নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর বলবো নিজের সম্পর্কে! কিছুই বলার নাই।

I love politics. I want death of those who killed our Army officers.

রিনকু১৯৭৭

দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।

রিনকু১৯৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুনের রহস্য---আমার লেখা একটি গল্প। পর্ব: ২

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

গত পর্বে ছাপানো শেষ লাইন: আর সেখানে গিয়েই পরিচয় হয় তারানা নামের এক মনোরোগ চিকিৎসকের সাথে।

পর্ব: ২

তারানার কাছে যখন আলমগীর যায় তখন উনি কয়েকটা জটিল কেস নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তার কাছে আযাদ সাহেবের স্ত্রী নাসরীনের ব্যাপারে যখনই জানতে চাওয়া হলো তখনই উনি বেশ বিরক্ত হয়ে আলমগীরকে বললেন যে উনি এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে পারবেন না। আলমগীরের কাছে খটকা লাগলো। নাসরীনের ব্যাপারে না বলার রহস্য কিইবা আর হতে পারে? আলমগীর জানতে চায় নাসরীনকে কোন চেম্বারে রাখা হয়েছে আর তার আসল ঘটনাটা কি। যতই তাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছিল ততই সে কোন রকম কথা না বলে নিজের কাজ করে যাচ্ছিল। আলমগীর শুধু নাসরীনের সাথে একবার দেখা করে কয়েকটা মিনিট কথা বলতে চায়। তারানা শেষমেষ বলেই বসলো যে নাসরীনের সাথে কোনভাবেই দেখা করা যাবেনা কারণ নাসরীন মানসিকভাবে সুস্থ নেই কারো সাথে কথা বলার জন্য। কেনো যেন নাসরীনের কথাটা আলমগীরের বিশ্বাস হলো না। নাসরীন শুধু তাকে বললো যে নাসরীনের কক্ষে যাওয়া যাবে কিন্তু কথা বলা যাবে না। আলমগীর সেটাতেই রাজি হলো।

অবশেষে প্রতিক্ষিত সেই সময়টি আসলো। আলমগীরকে নিয়ে যাওয়া হলো নাসরীনের কক্ষে। নাসরীন মেঝেতে শুয়ে ছিলে সেই সময়ে। মানসিক রোগীদের ঘর অন্য রকম। এখানে দরজার সাথে ছোট্ট একটা জানালা আছে যেটা দিয়ে বাইরে থেকে দেখা যায় ভেতরে থাকা মানসিক রোগীদের। আলমগীরকেও সেইভাবেই দেখতে হলো। কোন কথা বলার সুযোগ নেই। ওখানে যে নার্স ছিল তাকে আলমগীর প্রশ্ন করলো যে এখানে নাসরীন কতদিন থেকে আছে। নার্সটি কোন কথাই বললো না আলমগীরের সাথে। আলমগীর খেয়াল করলো করিডরের শেষ মাথায় কে যেন দাঁড়িয়ে আলমগীরকে এক নজরে দেখছিল। আলমগীরের দৃষ্টি ঐদিকে যাওয়া মাত্রই লোকটি ওখান থেকে সরে দাঁড়ালো।

আলমগীর রাতে চিন্তা-ভাবনা করতে থাকলো খুনের কাহীনি ও নাসরীনের ব্যাপার নিয়ে। নাসরিন যদি মানসিক ভারসাম্য হয়েই থাকে তাহলেতো কোনভাবেই সে খুন করতে পারেনা তার স্বামী আযাদ ও লেখিকা সুলতানাকে। তাহলেতো ধরে লেওয়া যায় নাসরীন খুন করেনি। তাহলে নাসরীনের সাথে কথা বলতে বাধাটা দিল কেনো মনোবিশেষজ্ঞ তারানা? কোন গভীর ষড়যন্ত্র আছে নাকি এর পেছনে?

এখন বেশ ক'টা দিন ধরে সবকয়টি খবরের কাগজের শিরোনামে ছাপানো হচ্ছে সাংবাদিক আযাদ ও লেখিকা সুলতানার খুনের খবর। এটাই এখন গরম তাজা খবর। পাঠকরাও মজা পায় এসব খবর পড়তে। এর মধ্যে কতটুকু বানায় বলা হয়েছে বা বানানো হয়েছে কিনা সেটার বাদ-বিচার কেউ করেনা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম পর্ব টা আগে খুঁজে পড়ে আসি।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: চলতে থাকুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.