নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বল বীর – বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!
একটা ছেলে বা মেয়ে ২৫ বছরে লেখা পড়া শেষ করে। তার পর ৩ থেকে ৫ বছর সরকারী চাকরির জন্য অপেক্ষা করে। প্রতি বছর ৩/৩.৫ লাখ ছেলে মেয়ে বি সি এস পরীক্ষায় বসে ২/৪ হাজারের চাকরী হয়। এছাড়া ২য় ৩য় শ্রেনীর চাকরী মিলিয়ে প্রতিবছর সরকারী চাকরি প্রার্থী প্রায় ৫ লাখ। ৫ লাখ শিক্ষিত ছেলে মেয়ে যদি গড়ে ৩ বছর সরকারী চাকরির জন্য অপেক্ষা করে তো বছরে ৫ লাখ কর্ম বছর জাতী হারাচ্ছে। একটা ছেলে যদি বাদাম বেচা, মাটি কাটা বা রিক্সাও চালিয়ে মাসে ২০০০০ টাকা রোজগার করত, তো বছরে ২৪০০০০ হাজার টাকা হিসেবে ৫০০০০০ মানুষ বছরে ১২০০০০০০০০০০ টাকা অর্থনীতিতে যোগ করতে পারত।
এখন যদি আমরা সিষ্টেমটা একটু চেঞ্জ করে দেই তো এই কর্ম শক্তি আমরা কাজে লাগাতে পারি। হতাশা থেকে মুক্ত করতে পারি বিপুল জনসম্পদ।
সরকারী চাকরীর নিয়োগ পরীক্ষা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সাথেই একসাথে হয়ে যায় তাহলে? ভর্তি পরীক্ষায় যেমন মেধা তালিকা থেকে যারা শুরুর দিকে থাকে তারা পছন্দের সাবজেক্ট সিলেক্ট করে তেমন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সাবজেক্ট থাকবে "বি সি এস", যারা মেধা তালিকার প্রথম দিকে থাকবে তারা চাইলে এই সাবজেক্ট সিলেক্ট করতে পারবে। যারা এই সাবজেক্টে পড়বে তারাই সরকারী বিভিন্ন পদে রেজাল্ট অনুযায়ী পদায়ন পাবে।
এই বি সি এস সাবজেক্টে পি এস সি এর কারিকুলাম ও তত্যাবধানে পড়ানো হবে। যেমন সেনাবাহিনী করে।
এখানে শিখানো হবে পিতা পুত্রের অংক, বালতি ও চৌবাচ্চার অংক, বুডাপেষ্ট কোন দেশের রাজধানী, হনুলুলুর প্রেসিডেন্টের নাম কি? উগান্ডার মুদ্রার নাম কি? ৭ ই নভেম্বর কোন সরকারের আমলে কি দিবস? ১৫ই আগষ্ট কি দিবস? ভারত না থাকলে আদৌ আমরা স্বাধীন হতাম কিনা? তাদের ঋন কিভাবে শোধ করা হবে? কিভাবে ৩৭০ টাকার পর্দা ৩৭০০০০০ টাকায় কিনে হিসেব মেলাতে হবে। কিভাবে নেতাদের পদ লেহন করে প্রমশন ও টাকার ভাগ পাওয়া যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর এতে বাকিরা অন্তত বি সি এস এর আশায় কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স পড়া বাদ দিয়ে ক্লাসের পড়ায় মনযোগ দেবে।
এতে করে বিপুল কর্মঘন্টা কাজে লাগবে। যুব সমাজ হতাশা থেকে মুক্তি পাবে। আমার চিন্তা আমলে নিলে খারাপ হবে না মনে হয়।
২২ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
খাঁজা বাবা বলেছেন: আপনার কথা যুক্তিযুক্ত।
আমি বলতে চেয়েছি, মিলিটারির মত যদি বিসিএস সিলেকশান এইচ এস সি এর পরেই হয়ে যায় তবে লাখ লাখ মানুষের সময় ও শ্রম বেঁচে যাবে।
২| ২২ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সোনাগাজী বলেছেন:
ইহা মিলটারীর মতো করা যাবে না; ৩য় বিশ্বে সরকারী চাকুরীতে হাজার রকমের কুকর্ম জড়িত; এদের নিজস্ব কালচার আছে।
২২ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
খাঁজা বাবা বলেছেন:
৩| ২২ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনার পদ্ধতিতে বাংলার বাবা-মা সন্তানদের আর ঘুমাতে দিবে না।
২৩ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: ব্যস্ত বাবা মায়েরা এখনো বাচ্চাদের নিয়ে ব্যস্ত।
আর যারা কেয়ারলেস, তারা তখন ও একই রকম থাকবে।
৪| ২৩ শে মে, ২০২২ রাত ১২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
২৩ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৩ শে মে, ২০২২ রাত ১২:৪৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: তেমন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে স্বচ্ছ হতে হবে যা হওয়ার পসিবেলিটি খুবই কম। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ কম যার ফলে প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকি আরো বেড়ে যাবে। তার উপর আমাদের ছাত্র রাজনীতিবিদরা তো আছেই।
২৩ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৪১
খাঁজা বাবা বলেছেন: ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমে এবং কারিকুলাম তৈরিতে পি এস সি অংশ গ্রহন করবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
সোনাগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে সরকারই সবচেয়ে বড় চাকুরীদাতা প্রতিষ্টান।
কেন এত ছেলেমেয়ে বিসিএস দিতে চায়? তারা চায়, ক্ষমতা, চুরি/ডাকাতী করার সুযোগ, কাজ না করে বেতন নেয়ার সুযোগ, সরকারী কাজে থাকার সময় নিজের পরিবারের জন্য কাজ করা, দুনিয়ার বেআইনি যত সুযোগ নেয়া।