নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
ভারত বেশ উদ্বিগ্ন! উদ্বেগরই হওয়ার কথা কারণ চীন তার নৌশক্তি বাড়াতে পাকিস্তানে বন্দর নিচ্ছে। চীন যে ভারতের নয় পাকিস্তানেরই অকৃত্যিম বন্ধু তা আবারো প্রমান করলো। সম্প্রতি চীন পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দরের পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফলে চীন আরব সাগরে একটি নৌঘাঁটি পেয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণেই ভারত উদ্বিগ্ন। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন যদি পাকিস্তানের এই বন্দরটি পায় তাহলে আরব সাগর ও হরমুজ প্রণালির সঙ্গে চীনের সংযোগ স্থাপিত হবে। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল ও গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে চীনের হাজার হাজার কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসবে। চীন যে ক্রমেই তার অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে তার প্রমাণ ইতোমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। পাকিস্তান ছাড়াও এই অঞ্চলে নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারেও বন্দর এবং তেল-গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন নির্মাণের সঙ্গে চীনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে চীনা অর্থায়নে নির্মিত বন্দরগুলোর মধ্যে গোয়াদারই হবে ভারতের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ। চীন হলো পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধু। দুই দেশ তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য যে এক হয়ে কাজ করবে সেটা ভাবাটাই যুক্তিসংগত। আর পাকিস্তানে বন্দর নির্মাণ করাটা যতটাই না অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বলা হচ্ছে তার চেয়েও বেশী লক্ষ্য সামরিক সমৃদ্ধির বাস্তবায়নের। আর সেখানেই বিপত্তি ভারতের। আমেরিকায় ২০০৪ সালে তৈরি করা একটি প্রতিবেদনে ভারতের চারপাশের বন্দরকে চীনের ‘স্ট্রিং অব পার্লস’ বা সম্ভাব্য নৌঘাঁটি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নৌঘাঁটিগুলোরই সমতুল্য। আর সেজন্যই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামাকে তার উপদেষ্টারা ভারতের সাথে নৌশক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রাস্তাব দেওয়া হয়। চীন যে আস্তে আস্তে এশিয়া থেকে শুরু করে আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করছে এবং করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা যেমন ভারতের জন্য উদ্বেগের ঠিক তেমনই সেটা আমেরিকার জন্যও চিন্তার বিষয়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: আমি অবশ্য এখানে পাকিস্তানকে প্রাধান্য দিয়ে এই ব্লগ লিখি নাই। আমার লেখার কারণ চীন। চীন যেভাবে আমাদের এই অঞ্চলে বিস্তার লাভ করতে যাচ্ছে তা যেমন ভারতের জন্য চিন্তার বিষয় ঠিক তেমনই সেটা আমেরিকার জন্যও দুশ্চিন্তার কারণ
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পাকিস্তান একটা ইন্টারন্যাশানাল বেশ্যা।
তারা আমেরিকাকে ঘাঁটি করতে দেয়, cia কে অপারেশন চালাতে অনুমতি দেয়।
আবার লাদেনকেও গোপনে আশ্রয় দেয়। রাষ্ট্রিয় মদদে লাল মসজিদে সন্ত্রাসি পালে, আবার আমরিকান নির্দেশে লালমসজিদে হামলাও চালায়।
এই ইন্টারন্যাশানাল বেশ্যা দেশটি কাকে কি লিজ দিল তাতে কারও কিছু আসে যায় না।