নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিজলের, তাল, বুনোঘাস, গুল্মলতার ঝোপে, কাশবন, বাশঝাড়, ভরা ভাদরের নদীকূলে। ফেলে এসেছি শৈশব আনমনে কোনো এক কালে হারিয়ে ফেলেছি গোধুলি লগ্ন মঙ্গল ধুপে। রাতজাগা চোখে, জোনাকির আলো, কদমের ঘ্রাণ সবকিছু পলাতক সময়ের স্রোতে।
বহুদিন পর হঠাত হাসির সাথে দেখা। সেই শান্ত কিন্তু চপল দুটি চোখ; যেন অকারণে হাসছে। মেয়েটি চোখ দিয়ে হাসে। আমি শুরু থেকেই পালাই পালাই করছিলাম। দুজনেই গাড়ির জন্য অপেক্ষায়। আমরা টুকটাক কথা বলছিলাম, যদিও আমার তেমন কিছু বলার ছিলোনা তবু মনে হলো- আজ যদি গাড়ি একেবারেই না আসতো । অন্যান্য দিন গাড়ি আসতে অনন্তকাল দেরি হয়। আমি নিশ্চিত গাড়ি আজকে খুব টাইমলি আসবে। আমি কিছুটা ব্যস্ততার ভান করছিলাম, গাড়ি তাড়াতাড়ি না আসায় বিরক্তি দেখাচ্ছিলাম; অথচ মনে মনে চাইছিলাম আরেকটু সময় অপেক্ষা করতে-এ রিয়েল টাইম প্যারাডক্স।
বনলতা সেনের মতো পাখি-নীড় চোখ তুলে জিজ্ঞাস করলো- কেমন আছি। মনে হলো প্রশ্নটা শুধুই একটা প্রশ্ন নয়। প্রশ্নের অন্তরালে একটা আকাঙ্খিত উত্তর আছে। উদাস গলায়-ভালো আছি বললেও প্রকারন্তরে বলে দিলাম- ভালো নেই আমি। এটাই অন্তরালের সেই উত্তরটি। মানুষ দু:খবাদী।
কাক জোছনা। যখন প্রখর জোছনা উঠে, কাকেরা চাদের আলোকে দিন ভেবে বাইরে উড়াল দেয়। আমি যেন একটা কাক। চাদের মায়াবী আলোয় এক সময় উড়েছিলাম, রাতকে দিন ভেবে..................
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
আদম_ বলেছেন: খোজো আমাকে কাক জোছনায়