নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
সবাইকে আবারো নববর্ষের শুভেচ্ছা। সবাই আশা করি ভাল আছেন। নতুন বছরে দিনটা শুরু করলাম হাটাহাটির মাধ্যমে। আজকে অনেক হাটলাম। পরিবারের সবাই গিয়েছিল মিরপুর ডিওএইচএসে একজনের বাড়ীতে। আমি গোল চত্তরের ওখানে নেমে পরলাম। ব্যাস শুরু হয়ে গেল হাটাহাটি। প্রথমে সিরামিকস রোড দিয়ে হেটে হেটে স্টাফ কলেজ আসলাম, ছবি তুললাম। এই রাস্তায় শেষবার কবে এসছি তা খেয়ালও নাই। বহু বছরতো হবেই!
হাটতে হাটতে পল্লবী এক্সটেনশন রোডে আসলাম। ভেতর দিয়ে ভেতর দিয়ে হাটতে থাকলাম। জীবনেও এই জায়গায় আসিনি। ছোটবেলায় এসছিলাম কিনা জানিনা। মিল্ক ভিটা রোডে ঢুকলাম। মিল্ক ভিটা রোডে ঢোকার আগে একটি রাস্তা আছে রাস্তাটি বেশ উচু। উপরের দিকে উঠতে হয়। এরপর আরামবাগ আবাসিক এলাকার পাশ দিয়ে হাটতে থাকলাম। মিরপুরেও যে আরামবাগ নামের জায়গা আছে সেটা জানতামনা।
তারপর রূপনগর রাস্তায় উঠলাম। হাটতেই থাকলাম, কোন থামা নেই। মাঝে একটি দোকানে গিয়ে মাম পানি কিনতে হয়েছিল। এরপর শিয়ালবাড়ি রাস্তা ধরে প্রশিকা মোড়ে আসলাম। ওখানের একটি টং-এর দোকানে একটা কলা খেলাম। শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পৌছালাম। আরো হাটতে হাটতে মিরপুর ১ নং এর দিকে যেতে থাকলাম। ছবিতো তুলছিলাম। এই রাস্টায় রয়েছে Kidney Foundation Bangladesh, Bangladesh-German Technical Training Institute, Currency Museum, Bangladesh Institute of Bank Management, ইত্যাদি। সনি হলের সামনে এসে চিড়িয়াখানা রাস্তায় ঢুকলাম। মসজিদ খোঁজার সন্ধানে এি রাস্টায় ঢুকলাম কারণ ততক্ষণে জোহরের নামাযের সময় হয়ে গিয়েছে। মনি কানন হাই স্কুল মসজিদে জোহরের নামায পড়লাম। নামাযের পর এক হুজুর সবাইকে বসতে বললেন হাদীস পাঠ শুনানো হবে দেখে। ভাবলাম কিছুক্ষণ বসি। হাদিস শুনার পর হুজুর বললেন সামনে ইজতেমা হবে এলাকা থেকে কারা কারা তবলীগে যাবে। আমিতো আর ওই এলাকার নই তাই কিছু বললাম না। ঈদগাহ মাঠের পাশ দিয়ে হেটে চিড়িয়াখানার দিকে অগ্রসর হতে থাকলাম। বোটানিকাল গার্ডেনে ঢুকলাম।
বহু বছর পর বোটানিকাল গার্ডেন প্রবেশ করলাম। বহু বছর বলতে বহু বছর। ছোটবেলার কথাটি এখনও খেয়াল রয়েছে। বোটানিকাল গার্ডেনে সেই প্রথম এসছিলাম ১৯৮৩ সালে যখন আমি শাহীন স্কুলে কেজি বা নার্সারিতে পড়তাম। স্কুল পিকনিকে এসছিলাম এবং যতদূর মনে পরে আমি একটি খেলায় প্রথমও হয়েছিলাম। পিকনিক বা ক্লাস পার্টিতে যেসব খেলাধূলা হতো, যেমন পিলো পাসিং, মিউজিকাল চেয়ার, কুইজ, এসবে আমি কেমন যেন প্রথম পুরষ্কারই জিততাম। ক্লাস ফোরেও একবার প্রথম হয়েছিলাম, ইউনিভার্সিটিতেও একবার প্রথম হয়েছিলাম। যাই হোক, ৩৪ বছর পর বোটানিকাল গার্ডেনে আসলাম। ছবি তুললাম অনেক। এরপর ২ঘন্টা ৪৪ মিনিট হাটাহাটির পর সনি হলের ওখান থেকে বাসে উঠে উত্তরা আসলাম।
হাটার সময় অনেক রকমের মানুষের দেখা পাই। যেমন হাটাহাটি করার সময় মিরপুর ১ নং এর দিকে একজন মধ্য বয়স্ক লোক কথা বলছিল একজন মহিলার সাথে। পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় আমি শুনতে পেলাম লোকটি মহিলাটাকে বলছে: "ওরে, বাইন্ধা, ফিজিকালি টরচারিং কইরা সব কিছু উদ্ধার করুম।" মানুষ এতো হিংস্র হয়ে যাচ্ছে! কোট-প্যান্ট পড়া লোকের মুখে এমন কথাকি মানায়? যাই হোক HAPPY WALKING।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: কোট-প্যান্ট পড়া লোকের মুখে এমন কথাকি মানায়? যাই হোক HAPPY WALKING। - ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুল - এর মুখোশই সত্য! ব্লগে এর কিছুটা জবাব পাওয়া যাবে। কোট প্যান্ট টাই, ইত্যাদি মুখোশ বই তো কিছু নয়।
তবে আপনার এই উদ্ভট নেশা - হাঁটাহাঁটি করাটা কিন্তু স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অতীব জরুরী। এ অভ্যাসটা অব্যাহত রাখুন!
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০০
রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
রানা আমান বলেছেন: HAPPY WALKING। ভালো থাকবেন ।
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
শায়মা বলেছেন: কি মজা ভাইয়া!
আহা আমিও যদি এত হাঁটতে পেতাম!!!!
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৯
নডতডৃস বলেছেন: আমিও চাই এরকম একটা লেখা থাকতো https://subwaysurfersgame.io
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভালো, এক্টু লম্প-জম্প করা ভালো, শরীর সুস্থ থাকবে