নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
যেদিন থেকে মানবতার খাতিরে রোহিঙ্গাদের আমরা আমাদের দেশে প্রবেশ করার সুযোগ করে দিলাম সেদিন থেকেই ব্যাপারটিকে আমি ভালো চোখে দেখিনি। আমার নূন্যতম পর্যায়ে কোন সহানুভূতি কাজ করিনি এই ইস্যুটি নিয়ে। রোহিঙ্গা আমাদের কোন সমস্যা নয়। রোহিঙ্গারা আমাদের দেশের লোকও নয়। এরকরম খাতির দেখাতে হলে তাহলে সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক ও পৃথিবীর আরো যত দেশে যত নিপীড়িত জনগন রয়েছে তাহলে সবাইকেই দাওয়াত দিয়ে আমাদের দেশে নিয়ে আসি!!!
রোহিঙ্গারা বড় ধরনের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ইতোমধ্যে তারা ঝামেলা করাও শুরু করেছে। তাদের বসবাসের জন্য সমানে আমাদের গাছ নিধন করে চলছে। কিছুদিন আগে তারা বিদেশী সাংবাদিক পিটিয়েছে। তারা ইয়াবার ব্যবসার সাথেও যে জড়িত নয় সেটাও ধরে নেওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
Beating the German Journalists
রোহিঙ্গারা সহজ সরল মনে আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে। বুঝলাম মায়ানমারের আর্মি তাদের ওপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিলো সেটার জন্য প্রতিবাদ জানাই কিন্তু তাই বলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আমার দেশে ঢুকতে দেব সেটা মানা যায় না। আমরা নিজেরা উন্নত কোন দেশ নই। আমাদের নিজেদের দেশেই রয়েছে হাজার হাজার সমস্যা। প্রতিনিয়ত আমরা হাজার হাজার সমস্যা নিয়ে জড়জড়িত হচ্ছি তার ওপর এই বাড়তি ঝামেলা আমরা সহ্য করতে পারবো কিনা জানি না।
রোহিঙ্গাদের আমি জাতীয় সমস্যা মনি করছি। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ওরা একটা THREAT। ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারলে এটার মাশুল আমাদের খুব কড়াভাবে দিতে হবে। এখনই সময় রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে পাঠিয়ে দেওয়া। ওরা মায়ানমারের জনগন, আমাদের নয়। ওরা আবার মায়ানমারে ফেরৎ গেলে ওদের কি হবে সেটা ভাববার সময় কি আমাদের আছে? রোহিঙ্গারা মুসলমান এইটা পুজি করেই আমরা শুধু ওদের ওপর sympathy দেখাচ্ছি।
আমি একটা ব্যাপার নিয়ে বেশ চিন্তিত। এমন একটা সময় আসবে যখন এই রোহিঙ্গাদের ভেতর থেকেই সংগঠন তৈরী হবে। তারা তাদের দাবী বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করবে। সেই আন্দোলন এতটাই ভয়ানক রূপ-ধারন করবে যেটা আমাদের পুলিশ বা সেনাবাহিনীর জন্য থামানো মুশকিল হয়ে দাড়াতে পারে। তখন রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াবে কিছু স্বার্থন্বেশি মহল যেমন কিছু বিদেশি দেশ, তাদের এন.জি.ও ও কিছু মিডিয়া। তারা খুব সহানূভুতি দেখাবে রোহিঙ্গাদের প্রতি। রোহিঙ্গারা এরপর স্বাধীন একটা দেশ দাবী করবে, বলবে পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু অংশ তাদের। আমার প্রাণের কক্সবাজার কি রোহিঙ্গাদের দখলে চলে যাবে? যে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত আমার সবচেয়ে প্রিয় একটি জায়গা সেটা কি এই রোহিঙ্গাদের দখলে চলে যাবে?
রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। হিটলারের মতো লেবার ক্যাম্প করে তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে যদি তাদেরকে আমাদের দেশেই পুশতে হয়।
Rohingyas Destroying the Forest
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৩
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: প্রথম থেকেই তাঁদের ব্যাপারটি এমন লেগেছিল কেন? আপনি কি নির্দয়...
তবে তাঁদেরকে পাঠানোর দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:২৩
এলিয়ান বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে , অনেক বাস্তব কথা বলেছেন। তবে রোহিঙ্গা শুধু অন্যদেশের নাগরিক হালেও আমাদের প্রতিবেশী। আমরা যদি তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলেদিয় তাহলে বর্মিজ দের আর আমাদের মধ্য পার্থক্য কোথায়।
কিছু কিছু রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যাবসায় জড়িত অনেক আগ থেকে, কিন্তু তার মানে এই না আমরা রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদেরকেও কিছু মানুষের জন্য উপেক্ষা করবো। আপনি আমি যে কোন কেউ যে কোন সময় এ পরিস্থিতির শিকার হতে পারি। ১৯৭১ আমাদের পূর্বপুরুষরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বেশিদিন আগের কথা না।
শেষ কথা , রোহিঙ্গা নিজদেশে তাদের অধিকার আদায় করতে পারতেছেনা , বাংলাদেশে অধিকার আদায় করার জান্য সংগ্রাম করবে ভাবটা হাস্যকর। ওরা মসলমান, হিন্দু , অপরাধী যাই হোক না কেন, এ পরিস্থিতিতে আমাদের মানবিক হওয়া দরকার।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: এতটা কঠোর হবেন না।
বিপদে পড়ে এসেছে। থাক না কিছুদিন। আর ওরা তো আমাদেরটা খাচ্ছে না। বিশ্বের অনেক দেশ সাহায্য সহযোগিতা করেছে। ওদেরকে আশ্রয় দেবার কারনে বর্হি বিশ্বে আমাদের সম্মান বেড়েছে।