নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বল বীর – বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!
যুদ্ধ সবকিছু ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু কারো কারো জন্য বারো মাসি পৌষ মাস ও নিয়ে আসে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ থেকে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, সব যুদ্ধের সামনে কোন না কোন এজেন্ডা থাকলেও পেছনে থাকে অর্থনৈতিক হিসাব নিকাশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপ ধ্বংস হলেও নতুন অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভাব ঘটে আমেরিকার। এর পরের যুদ্ধ গুলিও এমন কি বর্তমান ইউক্রেন যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক হিসেবের খাতায় বন্দী।
রাশিয়ার উদ্বেগ স্বত্বেও ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে টোপ দিয়ে অর্থনৈতিক ও সামরিক সীমাবদ্ধতা সত্বেও রাশিয়াকে যুদ্ধে নামতে বাধ্য করা, আবার উলটো রাশিয়াকে দোষারোপ করা। সবই অর্থনৈতিক খেলার চাল।
এই যুদ্ধে কার কি লাভ?
বিশ্ব অস্ত্র রপ্তানি বাজারে রাশিয়ার হিস্যা ২৩%। এখাতে রাশিয়ার কর্ম সংস্থান প্রায় ২০ লাখ লোকের। যুক্তরাষ্ট্রের হিস্যা ৩৭%। তাদের অন্তত ৪০ লাখ মানুষ এ খাতে যুক্ত। রাজস্বের একটা বড় অংশ আসে এ খাত থেকে। কেননা অস্ত্র, উৎপাদন খরচের সাথে ২০-২৫% লাভে বিক্রি করা হয় না। লাভের অংক উৎপাদন খরচের ২-৩ গুন। বিশ্ব রাজনীতিতে রাশিয়া একঘরে হয়ে গেলে অস্ত্র বাজারের একটা বড় অংশ আসবে যুক্তরাষ্ট্রের পকেটে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর শেয়ার বাজারে প্রথাগত কোম্পানি গুলোর শেয়ার মূল্য পরতির দিকে হলেও অস্ত্র কোম্পানি গুলোর শেয়ার মূল্য বেড়েছে ২৬% পর্যন্ত। রাতারাতি অর্ডার পড়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।
এত অস্ত্র কারা কিনবে?
ইউক্রেন যুদ্ধে নিরাপত্তাহীনতায় ইউরোপের ধনী রাষ্ট্রগুলি। গরিব মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে কেনে রাম দা, বল্লম। ধনীরা কেনে পিস্তল, রাইফেল। গরীব দেশ কেনে রাইফেল, মর্টার আর ধনী দেশ কেনে মিশাইল, ফাইটার প্লেন, সাবমেরিন। টাকাই টাকা। যুদ্ধ হয় ইউক্রেনে আর লাভের ফসল আমেরিকার গোলায়।
প্রশ্ন, আমেরিকা তো ইউক্রেনকে ফ্রি ফ্রি ১০/১৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে তো লাভ কি?
ফ্রি দেবে ১০ বিলিয়ন বেচবে ট্রিলিয়ন ডলারের অস্ত্র। কোমর ভাংবে রাশিয়ার। সাথে ইউরোপের উপর ট্রাম্পের জমানার দূর্বল আমেরিকান মোড়লীপনা আবার শক্তিশালী হবে।
সাথে যদি এই যুদ্ধে চিনকেও যদি কোন ভাবে জড়িয়ে ফেলা যায় তো অর্থনৈতিক ভাবে চীনকেও একটা ধাক্কা মারা যাবে। তবে এবার সব হিসাব এত সরল ভাবে মিলবে না মনে হয়। মাঝখানে বাংলাদেশের মত গরীব দেশের গরিব জনগন আরো একটা ধাক্কা খাবে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারনে।
০২ রা এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮
খাঁজা বাবা বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