নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিজলের, তাল, বুনোঘাস, গুল্মলতার ঝোপে, কাশবন, বাশঝাড়, ভরা ভাদরের নদীকূলে। ফেলে এসেছি শৈশব আনমনে কোনো এক কালে হারিয়ে ফেলেছি গোধুলি লগ্ন মঙ্গল ধুপে। রাতজাগা চোখে, জোনাকির আলো, কদমের ঘ্রাণ সবকিছু পলাতক সময়ের স্রোতে।
বাংলাদেশ দু:স্থ শিল্পীদের দেশ বললে খুব একটা অত্যুক্তি হয়না। চিকিতসার জন্য বারোয়ারি পয়সা গিলেছেন এমন শিল্পীর তালিকা নেহায়েত কম নয়- ভবিষ্যতে আরো হয়তো বাড়বে। দিন দশেকও হবেনা একজন দেশি সুপরিচিতো শিল্পীমুখ বলেছেন আমাদের অভিনয় শিল্প নাকি এখনো প্রফেশনাল হতে পারেনি- এখনো হয়নি, কখনো হবে কিনা কে জানে।
প্রথমসারির জাতীয় একটি দৈনিকে বেশ ঘটা করে ৯০ দশকের হারিযে যাওয়া কিছু জনপ্রিয় তারকা মুখের হালহকিকত তুলে ধরছে – আশাব্যন্জক কিছু নেই সেখানে, তাদের কেউ এখন কাপড় বেচে, কেউ ফাপর বেচে।
৩৫ টাকার ক্যাসেটের যুগ শেষ হবার সাথে সাথে, ডিশ-ইন্টারনেট আসার সাথে সাথে আমাদের গান-সিনেমা-নাটকে যেন রাতারাতি ভা্ঙ্গা হাটের আবহ শুরু হয়ে গেলো। কেনো? প্রফেশনাল হতে পরিনি তাই? নাকি গ্রাহকের অপশন তাকে তাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে তার চাহিদার বাজারে? আমাদের ওজনহীন, আপডেটহীন, যৌগিক নাটক-ফাটক-সিনেমা-টিনেমা-গান-টান কে খাবে এই অর্ন্তজাল যুগের অন্তহীন বাজারে!
বেশকিছুদিন আগে জেমস বর্তমান গানের ট্রেন্ডকে বলেছিলেন “গান নয়, মেশিন গান”। নকুলকুমার বিশ্বাস তার এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, তার দু-সন্তানের কাউকে তিনি এ পেশায় আনেননি, কারণ কোনো এক অনুষ্ঠানের গানের সম্মানীর খাম পাচ হাত ঘুরে তার হাতে আসতে আসতে নাকি পরিপুর্ণ ফাকা হয়ে গিয়েছিলো।
আমাদের ভবিষ্যত দু:স্থরা গাড়ি-লোনের কিস্তি, বাজার খরচ, বাসাভাড়া, ড্রাইভারের বেতন জোটানোর জন্য ঈদের নাটক বানাচ্ছেন- এই মরার বাজারে কে শুনবে গান, কে দেখবে নাটক, শান্তি আছে মানুষের মনে?
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
আদম_ বলেছেন: কেউ কাপড় বেচে, কেউ ফাপর বেচে