নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিজলের, তাল, বুনোঘাস, গুল্মলতার ঝোপে, কাশবন, বাশঝাড়, ভরা ভাদরের নদীকূলে। ফেলে এসেছি শৈশব আনমনে কোনো এক কালে হারিয়ে ফেলেছি গোধুলি লগ্ন মঙ্গল ধুপে। রাতজাগা চোখে, জোনাকির আলো, কদমের ঘ্রাণ সবকিছু পলাতক সময়ের স্রোতে।
১. অফিসে সারাক্ষণ ছো মেরে বসি থাকি। কে কখন একটা ভুল করে বসবে, আর তাকে কখন একটা কথা শোনতে পারবো- সারাক্ষণ এই এক ধান্ধা। বস কে কপি করে, দেশসুদ্ধ লোক জানিয়ে ই-মেইল করে ভুলটা প্রচার করতে পারলে তবেই যেন শান্তি।অফিসগুলো মূলত উচ্চ-অশিক্ষিতদের খোয়ার স্বরুপ।
২. গতো শুক্রবার রাতে ঢাকার বাইরে যাচ্ছিলাম। আমাদের গাড়িটা দানবের মতো গর্জন করতে করতে দুর্দান্ত বেগে এগিয়ে যাচ্ছিলো। আমি জানালার ফাক দিয়ে খানিকটা রাতের আধার খোজার চেষ্টা করছিলাম- সলিড একটা ডার্কনেস; কিন্তু পেলামনা। এখনকার দিনে আর অন্ধকার বলে কিছু নেই আর। রাতের নরম-কালো-কোমল শরীরে বৈদ্যুতিক বাতিগুলো যেন দগদগে ক্ষত-ঘায়ের মতো জ্বলছে। রাস্তার দু-পাশে শুধু দোকান, দোকান আর দোকান।
৩. জামালপুরের লোকটা, হোটেল কে বলে "হৈটাল"। ওই একটা "হৈটাল" শব্দ শোনার জন্যই শুধু আমি তার সাথে যখন-তখন খুচরা পেচাল জমাই। ঘুরে-ফির একই প্রশ্ন রোজ করি, কারণ জানি কোনে প্রশ্নের উত্তরে "হৈটাল" শদ্বটি আসবে। লোকটি "হৈটাল" "হৈটাল" বলে যায় আর অপ্রমিত বাংলা শব্দটি আমাকে নস্টালজিক করে তোলে; আমার শহুরে মনের ঘোরপ্যাচ ওই মাটির ঘ্রাণ গায়ে মেখে ঘুরে বেড়ানো লোকটা কি করে বুঝবে?
৪. নিজের সাথে নিজের কমিটমেন্ট রক্ষা করাটাই সব'চে বড় চ্যালেন্জ। নিজের কাছে নিজের কোনো দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার সিস্টেম না থাকায় ওসব কমিটমেন্ট সাগরের জোয়ারের মতো দলবেধে আসে আর ভাটার টানের মতো চলে যায়।
৫.কোনো অসুস্থতা নেই আপনার? একটা হেলথচেকআপ করান ; দেখবেন তলে তলে ধরা খেয়ে বসে আছেন। কোনো অসুস্থতা না থাকলেও, বছরে কমপক্ষে একটা হেলথচেকআপ করান- খরচ তেমন বেশি পড়েনা- ৫-৬ হাজারের মধ্যে হয়ে যাবে। দরকারি ,খুবই দরকারি।
৬. প্রতিটি গ্রাম-মহল্লা-পাড়ায় কমপক্ষে একজন করে পাগল থাকে। একটি করে পাগল থাকে প্রতিটি ফ্রেন্ডসার্কেলে-ফ্যামিলিতে-গ্রুপে। প্রতি তিনজনে একজনে একজন পাগল; এমনকি প্রতি দু'জনে একজন পাগল; সর্বশেষ, আপনার আশেপাশে কেউ না আপনি একাই পাগল।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আদম_ বলেছেন: হেবাইজ!
হাহাহাহা। অনেক্ষণ ধরে হাসলাম।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি নিজেও রাতের জার্নিতে অন্ধকার খুঁজি খুব। যেদিন মাঝ রাতে গ্রাম থেকে ফিরি তখন সামান্য সময়ের জন্য কাঙ্ক্ষিত কিছু অন্ধকার পাওয়া যায়। দিগন্ত জোড়া ধানক্ষেত অথবা বর্ষায় বিলের ধারে।
কিছু কিছু স্থানীয় শব্দ আসলেই ভীষণ কিউট হয়। আমাদের মুনশিগঞ্জের ও তেমন কিছু আদুরে শব্দ পাওয়া যায়।
৫ নাম্বারের ভয়বহতা টের পাওয়া যায় হুট করে।
লেখায় ভালোলাগা।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
আদম_ বলেছেন: কি অদ্ভুত মিল! দুজনেই আধার-তালাশী।
লেখায় ভালোলাগার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কাবুলিওয়ালা গল্পে মিনির কথায় জানাগেছে কাককে কৌয়া বলেছে তাদের বাসার দারোয়ান। কাককে যদি কৌয়া বলা যায় তবে হোটেলকে হৈটাল বললে কি এমন ক্ষতি?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
আদম_ বলেছেন: না, কোনো ক্ষতি নাই।
আপনি আমাকে বরিশাল যাবার দাওয়াত দিয়ে রেখেছেন, মনে আছে তো?
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৬
অপ্সরা বলেছেন: জামালপুরের এই হৈটাল বলা আমি জানি। আমাদের সুফিয়ার বাড়ি নেত্রকোনা সে তো এমনই বলে।
তবে সে যখন প্রথম এসেছিলো তার মুখের ভাষা শুনে আমরা চিন্তায় পড়েছিলাম সে রোহিঙ্গা কিনা।
এক বর্ণ কথাও বুঝতাম না আমরা।
পেয়াজকে বলতো হেবাইজ।
আরও কি কি সব ভাষা যা বুঝার জন্য আমরা কোনো দোভাষি পাইনি।