নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিজলের, তাল, বুনোঘাস, গুল্মলতার ঝোপে, কাশবন, বাশঝাড়, ভরা ভাদরের নদীকূলে। ফেলে এসেছি শৈশব আনমনে কোনো এক কালে হারিয়ে ফেলেছি গোধুলি লগ্ন মঙ্গল ধুপে। রাতজাগা চোখে, জোনাকির আলো, কদমের ঘ্রাণ সবকিছু পলাতক সময়ের স্রোতে।
সকাল
আমার অফিস সকাল আটটা থেকে। ঘুম থেকে উঠে দেখি সকাল সাড়ে আটটা বাজে। কিছুক্ষণের জন্য হয়ে গেলাম উসাইন বোল্ট। ব্যাপক ধুড়মাড় করে রেডি হয়ে সুপারসনিক গতিতে ছুটলাম অফিসের দিকে। অফিসে যেতে না যেতেই একজন দাতকেলানো হাসি দিয়ে বলল “বস আপনারে খুইজা গেছে, বলছে চেয়ারে বসার আগেই যাতে উনার সাথে দেখা করেন”। কথাটা আংশিক মিথ্যা। বাংগালরা কবি-সাহিত্যিকমনা মানুষ। একটু বাড়িয়ে বলা ক্ষমার যোগ্য । দিনটা বোধহয় আজকে গেল........। হুহ্ বললেই হলো। মানুষ কি রোবট নাকি। দু-একদিন তো একটু এদিক-ওদিক হতেই পারে। আরাম করে চেয়ারে বসে ভাবতে লাগলাম কি করা যায়। বসকে একটা কিছু বলে কাটাতে হবে। মনের ক্যানভাসে মিথ্যার আলকাতরা মাখছিলাম........এমন সময় বস এসে বললো “হাপি নিউ ইয়ার”......একটু বোধহয় দেরি কইরা আসছেন..........রাস্তাঘাটের যা অবস্থা........যাই হোক দুপুরে আমি খাওয়াবো.......।
শিক্ষা: রাতজেগে তাস খেলা শরীর, অফিস সবকিছুর জন্যই ক্ষতিকর।
প্রতিজ্ঞা : জিন্দিগে আর তাস খেলুম না।
দুপুর
ব্যাংকে গেছি টাকা বেতনের টাকা উঠাতে। খুব একটা ভিড় নেই। ক্যাশ কাউন্টারে বসা লোকগুলো কাজের ফাকে ফাকে খোশগল্প করছে। পৃথিবীর কঠিনতম চাকরির একটা হলো ব্যাংকে চাকরি। ডিয়ার গড! প্লিজ সেভ মি ফ্রম ব্যাংক জব। প্রতিবার আমি টাকা গুনে এবং দেখে আনি। এবার করলাম তার উল্টা। টাকা হাতে পেয়ে সোজা পকেটে চালান করে দিলাম। কিছুক্ষণ ব্যাংকে ঘুরঘুর করলাম। কাজে ব্যস্ত মানুষ দেখতে আমার মজা লাগে। রিসিপশনে বসা অতি সুন্দরী মেয়েটি আজ নেই। এমন সুন্দর কারও পাশে নিজেকে ভাবতে দু:সাহস লাগে। আমার সেই দু:সাহস এবং যোগ্যতা কোনটাই নেই। অন্য কোন সময় মেয়েটার কথা মনে পড়েনা, কেবল ব্যাংকে এলেই মনে পড়ে। এভরি হিউম্যান বিং হ্যাজ কনটেইন এ কমপ্লেক্স সাইকোলজি। তার নাম জবা ম্যাডাম। জবা আমার সবচেয়ে অপছন্দের ফুল।
বাসায় গিয়ে টাকাগুলো গুনতে গিয়ে দেখি দুইটা পাচশো টাকার নোটের কিছু অংশ একেবারেই নাই। দেখে মনে হয় যেন কাচি দিয়ে কাটা। গো টু ডগ আদম_। ইউ আর এ রিয়েলি রাবিশ........। ইউ হ্যাভ ফরগটেন দ্যাট ইট ইজ বাংলাদেশ, এন্ড এভরিবডি ইজ রেডি টু চিট।
শিক্ষা: ব্যাংকের ক্যাশ-কাউন্টার ত্যাগ করার আগে ভালো করে টাকা পয়সা দেখে আনা উচিত।
প্রতিজ্ঞা: জবা ম্যাডামকে একদিন জিজ্ঞাসা করতে হবে তার বাড়িতে জবা ফুল গাছ আছে কিনা।
রাত
হাতে কোন কাজ নাই। রুমমেটদের সাথে টকশো আসর বসিয়ে দেশ উদ্ধার করছিলাম। একজন বললো “এই সব ফাউ পেচাল পাইরা লাভ নাই। কাম না করলে কোন হালায় খাবার দেয়না, লন তাস খেলি.........।”
শিক্ষা: যাহা লাউ তাহাই কদু।
প্রতিজ্ঞা: যে ভাবেই হোক, যথা সময়ে অফিসে উপস্থিত হতে হবে।
বি:দ: ছেড়া টাকা কোথায় বদলিয়ে দেয় কেউ জানলে আওয়াজ দিবেন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
আদম_ বলেছেন: নামটা দেয়া বোধ হয় ঠিক হয়নি। ডিয়ার গড প্লিজ সেভ মি ফ্রম জবা ফুল।
ওখে আপনার কথা ভাবিয়া ডেখিবে।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো বছরের পয়লা দিনের রোজনামচা।
অফিসে যেতে বছরের পয়লা দিনে আমি দেরি করলাম পাক্কা ৪০ মিনিট, মনে মনে ভাবলাম ন্যু-ইয়ারে অফিস করছি এই তো বেশি।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
আদম_ বলেছেন: একদম ঠিক কাজটাই করেছেন।
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
সুমন কর বলেছেন: প্রথমদিনের ঘটনা ভাল লাগল।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
আদম_ বলেছেন: থ্যাংকু দোস্ত।
তয় হামার ট্যাকার কি হপে?
