নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
সিরিয়া বিষয় কিছু কথা বলতে চাই। গত ৪ বছরের গৃহ যুদ্ধে সিরিয়াতে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা বোধ হয় আমদের সকলের কল্পনার বাইরে। এই গৃহ যুদ্ধে একমাত্র ক্ষমতালোভী রাজনিতীবিদরা ছাড়া কেউই লাভবান হয়নি সেটাই আমার ধারনা। যে কোন যুদ্ধ জাতির জন্য অকল্যাণ বয়ে আনে। গোটা জাতিকে কষ্টে ভুগতে হয়। সিরিয়াতে যে ঝামেলা তা তে তো মনে হচ্ছেনা কেউ খুব সহজেই হার মেনে নিবে। একদিকে এক মোড়লের লেলিয়ে দেওয়া উগ্র বাহিনী আইসিস এর আক্রমণ আরেক দিক থেকে আরেক মোড়লের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে আইসিসকে শায়েস্তা করায় মাঝখানে নিরীহ জনগন চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ছোট ছোট বাচ্চা শিশুরা। আইলান কুর্দির কথাতো সবাই জানেন যে শিশুকে সমুদ্রের তীরে মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা গিয়েছিল ঠিক সেরকম আইলান কুর্দি যে আরো কত আছে তা আমরা কেউই জানিনা। আমাদের কি কিছুই করার নেই? এভাবে আর কতো? ছোট ছোট বাচ্চাদের ওপর কি যে ভয়াবহ মানসিক অত্যাচার যাচ্ছে সেটা হয়তো আমরা অবতারের মতো না বোঝার ভান করে আছি। যে যার নিজের স্বার্থ নিয়ে আছে একবারের জন্য হয়তো ভাবছেওনা যে তাদের বাচ্চাদের যদি ওমন পরিস্থিতি হতো তাহলে তাদের কেমন লাগতো। মেইল ওনলাইন থেকে কিছু ছবি দেওয়া হলো যা দেখে চোখে পানি আসা ছাড়া ও সামান্য দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া হয়তো আমরা কিছুই করতে পারবোনা। আমরা ছবিগুলো দেখবো আর হয়তো একটু কষ্ট পেয়ে ঠিকই রাতে আরাম করে বিছানায় ঘুমাতে যাবো।
ছয় বছর বয়সের আহমেদ, সার্বিয়াতে ঘাষের ওপর ঘুমাচ্ছে। সে তার চাচার সাথে হেটেহেটে অনেক পথ অতিক্রম করেছে। তার চাচা তার দিকে খেয়াল রাখে কারণ সে তার বাবাকে হারিয়েছে।
মেয়েটির নাম লামার। বয়স ৫, সার্বিয়ার এক জঙ্গলে তোষকের ওপর ঘুমিয়ে আছে। সে তার পরিবারের সাথে খাবার কেনার সময় একটি বোমা এসে পড়ে যেটা তার সারা জীবনটাকেই তছনছ করে দেয়।
আলেপ্পো শহরের বাসিন্দা ৫ বছর বয়সি ওয়ালা বালিশে ঘুমাতে ভয় পায় কারণ সে যখন বালিশে ঘুমাচ্ছিলো সেই সময় তার বাসায় আক্রমণ হয়।
আহমদ ৭, হাঙ্গেরি-অস্ট্রিয়ার বোর্ডারের পেভমেন্ট-এ ঘুমাচ্ছে। ইদলিব শহরে সে বসবাস করতো। তাদের বাসায় বোমা পড়ে সব ধ্বংস হয়ে যায়। সে তার ছোট ভাইকে হারায়।
শেদ ৭ ছবি আকতে ভালবাসে। সিরিয়া গৃহ যুদ্ধে বেড়ে ওঠায় সে শুধু এখন অস্ত্রের ছবি আঁকে।
আমরা আর কতো নির্লজ্জের মতো ফেলফেল করে চেয়ে থাকবো আর আমাদের নাকের ডগায় এসব আগামীর ভবিষ্যৎ বিলুপ্ত হয়ে যাবে???
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
রাশেদ মহাচিন্তিত বলেছেন: আপনি সিরিয়ার বর্তমান এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কথা ভাবছেন। অথচ ভেবে দেখুন, আমাদের এই বাংলাদেশের পথে প্রান্তরে, বাস স্টপে , রেলস্টেশনে , লঞ্চের টার্মিনালে কত শিশু পরে আছে। সিরিয়ার পরিস্থিতি ভাবার আগে আমাদের এই ধুলোয় পরে থাকা ভবিষ্যৎগুলোর দিকে তাকান।