নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগে সাম্প্রদায়িক পোস্ট বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে

১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৫



অমর্ত্য সেন বলেছেন "আমি নিজেও একজন হিন্দু। হিন্দুধর্ম নিয়ে আমার কোনোই আপত্তি নেই"। তার আপত্তি হিন্দুত্ববাদী চিন্তার আধিপত্য বেড়ে যাওয়া নিয়ে। সমস্যাটি মানুষের ধর্ম বা ধর্ম পালনের মধ্যে নয়, সমস্যাটি ধর্মান্ধতার যখন অন্যের ধর্ম বা জীবনাচারের প্রতি আমরা অসহিষ্ণু এবং বিদ্বেষ পোষণ করি।

ধর্ম পালনের স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর একটি। মানুষের জীবন-জিজ্ঞাসার বড় অংশ জুড়ে আছে ধর্ম। ধর্ম পালনের মধ্য দিয়ে মানুষ তার আত্ম অনুসন্ধান করে, জীবন-মৃত্যুর সমীকরণ রচনা করে, মৃত্যুর পরে যে অনন্ত জীবন সেই জীবনের পাথেয় সঞ্চয় করে।

ধর্ম পালন করতে গিয়ে নিজের চারপাশে দেয়াল গড়ে তোলার পক্ষপাতী আমি নই। দরজা জানালা খোলা রেখেই ধর্ম পালন করা যায়, তার জন্য অন্ধকারে ঢোকার প্রয়োজন হয় না। যখন আমি শুধু আমার ধর্ম পালন করে সন্তুষ্ট নই তখন সমস্যাটি তৈরি হয়। ধর্ম পালনের অংশ হিসেবে অন্যকে "অভিশপ্ত" বলা বা অন্য সকল ধর্মকে বাতিল করা ধর্মান্ধতা। অন্য ধর্মাবলম্বীদের কেউ যখন "অভিশপ্ত" বলে উল্লেখ করে এবং সেকাজে মানুষের সমর্থন দেখি তখন নিদারুণ হতাশা বোধ করি। কোন পোস্টে যখন এই লেখাটি শুধু মোমিনদের জন্য, অন্যদের পড়ার প্রয়োজন নেই - এ জাতীয় কথার উল্লেখ দেখি তখন সাম্প্রদায়িকতা দেখে পীড়িত হই। সেইসব লেখকদের এর জন্য দায়ী করতে চাই না। আমি মনে করি এর জন্য আমাদের সমাজ, শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি সবকিছুই কমবেশি দায়ী। এ দায় সামষ্টিকভাবে আমাদের সকলের উপরেই বর্তায়।

ব্লগে ধর্মীয় লেখায় আমার আপত্তি নেই, তবে সেই লেখাগুলো সকলের জন্য হওয়া প্রয়োজন। হিন্দু-মুসলিম-খ্রীষ্টান-বৌদ্ধ সহ সকলে যেন সেই লেখার পাঠক হতে পারেন এবং আলোচনায় অংশ নিতে পারেন। আর লেখাটি যদি আলোচনার বিষয় বস্তু না হয়ে শুধু মাত্র নীরবে মেনে নেবার বা বিশ্বাসের বিষয় বস্তু হয়, তাহলে সে লেখা ব্লগের জন্য কতখানি উপযুক্ত ভেবে দেখা প্রয়োজন। কালেভদ্রে কিছু কিছু ধর্মীয় লেখায় মন্তব্য করে থাকি। কিছুদিন আগে এমন একটি লেখা ছিল যার বিষয়বস্তু ছিল দোজখে যাওয়ার পরে আল্লাহকে কেউ কেউ বুঝবে এই প্রসঙ্গে। সেখানে মন্তব্য করেছিলাম যে, এমনটি হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে কী যে কেউ কেউ আল্লাহকে বুঝবেন বেহেস্তে যাওয়ার পরে। উদাহরণ হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গ টেনেছিলাম। বিদ্যাসাগর জীবনে ধর্ম-কর্ম করেন নি, কিন্তু বিদ্যাসাগরকে দেখে রামকৃষ্ণ পরমহংস বলেছিলেন যে তার সিদ্ধিলাভ হয়ে গেছে। বিদ্যাসাগর হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, "কী যে বলেন মশাই, জীবনে কোন দিন ঠাকুর দেবতার নাম নিলাম না, আর আপনি বলেন সিদ্ধিলাভ হয়ে গেছে"! পরে আমার মনে হলো, যে লোকের পোস্টে এই মন্তব্যটি করেছিলাম সেখানে বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গ অপ্রাসঙ্গিক, কেননা খুব সম্ভবত বিদ্যাসাগর বিধর্মী বলেই বাই ডিফল্ট জাহান্নামি। হয়ত শুধু বিদ্যাসাগর নয়, স্বয়ং রামকৃষ্ণ জাহান্নামি!

এ ধরনের আরো কিছু পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে অনুভব করলাম যে আমাদের মধ্যে যারা ধর্ম বিষয়ে লেখালেখি করেন তাদের সিলেবাসে বিদ্যাসাগর নেই, রবীন্দ্রনাথ নেই, শরৎচন্দ্র বা বিভূতিভূষণ কেউ নেই। কেননা তাদের বিশ্বাস অনুসারে তারা সকলেই "অভিশপ্ত"। যাদের সিলেবাসে বিদ্যাসাগর বা রবীন্দ্রনাথ নেই তাদের সিলেবাস কী করে বাড়িয়ে প্লাটো-অ্যারিস্টোটল-লক-হিউম-দেকার্তে থেকে কান্ট-হেগেল-স্পিনোজা-মার্কস পারি দিয়ে বার্ট্রান্ড রাসেল থেকে মিশেল ফুকো হয়ে অমর্ত্য সেন পর্যন্ত নিয়ে আশা যায় সেটা আমার অজানা। অভিশপ্তদের তালিকা যে অতিশয় লম্বা!

ধর্মান্ধতা এবং সংকীর্ণ চিন্তা আমাদের সামনের দিকে চালিত করে না। দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে, কবরের অন্ধকারে বসে জ্ঞান আলোচনা শুধু নয় কার্যকরী কোন আলোচনাই সম্ভব নয়। বলা হয়ে থাকে শিক্ষা কে হতে হবে সার্বজনীন আর জ্ঞান হলো সেটি যা মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ ঘুচিয়ে ঐক্য তৈরি করে।

শুরু করেছিলাম অমর্ত্য সেনের একটি উক্তি দিয়ে। যারা তাঁর লেখার সাথে সুপরিচিত তাঁরা জানেন যে অমর্ত্য সেন কারণে অকারণে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ঐ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন "হিন্দুত্ববাদী চিন্তায় যে ধরনের সংকীর্ণতা আছে, বাংলাদেশে মুসলমানদের চিন্তায় সেই রকমের সংকীর্ণতা নেই।" অমর্ত্য সেনের এই কথাটি সত্যি হলে খুব খুশি হতাম, কিন্তু জানি একথা সত্যি নয়। চিন্তার সংকীর্ণতায় হিন্দুত্ববাদীদের চেয়ে আমাদের মোল্লারা শুধু নয় তথাকথিত শিক্ষিতেরাও কম এগিয়ে নেই। নিজের চারপাশে সংস্কারের দেয়ালগুলো ভেঙ্গে ফেলতে পারাটা কঠিন কাজ। সে কাজের জন্য সুশিক্ষা এবং পঠন-পাঠনের বিকল্প নেই।

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:





নিশ্চয়ই তিনি ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধৈর্যশীলতা বা ধৈর্যশীল হওয়া অত্যন্ত ভালো একটি গুন। আমাদের মধ্যে খুব কম সংখক লোকের মধ্যে এই গুনটি আছে। জানিনা ঠিক কী প্রসঙ্গে আপনি এটার কথা বললেন?

২| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:১৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: সাম্প্রদায়ীক না হয়ে ধার্মিক হবেন কি করে? নতুন করে কোরান হাদিস লিখতে হবে আপনাকে।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৪৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: যে জিনিস কাণ্ডজ্ঞান দিয়ে বোঝা যায় সেটা আমি কাণ্ডজ্ঞান দিয়ে বোঝার পক্ষপাতী। আমি বরং বলবো একজন ধার্মিক মানুষ কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারেন না।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




বড়ই আচানক একখানা ছবি দিয়েছেন।
আফসোস।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৪৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: ছবিটা আমার এই পোস্টের পক্ষে অতি কড়া হয়ে গেছে বোধহয়। ধর্মান্ধতা বিষয়ে ছবি খুঁজতে গিয়ে কিছুদিন আগে ফেসবুকে দেখা এই ছবিটার কথা মনে পরলো। এটি আসলে অতি হৃদয়বিদারক একটি ছবি।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:১৮

রানার ব্লগ বলেছেন: পৃথীবির সকল ধর্মে উল্যেখ আছে সেই ধর্মই শ্রেষ্ঠ ও একমাত্র ধর্ম। অনুসারীরাও এমনটি ভাবে বা ভাবতে পছন্দ করে। বাংলাদেশ যেহেতু মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ এখানে ইসলাম ধর্মের চর্চা বেশি হয়। সমস্যা হলো যারা চর্চা করেন তা কেবল চর্চাই করেন, বিষয় টা নিয়ে আলোচনা, গবেষনা করেন না। কেউ করতে গেলে তাদের উপর রুষ্ঠ হন।

এই ধরুন, এই ব্লগে আজ পর্যন্ত এমন কেউ কে দেখলাম না, বস্তুনিষ্ঠ গবেষনা মূলক কোন পোস্ট দিতে ধর্ম নিয়ে। যারাই পোস্ট দেন, হয় কিছু হাদিস বা কোরানের আয়াত দিয়ে পোস্ট খানা ভরিয়ে রাখেন কিন্তু তার ব্যখ্যা দেবার বা আলোচনা করার প্রয়োজনটুকু মনে করেন না। ব্যপারটা খানিক টা আমাদের দেশের ওয়াজ মাহাফিলের মতো। এরা কোরান হাদিসের আলোচনার নামে যথেচ্ছা বলতে থাকেন যার শুরু বা শেষ কোনটাই বোধগম্য না।

এই কারনেই যারা, ধর্ম কে বিশ্বাস করেন না, তারা বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের উদ্ভব করেন, প্রমান সহ হাজিরা দেন, উল্টা প্রশ্ন করেন, বিভিন্ন আয়াত কে কোট করে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কিন্তু হায় যাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তারা সেই সব প্রশ্নের যুক্তি সংগত উত্তর দেবার বদলে লেজ গোবরে এক করে উত্তেজিত হয়ে, হ্যাং করেংগা, ব্যাং মারেংগা বলে লাফাতে থাকেন।


বেশিরভাগ ধর্ম পালন কারির একটাই আফসসের জায়গা কেনো বাংলাদেশে ইসলাম কেই টার্গেট করে ধর্ম বিশ্বাষহীনেরা আক্রমন করে, কারন আর কিছুই না, দেশ টা মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ। আপনি যদি ভারত, নেপাল, ভুটান যান ওখানকার ধর্ম অবিশ্বাসীরা সেই খানর ধর্ম নিয়ে হাশি তামাশা করে। ভারতে দেব দেবী নিয়ে ধর্ম বিরোধীরা যে পরিমানে ট্রল করে উহা যদি নিজ চর্ম চোক্ষে না দেখতাম তা হলে বিশ্বাস করতাম না।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি ধর্ম বিষয়ে যে ধরনের পোস্ট ব্লগে আশা করি, আপনি সেটা সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছেন। অনেক দিন আগে ব্লগে এ ধরনের বস্তুনিষ্ঠ গবেষণামূলক কিছু পোস্ট চোখে পড়তো।

নিজ নিজ ধর্মকে শ্রেষ্ঠ মনে করার পরেও বোধহয় অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতার বোধ তৈরি এবং তুলনামুলক ধর্মের আলোচনা সম্ভব। যদিনা আমি মনে করি যে আমার ধর্ম ছাড়া অন্য সকল ধর্ম মিথ্যা।

নিজের ধর্ম পালন থেকে আমার মনে হয় আমার ধর্ম সংক্রান্ত আচার ভিন্ন হলেও আমার প্রার্থনার ভাষার সাথে একজন হিন্দু বা খীষ্টানের প্রার্থনার ভাষার অমিল নেই। ঈশ্বর বা আল্লাহর সাথে আমরা একই আত্মনিবেদনের ভাষায় কথা বলি, মনের একই অনুভুতি ব্যক্ত করি।

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: যাদের সিলেবাসে বিদ্যাসাগর বা রবীন্দ্রনাথ নেই তাদের সিলেবাস কী করে বাড়িয়ে প্লাটো-অ্যারিস্টোটল-লক-ডিউম-দেকার্তে থেকে কান্ট-হেগেল-স্পিনোজা-মার্কস পারি দিয়ে বার্ট্রান্ড রাসেল থেকে ফুকো হয়ে অমর্ত্য সেন পর্যন্ত নিয়ে আশা যায় সেটা আমার জানা নেই। অভিশপ্তদের তালিকা যে অতিশয় লম্বা।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

সিলেবাস যে আর বাড়ছেই না! সেই যে শুনেছিলাম ব্রিটিশ আমলে আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম, সেই ধারাবাহিকতা চলছেই। এখন চলছি উল্টা দিকে।

"ডেভিড হিউম", "ডিউম" হয়ে গিয়েছিলো লেখায়। ঠিক করে দিলাম।

৬| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:২৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: শ্রাবন ভাই, কোরানের এই আয়াতটি কখনো পড়ে দেখেছেন?
আল্লাহ বলছে “অমুসলিমরা পশুর চেয়ে অধম”
সূরা আল-ফুরক্বান-এর ৪৪ নং আয়াত
25:44
اَمۡ تَحۡسَبُ اَنَّ اَکۡثَرَہُمۡ یَسۡمَعُوۡنَ اَوۡ یَعۡقِلُوۡنَ ؕ اِنۡ ہُمۡ اِلَّا کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ ہُمۡ اَضَلُّ سَبِیۡلًا ﴿٪۴۴﴾
English – Sahih International
Or do you think that most of them hear or reason? They are not except like livestock. Rather, they are (even) more astray in (their) way.
Bengali – Bayaan Foundation
তুমি কি মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ লোক শোনে অথবা বুঝে? তারা কেবল পশুদের মতো; বরং তারা আরো অধিক পথভ্রষ্ট।
Bengali – Mujibur Rahman
তুমি কি মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ শোনে ও বুঝে? তারাতো পশুরই মত; বরং তারা আরও অধম।

ইহার তাফসির
রপর আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ তুমি কি দেখো না যে, তাদের অধিকাংশ শুনে ও বুঝে? তারা তো পশুরই মত; তারা আরো অধম। অর্থাৎ তাদের অবস্থা বিচরণকারী পশুর চেয়েও খারাপ। কারণ পশুরা ঐ কাজই করে যে কাজের জন্যে ওগুলোকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর এই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে এক শরীক বিহীন আল্লাহর ইবাদতের জন্যে। কিন্তু তারা তা পালন করেনি। বরং তারা তাকে বাদ দিয়ে অন্যের ইবাদত করে এবং তাদের কাছে দলীল প্রমাণাদি কায়েম হওয়া এবং তাদের নিকট রাসূলদেরকে প্রেরণ করা সত্ত্বেও তারা তাঁর সাথে শরীক স্থাপন করে।

কুরআন ২৫:৪৪
তাফসীর ইবনে কাসির

আপনি একাধারে মুসলমান আবার বলছেন কাণ্ডজ্ঞানওলা আসাম্প্রদায়ীক, ক্যামনে কি? কাণ্ডজ্ঞান থাকলে কিভাবে ধার্মিক হওয়া সম্ভব? একটু বুঝাইয়া বলবেন?

