নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রূপনারানের কূলে জেগে উঠিলাম ,জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয় ।

রুপ নারানের কুলে জেগে উঠিলাম, জানিলাম এ জগত স্বপ্ন নয়।

আদম_

হিজলের, তাল, বুনোঘাস, গুল্মলতার ঝোপে, কাশবন, বাশঝাড়, ভরা ভাদরের নদীকূলে। ফেলে এসেছি শৈশব আনমনে কোনো এক কালে হারিয়ে ফেলেছি গোধুলি লগ্ন মঙ্গল ধুপে। রাতজাগা চোখে, জোনাকির আলো, কদমের ঘ্রাণ সবকিছু পলাতক সময়ের স্রোতে।

আদম_ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐ যে কিষাণ কাটছে ধান

২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

ছেলেবেলায় আমাদের রচনা মুখস্ত করতে হতো। বহু কিসিমের রচনা এই জীবনে মুখস্ত করেছি। অধ্যবসায়, ছাত্রজীবন, সময়ের মূল্য ছিলো তার মধ্যে কমন। এসব বনেদি ঘরানার রচনার পাশাপাশি আরেকটা আতরাফ ঘরানার রচনাও আমরা পড়তাম। বাংলার অশিক্ষিত চাষাভুষাদের নিয়ে লেখা রচনাটার একটা পোশাকী নাম ছিলো বাংলার কৃষক। মাঝে-মধ্যে পরীক্ষায় আসতো, পড়ে না গেলেও চিন্তা ছিলোনা, গোময় মস্তিক মন্থন করে ঠিকই আমরা কিছুনা কিছু একটা লিখতে পারতাম।

বাংলা ২য় পত্র বইতে বাংলার কৃষকের বর্ণনাটা ছিলো দুর্দান্ত। কৃষক সূর্য উদয়ের সাথে সাথে পান্তাভাত খেয়ে, লাঙ্গল-জোয়াল কাধে নিয়ে মাঠের দিকে ছুটে। তার নিজের শরীরের মত হালের বলদের শরীরও হাড় জিরজিরে। তার পেটে খাদ্য নেই, ঘরে ছাউনি নেই। বাংলার কৃষক মানেই যেন অভাবের একটা বিবর্ণ ছবি।

সেসব বইতে কৃষকের এই অবস্থা থেকে উত্তরণের দাওয়াই বাতলানো থাকতো। যেমন: কৃষককে হতে হবে আধুনিক, বলদের বদলে কলের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করতে হবে। রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে, কৃত্রিম পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

বাঙ্গাল-লিংকের স্লোগানের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলার কৃষকও তার দিন বদলেছে। কৃষক এখন আধুনিক। তার ঘরে আছে বিদ্যুত সংযোগ, শোকেসের ওপর উয়ালটন টিভি, সেই টিভিতে আছে আবার ডিশ সংযোগ। কিষাণী এখন মনের সুখে সাতপাকে বাধা, মা, রাশি, মাসি-পিসি সহ নানা ধরণের সিরিয়াস সিরিয়াল দেখতে পারে।

কৃষক এখন আসলেই কলের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করে, হাইব্রিড জাতের শস্য বপন করে। ফলশ্রুতিতে বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত কৃষক বোরো মৌসুম সহ সব মৌসুমে ফসলের বাম্পার ফলন ফলিয়েছে, কিন্তু তার বুকের জিরজিরে হাড় ঢাকতে পারেনি।

কেন?

কারণ ওই বইগুলোতে লেখা ছিলোনা যে কৃষককে তার ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। লেখা ছিলোনা, শুধুমাত্র তত্বাবধায়ক নিয়ে হুটোপুটি না করে বিরোধী দলের উচিত কৃষকদের অধিকার নিয়ে কথা বলা।

শুনেছি ভিক্ষুকদেরও নাকি সমিতি-সংগঠন থাকে, বাংলার কৃষকদের কোন সংগঠন নেই। এই আজন্ম অবলা কৃষকদের পক্ষে কে কথা বলবে? প্রতিটি পত্রিকায় বাধ্যতামূলক ভাবে কৃষি নিয়ে আলাদা সাময়িকী প্রকাশ করা উচিত। প্রতি বৃহষ্পতিবার বিনোদন পাতায় উম্নুক্ত বক্ষা মহিলাদের ছবি না ছেপে, এই চাষাভুষাদের নিয়ে লেখা উচিত।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কৃষকদের নিয়ে কথা বলার কেউ নাইরে ভাই,,,,,,,,বাম দলগুলো আগে কৃষকদের ব্যাপারে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতো,,,,,,এখন তারাও নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত,,,,,,,,,,অন্যদলগলোর কথা বাদই দিলাম,,,,,,,,,
ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য

২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

আদম_ বলেছেন: সুন্দর মন্ত্যবের জন্য অনেক ধন্যবাদ লায়লা।

২| ২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: লেখা রিপিট হয়েছে।

প্রতি বৃহষ্পতিবার বিনোদন পাতায় উম্নুক্ত বক্ষা মহিলাদের ছবি না ছেপে, এই চাষাভুষাদের নিয়ে লেখা উচিত।- যথার্থই বলেছেন।

২৮ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

আদম_ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

আিম এক যাযাবর বলেছেন: আসলেই বাংলার কৃষকদের নিয়ে কথা বলার কেউ নাই, কৃষকদের সংগঠন খুব জরুরী হয়ে পড়েছে।

২৮ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

আদম_ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

আদম_ বলেছেন: প্রতি বৃহষ্পতিবার বিনোদন পাতায় উম্নুক্ত বক্ষা মহিলাদের ছবি না ছেপে, এই চাষাভুষাদের নিয়ে লেখা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.