নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাদা কাহিনী (তৃতীয় পর্ব)

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০০

আমার দাদা এবং তাঁর বাবা তরফ আলী ছিলেন ভোলার বাসিন্দা। আমার বাবা-চাচা-ফুফুদের জন্ম ভোলাতেই। ভোলা থেকে উচ্ছেদ হয়ে আমার দাদা তাঁর সন্তান-পরিবার নিয়ে হেঁটে চলে আসেন উত্তর বাড্ডার নাপিতখোলায়।
ভাবছেন ভোলা থেকে বাড্ডা হেঁটে আসা আম্ভব?
হে সম্ভব। দূরুত্ব মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটার।

বর্তমানে যেটি গুলশান, ষাটের দশকে তার নাম ছিলো ভোলা গ্রাম। গুলশান ১ আর ২ এর মাঝামাঝি ছিলো আমার দাদার বাড়ি আর বিশাল কাঠাল বাগান। শীতের সময় নানান সবজী চাষ হতো বিশাল যায়গা জুড়ে। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার ভোলা গ্রামটি অধিগ্রহণ করে। ডিআইটির প্রথম চেয়ারম্যান মাদানির কারণেই বাস্তুহারা হয় আমার দাদা। মাদানি সাহেব যখন ভোলায় এসে জমি ছেড়ে দিতে বলেন তখন দাদা ও তার দলবল মাদানি সাহেবকে দৌড়ানি দিয়ে ভেবে ছিলো জিতে গেছেন। কিন্তু পরদিন কোনো নোটিশ ছাড়াই দাদাদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে উচ্ছেদ করে দেয়া হয়। বেচারা দাদা ঘটি-বাটিও নেয়ার সুযোগ পায়নি। পরবর্তীতে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হয়।

ভোলা থেকে আদিবাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে ভোলার নাম রাখা হয় গুলশান। দাদা তার পরিবার নিয়ে এসে বাড়ি করেন প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পূর্বে উত্তর-বাড্ডার নাপিতখোলায়, বর্তমান স্বাধীনতা স্বরণী এলাকা।

১৯৭১ সালে শুরু হলো স্বাধীনতা যুদ্ধ। ঢাকার বাড্ডা এলাকায় যুদ্ধের ঘনঘটা খুব একটা ছিলো না। বেশ নিশ্চিন্তেই ছিলো এই এলাকার মানুষ জন। এমনকি তারা তাদের চাষাবাদও চালিয়ে যাচ্ছিলো যুদ্ধের মাঝা মাঝি সময়ের পরেও। তেমনি এক সময়ে আমার দাদা আর বড় চাচা সাথে কয়েকজন দিনমজুর নিয়ে বাড়ির পাশেই ধান ক্ষেতে নিরানী করছিলো। ঠিক সেই সময়ে সকাল সকাল দুজন পাকিস্তানি সৈন্য এসে বিকট গলায় চেচি বললো- হোল্ড। ব্যটাদের চেচানো শুনেই পড়িমড়ি করে ধানক্ষেত মারিয়ে কাজ ফেলে সবাই ছুটে পালালো। দাদা আর বড় চাচা পালাতে পারলেন না। সৈন্যরা দাদা আর বড় চাচাকে বাড়ির পাশেই তালগাছের সাথে পিছমোরা করে কঁষে বেঁধে রাখলো। কিছুক্ষণ পরপর মারধোর করে জিজ্ঞাসা করতো যারা দৌঁড়ে পালিয়েছে তারা মুক্তি কিনা? তারা পালালো কেনো?

বাড়ি থেকে ভয়ে কেউ বের হয়নি। রাইফেলের বাটের আঘাতে বড় জেঠা কোমড়ে প্রচন্ড আঘাত পায়। তাল গাছের ধারালো শিরার সাথে ঘষা লাগতে লাগতে দাদা আর বড় জেঠার পিঠ কেঁটে ফালাফালা হয়ে গেলো। নিরিহ পিতা-পুত্রকে অত্যাচার করে তাঁরা পৌচাশিক আনন্দ নিলো সারা দিন। বাড়ি থেকে তাদের জন্য খাবার পাঠানো হলো বাচ্চাদের হাতে। বিকেলে তাঁরা দাদা আর জেঠাকে সেভাবেই তাল গাছের সাথে বঁধে রেখেই চলে গেলে। জানে বেঁচে গেলেন আমার দাদা আর বড় জ্যেঠা।

যুদ্ধের একেবারে শেষ দিকে যখন বাড্ডাতেও পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেলো তখন দাদা তার পুরো পরিবার নিয়ে বাড্ডা ছেড়ে আরো পূর্বদিকে বেরাইদ পেরিয়ে নাওড়া ছেড়ে আরো পিছনে সরে যেতে শুরু করলেন। তবে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেলো। দাদা তার পরিবার নিয়ে ফিরে এলেন নিজের বাড়িতে। দাদাকে অত্যাচার করা সেই দুইজন সৈনিককে দাদার লাউটালের ডেরা ঘরেই পাওয়া গিয়েছিলো যুদ্ধের পরে। বেচারাদের কপালে বেদম প্রহার জুটেছিলো সেটা সহযেই অনুমেয়।