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
কেমন আছেন, স্করপিও?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
আদম_ বলেছেন:
"তোমাকে নিয়ে কাব্য করার সময় হলোনা
কবিতার দেশে নিদারুণ খরা।
মুখর বসন্তে ফুল ঝরে পড়া ......"
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
"যারে খুঁজি আমি সকল সময়,
যে আমার ব্যাকুলতা,
তার উপেক্ষা যখন স্মরণে আসে
মনে পড়ে সেই আহত চড়ুই পাখির কথা"
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
আদম_ বলেছেন: "আমি তোমাকেই বলে দেব
কি যে একা দীর্ঘরাত
আমি হেটে গেছি বিরান পথে।
আমি তোমাকেই বলে দেব
সেই ভুলে ভরা গল্প
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়..
ছুয়ে কান্নার জল ছুয়ে জোছনার ছায়া।"
৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
"অনন্ত বিরহ চাই, ভালোবেসে কার্পণ্য শিখিনি৷
তোমার উপেক্ষা পেলে অনায়াসে ভুলে যেতে পারি
সমস্ত বোধের উত্স গ্রাস করা প্রেম; যদি চাও
ভুলে যাবো, তুমি শুধু কাছে এসে উপেক্ষা দেখাও৷
আমি কি ডরাই সখি, ভালোবাসা ভিখারি বিরহে?"
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
আদম_ বলেছেন: "চাদের আশায়
নিভায়ে ছিলাম
যে দীপ আপন হাতে।
অন্ধ পরাণ খুজিছে তাহারে
জীবনেরও আঙ্গিণাতে....।"
৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
একলা ফড়িং বলেছেন: গঙ্গাফড়িঙের নীড়, কাচপোকা প্রজাপতি, শ্যামাপোকা ঢের,
হিজলের ক্লান্ত পাতা – বটের অজস্র ফল ঝরে বারে বারে
ইহাদের শ্যাম বুকে….বক তাহা জানে নাকো পায়নাকো টের
শালিখ খঞ্জনা জানে তাহা: লক্ষ লক্ষ ঘাস এই নদীর দু’ধারে...
কথাগুলো অনেক সুন্দর!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
আদম_ বলেছেন: বিশ্বাস করেন
এইটা আমার কাম ।
আমি নিজে এইটা কম্পুতে টাইপ করেছি। অতএব অর্ধেক ধন্যবাদ পাবে জীবনানন্দ বাকি অর্ধেক আমি।
৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৩
একলা ফড়িং বলেছেন: হুম জীবনানন্দ সেটা বোঝাই যাচ্ছে! কবিতাটার নাম কি? আমার সংগ্রহে খুঁজে পেলাম না!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
আদম_ বলেছেন: হিহ...হিহ...হিহ
কমুনা......কমুনা....
৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৫৮
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
"প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস–
তোমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ।।" :#> :#> :#>
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
আদম_ বলেছেন: রোদ্দুর অনুভব…
হেঁটে হেঁটে ছুঁয়ে যাবে তোমার কলরব…
পলকতলে জমা মেঘদল…
খাঁচা ভেঙ্গে একদিন ঠিক এনে দিবো নোনাজল…
১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৬
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বছরের প্রথম দিন অথচ জবা ম্যাডাম নাই। (টাংকি মারতে গেছে মনে হয় কোথাও।)
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
আদম_ বলেছেন: নাআআআআআআ...........এ হতি পারেনা।
সবাই খালি জবা জবা কর্তাছেন কেন? আমার ছিড়া ট্যাকার কি হপে, সেই জবাপ দেন।
১১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
আদম_ বলেছেন: ছেড়া টাকা কোথায় বদলিয়ে দেয় কেউ জানলে আওয়াজ দিবেন
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
জবা ম্যাডাম এর কাছে নিয়ে বলবেন, ম্যাডাম আপনার নামকরণ সার্থক।ছেঁড়া নোট তো বদলে দিবেই, সাথে ২-৪ খানি এক্সট্রাও পেতে পারেন !