নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বল বীর – বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!
ব্যক্তিগত ভাবে আমি সংখ্যাগঘু তত্বের বিপক্ষে। একটি দেশের বসবাসরত সকল মানুষের সমান অধিকার ও সুযোগ সুবিধা পাওয়া উচিত। রাষ্ট্র ও সে দেশের প্রশাসনের উচিত সাবাইকে সমান চোখে দেখা। তবুও হয়ত হিসাব নিকাশের ধারায় ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতি অনুযায়ী সংখ্যা চলে আসে।
যাক কথা সেটা নয়। আমার লেখার বিষয় অন্য কিছু।
ভারতে দেখছি মুসলিম জনগোষ্টি তাদের নতুন এন আর সি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এতে অনেক হিন্দু ব্যক্তিত্বও তাদের সমর্থন দিচ্ছে। তাদের অধিকারের পক্ষে কথা বলছে।
এদিকে ক্ষমতাসীনদের প্ররোচনায় হিন্দুত্ববাদী ব্যানারে এক দল মানুষ আন্দোলনরতদের হামলা করছে, মসজিদে ভাংচুর করছে।
ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও গরু খাওয়া নিয়ে বিভিন্ন জায়গায়, সময়ে মুসলিমদের উপর হামলা হয়েছে।
বাবরি মসজিদের ঘটনা, ৪৭ পরবর্তী ঘটনা সাবাই জানেন।
আমার আগ্রহের ও লেখার বিষয় এখানেই।
ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘু জনগন তাদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করে, মরে, মার খায়। কিন্তু দেশ ছেড়ে যায় না। কিংবা অন্য কোন দেশে গিয়ে নালিশ করে না।
কিন্তু আমাদের দেশের সংখ্যালঘু জনগন কেন দেশে ছেড়ে চলে যায়? কেন ট্রাম্পের কাছে বা মোদি, মনমোহনের কাছে গিয়ে নাকি কান্না কাদে? কেন নালিশ করে?
তারাও তো এ দেশেরই সন্তান। এ দেশ ও মাটির উপর তাদের পূর্ন অধিকার আছে। কেন তারা তাদের দাবিতে সোচ্চার হয় না (যদি যৌক্তিক দাবী থেকে থাকে), কেন আন্দোলন করে না?
ভারত ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্টির মধ্যে আচরনগত এ বিস্তর ফারাক কেন? কেন তারা হীনমন্যতায় ভোগে?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০২
খাঁজা বাবা বলেছেন: একটি কারন হতে পারে
শক্তিশালী মুসলিম দেশ না থাকলেও ইউরোপ, আমারিকা নালিশ শোনার জন্য সব সময়ই প্রস্তুত থাকে
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতের মুসলমানদের উচিত হয়নি "এন আড় সি" নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করা; তাদের উচিত ছিলো, লো-প্রোফাইলে থাকা। বাংলাদেশে হিন্দুরা আন্দোলন করলে, জামাত-শিবির ও হেফাজাত ওদেরকে আক্রমণ করবে ।
বাংলাদেশের হিন্দুরা লো-প্রোফাইলে আছে, সেটাই বুদ্ধিমানের কাজ
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
খাঁজা বাবা বলেছেন: বাংলাদেশে হিন্দুরা লো প্রফাইলে অবস্থানগত ভাবে নেই। তবে মানুষিক ভাবে দুর্বল হতে পারে। কিন্তু সেই দুর্বলতারই বা কারন কি? তারা তো এই মাটিরই সন্তান। তাছাড়া এখনকার সরকার তাদের খুবই কাছের, যদিও এ ক্ষেত্রে বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @চাঁদগাজী। জনাব আপনার সংগে একমত হতে পারলামনা। বাংলাদেশের হিন্দুরা লো-প্রোফাইলে নেই।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
খাঁজা বাবা বলেছেন: বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনুপাতে উচ্চ পদে তাদের অবস্তান প্রায় তিনগুনের বেশি।
