নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
কয়েকটি ঘটনা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। ঘটনাগুলো সবকটাই গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটা। এর মধ্যে দুইটি ঘটনাই আমেরিকায় ঘটে। তবে প্রথমেই আমাদের দেশে ঘটে যাওয়া পাহাড়ধসের ঘটনা নিয়ে বলবো। একই দিনে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসে অন্তত ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটেছে রাঙামাটিতে। সেখানে পাহাড়ধসে মারা গেছেন ৯৮ জন। সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা ও দুই সৈনিকও রয়েছে এর মধ্যে। ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক, কষ্টদায়ক। প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। গত নয় বছরের মধ্যে পাহাড়ধসে প্রাণহানির এটি সবচেয়ে বড় ঘটনা। প্রকৃতি তার নিজের মতো কাজ করবেই। প্রকৃতিকে যদি তার নিজের মতো চলতে দেওয়া না হয় তাহলে এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আমরা বহুবার পাহাড় কাটাকাটির খবর শুনেছি। পাহাড় দস্যূরা নিয়মের বাইরে ইচ্ছেমতো পাহাড় কাটাকাটিতে লিপ্ত হতো এবং যাদের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা থাকতো তারাও থাকতো নীরব। ফলে অল্প বৃষ্টি হউক বা বেশী বৃষ্টি হউক, পাহাড়ধসের মতো ঘটনাতো ঘটবেই!
এবারে বলি আমেরিকায় ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনা। প্রথম ঘটনাটি ক্যালিফোর্নিয়ায় ঘটে। মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক বাংলাদেশি ট্যাক্সিচালক খুন হয়েছেন। কীভাবে তিনি খুন হলেন তা জানা যায়নি। ঘটনাটি বেশ বেদনা-দায়ক। আশাকরি কতৃপক্ষ এগিয়ে এসে খুনি বা খুনিদের আটক করতে সক্ষম হবে।
আরেকটি ঘটনা একটু বিব্রতকর। নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কূটনীতিকের বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। খবরটি সিএনএনেও দেখিয়েছে। সিএনএন এও বলেছে যে কূটনীতিক দেখে কি সে পার পেয়ে যেতে পারে? নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার গৃহকর্মী মোহাম্মদ আমিন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন যার ফলে পুলিশ নিজ বাসা থেকে শাহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এরকম ঘটনা নাকি আগেও ঘটেছে। শোনা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের পথ সুগম করতেই গৃহকর্মীরা পরিকল্পিতভাবেই বারবার কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ আনছে। জানিনা ঘটনা কোনটা সত্য। তবে ঘটনা যেটাই হউক, এরকম খবর দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে।
শেষ কথা বলতে চাই শিশু-শ্রম নিয়ে। ১২জুন পালন হলো World Day Against Child Labour। পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শিশু শ্রম জরিপ অনুযায়ী, দেশে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু কোনো না কোনোভাবে শ্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এবং দেশের মোট শ্রমিকের ১২ শতাংশই শিশু শ্রমিক। খবরটি বেশ উদ্বেগজনক। একবার একটু চিন্তা করুনতো আপনার পরিবারের ছোট্ট শিশুকে দিয়ে সারাটা দিন কাজ করাচ্ছেন! আমরাকি নিজেরা কি সেটা সহ্য করতে পারবো? এখনো অনেকের বাসায় শিশুদের কাজের ছেলে-মেয়ে হিসেবে রাখা হয়। ব্যাপারটা খুবই লজ্জাজনক ও ন্যাক্কারজনক। শিশুদের পাশে দাঁড়াই, তাদেরকে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেই।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৪০
জগতারন বলেছেন:
এখনো অনেকের বাসায় শিশুদের কাজের ছেলে-মেয়ে হিসেবে রাখা হয়।
ব্যাপারটা খুবই লজ্জাজনক ও ন্যাক্কারজনক।
শিশুদের পাশে দাঁড়াই, তাদেরকে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেই।
সহমত!!!