নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর বলবো নিজের সম্পর্কে! কিছুই বলার নাই।

I love politics. I want death of those who killed our Army officers.

রিনকু১৯৭৭

দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।

রিনকু১৯৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টার সিনেপ্লেক্স নিয়ে কিছু কথা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৪




জীবনে বলাকা সিনেমা হলে একটাই সিনেমা দেখিছি আর সেটা ছিল অনন্ত জলিলের সিনেমা। মধুমিতায় প্রথম সিনেমা দেখি ১৯৯৮ সালে যখন তারা টাইটানিক সিনেমা নিয়ে এসছিলো। এরপর ২০০১ এর দিকে বন্ধুদের নিয়ে দেখেছিলাম ডেসপারাডো। সিনেমা হলে গিয়ে যে সিনেমা দেখবো সেটা কখনো চিন্তাই করতাম না। সিনেমা হলগুলোর যে মান কোন্ সিনেমা হলে যাবো, কি সিনেমা দেখবো?
সেই ধারনাটাই পাল্টে দিয়েছিল স্টার সিনেপ্লেক্স। কতো সিনেমা যে দেখিছি তার হিসেব নেই। নতুন নতুন ছবি প্রদর্শনের জন্য সিনেপ্লেক্স ছিল সিনেমা পাগলদের জন্য পছন্দের জায়গা। আর পরিবেশটাও ছিল চমৎকার। হলগুলোর পাশেই ছিল ফুড কোর্ট। সিনেপ্লেক্সের কারণেই কিন্তু খাবারের দোকানগুলোর ব্যবসা ছিল রমরমা। সুতরাং বলা যেতেই পারে যে সিনেপ্লেক্সের সাথে ফুড ব্যবসাগুলোও ছিল অতপ্রতভাবে জড়িত।

আমি যেহেতু সিনেমা পাগল আমার মতো আমার কয়েকজন বন্ধুও রয়েছে যারাও বেশ সিনেমা পাগল। আমারতো এখনো মনে পড়ে যে সিনেমা দেখার পর আমরা বন্ধুরা যেকোনো একটি খাবার দোকানে বসতাম, খাবার খেতাম ও সিনেমা নিয়ে আলোচনা করতাম। আমরা ফ্রেন্ডরা সিনেমা দেখতাম তারপর সেটার আবার সিনেমা রিভিউ করে ইউটিউব চ্যানেলে ছাড়তাম। কতো শতশত সিনেমা যে দেখেছি স্টার সিনেপ্লেক্সে তার কোনো হিসেব নেই। এমনও সময় গিয়েছে প্রতি সপ্তাহে একটা করে সিনেমা দেখেছি। আবার দিনে দুইটা করেও সিনেমা দেখেছি। এই স্টার সিনেপ্লেক্সটা আমার বেশ পছন্দের একটা জায়গা ছিল।

আমেরিকায় আসার পরেও এখানকার সিনেমা হলে বেশ কয়েকবার সিনেমা দেখেছি। সত্যি কথা বলতে কি, আমার কাছে আমাদের ঐ স্টার সিনেপ্লেক্সটাই পছন্দের। আমার কাছে এই স্টার সিনেপ্লেক্সের সবচেয়ে বড় স্মৃতি ছিল ২০১৩ সালে পরিবারের সকলকে নিয়ে, অর্থাৎ, আব্বা, আম্মা, বোনরা, বউ, বাচ্চা মিলে Life of Pi সিনেমাটা দেখা।

হাজারো স্মৃতি বিজড়িত এই স্টার সিনেপ্লেক্স শুনলাম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে। কিছুই বলার নেই। চোখের সামনে শুধু ভাসবে স্মৃতিগুলো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৯

আল ইফরান বলেছেন: আমাদের বিবাহপূর্ব জীবনের একটা আনন্দময় অংশের সাথে স্টার সিনেপ্লেক্সে মিশে আছে। আমার বাচ্চার মাকে নিয়ে মার্ভেল/ডিসির থ্রিডি মুভিগুলো প্রথমবারের মত সেখানেই দেখা। এরপর দেশের বাইরে সিনেমা দেখলেও তার আবেগীয় মুল্য স্টার সিনেপ্লেক্সের কাছাকাছিও নেই। রাইফেলসের হলটাতে কখনো যাওয়া হয় নি।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতিকথন। আমি মধুমিতায় মাটির ময়না দেখেছিলাম এই একবারই সিনেমাহলে যাওয়া তাও বিয়ের পর জামাইর সাথে অফিস পালিয়ে। সিনেপ্লেক্সের কথা কত শুনেছি কখনো যাওয়াই হয়নি আর :(

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: শুধুমাত্র বসুন্ধরা সিটির মার্কেটের অংশটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাকি সবগুলো চলবে।

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: লাইফ অব পাই আমার ভীষণ প্রিয় একটা মুভি। মুভিটা আমি অনেকবার দেখেছি।

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দর্শক এখন আর হলে যেতে চাইবে না করোনার কারণে । ।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বন্ধ হয় নাই, আবার আনন্দ নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.