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: বেশ কিছুদিন আগে সোনাগাজীর পোস্টে একটি মন্তব্য করেছিলাম। সেই মন্তব্যটিই তার পোস্ট থেকে নিয়ে এখানে আপনার জন্য তুলে দিলাম। আশাকরি আপনার উল্লেখিত বিষয়ে আমার ধারণাটি কি সেটা আপনি বুঝতে পারবেন।

দর্শনের গুরুত্বপূর্ন গ্রন্থগুলো পড়া শেষ করে ধর্মগ্রন্থ পড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছিলাম। দর্শনশাস্ত্র পাঠে প্রবল প্রভাবিত হয়েছিলাম ইমানুয়েল কান্টের "Critique of Pure Reason" পড়ে। তো ধর্মগ্রন্থ পড়তে গিয়ে উপনিষদ এবং ধম্মপদ পর্যন্ত মোটামুটি বুঝলাম। সমস্যা বাধলো বেদ পড়তে গিয়ে। অতিপ্রাকৃত সব কথা বার্তা, দেব-দেবী বন্দনা, যজ্ঞ করা - মাথায় কিছুই ঢুকলো না। অন্য ধর্মগ্রন্থগুলো পড়তে গিয়েও একই অবস্থা। এই না বুঝতে পারার অজ্ঞতার ভার মনের মধ্যে বহুবছর ছিলো।

অনেক পরে "Max Müller" সম্পর্কে জানতে গিয়ে এই অজ্ঞতার ভার কাটলো। ম্যাক্স মূলার বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ এবং সংস্কৃত ও বহুভাষাবিদ পণ্ডিত। তিনি বেদ, উপনিষদ, ধম্মপদ থেকে শুরু করে বহু প্রাচ্য গ্রন্থ অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন। ম্যাক্স মূলার বলেন যে, "সভ্যতার ইতিহাসে মানুষের চিন্তার শৈশবদশা প্রকাশিত হয়েছে বেদে, আর এই চিন্তার ইতিহাস প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে কান্টের Critique of Pure Reason এ এসে"। বুঝলাম এই তত্ত্ব অধিকাংশ ধর্মগ্রন্থের জন্যই প্রযোজ্য। এর চিন্তার ভিতরে রয়েছে সভ্যতার শৈশবকাল যেখানে শামানরা ( Shamans) অতিপ্রাকৃত ভাষায় কথা বলে। আর তাই, ধর্মগ্রন্থের ভাষা আর দর্শন বা বিজ্ঞানের ভাষা একেবারে ভিন্ন।

৭| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

অহরহ বলেছেন: ]সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত), হাদিস নং- ২৬০৭

"আমি এই মর্মে আদিষ্ট হয়েছি যে, আমি লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবো যে পর্যন্ত না তারা সাক্ষ্য প্রদান করে যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ উপাস্য নেই ও মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর রাসূল এবং তারা সালাত প্রতিষ্ঠিত করে ও যাকাত দেয়।"


তো, ভাইয়া আপনি কী সব আবল/তাবল কবছেন? ইসলাম চরম সাম্প্রদায়িক ধর্ম।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: অহরহ বলেছেন: তো, ভাইয়া আপনি কী সব আবল/তাবল কবছেন? ইসলাম চরম সাম্প্রদায়িক ধর্ম। :) :) :)

না, আমি আবোল তাবোল বলছি না। সত্য অন্বেষণ যদি আপনার উদ্দেশ্য না হয়, উদ্দেশ্য হয় ক্যাচাল তাহলে আমার কথা আবোল তাবোল মনে হতে পারে।

কোন বিশেষ ধর্ম তার অনুসারীরা কিভাবে ধারণ করে এবং সেই ধর্ম তাদের মধ্য দিয়ে কিভাবে প্রতিভাত হয় তার উপর নির্ভর করে। তাই কোন বিশেষ ধর্ম সাম্প্রদায়িক একথা আমি মানতে পারি না।

৮| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: আপনি হলেন ভৃগুর দাদু, নৃপেন বাবু, যিনি সহজ কথা কঠিন করে বলেন।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমার ধারণা ছিলো এই যে আমি কঠিন কথা সহজ করে বলি। :)

৯| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: আমি আপনার জায়গায় হলে সহজ করে বলতাম যে ধর্মে সাম্প্রদায়ীকতা আছে তা আমি জানি, কিন্তু বাংলাদেশে থেকে
নামাজ রোজা না রাখলে মেয়ের বিয়ে দিয়ে পারবনা। নাস্তিক ট্যাগ লাগলে কল্লা যাওয়ার ভয় আছে। একদম সহজ উত্তর।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: জানিনা ঠিক কী কারণে আমাকে আপনার নাস্তিক মনে হলো।

আমার ধর্ম বিশ্বাস আমার পঠন-পাঠন দ্বারা প্রভাবিত। নিজের বাঙালি মানসপ্রকৃতির মধ্যে যেমন রবীন্দ্রনাথ প্রবল তেমনি পাশ্চাত্যের অভিজ্ঞতাবাদী এবং বুদ্ধিবাদী দর্শনের প্রায় পুরোটা বিশেষ করে কান্ট এবং রাসেল প্রবল। সাম্প্রতিক সময়ে এসে অমর্ত্য সেন থেকে জারড ডায়মন্ড, ইউহাল হারারি আমার ভাবনা-চিন্তায় প্রভাবিত করেছেন।

১০| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০২

অহরহ বলেছেন: ধর্ম অন্বেষণ না করে যুক্তি, বুদ্ধির চর্চা করেন, ধর্মের অন্ধত্ব কেটে যাবে। তবেই কেবল মানুষ হতে পারবেন। তা না হলে আজন্ম অন্ধ মুসলমান থেকে যাবেন।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধর্ম কে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা দিয়েই অন্বেষণ করতে হয়।

আমার লেখা পড়ে যদি আপনার মনে হয় " তা না হলে আজন্ম অন্ধ মুসলমান থেকে যাবেন" তাতে করে মনে হচ্ছে আপনি অতি উচ্চাঙ্গের কোন মানুষ হবেন যাকে বোঝার মত জ্ঞান আমার নেই।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১১| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২১

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্ম মানুষকে ঘৃনা করতে শিখায়।মানুষে মানুষে বিভেধ সৃষ্টি করে।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। যে ধর্ম মানুষকে ঘৃনা করতে শেখায় সেটা কোন ধর্মই না- সেটাকে বলে অধর্ম।

