নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর বলবো নিজের সম্পর্কে! কিছুই বলার নাই।

I love politics. I want death of those who killed our Army officers.

রিনকু১৯৭৭

দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।

রিনকু১৯৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিনেমা রিভিউ: যুদ্ধ যে একটি ব্যবসা সেটা জানার জন্য War Dogs সিনেমা দেখা লাগবে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২



War Dogs সিনেমা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভাবছি রিভিউ লিখবো কিন্তু লেখা আর হয়ে উঠছিলোনা। এই সিনেমা নিয়ে রিভিউ একটু সময় নিয়েই লিখতে হবে কারণ সিনেমাটি comedy drama হলেও এই ছবিটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাকে আমরা দেখি লাখ লাখ নিরীহ লোকজন দূর্ভোগে আছে। কিন্তু তা তে কি! যারা অস্ত্র বানায় তাদের কোন কিছু যায়ে আসেনা। যুদ্ধ যে কি বিরাট বড় ব্যবসা সেটা এই ছবি না দেখলে বুঝতাম না। আর এই ছবি দেখে এটাই বুঝলাম যে কখনই যুদ্ধ থামবেনা কারণ কিছু কিছু ব্যবসায়ী আছেই তারা মুনাফার স্বপ্ন দেখে যুদ্ধের মাধ্যমে। একজন সৈন্যতো শুধু অস্ত্র নিয়েই থাকেনা। তার কাছে যে অস্ত্র থাকে সেটার দাম আছে, ঐ অস্ত্রে যে গুলি আছে সেটার দামও আছে, সে যে হেলমেট, পোশাক, জুতা পড়ে থাকে সেটারও দাম আছে। কোন কিছুতো আর মাগনা পায়না আমেরিকান আর্মি। সবকিছুই সাপ্লাই পায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ইরাকে একজন অস্ত্রধারী আমেরিকান সৈন্য যা যা সরঞ্জাম বহন করতো একেকজন সৈন্যের পেছনে ব্যয় হতো ১৭,৫০০ মার্কিন ডলার। এবার ক্যালকুলেটর নিয়ে হিসাব করেন। যত বেশী সৈন্য তত বেশী টাকা।



কিভাবে দুই ইহুদি আমেরিকান তরুন অস্ত্র ব্যবসায়ী হয়ে উঠলো সেটি নিয়েই War Dogs সিনেমার কাহীনি। সত্যিকারের কাহীনি নিয়ে নির্মিত এই সিনেমার পরিচালককে সবাই চিনেন। উনি হলেন The Hangover Trilogy সিনেমার পরিচালক Todd Phillips। মজার ছবি ওনার কাছ থেকেই আশা করা যায়। আর দুই ইহুদি আমেরিকান তরুনের চরিত্রে অভিনয় করেছে Jonah Hill ও Miles Teller। Jonah Hill এর চরিত্র ছিল Efraim Diveroliএর আর Miles Teller অভিনয় করেছে David Packouz এর চরিত্রে। দু'জনার অভিনয়ই ছিল চমৎকার। Efraim ও David হলো দুই বন্ধু। তারা একসাথে কিভাবে সফল অস্ত্র-ব্যবসায়ী হয়ে উঠলো তাই দেখানো হয়েছে এই সিনেমায়। বিস্তারিত বলেতো লাভ নাই। ২০১৬ সালের ম্যুভি। আপনারা সবাই দেখেন এই ছবিটি। ভালো লাগবে আশা করি।



ছবিটির কাহীনিগুলো বেশ মজা করে দেখানো হলেও ছবিটির ভেতরে যে গভীরতা আছে সেই ব্যাপারটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যেমন, এই ছবিতে দেখানো হয়েছে যে অল্প সময়ে বড়লোক হওয়া যায় ঠিকই কিন্তু সেটার ফল বেশীদিন ভোগ করা যায় না। আর অনৈতিক কাজে যে শেষমেষ ধরা পড়তেই হয় সেটাই এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে। আমি ৯ দেব ১০ এ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

দূর পাহাড়ে বলেছেন: ভাল লিখেছেন ভাই..................সিনেমাটি দেখতে হবে।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০২

লিওনাডাইস বলেছেন: সিনেমাটি দেখতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.