নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বল বীর – বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!
এক সময় প্রায় প্রতিদিন বিকেলে রেললাইনে হাটতে যেতাম। রেল লাইনের এক ধারে বিশাল জলাধার ছিল। মুক্ত তাজা হাওয়া গায়ে মাখলে শরীর মন দুটোই সজীব হত। তার পর সেই জালাধার আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে গেল। সেখানে এখন কুড়িল ফ্লাইওভার। এখন রেল লাইনে আর হাটতে যাওয়া হয় না। তবুও মাঝে মাঝে যাই, আগের দিন গুলির কথা ভাবি।
আজ বিকেলে অনেক দিন পরে ওইদিকে গেলাম। দেখলাম আগে যেখানে দুটি রেল ট্র্যাক ছিল, সেখানে আরো দুটি নতুল লাইন বসছে। যা চলমান উন্নয়নের অংশ। একটু কাছে গিয়ে দেখি লাইনের উপর একটা ট্রাক। যার দেখতে ঠিক আমাদের দেশের ট্রাকের মত না। রেল ট্র্যাকের উপর ট্রাক দেখে একটু অবাক হলাম। আরো কাছে গিয়ে দেখতে পেলাম ট্রাকের চাকা খুলে রেলের চাকা লাগিয়ে সেটু রেল ট্র্যাকে চলার উপযোগী করে মডিফাই করা হয়েছে।
তবে আশ্চর্য হলাম এটা দেখে যে এটা একটা ভারতীয় ট্রাক। মানে এই রেল লাইন বসানোর কাজটা কোন ভারতীয় কম্পানী করছে। দুঃখ পেলাম এই ভেবে যে ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই সামান্য কাজটাও ভারতীয়দের দিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা কি একটা রেল ট্র্যাক ও বসাতে পারি না? এমন লোক কি আমাদের দেশে নেই? আমাদের রেলওয়ে কি এই কাজ আগে কখনো করেনি?
চীনারাও আমাদের দেশে অনেক কাজ করে। চীনারা যখন আমাদের দেশে কাজ করতে আসে, তখন সব সরঞ্জাম ও ফোরম্যান পদমর্জাদার কর্মী পর্যন্ত তারা নিয়ে আসে। কিন্তু ভারতীয় কোন কম্পানী যখন আসে, তখন তারা লেবার পর্যন্ত নিতে আসে। একে তো আমাদের দেশের মানুষের ই পর্যাপ্ত কাজ নেই। এই সব কাজ যখন বিদেশীরা নিয়ে নিচ্ছে, এই অভাবের মধ্যে যখন তারা আমাদের ডলার নিয়ে নিচ্ছে, শুধু মাত্র আমাদের নীতি নির্ধারক দের ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থে, এর চেয়ে হতাশাজকন জাতীর জন্য আর কি হত পারে।
ঋণ করে আনা টাকা আবার সব বিদেশীদের দিয়ে দিচ্ছি। সব সরঞ্জাম ও নিশ্চয়ই তারাই সরবরাহ করছে। লাভের গূড় সব ওদের পেটেই যাচ্ছে। আর আমাদের রেল তো লোকসানেই চলবে।
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩৫
খাঁজা বাবা বলেছেন: দেশের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ যখন বড়।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:১৬
ককচক বলেছেন: সরকার এইসব ব্যাপারকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করার কাজেই ১৪ বছর চলে গেছে!
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: সব কিছু দেয়ে দেয়াটাই গুরুত্বপূর্ন।
আমাদের গ্যাস তুলতে আমরা বিদেশিদের ডাকি।
আমাদের গ্যাস না তুলে আমরা আমদানী করি।
আমাদের রাস্তা আমরা না করে বিদেশিদের ডাকি।
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
টাকা যার
আইন তার!
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:২৭
খাঁজা বাবা বলেছেন: দেশে দেশে, যুগে যুগে এর ব্যত্যয় অবশ্যই হয়েছে।
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৫৮
পাঠক০০৭ বলেছেন: আপনার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি। একজন স্বাভাবিক মানুষের এই চিন্তাই হবে। আমাদের দেশী কোম্পানীগুলোকে সরকার নির্দেশ দিলে তারা প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে। কিন্তু এখানে রাজনৈতিক অনেক মারপ্যাচ আছে। এই অপরাজনীতিই আমাদেরকে শেষ করে দিলো।
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:২৩
খাঁজা বাবা বলেছেন: যে রাজনীতি আমাদের জন্য নয়, সে রাজনীতির কি প্রয়োজন?
৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৫৩
বিটপি বলেছেন: এই সরকারের উপর ভারত, ভারতীয় এবং তাঁদের দালালদের হক সবচেয়ে বেশি। এজন্য যদি সরকার তাদেরকে মূল্য শোধ করে থাকে - আপনার আমার তো বলার কিছু থাকেনা।
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:২১
খাঁজা বাবা বলেছেন: হয় এই সরকার বাংলাদের নয়, নয়তো বাংলাদেশীরা বাংলাদেশের নয়।
৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: "ওলোট পালোট করে দে মা লুটেপুটে খাই"।
"মারিতো গন্ডার, লুটিত ভান্ডার"!
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: আপনার ছন্দে না হেসে পারলাম না।
আসলেই তাই, ভান্ডার লুট করে খালি করে ফেলা হয়েছে।
এজন্যই আফ্রিকার দেশ গুলিতে হিরের ক্ষনি থাকার পরেও ওরা খেতে পায় না।
৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: প্রযুক্তির দিক থেকে আমার নিজেদের কে বিশ্বাস করতে পারি না। কারন তো আপনি বুঝেনই।
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: আসল ঘটনা সেটা নয়
৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩
শাওন আহমাদ বলেছেন: দীর্ঘশ্বাসে বাতাস ভারী হচ্ছে দিন থেকে দিন।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: আমরা লুট হচ্ছি প্রতিদিন।
৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯
শাওন আহমাদ বলেছেন: অথচ আমরা কিছুই করতে পারছিনা!
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৮
খাঁজা বাবা বলেছেন: চেষ্টা করছি কি?
১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩০
শাওন আহমাদ বলেছেন: হয়তো করছি, হয়তো করছিনা!
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: চেষ্টায় একদিন না একদিন ফল মেলেই।
যত কঠিন চেষ্টা, তত দ্রুত ফল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রতিটা ক্ষেই এই চিত্র। মনে হয় যেনো অন্যে দিয়ে দেয়ার জন্যই সব করা হচ্ছে।