১২| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

মুহাম্মদ জাবেদ বলেছেন: একজন ধার্মিক হওয়া বা প্রকৃত ধার্মিক হওয়া অনেক কঠিন বিষয় । একজন ধার্মিক হতে হলে, আপনার অন্তর, আপনার হাত, আপনার মুখ, আপনার সবকিছু থেকে একজন মানুষ নিরাপদ থাকা উচিত । আমি একজন কবি যাকে ইউনুছ এমরে বলা হয়, উনার একটা বাণী পরেছিলাম যেখানে লিখা ছিল, ইমানদার বা মুসলিম হওয়ার আগে একজন প্রকৃত মানুষ হওয়া আবশ্যক । আর একজন প্রকৃত মানুষের উপরিউক্ত গুন গুলোই থাকবে । ধর্মের গন্ডিতে বন্দি করে মানুষ চেনা যায় না । যেজন্যই হাদিসে বর্নিত আছে, যার মধ্যে প্রেম নেই, তার মধ্যে ইমান নেই । (এই প্রেম আল্লাহ এবং তার রাসুলের সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্য এবং আল্লাহর সকল সৃষ্টির জন্য । ) আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন আমিন ।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: মুহাম্মদ জাবেদ বলেছেন : "একজন ধার্মিক হতে হলে, আপনার অন্তর, আপনার হাত, আপনার মুখ, আপনার সবকিছু থেকে একজন মানুষ নিরাপদ থাকা উচিত"।

আপনার মন্তব্যে প্রাণ জুড়ালো। ধার্মিকের বৈশিষ্ট তো এমনই হওয়া উচিত।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: ধর্মের গন্ডিতে বন্দি করে মানুষ চেনা যায় না । যেজন্যই হাদিসে বর্নিত আছে, যার মধ্যে প্রেম নেই, তার মধ্যে ইমান নেই । জাবেদ ভাই, হাদিসটা কি এখানে দেওয়া যাবে?

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: এমন হাদিস তিনি যদি আপনাকে দেখানও, তাহলে কী আপনি আপনার বিশ্বাস থেকে সরে আসবেন?

১৪| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রানার ব্লগ বলেছেন: পৃথীবির সকল ধর্ম সাম্প্রদায়িক !!!! অন্য গুলার জানি নাই কিন্তু সনাতন ও ইসলাম ধর্ম দুইটাই চরম সাম্প্রদায়িক ধর্ম । এরা নিজেদের ধর্মের বাহিরে অন্য কোন বিশ্বাস কে সহ্য করে না । হয়তো অন্য ধর্ম ও এমন ।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: শ্রদ্ধার সাথে আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। আমার মনে হয় বিষয়টাকে আপনি কিছু সরলীকরণ করেছেন। উদাহরণ হিসেবে, রবীন্দ্রনাথ কিংবা একেবারে খোদ ধর্মগুরু রামকৃষ্ণকে আমার কাছে সাম্প্রদায়িক মনে হয়নি কখনো।

আর দুই ধর্মের সাম্প্রদায়িকতার ধরনও ভিন্ন।

রবীন্দ্রনাথ থেকে কপি করলাম: "হিন্দুর ধর্ম মুখ্যভাবে জন্মগত ও আচারমূলক হওয়াতে তার বেড়া আরও কঠিন। মুসলমানধর্ম স্বীকার ক'রে মুসলমানের সঙ্গে সমানভাবে মেলা যায়, হিন্দুর সে পথও অতিশয় সংকীর্ণ। আহারে ব্যবহারে মুসলমান অপর সম্প্রদায়কে নিষেধের দ্বারা প্রত্যাখ্যান করে না, হিন্দু সেখানেও সতর্ক। ......ধর্মমতে হিন্দুর বাধা প্রবল নয়, আচারে প্রবল; আচারে মুসলমানের বাধা প্রবল নয়, ধর্মমতে প্রবল।"

১৫| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

এম ডি মুসা বলেছেন: ভাই অন্য ধর্মের সমালোচনা না করাই ভালো আমি আমার নিজের ধর্মের সমালোচনা করি। আমার নিজের ধর্ম যে ভুলগুলি ধরিয়ে দিতে চাই। কিন্তু অন্য ধর্মের নিয়ে সমালোচনা করা এটা আমার আমি মুসলমান আমি ইসলামকে বিশ্বাস করি আমি এটা মনে করি না। ইসলামের যে সমস্ত মানুষের মনগড়া বানানো কাজগুলোই চলে ওগুলি আমার কাছে ভালো লাগে না।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন এবং সেটাই আমাদের করা উচিত বলে মনে করি।
ধন্যবাদ।

১৬| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: সামুতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ধর্মীয় পোষ্ট বন্ধ ঘোষনা করা উচিৎ।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:০৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না।
ধর্মীয় পোস্ট গুলোকে যদি এর সাম্প্রদায়িকতা থেকে বের করে নিয়ে আসা যায় তবে ধর্মীয় পোস্টে আপত্তি নেই।

১৭| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০১

অপু তানভীর বলেছেন: ব্লগ পড়ে কেউ সাম্প্রদায়িক হয় না ঠিক একই ভাবে ব্লগ পড়ে কেউ অসাম্প্রদায়িকও হয় না । আমাদের মাঝে সাম্প্রদায়িকতা কিংবা অসাম্প্রদায়িতা আমরা যে পরিবেশ থেকে সেখান থেকে জন্ম নেয় । ছোট থেকে আমরা যে দেখে আসছি যা শিখে আসছি তাই আমাদের মাঝে গড়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক । তাই সামুতে যদি সাম্প্রদিক পোস্ট বেড়েও যায় সেটা নিয়ে আসলে চিন্তার কোন কারণ নেই। যারা সাম্প্রদায়িক ছিল তারা তাই থাকবে যারা অসাম্প্রদায়িক আছে তারাও তাই থাকবে !

আরেকটা কথা হচ্ছে প্রতিটি ধার্মিক মানেই সে সাম্প্রদায়িক । আপনি যদি ধর্মের সব নীতি নিয়ম মানেন ভাল ভাবে আপনি সাম্প্রদায়িক হতে বাধ্য । যদি নিজেকে অসাম্প্রদায়িক মনে করেন তাহলে নিশ্চিত ভাবেই আপনি আপনার ইচ্ছে মত ধর্ম মানেন । (এটা খারাপ বলছি না।) । সকল কিছু মানেন না।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:১৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: একথা ঠিক যে ব্লগ পড়ে কেউ সাম্প্রদায়িক বা অসাম্প্রদায়িক হয়ে উঠেবে না। তবে যেহেতু এই ব্লগটিতে বিভিন্ন ধর্মের বা বিশ্বাসের মানুষদের জন্য তাই এটিতে সকলের অন্তর্ভুক্তির একটা ব্যাপার আছে বলে মনে করি।

"ধার্মিক মানেই সে সাম্প্রদায়িক" একথা দেখি আপনার মত অনেকেই বলছেন। ধার্মিক মানে যদি সাম্প্রদায়িক হয় তাহলে বলতে হবে ধার্মিক মানে আতঙ্কের কারণ যেটা আমি মানতে পারি না। আর সকল কিছু মানা ধর্মের লক্ষণ নয়। স্থিতি বা জড় পদার্থের বা নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ।

১৮| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সবার সব কথা সবার জানার দরকার নাই। সেজন্য মুমিনদের যে সব বিষয় অন্যদের জানার দারকার নাই আমি তাদেরকে সেসব বিষয় পাঠ করে তাদের সময়ের অপচয় করেতে নিষেধ করি। হযরত আবু বকর (রা), হযরত ওমর (রা) ও হযরত ওসমানকে (রা) ইমাম জাফর আস সাদিক কেন লানত প্রদান করতেন সেটা অন্যরা জেনে কি করবে?

