নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
ইসলাম মানুষের কাছে যে দাওয়াত পেশ করেছে, তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বুনিয়াদ হচ্ছে তওহীদ। কিন্তু এই তওহীদের আলো থেকেই তখনকার আরব উপদ্বীপ তথা সমগ্র দুনিয়া ছিলো বণ্চিত। তৎকালীন মানুষের মনে তওহীদ সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারনাই বর্তমান ছিলো না। এ কথা সত্যি যে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর আগেও খোদার অসংখ্য নবী দুনিয়ায় এসেছেন এবং প্রতিটি মানব সমাজের কাছেই তাঁরা তওহীদের পয়গাম পেশ করেছেন। কিন্তু মানুষের দুর্ভাগ্য এই যে, কালক্রমে এই মহান শিক্ষা বিস্মৃত হয়ে সে লিজেরই ইচ্ছা-প্রবৃত্তির দাসত্বে লিপ্ত হয়ে পড়ে এবং তার ফলে চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-উপগ্রহ, দেব-দেবী, নদী-সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত, জ্বিন-ফেরেশতা, মাহুষ-পশু ইত্যাকার অনেক বস্তুকে নিজের উপাস্য বা মাবুদের মধ্যে শামিল করে নেয়। এভাবে মানুষ এক খোদার নিশ্চিত বন্দেগীর পরিবর্তে অসংখ্য মাবুদের বন্দেগীর আবর্তে জড়িয়ে পড়ে।
রাজনৈতিক দিক থেকে তখন পারস্য ও রোম এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি বর্তমান ছিলো। পারস্যের ধর্মমত ছিলো অগ্নিপূজা(মাজুসিয়াত)। এর প্রতিপত্তি ছিলো ইরাক থেকে ভারতের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। আর রোমের ধর্ম ছিলো খ্রিস্টবাদ(ঈসাইয়াত)। এটি গোটা ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকাকে পরিবেষ্টন করে ছিলো। এই দুটি বৃহৎ শক্তি ছাড়া ধর্মীয় দিক থেকে ইহুদী ও হিন্দু ধর্মেরও কিছুটা গুরুত্ব ছিলো। এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ এলাকায় সভ্যতার দাবি করতো।
অগ্নিপূজা ছাড়া পারস্যে(ইরানে) নক্ষত্রপূজারও ব্যাপক প্রচলন ছিলো। সেই সঙ্গে রাজা-বাদশাহ ও আমীর-ওমরাহগণও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রজাদের খোদা ও দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত ছিলো। তাদেরকে যথারীতি সিজদা করা হতো এবং তাদের খোদায়ীর প্রশস্তিমূলক সংগীত পরিবেশন করা হতো। মোটকথা, সারা দুনিয়া থেকেই তওহীদের ধারনা বিদায় নিয়ে ছিলো।
রোম সাম্রাজ্য
গ্রীসের পতনের পর রোম সাম্রাজ্যকেই তখন দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা শক্তি বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু ঈসায়ী ষষ্ঠ শতকের শেষভাগে এই বৃহৎ সাম্রাজ্যই অধঃপতনের শেষ প্রান্তে এসে উপনীত হয়। রাষ্ট্র-সরকারের অব্যবস্থা, শত্রূর ভয়, অভ্যন্তরীণ অশান্তি, নৈতিকতার অবলুপ্তি, বিলাসিতার আতিশয্য--এক কথায় তখন এমন কোন দুষ্কৃতি ছিলো না, যা লোকদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করেনি।
(চলবে)
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: হাউকাউ