নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
সহজ সরল সত্য কথা হলো- চুল পড়বেই।
এটা আপনি কখনই থামাতে পারবেন না। প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ১০০ টা চুল পড়তেই পারে। এটা স্বাভাবিক। আপনি ডাক্তার দেখান, হাজারো ওষুধ খান তাতে কোনো উপকার পাবেন না। চুল পড়বেই। হায়, আফসোস করে কোনো লাভ নাই। মেনে নিন। ভারতীয় অভিনেতা অনুপম খের, একদম টাক। অনেক বিখ্যাত ও জনপ্রিয় মানুষের মাথায় চুল নেই। তাতে কি হয়েছে? কিছুই হয়নি। আপনার বাবার মাথায় যদি চুল না থাকে, তাহলে কি তাকে ভালোবাসবেন না?
আজকাল দেখা যায়, অল্প বয়সেই চুল পড়ে যায়, পেকে যায়।
ঘন চুল এবং পাতলা চুল এটা আসলে নির্ভর করে বংশের উপর। আপনার বাবা এবং দাদার চুল কেমন ছিলো? জেনেটিক ব্যাপার। হায় আফসোস করে কোনো লাভ নাই। চুল বড় কথা নয়, সুস্থ ভাবে বেচে থাকাটাই বড় কথা। হাসি আর আনন্দ নিয়ে বেচে থাকুন। চুল অতি তুচ্ছ বিষয়। এক মেয়ের বিয়ে হলো, প্রেম ভালোবাসার বিয়ে। ভালোবাসার মানুষ পেয়ে দুজনেই খুশি। কিন্তু হঠাৎ একদিন মেয়েটার ক্যান্সার হয়। মাথার সব চুল পড়ে যায়। একদম টাক। চুল নেই বলে তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়নি। ইহাই খাটি ভালোবাসা। জীবনানন্দ যতই বলুক, চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা।
চুল যেন কম পড়ে তার জন্য আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
চুলের যত্ন নিতে হবে। ধুলো ময়লার মধ্যে যাবেন না। ভালো উন্নত মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন চুলে খাটি নারিকেল তেল দিতে হবে। মাথা ম্যাসাজ করতে হবে। টানা ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। প্রচুর পানি খেতে হবে। দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করতে হবে। মানবিক এবং হৃদয়বান মানুষ হতে হবে। মিথ্যা বলা যাবে না, অন্যায় করা যাবে না। অন্যের ক্ষতি করা যাবে না, গীবত করা যাবে না। সব সময় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে হবে। উক্ত বিষ গুলো মেনে চলতে পারলেই আপনার মাথা থেকে চুল পড়ে যাওয়ার পরিমাণ কমে যাবে।
বিজ্ঞাপন দেখে প্রতারিত হবেন না।
সাত দিনে চুল গজাবে, চুল মজবুত হবে, সাত দিনে টাক সমস্যার সমাধান হবে। এই টাইপ কথাবার্তায় গলে যাবেন না। ২৫ বছরের পর থেকে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষের দুটা সমস্যা আজন্ম থেকে। এক চুল পড়া, দুই যৌন সমস্যা। বিদেশিদের চুল পড়া নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই। নামী দামী বহু ব্যাক্তিত্বের মাথায় চুল নেই। খেলোয়াড়, অভিনেতা, বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, গায়ক থেকে শুরু করে প্রচুর সুনামধন্য ব্যাক্তির মাথায় চুল নেই। তাতে তাদের জনপ্রিয়তা কমে যায়নি। কাজেই চুল নিয়ে ভাবনা আর না, আর না। অনেকে তো ইচ্ছা করে মাথার সব চুল ফেলে দিয়ে টাক হয়ে যায়।
আমার এক বন্ধুর হুহু করে চুল পড়ে যাচ্ছে।
বন্ধু অনেক গুলো ডাক্তার দেখালো। থাইল্যান্ড গিয়েও চুলের ডাক্তার দেখালো। অনেক রকম ওষুধ খেলো। শ্যাম্পু ব্যবহার করলো। তেল ব্যবহার করলো। নানান রকম মেডিসিন, সেই সাথে হারবাল ওষুধ। লাখ লাখ টাকা খরচ হলো। ফলাফল শুন্য। বন্ধু মন খারাপ করে বলল, আমার বিয়ে হবে না। মাথায় চুল না থাকলে মেয়েরা আমাকে বিয়ে করবে না। বাংলাদেশের মেয়েরা টাক মাথা পছন্দ করে না। যাইহোক, বন্ধুর বিয়ে হলো। এখন তার দুই ছেলে। সম্প্রতি বন্ধু উত্তরাতে জমি কিনেছে। পাচতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ির কাজ শুরু করে দিয়েছে। মাশাল্লাহ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: গত ১৫ বছর একজনের কথায় সব চলছে।
সেই একজন এখন নেই। ব্যবসায়ীরা নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছেন।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৬
কামাল১৮ বলেছেন: গার্মেন্টসের মালিকদের চুল বেশি না কম।গাজী সাহেবের প্রশ্নদ্খে মনে পড়লো।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মাথায় চুল কেমন?
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:২৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমনে কিরাম আছেন?
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
চড়ুই পাখির মায়রে বাপ
কথাটির মানে কী??
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৯
সোনাগাজী বলেছেন:
দেশের গার্মেন্টস কেমন করছে বলে মনে হয়?