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:২২

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই পোস্ট পড়ে আপনার বক্তব্য যদি এটা হয় তাহলে মুসকিল।

যে জ্ঞান সকলের জন্য নয়, সেটা কোন জ্ঞানের কথাই নয়। সাম্পদায়িক কথা বলার জন্য মুখই যথেষ্ট, সেটা কেন মাইকিং করে বেড়াতে হবে সেটা আমার বোধগম্য নয়।

১৯| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: চাচাজী, জানলেই ত ভান্ডা ফুস হয়ে যাবে, এজন্য মিথ্যা বলতে হবে।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: তিনি একটা বিষয় তার মত করে বোঝেন, কিন্তু তাকে মিথ্যা বলতে কখনো দেখিনি।

২০| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮

ধুলো মেঘ বলেছেন: আগে কামাল১৮ কৃমিতে আক্রান্ত ছিল। মনে হয় ভালো হয়ে গিয়েছে। এখন আবার অগ্নিবেশের মধ্যে এই রোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল কৃমির কামড় খেয়ে সে নিজের পাছা না হাতিয়ে আঙ্গুল ঢুকাচ্ছে অন্যের পুটূতে। কেনরে দাদা? ইসলাম যে সাম্প্রদায়িক ধর্ম - সেটা তো জানাই আছে। ইসলাম পালন না করলে সবাইকে ধরে ধরে কল্লা কাটার নির্দেশ তোদের যে কোরআনে আছে - সে কোরানের ধার না ধেরেই তো বিশ্বের ১৩০ কোটি দিব্যি আছে! তাতে তোকে এত কৃমিতে কামড়ায় কেন?

১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার শেষের কথাটির সাথে একমত। মুসলিম মানেই যে কল্লা কাটার জন্য তৈরি হয়ে নেই, এটা মনে হয় কিছু লোক মানতে নারাজ।

তবে আপনার ভাষা প্রয়োগ দেখে কিছু আতঙ্ক বোধ করছি। এই ভাষা ব্যবহারের ফলে কি আপনার যুক্তিগুলো শাণিত হয়?

২১| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ছবিটাই তো যথেস্ট, পোস্টের প্রয়োজন নেই।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:২৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: ছবিটি যদি পোস্টের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তবে এটা সরিয়ে ফেলা উচিত। আর ছবিটা যতবার দেখি ততবার পীড়া অনুভব করছি। এটি দেবার পর বুঝলাম যে ছবিটি দেয়া ভুল হয়েছে।

২২| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫২

নিমো বলেছেন: ethnocentrism আক্রান্ত একদল জেনোফোবিক পবিত্র রমজানে মহান আল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ না করে, ব্যস্ত মাননীয় মডারেটরের পদলেহনে । ধর্মের পালনকারী একটি সম্প্রদায়েরই অংশ। তাই ধার্মিক কিভাবে অসাম্প্রদায়িক হবে ?

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:৪৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমরা প্রত্যেকেই কোননা কোন সম্প্রদায়ের অংশ। এই অংশ হবার পিছনে যেমন আমাদের হাত নেই, আবার তাকে অস্বীকার করবারও কোন উপায় নেই। আমি যদি ধর্ম নাও পালন করি তবু আমি একটি বিশেষ ধর্ম সম্প্রদায়ের অংশ।

সম্প্রদায় এবং সাম্প্রদায়িকতা শব্দ দুটি সম্পুর্ণই ভিন্ন অর্থ বহন করে যদিও তারা উৎপত্তিগতভাবে কাছাকাছি। উদাহরণ হিসেবে অমর্ত্য সেন হিন্দু সম্প্রদায়ের বটে কিন্তু তিনি সাম্প্রদায়িক নন।

২৩| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতা খুবই বিশ্রী। সাম্প্রদায়িক পোস্ট/,ধর্মীয় পোস্ট ব্লগের ফ্রন্ট পেজে এপ্রুভ না দেয়াই বেটার।সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় পোস্ট ব্লগের ক্লাসের সাথে যায়না।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:৪৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি ধর্মীয় পোস্ট ব্লগে দেবার বিরোধী নই, তবে সেই পোস্টের ভাষা এবং পাঠক যেন সকলে হতে পারে এটা আমি মনে মনে আশা করি।

আপনাকে ধন্যবাদ।

২৪| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:২১

ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: প্রথম কথা, পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মের মূল উদ্দেশ্য একই, মানুষের জীবনকে সুন্দর করা। ধর্ম মানে যা মানুষ ধারন করে। এখন এক এক জনের পোশাক এক এক রকম হবে, এটাই স্বাভাবিক। প্রতিটি ধর্মের আবার মূলনীতি এমন যে, আপনি যে ধর্মে বিশ্বাস করেন, সেটা ছাড়া বাকি সব আপনার জন্য বাতিল। অর্থাৎ, ইসলাম অন্য কোন ধর্মকে স্বীকৃতি দেয় না। একই ভাবে হিন্দু,বৌদ্ধ, খৃষ্টান কিংবা ইহুদী ধর্মও অন্য ধর্মকে স্বীকৃতি দেয় না। দিলে একজন মানুষ একাধিক ধর্মে বিশ্বাসীতে পরিনত হত; যেটা অবাস্তব।
এখন কথা হল, সমাজে সব ধর্মের মানুষ থাকবেই। কিন্তু থাকতে হবে পারষ্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থান। আপনি বিশ্বাস করতেই পারেন আপনার পোশাক শ্রেষ্ঠ। এটাতে আপনাকে সবচেয়ে সুন্দর লাগে। আপনি আপনার পোশাকের উপকারিতা তুলে ধরতেই পারেন। তাই বলে অপরের পোশাককে আপনি নিকৃষ্ট বলে চিৎকার করাটা শোভনীয় নয়। এটা কোন ধর্মেই অনুমোদন করেনা।
সূরা আন'আম এ আছে,
"(ওহে মুমিনগণ!) আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে তারা ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিও না, কেননা তারা তাদের অজ্ঞতাপ্রসূত শত্রুতার বশবর্তী হয়ে আল্লাহকে গালি দেবে। আর এভাবেই আমি প্রত্যেক জাতির জন্য তাদের কার্যকলাপকে তাদের দৃষ্টিতে চাকচিক্যময় করে দিয়েছি, অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন (ঘটবে) তাদের প্রতিপালকের নিকট, তখন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দিবেন যা কিছু তারা করতো।"

ইসলাম শ্রেষ্ঠ জীবন বিধান, এটা আমি মানি। কিন্তু তাই বলে অন্যদের উপর হামলা করা, জোর করে তাদের দীক্ষা দেবার চেষ্টা করাটা আমি মানি না এবং ইসলামও সেটা সাপোর্ট করে না।
সহনশীলতা প্রতিটি ধর্মেরই মূলনীতির একটি।
তাহলে এটা মানতে আমাদের সবার এত আপত্তি কেন?

