নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
ইদানীং একটা মজার কাজ করছি। কাজটা যে কেউই ইচ্ছে করলে করতে পারেন। এর জন্য শুধু আপনার ইচ্ছে শক্তি ও একটি স্মার্টফোন থাকলেই চলবে। যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে আপনার স্মার্টফোনের গুগল প্লে স্টোর থেকে Endomondo Tracking Apps Download করে নিন। কাজটি হলো, হাটাহাটি করা ও হাটাহাটি করার সময় যা যা আপনার চোখে ভাল লাগে সেসবের ছবি তোলা। হাটাহাটি অনেকক্ষণ করার পর Endomondo Tracking Apps অন করে দেখবেন যে আপনি কোন কোন রুটে হেটেছেন। এক দিক দিয়ে হাটাও হলো আরেক দিক দিয়ে ছবিও তোলা হলো। আমি ভাবছি আমার এসবের অভিজ্ঞতার কথাগুলো আমি নিয়মিত ব্লগে লিখে রাখবো। যদিও এই কাজটি করছি মাস দু-তিন থেকে কিন্তু লেখা শুরু করছি গতকালকের ৭ই মার্চের ঘটনাগুলো দিয়ে।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঐতিহাসিক এক ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন করেছিলেন ১৯৭১ সালে। সেজন্য আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দিতে আসবেন। আমি সি.এন.জি নিয়ে চাঙখারপুল পর্যন্ত আসলাম। প্রচুর জ্যাম ছিল। তখন বাজে দুপুর দুটো। শুরু করলাম আমার যাত্রা। Endomondo Tracking Apps অন করে হাটা শুরু করলাম নাজিমুদ্দিন রোড থেকে। হাটছি আর ছবি তুলছি। আজকের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তারা মসজিদ ও আরমেনিয়ান চার্চে যাওয়া। একটা কথা বলে রাখি হাটাহাটির সময় পেট ভরে কিছু না খাওয়াই ভালো। দুপুরে ভাত খাইনি। দুটো কলা খেলাম একটা টঙের দোকান থেকে। প্রচুর পানি অবশ্যই খাওয়া উচিত। আমার সাথে মিনারেল ওয়াটার ছিল। কখনই যেন ডিহাইড্রেশন না হয় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। রাস্তা যদি চিনতেও সমস্যা হয় কোন অসুবিধে নাই। যেকোন রিক্সাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলেই হবে। হাটতে হাটতে পৌছালাম তারা মসজিদ। ছবি তোলা শুরু করলাম। অপূর্ব এক মসজিদ। উনিশ্শো শতাব্দীতে মির্জা গোলাম পীরের তৈরী এই তারা মসজিদ আজও অবাক করে দেয় এর ডিজাইন। মসজিদের ভেতরেরটা বন্ধ ছিল। ওখানকার এক বৃদ্ধ চাচাকে অনুরোধ করে গেট খুলালাম। ভেতরের চমৎকার চমৎকার সব ছবি তুললাম।
এরপার আবার হাটা শুরু করলাম। পৌছালাম আরমানিটোলার আরমেনিয়ান চার্চে। আরমেনিয়া থেকে আগত আরমেনিয়ানদের এক সময় আধিপত্য ছিল সেটার সাক্ষ্য এই চার্চটি বহন করে। ১৭শ-১৮শ শতাব্দীতে আরমেনিয়ানদের বসবাস ছিল আর যার কারণেই জায়গাটির নাম হয় আরমানিটোলা। আরমেনিয়ানরা মূলত জুট ব্যবসার জন্য আমাদের এখানে এসছিল। আমি ভেতরে ঢুকতে পারলাম না কারণ তালা দিয়ে গেট বন্ধ ছিল। আশেপাশে সব পারফিউমের দোকানে ভরে গিয়েছে। একটি দোকানের এক লোক বললো যে গেটে গিয়ে কাউকে ডাক দিলেই গেট খুলে দেবে। আমি ডাকলাম কিছুক্ষণ কিন্তু কোন সাড়া পেলাম না। তাই চার্চের বিপরীতেই একটি বাসার ছাদে গিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি তুললাম।
এরপর হাটতেই থাকলাম। হাটতে হাটতে গুলিস্তান আসলাম। জীবন বীমা কর্পোরেশনের হেড অফিস দেখে ভাবলাম এই বিল্ডিং-এর জীবন বীমা করা আছে কিনা! স্টেডিয়ামের ওখানে হেটে বায়তুল মোকাররম এসে ছবি তুললাম। এরপর পল্টনের দিক দিয়ে হাটা শুরু করে সেগুনবাগিচা আসলাম।
জাতীয় নাট্যশালার পাশ দিয়ে হেটে চলে আসলাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে। সেসময় সাজেদা চৌধুরী বক্তব্য দিচ্ছিলেন। সারা রাস্তা ফাকা ছিল একেবারে শাহবাগ পর্যন্ত। দেখি এক মামা শষা বিক্রী করছে। শষা খাওয়া কিন্তু ভালো। শষা খেলাম। আরো বেশ কিছুদূর হেটে হাটা বন্ধ করলাম।
হাটলাম ২ ঘন্টা ৪০ মিনিট। সাথে সাথে ছবিও তোলা হলো। বাছাই করা কয়েকটি ছবি পোস্ট দিলাম। আপনারাও করতে পারেন যদি ইচ্ছে থাকে। কোন কোন রাস্তায় হাটলাম সেটার Endomondo ম্যাপের ছবি উপরে দেওয়া আছে।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
(একজন নিশাদ) বলেছেন: গুড জব
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১২
মহা সমন্বয় বলেছেন: আমিও অনেক হাঁটি- ঢাকার অলিগলি চিপা চাপা আর বাদ রাখি নাই কিছু।
০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৬
রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: অসাধারণ
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৭
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
++++