নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিজলের, তাল, বুনোঘাস, গুল্মলতার ঝোপে, কাশবন, বাশঝাড়, ভরা ভাদরের নদীকূলে। ফেলে এসেছি শৈশব আনমনে কোনো এক কালে হারিয়ে ফেলেছি গোধুলি লগ্ন মঙ্গল ধুপে। রাতজাগা চোখে, জোনাকির আলো, কদমের ঘ্রাণ সবকিছু পলাতক সময়ের স্রোতে।
১. স্পষ্টবাদী হয়ে উঠছে মানুষ। এখনকার পোলাপানরা সোজাসুজি কথা বলতেই বেশি পছন্দ করছে। তা এক হিসেবে ভালোই, তবে সমস্যা হচ্ছে কথার সাথে বিনয় মেশানো থাকছে পরিমাণে কম। আসলে সেলফোনে পয়সা পুড়িয়ে যোগাযোগ করতে গিয়ে, বিনয় দেখানোর মতো সময় খরচ করা এবং ধৈর্য ধরায় কারো পোষাচ্ছেনা। তবে, বিনয়ের বিনিময়মূল্য অনেক।
২. শর্টকাটে না হলে আর বড়লোক হওয়া যাবে না – এ ধারণা এখনো প্রায় সত-অসত সবার মনে বধ্যমূল, এবং তা বোধহয় সঠিকও বটে, কারণ আমাদের দেশে আর অন্যকোনো রাস্তা বানানো নাই। শর্টকাট মানেই সাকসেস- সফলতা। বাজারে এখন শর্টকাটে’র কাটতি। তিনঘন্টার মুভির বক্তব্য উঠে আসছে তিরিশ সেকেন্ডের টিকটকে।
৩. ড্রাইভিং ক্লাসে ভর্তি হয়েছি। প্রশিক্ষক সাহেব আমার বর্তমান পেশা জানতে চাইলে বলেছি গার্মেন্সে চাকরি করি এবং ড্রাইভিং শিখে বিদেশ যেতে চাই । মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার কারণ উনি যাতে আর কোনো প্রশ্ন না করেন্। আমার ধারণা সত্যি হয়েছে, গার্মেন্সকর্মীদের নিয়ে কেউ উতসাহী হবেনা এটাই স্বাভাবিক। উনি আমাকে টুকটাক আরবীও শিখাতে চেয়েছেন যাতে মধ্যাপ্রাচ্যে গিয়ে কাজ চালাতে পারি। এখন পর্যন্ত একটামাত্র আরবী শদ্ব শিখিয়েছেন, তা হচ্ছে, হিয়া-মাজুনন, মানে, সে পাগল।
৪. এখনো বাংগালরা নিজেদের গরীব বলে পরিচয় দেয় এবং দিতে গর্ববোধ করে। ভোটের পোস্টারে লেখা থাকে- “মেহনতি মানুষের কন্ঠস্বর, গরীবের বন্ধু আদম_ ভাই কে ভোট দিন”। গরিবী আছে আমাদের চলনে-বলনে, সাহিত্যে, সিনেমায়, গানে, মনে-প্রাণে, সওওওব খানে।
৫. যারা শ্রমিক তাদের উর্পাজিত পয়সা বোধহয় শতভাগ হালাল, সবার মতো, আমারো এমনটাই ধারণা ছিলো। আদতে কাহিনি ভিন্ন, তারা কাজে ফাকি দেয়, মালিককে নানা ছল চাতুরিতে ঠকায় এবং তাদের দায়িত্বগ্যানহীনতা প্রশ্নাতীত। তাদের ইনকাম মন্দ নয় এবং সবাই মাইক্রোক্রেডিটের মেম্বার। লোনের সাপ্তাহিক কিস্তি তাদের লাইফের সব’চে বড় চ্যালেন্জ।
৬. মানুষ যতো বুড়ো হয়, ততোই তাদের লাজ-লজ্জা এবং সংকোচবোধ ও বুদ্ধি-শুদ্ধি কমতে থাকে। তারা চায় সবাই তাদের কথা শুনুক, তাদের মান্য করুক। বুড়োদের সব কথা যে শুনতে নেই তার প্রমাণ জুলাই মাসের ছাত্র আন্দোলনের সফলতা।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৪৫
আদম_ বলেছেন: ধন্যবাদ জ্বনাব মামুন
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো লিখেছেন, তবে লিখেছেন বেশ কয়েকটা বিষয়ের উপর, যদিও শিরোনামে একটা বিষয়ের উল্লেখ।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৪৬
আদম_ বলেছেন: সবগুলো পয়েন্ট মিলে একটা শিরোনাম দেয়া সম্ভবনা। তাই, ওভাবে দিয়েছি। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৫:৩৭
ক্লোন রাফা বলেছেন: আমাদের জেন-জি জেনারেশন নিজেদের যত উঁচু স্তরের ভাবছে নিজেদের’কে আদতে ২/১জন ব্যাতিক্রম ব্যাতিত বাকিদের বেইল নেই বিশ্বের প্রকৃত জেন-জি’দের কাতারে‼️
শর্টকাট মানেই স্মার্ট জেনারেশন নয়! এখন সবাই ফাউন্ডেশন বাদ দিয়ে স্কাই স্ক্রাপারের স্বপ্ন দেখে। অসততার পথেই চুরান্ত সফল হোতে সকল মেধার ব্যাবহার সর্বোচ্চ! বিগত সরকার সকল নীতিহিন অমানুষদের পুরস্কৃত করার মাধ্যমে এই ব্যাধির ব্যাপক বিস্তার ঘটিয়ছে।সেই অধঃপতনের প্রতিযোগিতা অব্যাহত আছে এখন পর্যন্ত।
ধন্যবাদ॥
১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
আদম_ বলেছেন: ফাউন্ডেশন নেই বলেইতো আমাদের রতন টাটা নেই।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:২৯
রাসেল বলেছেন: সর্বশেষটার সাথে পুরোপুরি সহমত হতে পারছি না। আমার ধারণা, বয়সের সাথে সাথে মানুষ নিজের বিশ্বাসের প্রতি দৃঢ়তা আনে ।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৪৯
আদম_ বলেছেন: ধরুন বয়সের সাথে সাথে কারো নিজের বিশ্বাসের প্রতি দৃঢ়তা এলো; তখন কি সে নিজের মত প্রকাশ করতে সংকোচবোধ করবে? না, করবেনা। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি। তরুণরা যা বলতে লজ্জা পায়, বুড়ো-বুড়িরা তা পায়না।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৫২
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন কথাগুলোর সাথে বাস্তবতার মিল আছে।