নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিজলের, তাল, বুনোঘাস, গুল্মলতার ঝোপে, কাশবন, বাশঝাড়, ভরা ভাদরের নদীকূলে। ফেলে এসেছি শৈশব আনমনে কোনো এক কালে হারিয়ে ফেলেছি গোধুলি লগ্ন মঙ্গল ধুপে। রাতজাগা চোখে, জোনাকির আলো, কদমের ঘ্রাণ সবকিছু পলাতক সময়ের স্রোতে।
হাওয়াই দ্বীপে কীর্তিমান বাংলাদেশী। গতকাল প্রথমআলোর ২৫ পাতায় প্রকাশিত একটি খবর। বাংলামায়ের সন্তান, আমাদের গর্ব, কৃতি বিজ্ঞানী জনাব রাশেদ চৌধুরিকে নিয়ে লেখা একটি আর্টিকেল। খবরটা যদি এমন হতো :- হাতিয়া দ্বীপে কীর্তিমান বাংলাদেশী তাহলে কতইনা সুন্দর হতো। কিন্তু কীর্তিমান হওয়ার জন্য আগে উনাকে এই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সীমানা ছাড়তে হয়েছে। কারণ আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানদের জন্য কোটি টাকার পাজেরো কিনে দিতে পারলেও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে পারিনা। আর তাছাড়া আমাদের ওসব বিজ্ঞানী-ফিজ্ঞানী প্রয়োজনও নেই। কেউ এগোতে চাইলে, পেছন থেকে সর্বশক্তি দিয়ে টেনে ধরাই বাংগালীদের কাজ।
ঝড়ের বহু পুর্বেই ঝড়ের পুর্বাভাস দেয়ার ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে বিশ্বের বহু বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী যখন কোন কুল কিনার পাচ্ছিলেননা তখন তাদের কূল দেখালেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা মেধাবী ছাত্র, আমাদের সবার আশার বাতিঘর জনাব রাশেদ চৌধুরী। জনাব রাশেদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ছয় মাস পূর্বেই ঝড়ের আগাম সংকেত সঠিক ভাবে দেয়া সম্ভব এবং তা আট বছর ধরে সাফল্যের সাথে কাজ করে আসছে।
বাংলাদেশের বন্যা ও ঝড়ের পূর্বভাসও এই মেধাবী বিজ্ঞানীর অন্তর্ভূক্ত ছিলো। গঙ্গা, মেঘনা, বহ্মপুত্র অববাহিকার পানি প্রবাহ, বৃষ্টিপাতের ধরণ ও পানি পৃষ্ঠের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে বন্যার আগাম পূর্বভাস দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার অক্নান্ত পরিশ্রম বৃথা যায়নি, তিনি অবশেষে গবেষণায় সফলতা পেলেন। এবার গবেষণালব্ধ জ্ঞান বাস্তবায়নের পালা। ২০০৩ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তিনি জানালেন এই সুসংবাদ। শুধু পানি উন্নয়ন বোর্ডই নয়, সরকারের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরিও করলেন এই ভেবে যে যদি দেশমাতৃকার ঋণ কিছুটা শোধকরা যায়। ঘোরাঘুরি পরিণত হলো ঘুরপাকে, এতদিনের কঠোর সাধনা যেন বাংলার এদোজলে জলাঞ্জলি দিতে হবে। আধহাত জিব বের করে আমাদের কর্তা ব্যক্তিরা হয়তো ভেবেছিলেন নতুন কিছু আবিস্কার করলে আমাদের জাত যেতে পারে।
এই যখন অবস্থা, তখন যারা বিদ্বানের কদর করতে জানে তারা ঠিকই কাদা-গোবরের মাঝখান থেকে পদ্মফূলটি উঠিয়ে নিয়ে গেল। দেশে কাজ করতে চেয়েছিলেন জনাব রাশেদ চৌধুরি। এত অনাদর আর অবহেলার পরও তিনি আবারও দেশের জন্য কাজ করতে চান। হাজার হলেও তিনি এই সবুজ বাংলার তেলে-জলে মানুষ। দেশের মাটি যার হৃদয়ে মাখা, দেশের প্রতি তার মায়া থাকবেই তো। আর আমরা যারা সাধারণ ডাল-ভাত পাবলিক, যারা এখনো দেশকি নিয়ে স্বপ্ন দেখি, রাশেদ চৌধুরিরা হলেন আমাদের স্বপ্ননাবিক। ফিরে আসুন জনাব রাশেদ, বাংলার দেশপ্রেমিক মানুষরা এখনো মরে যায়নি.....................
**সংবাদটি প্রকাশের জন্য প্রথমআলো কে অশেষ ধন্যবাদ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৮
আদম_ বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু। ভালো থাকবেন।
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: কারণ আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানদের জন্য কোটি টাকার পাজেরো কিনে দিতে পারলেও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে পারিনা
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
আদম_ বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়াঘাট। ভালো থাকবেন।
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ বলেছেন,
আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানদের জন্য কোটি টাকার পাজেরো কিনে দিতে পারলেও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে পারিনা।
নিজেদের গর্ব রাশেদ চৌধুরীকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পত্রিকার লিংকটা দিলে আর খুশী হতাম। পারলে একটু দিয়ে দিবেন। অপেক্ষাই রইলাম।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১২
আদম_ বলেছেন: Click This Link
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: বাংলাদেশে জন্মানোটাই দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীদের জন্ম আজন্ম পাপ। এদেশে জন্ম নেয়া উচিৎ সব চোর বাটপারদের। তাহলে মূল্যায়ন হবে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
আদম_ বলেছেন: ঠিক কথা
৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
আদম_ বলেছেন: আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানদের জন্য কোটি টাকার পাজেরো কিনে দিতে পারলেও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে পারিনা।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১২
আদম_ বলেছেন: আর আমরা যারা সাধারণ ডাল-ভাত পাবলিক, যারা এখনো দেশকি নিয়ে স্বপ্ন দেখি, রাশেদ চৌধুরিরা হলেন আমাদের স্বপ্ননাবিক। ফিরে আসুন জনাব রাশেদ, বাংলার দেশপ্রেমিক মানুষরা এখনো মরে যায়নি.....................
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানদের জন্য কোটি টাকার পাজেরো কিনে দিতে পারলেও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে পারিনা। আর তাছাড়া আমাদের ওসব বিজ্ঞানী-ফিজ্ঞানী প্রয়োজনও নেই।!!!!!!!!!!!
আবার শুধু পাওয়ার পয়েন্ট জেনেও বিজ্ঞানী উপাধী পাইতে পারেন ক্ষেমতা থাকলে
আমরা যারা সাধারণ ডাল-ভাত পাবলিক, যারা এখনো দেশকি নিয়ে স্বপ্ন দেখি, রাশেদ চৌধুরিরা হলেন আমাদের স্বপ্ননাবিক। ফিরে আসুন জনাব রাশেদ, বাংলার দেশপ্রেমিক মানুষরা এখনো মরে যায়নি.....................
+++++