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
কল্পলোকের রাজপুত্র বলেছেন: @চাঁদ্গাজী যেখানে সরকারী বেশিরভাগ উচ্চপদে হিন্দু সম্প্রদায়ের কর্মকর্তা রয়েছেন সেখানে কিভাবে তারা লো-প্রফাইলে থাকে বুজলাম না ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭
খাঁজা বাবা বলেছেন: এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় হয়ত মানুষিক ভাবে কিছুটা দুর্বল।
মুক্তি যুদ্ধের সময়ও বেশিরভাগ হিন্দু ভারতে চলে গিয়েছিল।
জনসংখ্যা রেশিও অনুযায়ী তাদের অংশগ্রহন ছিল খুব কম।
৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০০
রাজীব নুর বলেছেন: মোদী হঠাও
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে নরেন্দ্র মোদীর মতো দাঙ্গাবাজকে চাই না।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
খাঁজা বাবা বলেছেন: তিনি হয়ত সাথে করে দাংগা নিয়ে আসবেন। তাকে দূরে রাখাই ভাল।
৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২১
একাল-সেকাল বলেছেন:
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে নরেন্দ্র মোদীর অংশ গ্রহন বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। সেটা আওয়ামীলীগের জন্য মঙ্গল জনক হবে না। চাটুকার গোষ্ঠীর বাইরে তাদের গ্রহন যোগ্যতা এমনিতেই দিন দিন দুর্বলতর হচ্ছে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
খাঁজা বাবা বলেছেন: মনে হচ্ছে আওয়ামীলিগ শুধু এক্সপোজার চাচ্ছে, আপাতত তাদের আর কোন চিন্তা নেই।
৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫০
রাশিয়া বলেছেন: আল্লাহ ছাড়া মুসলিমদের নালিশ শোনার মত আর কেউ নেই। কিন্তু আল্লাহ কিছু করবেনা। কারণ যারা অত্যাচারী, তাদেরকেও আল্লাহ বানিয়েছেন এবং তাদেরকে দুনিয়াতে যা খুশি তাই করার স্বাধীনতা দিয়েছেন। ইউরোপ আমেরিকার কাছে নালিশ দিয়ে মুসলিমরা কোন সুবিধা করতে পারবেনা - কারণ মুসলিম জাতিকে অত্যাচারের দায়ে তারাও অভিযুক্ত। কোন মুসলিম দেশে সামরিক অভিযান চালানোর সামান্যতম সুযোগ তারা মিস করেনা।
বাংলাদেশের হিন্দুরা আন্দোলনই বা কেন করবে আর জামাত শিবির হেফাজতই বা কেন তাদের আক্রমণ করবে? বুড়ো লোকটা জ্ঞান বুদ্ধি সব খেয়ে বসে আছে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩১
খাঁজা বাবা বলেছেন: তার পরেও আমার মনে হয় ভারতীয় মুসলিমদের দেশ প্রেম অন্যান্য দেশের সংখ্যালঘুদের চেয়ে বেশি।
তাই এত নির্যাতিত হওয়ার পরেও তারা দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবে না, বা কাউকে বিচার করার জন্য নালিশ করে না।
৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩১
সাইন বোর্ড বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ হিন্দুদের এক পা ইন্ডিয়ায় দেওয়া থাকে, তারা কামায় করে এখানে আর জমা রাখে ওখানে । যদিও বাংলাদেশে তারা সবাই অনেক ভাল অবস্থায় আছে ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৮
খাঁজা বাবা বলেছেন: আমি দেখেছি অনেক সরকারী কর্মকর্তাও রিটায়ারমেন্টের পরে ভারতে চলে যান।
বেশির ভাল সচ্ছল হুন্দু পরিবারের ভারতেও একটি বাড়ি থাকে।
তাদের সন্তান্দের সেখানেই লেখা পড়া করান যাতে সহযে মাইগ্রেন্ট হতে পারেন।
কিন্তু এর পেছনে কারন কি?
৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তিনি হয়ত সাথে করে দাংগা নিয়ে আসবেন। তাকে দূরে রাখাই ভাল।
আমি ভেবেছিলাম মোদি আমাদের জন্য আর্শীবাদ। কিন্তু না।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৫
খাঁজা বাবা বলেছেন: আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রতিবেশী কখনো বন্ধু হয় না।
১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪২
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এখানে অনেকের মন্তব্য দেখলাম, 'হিন্দুরা এক পা ভারতে দিয়ে রাখে'। 'চাকরি শেষ করেও ভারতে চলে যায়'। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। এমন একটা মুসলিম দেশ তারা ছাড়বে কেন! একটা খ্রিস্টান রাষ্ট্র দেখান যেখান থেকে অন্য ধর্মের মানুষ এভাবে অন্য দেশে এক পা দিয়ে রাখে। পাবেন না। মুসলিম দেশগুলোতেই পাবেন। বাংলাদেশে হিন্দু আছে বলে হিন্দুরা যায়। অন্য মুসলিম দেশে যেখানে হিন্দু নেই তারাও একই অবস্থায়। যে ধর্মের নাম শান্তি, যে ধর্মে একজন মানুষ দেখা হলে আগে যে বাক্যটা বলতে হয়- তা হলো আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। সে ধর্মের অনুসারিদের এ অবস্থা কেন। এজন্য আমাদের পাল্টাতে হবে। হিন্দুদের নয়।
বাংলাদেশে যা আছে, তা সাম্প্রদায়িক নয়। দুই ভাই একত্রে থাকতে পারেনা। আমি এসি ল্যান্ড থাকার সময়ে দেখেছি, হিন্দুদের সাথে কোন মুসলমানের জমি নিয়ে সমস্যা থাকলে মুসলমান বেটা ভয়ে থাকে। কিন্তু হিন্দুদের মধ্যেই তো জমিজমা নিয়ে হানাহানি। তারাই মুসলমানদের ঢুকায় আরেকপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য। আমাদের দেশে ধর্ম দেখে পরীক্ষার খাতায় নম্বর দেয়া হয়না। ধন সম্পদ ক্ষমতা দেখে নম্বর দেয়া হয়।
আমার মন্তব্যটা আপত দৃষ্টিতে স্ববিরোধী মনে হতে পারে। তবে সমাধান একটাই। আইনের শাসন। শুধু একটা জিনিস চালু করে করে দেন, দেখবেন কিছু লাগবেনা। এখন যেদেশে আছি সেখানে একটা ড্রাইভিং লাইসেন্স হারানো মানে তার জীবন শেষ। বেঁচে থাকা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। ধর্ম নিয়ে হানাহানি করবে সেটাতো পরের কথা। বড় জোর একটা প্লেকার্ড নিয়ে ঘুরতে পারে। বা অনলাইনে যা খুশী লিখতে পারে। রাস্তায় দাড়িয়ে যা খূশী বলতে পারে- এর বাইরে কিছু পারেনা।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
খাঁজা বাবা বলেছেন: আইনের শাসন যে কোন দেশে, যে কোন সময় সবচেয়ে জরুরি।
তার পরেও বিষয়টা নিয়ে আমাদের ভাবার অবকাশ আছে।
এটার পিছনের কারন গুলি খুজে বের করা ও সমাধান করা জরুরি।
১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: মি. চাঁদগাজী-- আপনি অনেক দিন বাংলাদেশের অফিস-আদালত তথা সরকারী প্রতিষ্ঠানে হয়তো যাওয়া আসা করেন না - সব জায়গাতে-ই এদেশের হিন্দুরা হাই প্রোফাইল হিসেবে অধিষ্ঠিত!
০৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
খাঁজা বাবা বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক
১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বিশ্বের সবদেশেই কমবেশি সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়। এই নির্যাতন রাষ্ট্র কর্তৃক না হলেও সংখ্যাগুরু কর্তৃক হন। সেই তুলনায় আমাদের দেশের সংখ্যালঘুরা অনেক ভালো আছেন।
তবে আমাদের দেশের কথিত সুচিলরা মাঝে মাঝে ভাতা পাওয়ার আশায় খামাখ্যা চিক্কুর বাক্কুর দেন, সংখ্যালঘুর অধিকারের কথা বলেন। অথচ রাষ্ট্রে সকল মানুষের সমান অধিকার দেয়া আছে।
তবে, যেটা করতে হবে সেটা হলো কেউ যদি নির্যাতিত হয় তাহলে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে হবে, শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬
খাঁজা বাবা বলেছেন: আমারো তাই মনে হয়। অনেক দেশের চেয়ে ভাল আছেন।
তবে আমরা চাই, সংখ্যা লঘু এবং সখ্যাগুরু একই রকম ভাল থাকিক।
তবে অনেক সময় কিছু মানুষের অহেতুক আওয়াজ তাদের মনবল দূর্বল করে দেয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: এই মুহূর্তে নালিশ করার মত শক্তিশালী মুসিলিম দেশ নেই, সেটাও একটা বিষয় হতে পারে। অন্যদিকে পাশের কোনো রাষ্ট্র যদি বলে যে তারা আসলেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, সেক্ষেত্রে দেশত্যাগ একটা স্বাভাবিক পক্রিয়া।