নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
সেদিন চিন্তা করছিলাম বেশি বেশি সিনেমা দেখা হয়ে যাচ্ছে তাই এবারে সিনেমা না দেখে একটা ডকুমেন্টারি দেখি। নেটফ্লিক্সে বেশ কিছু দিন থেকে চোখের নজরে পরছিল Born in Syria ছবিটি। ভাবলাম এটাই দেখবো। যেই ভাবা সেই কাজ।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধটাকে আমি বলবো একেবারেই অপ্রয়োজনীয় একটি ঘটনা যেটা কিনা সহজেই এড়ানো যেত। সমস্যা শুরুর দিক থেকেই যদি বহিঃর্বিশ্ব একটু মাথা চাড়া দিয়ে উঠতো তাহলে হয়তো ব্যাপক পর্যায়ে ক্ষতি হতোনা। আসলে ক্ষতিতো যারা যুদ্ধ করে বা যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের হয়না। যা ক্ষতি হবার ঐ নিরীহ সব শিশুদেরই হয়।
ঠিক সেইরকম লাখলাখ শিশুদের মধ্যে সাতজন শিশুর নির্মম কাহীনি ফুটিয়ে তুলে দেখানো হয়েছে এই ডকুমেন্টারিতে। হামুদ, জিহান, গাসিম, মোহাম্মদ, মারওয়ান, আরাসুলি ও কায়েস নামের সাতজন শিশু। তারা তাদের জন্মভূমি সিরিয়া ছেড়ে পরিবারের সাথে নৌপথ পেরিয়ে, হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে অচেনা, অজানা গন্তব্যের যাওয়ার কাহীনি দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। ছোট ছোট শিশুদের এই হাজার হাজার মাইল যাত্রা কতোটা ভয়াবহ ও কষ্টকর ছিল সেটা খুব সুন্দর করে পরিচালক দেখিয়েছে। এই সাতজন শিশুর গল্প দিয়েই বুঝিয়েছে লাখলাখ নিরীহ শিশুর কাহীনি।
২০১১ সালে সিরিয়ায় যখন গৃহযুদ্ধ শুরু হলো তখন থেকে জীবনের হুমকিতে অন্য কেউ পরুক আর না পরুক, ক্ষতি হয়েছে ছোটছোট শিশুদেরই। প্রায় ৯০ লাখ সিরীয় মানুষজন যুদ্ধের কারণে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে যার মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই অর্ধেক। যেসব শিশুরা দেশ ত্যাগ করেছে তাদের আপনজনদের সাথে কিভাবে সংগ্রাম করে তারা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে সেটা তারাই জানে যারা জীবনে এসব বাধা পেয়েছে। ডকুমেন্টারিতে দেখলে গা শিউরে উঠে যে ছোট ছোট বাচ্চারা হয়তো গৃহযুদ্ধ না হলে ঠিকই তাদের জীবন অন্য রকম হতো। স্বাভাবিকভাবেই তারা স্কুলে যেতো, খেলা খেলতো, দুষ্টমি করতো। এসব সবকিছু থেকেই তারা বঞ্চিত।
Hernan Zin ডকুমেন্টারির বানানোর জন্য বিখ্যাত। আর্জেন্টিনার পরিচালক Hernan Zin এর এটি একটি অসাধারণ ডকুমেন্টারি। তার অন্যান্য ডকুমেন্টারির মধ্যে 10 Elephants (2015), Born in Gaza (2014), War Against Women (2013), I Want to be Messi (2013) ও Slum World (2010) উল্লেখযোগ্য।
আমার কাছে ভালই লেগেছে ডকুমেন্টারিটি।
২| ১৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:২৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সিরিয়া ও ইয়েমেনের অসহায় শিশুদের বাঁচানোর কেউ নেই।
৩| ১৮ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: মুভিটা সম্পর্কে জানলাম।
আচ্ছা, রোহিংগাদের নিয়ে কি কোনো মুভি আছে?
৪| ১৮ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮
শোভন শামস বলেছেন: সিরিয়্ লিবিয়া এবং ইয়েমেন সম্পর্কে আমরা অনেক কম জানি, দেশগুলোতে সংঘাত চলছে আর মারা যাচ্ছে নিরীহ মানুষ, ধংস হচ্ছে সভ্যতা।
৫| ২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
ট্র্যাকার বলেছেন: I want to be Messi এটা কী ফুটবল নিয়ে?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সিরিয়া ইয়েমেন নরককুণ্ড