১২ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৩৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।

আমি মনে করি নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ মনে করার পরেও অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতার বোধ তৈরি সম্ভব এবং আমরা পারষ্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থানের সাথে সাথে শ্রদ্ধার সাথে ধর্মের আলোচনা-সমালোচনা করতে পারি।

২৫| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: ধুলোবালিরমেঘ কে বলছি, আইসেন ল্লা ল্লা বলে কল্লা কাটতে, পুটুর ফুটো সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোরান হাদিস মানতে শরম লাগে? নবীর চরিত্রে সন্দেহ হয়? কোরান হাদিস বাদ দিয়েই মুসলমান? আমি চাই বাংলাদেশে শরীয়া আইন চালু হোক। মুমিনরা খুজে খুজে এই সব মডারেট মোনাফেকদের পুটু মারবে। সরি ফর খারাপ ভাষা। খারাপ লাগলে কমেন্ট মুছে দিয়েন।
তবে আপনারাও জানেন সমস্যা স্বীকার না করলে কখনই সমস্যা সমাধান হবে না।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি বোধহয় মডারেট মোনাফেক বলতে আমাকেই বোঝালেন।

জানি না আপনি আমার এই লেখাটি পুরোটা পড়েছেন কী না? আমার ধারণা পড়েন নি। পড়লে সম্ভবত বুঝতে পারতেন যে আমি অনেক চেষ্টা করলেও আপনার ভাষার কাছাকাছি নিজেকে নিয়ে আসতে পারবো না।

অতএব দয়া করে আমাকে মাফ করে দেবেন!

২৬| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: শ্রাবন ধারা ভাই, আমি জানি আপনি একজন মানবিক মানুষ তাই ধর্মের গোড়ামি গুলো ফেলে দিয়ে সবাইকে মানবিক হতে আহবান করছেন। আপনাদের মত মানুষ আছে বলেই পৃথীবি এখনো টিকে আছে। তবে যদি মনে করেন যেহেতু সরাসরি ধর্মের কোনো বিরোধীতা করছেন না তাই আপনারা ধর্মীয় মৌলবাদীদের থেকে সেফ আছেন, তাহলে বোকার স্বর্গে আছেন। এজন্যই বলেছি বাংলাদেশে শরীয়া আইন কায়েম হলে কোরান হাদিসে মানবিকতা খুজে পাওয়া এই আপনাদের কোরান হাদিস বিকৃত করার জন্য মোনাফেক নাম দিয়ে কোতল করা হবে। এটাই ইসলাম। ইসলামে পুরোটাই মানতে হবে, এটুকু মানলাম বাকিটুকু নিজের মনের মাধুরী দিয়ে মানবিকতা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ, রামকৃষন দিয়ে বিচার করে মানলাম না, এটা ইসলামে চলে না। ধর্মের ভালোদিক নিয়ে শুগার কোটেট যাই কিছু শোনান না কেন, ধর্মিকদের হাতে দেশের ভার দিয়ে দিলে তার ফল ভয়াবহ। আমার মনে হয় যা বলার বলে দিয়েছি। উপরের কমেন্টে দুঃখ পেয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: চিকিৎসার জন্য আমরা যেমন কেউ এখন আর শামান ( Shaman) বা জ্বীনের বাদশার কাছে যাব না, তেমনি ভাবে আধুনিক বিচার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে কেউ যদি মধ্যযুগের আইন-কানুনে ফিরে যেতে চায় তাহলে সেটাকে প্রতিহত করার দায়িত্ব আমাদের।

আমরা জানি যে মৌলবাদীরা ক্ষমতায় এলে আমাদের সকলের বিপদ। তবে, এই পুরাতন কথাটা আপনি বহু মানুষের পোস্টে বহুবার বলেছেন। আমার ধারণা আপনার চিন্তা ভাবনাও মৌলবাদীদের মত একটা জায়গায় এসে আটকে গেছে, আর আগাচ্ছে না। আপনার কাছ থেকে নতুন কথা শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।

২৭| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

নতুন বলেছেন: ধর্ম পালন করতে গিয়ে নিজের চারপাশে দেয়াল গড়ে তোলার পক্ষপাতী আমি নই। দরজা জানালা খোলা রেখেই ধর্ম পালন করা যায়, তার জন্য অন্ধকারে ঢোকার প্রয়োজন হয় না। যখন আমি শুধু আমার ধর্ম পালন করে সন্তুষ্ট নই তখন সমস্যাটি তৈরি হয়। ধর্ম পালনের অংশ হিসেবে অন্যকে "অভিশপ্ত" বলা বা অন্য সকল ধর্মকে বাতিল করা ধর্মান্ধতা। অন্য ধর্মাবলম্বীদের কেউ যখন "অভিশপ্ত" বলে উল্লেখ করে এবং সেকাজে মানুষের সমর্থন দেখি তখন নিদারুণ হতাশা বোধ করি। কোন পোস্টে যখন এই লেখাটি শুধু মোমিনদের জন্য, অন্যদের পড়ার প্রয়োজন নেই - এ জাতীয় কথার উল্লেখ দেখি তখন সাম্প্রদায়িকতা দেখে পীড়িত হই। সেইসব লেখকদের এর জন্য দায়ী করতে চাই না। আমি মনে করি এর জন্য আমাদের সমাজ, শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি সবকিছুই কমবেশি দায়ী। এ দায় সামষ্টিকভাবে আমাদের সকলের উপরেই বর্তায়।

সকল ধর্মই তার পথ সহী আর বাকি পথ ভুল বলে শিক্ষা দেয়।
ধর্মগুরুরা অন্য ধর্ম থেকে নিজের মতবাদেই সবাইকে নিয়ে আসতেই সারা জীবন কস্ট করেছেন।
অন্য ধর্মের মানুষকে বন্ধু বানানো জাবেনা, তাদের অনুসরন করা যাবেনা, এমনটাই ধর্ম প্রচারকরা প্রচার করেছে।

সাধারন সালাম দেয়ার কি কি নির্দশনা আছে সেটা দেখলেই বুঝতে পারবেন।

সালামের বাংলা অর্থ = আপনার উপর শান্তি বর্শিত হউক।

এই সাধারন কথাটাই আপনি বির্ধমীদের না বলতে নিষেধ আছে....

তাই আপনি যেই ধর্ম কেই রাস্ট ক্ষমতা বা অন্য ক্ষমতায় দিবেন সেখান একছত্র অধীপত্ত বিস্তাতের চেস্টা করবে এবং অন্য ধর্মালব্মীরা যেন তাদের নিজ ধর্ম ছেড়ে আপনার ধর্মে যোগ দেয় সেই চেস্টাই করবে।

ধর্মে মডারেট বলে কিছু নাই।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: "সকল ধর্মই তার পথ সহী আর বাকি পথ ভুল বলে শিক্ষা দেয়।" তাই না কী? কেন আপনি শোনেন নি "যত মত তত পথ"!

