ড্র করারই প্ল্যান ছিলো টটেনহ্যামের।
এবারের ইপিএলে ভালই লড়াই চলছে। এতোদিন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল টটেনহ্যাম। দ্বিতীয়তে ছিল লিভারপুল তবে কালকের খেলা বলে দেয় লিভারপুলকে টপকানো ওতোটা সহজ হয়। খেলাটার শেষেরটুকু আমি দেখতে পারিনাই। তুষারপাতের মধ্যে কাজে যেতে হয়েছিল। ভেবে বসেছিলাম ড্র হবে। ৯০ মিনিটের মাথায় ফার্মিনো যে গোল দিয়ে বসবে সেটা কল্পনাতেই ছিলনা।
যাই হোক একটা কথাই বলতে চাই: THE BEST TEAM DEFEATED THE OTHER BEST TEAM।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১
রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: ভাই কাজে যেতে হয় এটা কেমনে আনন্দের ব্যাপার হইলো?
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২২
রিনকু১৯৭৭ বলেছেন:
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
মলাসইলমুইনা বলেছেন: জার্গেন ক্লপসের লিভারপুল কিন্তু এখন আর ইংলিশ টিম না । জার্মানদের অদম্য না হারা মনোভাবটা ক্লপস লিভারপুলের সব প্লেয়ারদের মধ্যে ভালো করেই ঢুকিয়ে দিয়েছে । এই না হারা মনোভাবটাই এদের এই সাফল্যের কাৰণ বলে আমার মনে হয় । গত কয়েক বছরই তারা নব্বুই মিনিটের পরে কতগুলো যে গোল করে খেলা বের করে নিয়েছে সেটা গুনে বের করে একটা কঠিন কাজ । চার বছর আগে ক্লপস যখন লিভারপুলের ম্যানেজার হয় তখন লিভারপুল ছিল বিশ বছর ধরে প্রিমিয়ার লীগ না পাওয়া হতাশ একটা দল। সেই শিরোপা না পাওয়া হতাশ দলটাকেই এই চার বছরে সে একটা বিশ্বজয়ী দলে চেঞ্জ করে ফেলেছে । শুরুতেও তার হাতে সুপারস্টার ছিল না এখনো নেই । কিছু মাঝারি মানের প্লেয়ার নিয়ে তার শুরু । এই এই কয় বছরে তার সেই মধ্যম মানের কিছু প্লেয়ারই অবশ্য সুপারস্টার হয়ে গেছে । এ'বছরে অবিশ্বাস্য খুব বেশি কিছু না হলে মনে হয় লিভারপুলই শিরোপা পাবে । শেষ খেলায় যেভাবে সাত গোল দিলো ক্রিস্টাল প্ল্যালেসকে ! সাতটা গোল করলো ছয়জন প্লেয়ার ! কোনো এক বা দুই জনের ওপর গোল করার জন্য তার নির্ভর করতে হচ্ছে না এটাই লিভারপুলকে এগিয়ে রাখছে লিগে আমার তাই ধারণা । গত সপ্তাহে লিভারপুলের নব্বুই দশকের বিখ্যাত গোলকিপার ক্লিমেন্সের মারা যাবার খবরটা দেখে যে খারাপ লাগাটা ছিল সেটা ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে সাত গোলে জেতার পর কিছুটা ভুলে গেলাম ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৫
রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: খুব সত্য কথাটাই বলেছেন। লিভারপুলের বর্তমান খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সে খেলা বের করে আনতে জানে। ঠিক এই দলকেই যদি অন্য কোনো ম্যানেজার পেতো আমার মনে হয় না সফলতা বের করে আনতে পারতো। ক্লপ সব খেলোয়াড়দের মধ্যেই সেরা খেলাটা বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আছেন আনন্দে। খেলা দেখছেন, মুভি দেখছেন।
তুষারপাতের মাঝে কাজেও যাচ্ছেন।
করোনা নিয়ে কি আপই চিন্তিত না?