নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
কয়েকটা মাস হলো নিউ ইয়র্কে বসবাস করছি। যেকানে কাজ করি সেখান থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ১১টা-১২টা বেজে যায়। বেশীরভাগ সময় আমি হেটে হেটেই বাসায় আসি। কারণ বাসে উঠলেই ২.৭৫ ডলার খরচ হয়। এখানে বাসের সিস্টেমটাই এরকম। নির্দিষ্ট বাস নির্দিষ্ট জায়গায় যাবে। এই নির্দিষ্ট জায়গার ভেতর আপনি যেখানেই যাবেন আপনাকে ২.৭৫ ডলারই দেওয়া লাগবে। একটু সহজ করে বুঝাই। ধরুন গ্রেট তুরাগ টঙ্গী থেকে মহাখালি পর্যন্ত যায়। আপনি টঙ্গী থেকে উত্তরা গেলেও ভাড়া ২.৭৫ডলার, টঙ্গী থেকে মহাখালি গেলেও ২.৭৫ ডলার। বাসা যেহেতু কাছে, মাত্র ১৯--২০ মিনিট লাগে আসতে তাই আমি পয়সা অপচয় না করে হেটে হেটেই আসি।
আর হেটে হেটে আসতে গিয়েই এক আশ্চর্য রকমের ঘটনার দেখা মিললো। একটু ভয়ংকরও বলা যেতে পারে। আমি যে রাস্তা দিয়ে হেটে আসি সে জায়গাটা একটু নির্জন। কিছুটা পথ আছে যেখানে কোন আলো নেই। বাসাগুলোও থাকে অন্ধকার। সেটা বেশীক্ষনের পথ নয়, অল্প একটু পথ। কিন্তু এই অল্প একটু পথেই এক ভয়ংকর ঘটনা দেখতে পেলাম।
একদিন আমি হেটে হেটে আসছি। তখন বাজে রাত ১১.৪৫। আমি একা একাই হাটছিলাম। আশেপাশে আর কাউকে হাটতে দেখছিলাম না। প্রতিটি বাসার সামনে গাড়ি রাখা। চারিদিক একদম চুপচাপ। রাত হয়ে গেলে এমনটাই চুপচাপ থাকে চারপাশ। আমি এক মনে হেটে যাচ্ছি। হঠাৎ একটি বাসার দোতলার একটি ঘরের দিকে আমার চোখ গেলো। চোখ যাওয়াটাই স্বাভাবিক কারণ কোন বাসাতেই লাইট জ্বালানো ছিল না একমাত্র ঐ বাসাটার দোতলার ঐ ঘরটি ছাড়া।
আমি খেয়াল করলাম ঐ ঘরটার জানালার সামনে কালো ড্ব্রেস পরা অবস্থায় কে যেন আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। এক মনে তাকিয়েই আছে। আমি কিন্তু তখনো ঐ বাসার সামনা সামনি পৌছাইনি। অল্প কয়েক গজ দূরে রয়েছি। দূর থেকে চেহারাটা অত বোঝা যাচ্ছে না। ঐ বাসাটার ঠিক সামনাসামনি আশার পরই কেনো যেন আমি থেমে গেলাম। কেনো থামলাম তা নিজেই বুঝলাম না। আমি আগ্রহের সাথে তাকিয়ে ছিলাম। যাকে জানালার সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম সে এক মহিলা সেটা এতক্ষণে বুঝলাম। এরপর দেখি হঠাৎ মহিলাটি সরাসরি আমার দিকে নজর দিলো। চোখ বড়াবড় আমার দিকে তাকালো। শুধু তাকালই না, আমার দিকে কেমন জানি ভয়ঙ্কর চেহারার রূপ দিয়ে তাকানোর সাথে সাথে হাসি দিল।
আমি বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। আমি ভাবলাম আমিতো রাস্তায় আর সেতো বাসার ভেতর সুতরাং আমার এখান থেকে তাড়াতাড়ি কেটে পড়লেই চলবে। মহিলাটি যদি দৌড় দিয়েও ঘর থেকে বের হয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে তারপরেও আমি ততক্ষণে কেটে পড়তে পারবো,এটা ভেবেই যেই আমি দ্রুত বেগে হাটা শুরু করলাম ওমনি দেখি ঠিক সেই মহিলাটি বাসার গেটের সামনে অর্থাৎ আমার একদম কাছাকাছি এসে উপস্থিত, হয়তো মহিলাটি হাতটি বাড়ালেই আমাকে ধরে ফেলবে।
আমি রিতিমতো ভয় পেয়ে গেলাম এবার। আমি উল্টা দিকে দৌড় দেওয়া শুরু করলাম। মহিলাটিও আমাকে ফলো করে দৌড় দিচ্ছিলো। আশেপাশে আর কেউ নেই। আমি সাংঘাতিক ভয় পাচ্ছিলাম। কোন মতে ঐদিন ঐ ঘটনা থেকে মুক্তি পেয়ে যাই। দৌড় দিয়ে অনেক্ষণ একটি বাসার পিছনের দিকে লুকায় ছিলাম। পরে অন্য রাস্তা ব্যবহার করে বাসায় গেলাম।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৩
রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: Amityville House কয়েক মাইল দুরে অবস্থিত। দেখি কোন দিন ওখানে যাওয়া যায় কিনা।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:২১
ঢাকার লোক বলেছেন: ভুত জাতীয় কিছু নয়তো ? এতো রাতে কালো কাপড় পড়া মহিলা বাসা থেকে বেরিয়ে এসে কেন আপনাকে ধরতে আসবে ? যাক, বেঁচে গেছেন, আলো আছে তেমন পথে বাড়ি ফিরে যায় কিনা দেখুন ! দু চার মিনিট বেশি লাগে তাও ভালো ।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৪
রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: আমি কিচ্ছু জানি না ভাই। আমি এখনো শিহরিত হয়ে যাই যখনি এই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবি।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এলাকাটির নাম কি? কত বয়সের মহিলা, কি বর্ণের?
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: লং আইল্যান্ড জায়গাটির নাম। মহিলাটি মনে হয় ৪৫--৫০ বয়সের মধ্যে হবে। খুব ভয়ঙ্কর চেহারা ছিল মহিলাটির।
৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে মহিলাটি অসুস্থ। আর কালো জামা পড়া ছিল না। অন্ধকার বলে আপনার কাছে কালো কামা মনে হয়েছে।
অথবা পুরো গল্পটি আপনি বানিয়ে লিখেছেন। মানে সত্য মিথ্যা মিলিয়ে।
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এ দেখি আমেরিকান ভুতের পাল্লায় বাংগালীর গল্প!!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:২০
অনল চৌধুরী বলেছেন: নিউইয়র্কে অনেক ভূতরে বাড়ি অঅচে।এর মধ্যে সবচেয়ে সেরা হচ্ছে _Amityville House,যেটা নিয়ে হলিউডে ছবিও বানানো হয়েছে। Click This Link)
https://en.wikipedia.org/wiki/
The_Amityville_Horrorhttps://www.biography.com/news/the-real-amityville-horror-amityville-the-awakening-movie