একজন সাধারণ ধর্ম পালনকারী হয়ত এটা মনে করে যে তার ধর্মই শুধু সঠিক আর বাকিগুলো বেঠিক। এটি একজন সাধারণ মানুষের সাধারণ বিশ্বাস। এটা নিয়ে বিচলিত হবার কিছু নেই।

আমি মনে করি ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করতে হলে প্রথমত শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আর দ্বিতীয়ত, প্রচুর পড়ালেখা করতে হবে।

২৮| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: আমার ভাষা দেখে আপনার আতঙ্ক লাগছিল। এবার অগ্নিবেশের ভাষা দেখেছেন? নিক নাম বিকৃতির জন্য এর আগে চাঁদগাজীসব অনেক ব্লগারের বিরুদ্ধে সামু কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছিল। এর বিরুদ্ধে একের পর এক ব্লগ নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ করার পরেও কি সামু কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা - এর কোন মন্তব্য কি মুছেছে? এবার বুঝেছেন এদের এই স্পর্ধার উৎস কোথায়? অনলাইন প্লাটফর্মে এদের আপত্তিকর কর্মকান্ডের জন্য প্লাটফর্মটাই যে বিপদে পড়ে - সেটা কর্তৃপক্ষ না বুঝলেও আমরা কিন্তু বুঝি।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: উপরে লিখেছি যে আমি মনে করি ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করতে হলে প্রথমত শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আর দ্বিতীয়ত, প্রচুর পড়ালেখা করতে হবে।

এখন যারা শ্রদ্ধাশীল নয় এবং যাদের পড়ালেখাও নেই - আস্তিক, নাস্তিক ভেদে তাদের ভাষার কোন প্রকার ভিন্নতা আমার চোখে পড়েনি।

২৯| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: এতো দেহি বিনা মেঘে বজ্রপাত। চোরের মায়ের বড় গলা। আপনে পুটু খুলে না দেখাইলে আমি ত আর সিমেন্ট মাখাইতাম না। গালাগালি পছন্দ না হইলে গালি দিয়েন না। যুক্তিতে না পারলে আঙ্গুল দেওয়া আপনাদের একটা পুরোনো স্বভাব। ধর্ম নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে হয় দলিল দিয়ে, নেক্সট কথা বলতে আসলে দলিল নিয়ে আসবেন। পাড়ার ছক্কু মোল্লা টং দোকানে চা খাইতে খাইতে কি বয়ান করল, তা শুনতে ইন্টারেস্টেড নই। দলিল দিয়ে আমাকে ভুল প্রমান করতে পারলে, আপনার হাতে কলেমা পড়ে ইসলাম কবুল করব।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি দেখি ধর্ম নিয়ে বাদ-প্রতিবাদ কে কোর্টে নিয়ে গেছেন। সাবাস! আবার বিচারে আপনার সাজা হলে শাস্তিটাও বেশ ইন্টারেস্টিং। তবে আপনার এই কথাটাও পুরানা হয়ে গেছে!

৩০| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: "ধার্মিক মানেই সে সাম্প্রদায়িক'' আপনার কি এই কথার সাথে দ্বিমত রয়েছে?

অন্য ধর্মের কথা যদি বাদও দেই ইসলাম ধর্ম আপনি যদি পুরোপুরি মানেন তাহলে আপনি নিজেকে অসাম্প্রদায়িক দাবী করতে পারবেন কি? যদি আপনি নিজেকে অসাম্প্রদায়িক আবার নিজেকে শতভাগ মুসলিম দাবি করেন তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার দুটোর একটা সম্পর্কে কিংবা দুটোর সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা নেই। বর্তমানে অবশ্য শতভাগ ইসলাম মানা লোক আপনি কোথাও খুজে পাবেন না । আমি, আপনি কেউ না । আমরা আমাদের পছন্দমত ধর্ম মানি । অর্থ্যাৎ ধর্মের যে নিয়মটি আমার পছন্দ সেটা মেনে চলি যেটা পছন্দ না সেটা মানি না ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনে আমাদের ১২ জনের একটা গ্রুপ ছিল । সেই গ্রুলে তিনজন ছিল হিন্দু । মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই সময়ে আমার সেই তিনজনের ভেতরে একজনের সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিল সব থেকে বেশি । এখন সে ঢাকার বাইরে থাকে যোগাযোগ কমে গেলেও আন্তরিকতা আগের মতই রয়েছে । আমি যদি শতভাগ ধর্মের নিয়ম মেনে চলতাম তাহলে তার সাথে আমার বন্ধুত্বই হত না । ধর্ম সেখানে বাঁধা হয়ে দাড়াত !

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: নিজেকে কিছু দাবী করার উদ্দেশ্যে এই পোস্ট নয়। ব্লগের সাম্প্রদায়িকতা বিষয়ে এই পোস্ট।

ধার্মিক (শতভাগ :) মুসলিমের সংজ্ঞাটা আপনি কিভাবে নির্ধারণ করবেন তার উপর প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করছে। আমি বলেছি যে আমি সব কিছু মানি না এবং এই না মানাটাকেই আমার ধর্মবোধের অংশ মনে করি। ঠিক যেভাবে আপনি আপনার বন্ধুদের উদাহরণ দিয়েছেন।

পছন্দমত ধর্ম মানার বিষয়টি সব মানুষের ক্ষেত্রেই সত্যি। স্থান কাল ভেদে, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং সময়ের সাথে সাথে আমাদের মানা না-মানায় পার্থক্য তো থাকবেই। আপনি যদি বলেন যে কাউকে পাথর মেরে হত্যা করাটা ধর্মের আংশ, আমি বলবো এর বিরুদ্ধাচারণ করাটাই ধর্মের অংশ।

৩১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২১

আরইউ বলেছেন:




“সাম্প্রদায়িকতা” বিষয়টা নিয়ে অনেকের স্পষ্ট ধারণা নেই মনে হচ্ছে! সাম্প্রদায়িকতা মানে শুধু একটা সম্প্রদায়ে বিলং করা নয়। নিজের সম্প্রদায়কে বড় এবং অন্য সম্প্রদায়কে ছোট ভাবা, ঘৃণা করা, অত্যাচার করা, অন্যের ক্ষতিকরা এসব হচ্ছে সাম্প্রদায়িক মনোভাব। এখানে একটা নেগেটিভ কোনোটেশন আছে যা অনেকে বুঝতে পারছেননা সম্ভবত!

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যাখ্যা করার জন্য। আমার ধারণা ছিলো "সাম্প্রদায়িকতা" কী এটা আমরা "আলো" কী এর মত সংজ্ঞায়িত করতে না পারলেও বিষয়টা আমরা বুঝি। তাই আর আলাদা করে এটা নিয়ে কথা বাড়াতে চাই নি।

আমার মূল প্রসঙ্গটা ছিলো যাতে আমরা সাম্প্রদায়িক পোস্ট থেকে বের হয়ে এসে সকলের অন্তর্ভুক্তিকরনের (inclusiveness) দিকে মনোযোগ দেই। আমাদের পোস্টগুলো একেবারে নিরেট মাথার না হয়ে যাতে লেখাপড়ার বিষয়গুলো একটু থাকে। কিন্তু মনে হচ্ছে এই কাজে আমি সফল হইনি। "আমি ধার্মিক" কী না এটা নিয়ে কথা বেশি বলায় প্রসঙ্গ অন্যদিকে ফোকাস হয়ে গেছে।

৩২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২৭

আরইউ বলেছেন:



আমার কাছে আপনার পোস্ট বেশ যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে এবং আপনার মূল বক্তব্যের সাথে আমি শতভাগ সহমত। কিন্তু কিছু মন্তব্য পড়ে মনে হলো ধার্মিক==সাম্প্রদায়িক, যেটা আমার মতে এক ধরণের ফলস ইক্যুইভ্যালেন্সি। নিজের “সম্প্রদায়”-এর সাথে থেকেও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত হওয়া সম্ভব। দরকার শুধু সহনশীলতা ও সম্মানবোধ।

ভালো থাকুন, শ্রাবণধারা।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৫৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধার্মিক শব্দের মানে মনে হচ্ছে খুব সংকীর্ন হয়ে গেছে। সম্প্রদায় এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষয়টি উপরে একটা মন্তব্যে কিছুটা ব্যাখ্যা করেছি।

আমরা সকলেই কোননা কোন সম্প্রদায়ের অংশ এবং এই অংশ হবার পিছনে আমাদের হাত নেই। তাকে অস্বীকার করবার কোন কারণ দেখি না। যদি ধর্ম পালন নাও করি তবু আমি একটি বিশেষ ধর্ম সম্প্রদায়ের অংশ, আমার সন্তানেরাও তাই।

৩৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৪

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: সম্প্রদায় এবং সাম্প্রদায়িকতা শব্দ দুটি সম্পুর্ণই ভিন্ন অর্থ বহন করে যদিও তারা উৎপত্তিগতভাবে কাছাকাছি।
সম্প্রদায় না থাকলে, সাম্প্রদায়িকতার সুযোগ থাকত কি ? অমুক শতাংশের দেশে তমুক করা যাবে না, ধর্মদ্রোহিতার আইনের দাবি, ফাঁসির দাবি কতটা অসাম্প্রদায়িকতার নমুনা! হেফাজতে ইসলামের নাস্তিকদের তালিকা তৈরি ও হত্যা কতটা অসাম্প্রদায়িকতার নমুনা ? কই দুর্নীতিবাজ, চোর, ডাকাত, মুনাফাখোর,ঘুষখোর,লুটপাটকারীরদের তালিকার ব্যাপারেতো হেফাজতে ইসলাম সহ শতাংশের খবরও পাওয়া যায় না।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: নিমো বলেছেন "সম্প্রদায় না থাকলে, সাম্প্রদায়িকতার সুযোগ থাকত কি?"

না তা থাকতো না। তখন শুধু মানব সম্প্রদায় থাকতো! তবে মানুষে মানুষের এই বৈচিত্রটাই অনেক বেশি সুন্দর নয় কী? সকলই একই ভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার চেয়ে বা সকলে মিলে একেবারে নাস্তিক না হওয়ার চেয়ে এই যে বহু বিচিত্র পন্থায় তার আরাধনা এটা বেশি অর্থময় এবং মনোহর নয় কী?

ধর্মান্ধদের থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতাকে পৃথক করাটা জরুরি। রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে যে, সকলে যে যার ধর্ম অনুসারে ধর্ম পালন করবে, কিন্তু রাষ্ট্র ক্ষমতা বা যে কোন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত যেন কোনভাবেই ধর্মান্ধদের দ্ধারা নেওয়া না হয় এবং প্রভাবিত না হয়।

৩৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪১

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: তখন শুধু মানব সম্প্রদায় থাকতো!

মানব জাতি ছিল, আছে, থাকবে। সম্প্রদায় থাকার দরকার নাই।

লেখক বলেছেন: তবে মানুষে মানুষের এই বৈচিত্রটাই অনেক বেশি সুন্দর নয় কী?
চাপাতির কোপাকোপির বৈচিত্র কোনভাবেই সুন্দর নয়।

লেখক বলেছেন: সকলই একই ভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার চেয়ে বা সকলে মিলে একেবারে নাস্তিক না হওয়ার চেয়ে এই যে বহু বিচিত্র পন্থায় তার আরাধনা এটা বেশি অর্থময় এবং মনোহর নয় কী?
জ্বি না নয়। অন্যের কল্যানে কাজ করাটাই যথেষ্ঠ, আলাদা ঢং করে প্রার্থনা, আরাধনা সময় আর সম্পদের অপচয় এবং কদর্য। ভালো থাকুন।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

চাপাতির কোপাকোপির আসলে বৈচিত্রের সংজ্ঞা নয়। বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি এগুলো আমাদের জীবনের অংশ। মানুষ না হয়ে অ্যামিবার মত এক কোষী প্রাণি হলে হয়তো এসব নিয়ে ভাবনার বিষয় থাকতো না।

আবার ধরুন রবীন্দ্রনাথ নাস্তিক হলে তার গান কবিতাও হয়তো অ্যামিবার মত এক কোষী হয়ে যেত।

৩৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন:বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি এগুলো আমাদের জীবনের অংশ।
খুবই দামি কথা। তা কানাডায় প্রথম জাতির বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্য ঠিক কতটা আর কিভাবে মূলধারায় অন্তর্ভুক্তি হয়েছে, সেটা নিয়ে পোস্ট দিনতো। তারপর না হয, আমি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে লিখব।

লেখক বলেছেনআবার ধরুন রবীন্দ্রনাথ নাস্তিক হলে
রবীন্দ্রনাথ নাস্তিক হবার জন্য ধরাধরির প্রাসঙ্গকিতা এখানে ছিল কি ? আগ্রহ থাকলে নিচের লেখাটা পড়ুন হয়তো আমার বক্তব্য বুঝতে সুবিধা হবে।
view this link

১৭ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: The Matrix মুভিটা ছাত্র বয়সে দেখেছিলাম এবং সে সময় এই সিনেমা খুব প্রভাব বিস্তার করেছিল, যেমনটা আইজ্যাক অসিমভের ফাউন্ডেশন করেছিল। কিন্তু আপনার বক্তব্য বোঝার জন্য লাল নীল পিলের গল্প দিয়ে আপনি ঠিক কী বোঝালেন আমার জানা নেই। আপনার হয়ত জানা নেই যে বাস্তবতা (reality) কি বস্তু এই আলোচনাটাই দর্শনের সমস্যাগুলোর একটা বড় সমস্যা। বারট্রান্ড রাসেলের "The Problems of Philosophy" এই বিষয়টি বোঝার জন্য প্রথম বই হতে পারে।

মানুষের চিন্তার ইতিহাস কোন মুভি দেখে জানার সংক্ষিপ্ত কোন রাস্তা আছে বলে আমার জানা নেই। রাস্তাটা বেশ লম্বা। এটা সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে এই পোস্টে যে নামগুলো লিখেছি "প্লাটো-অ্যারিস্টোটল-লক-ডিউম-দেকার্তে থেকে কান্ট-হেগেল-স্পিনোজা-মার্কস পারি দিয়ে রবীন্দ্রনাথ-বার্ট্রান্ড রাসেল থেকে ফুকো হয়ে অমর্ত্য সেন" তাদের লেখা পড়লে।

৩৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন:কিন্তু আপনার বক্তব্য বোঝার জন্য লাল নীল পিলের গল্প দিয়ে আপনি ঠিক কী বোঝালেন আমার জানা নেই।
a choice between the willingness to learn a potentially unsettling or life-changing truth or remaining in the contented experience of ordinary reality

লেখক বলেছেন:মানুষের চিন্তার ইতিহাস কোন মুভি দেখে জানার সংক্ষিপ্ত কোন রাস্তা আছে বলে আমার জানা নেই।
এমন কিছু আমার বক্তব্যে ছিলও না।

লেখক বলেছেন:প্লাটো-অ্যারিস্টোটল-লক-ডিউম-দেকার্তে থেকে কান্ট-হেগেল-স্পিনোজা-মার্কস পারি দিয়ে রবীন্দ্রনাথ-বার্ট্রান্ড রাসেল থেকে ফুকো হয়ে অমর্ত্য সেন" তাদের লেখা পড়লে।
এটা নিয়ে কোনও দ্বিমত বোধহয় আমি আমার বক্তব্যে পোষণ করিনি। যাই হোক ভালো থাকুন।

১৮ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৫:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

সত্য মাত্রই "unsettling" এবং "life-changing"। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় "এ তো মালা নয় গো / এ যে তোমার তরবারি (খেয়া/ দান)"। এটা বোঝানোর জন্য সাইফাই মুভি থেকে উদাহরণ টানা এবং লিংক যুক্ত করা নিরর্থক অপব্যয় মাত্র।

সে যাক, অনেকগুলো মন্তব্যের জন্য এবং আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.