১৯৬১ সালে গুলশান থেকে উচ্ছেদ হয়ে দাদা বাড্ডাতে এসেছিলেন খালি হাতে। ঘর নেই বাড়ি নেই। সেই কষ্টটা দাদার মনে ছিলো। তাই পরে যখন আবার বাড্ডাকেও অধিগ্রহণ করা হলো দাদা সাথে সাথে আরো পূর্বদিকে সাঁতারকুলে একটি বড় বাড়ি তৈরি করে রাখলেন। সেখানে এক হিন্দু দম্পতিদের থাকতে দিলেন। দাদার ভাবনা ছিলো এবার যদি আবার উচ্ছেদ হয় তাহলে যেনো নতুন যায়গায় গিয়ে মাথার উপরে অন্ততো চালটা থাকে।

দ্বিতীয় বার দাদাকে আর উচ্ছেদ হতে হয়নি। এরশাদ সাহেব বাড্ডাতে এসে ঘোষণা দিয়ে গেলেন একোয়ার মুক্ত হিসেবে। তবে তিনি গেজেট প্রকাশ করতে পারলেন না। তারপরে বিএনপি সরকার পরে আওমীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলেও মুখে বাড্ডাকে মুক্ত ঘোষণা করলেও গেজেট প্রকাশ করলেন না। ফলে আমরা ঝুলে রইলাম দোটানায়। এখন অবশ্য সেই দোটানা থেকে মুক্তি পেয়েছি আমরা। দাদার সেই সাঁতারকুলের বাড়ি আমাদের কখনো থাকতে হয়নি।

দাদা কাহিনী (প্রথম পর্ব)
দাদা কাহিনী (দ্বিতীয় পর্ব)

=================================================================
স্মৃতি কথা
এক কাপ চা
আরো এক কাপ চা
শেষ আর এক কাপ চা
পথের কথা - ০১
আমাদের জাম কাহিনী
=================================================================

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৫

অপ্‌সরা বলেছেন: এতদিনে মাদানী এভিনিউ এর নামের ইতিহাস জানলাম।

আর গুলশানের নাম শুনে তো আমি অবাক!

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার বাবা আর জেঠারা বলেছেন- তাঁরা নাকি সেদিন মাদানিকে পেদানি দিয়েছিলেন বলেই কোনো নোটিশ ছাড়া তাদের ঘরবাড়ি পরদিন বুলুডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছিলো।
- গুলশানের নাম ভোলা গ্রাম ছিলো সেটে অনেকেই জানেন না।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার আগামী কাল ভোরে ঢাকার বাইরে যেতে হবে। বৃষ্টির কারণে পিছিয়ে গিয়েছি। আমি লগআউট হয়ে আবারও লগইন হয়েছি মন্তব্য করার জন্য এবং আপনার দাদাকাহিনী যথাক্রমে ১,২,৩ পর্ব পড়েছি। দাদাজান দাদীজান আমার খুবই প্রিয় মানুষ ছিলেন। হয়তো কোনো একদিন সময় করে লিখবো তাঁদের গল্প।

পোস্ট খুব্ ভালো লেগেছে। +++

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে মন্তব্য ও + এর জন্য।
- আপনার দাদাজান দাদীজান গল্প দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



ঢাকা পান্জাবীদের অধিকারে থাকায় ও সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কম থাকায় মানুষ অল্পতে রক্ষা পেয়েছেন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- মোটামুটি এটি সম্ভবতো সঠিক বলেছেন।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৫

জগতারন বলেছেন:
পড়ছি আপনার দাদা-দাদী কাহিনী।
ভালো লাগছে!
.।.।.।

ফুফি শব্দটি বাংলা শব্দ ফুফু লিখলেই ভালো হয়।
বাংলা একাডেমী এখনও ফুফি শব্দটি বাংলা অভিধানে যুক্ত করে নি, তাই।
যদিও দাদু, নানু, শব্দগুলো এখনও বাংলা অভিধানে যুক্ত হয় নি, মনে হয়।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
- ফুফু লিখে দিয়েছি।
- একই মন্তব্য দুইবার পোস্ট হয়েছে বলে শেষেরটি মুছে দিচ্ছি।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২২

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া মাদানীকে পেদানি!!! :P

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এমনটাই বলতে শুনতাম সেই ছোটবেলা থেকেই।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৪

কামাল৮০ বলেছেন: আমি যুদ্ধের পুরো সময়টাতে দুই এক মাস পর পর ঢাকায় আসতাম।আমাদের মুক্ত এলাকা ছিল বরিশালের বিভিন্ন এলাকা।ওখানে আমরা কয়েকটা থানা আক্রমন করে অস্ত্র যোগাড় করেছি।আমি হেটে বা নৌকায় আসতাম।মুন্সিগঞ্জ এসে আবদুল্লাপুর দিয়ে পার হয়ে বিরাট এক চর তার পর ধলেশ্বরী নদী পার হয়ে কয়েক গ্রাম পর জিঞ্জিরা।বুড়িগঙ্গ পার হয়ে ঢাকায়।ঢাকায় থাকতাম শান্তিনগর।আবার এই পথে বরিশাল।
যে কয় দিন ঢাকায় থাকতাম রোজ রাতে অনেক গোলা গুলির শব্দ শুনতে পেতাম।এরা ভয়ে সারারাত গুলি করতে।বিলের দিক দিয়ে মাঝে মাঝে মুক্তিবাহিনী দুই একটা গুলি করতো।আর্মিরা সেই গুলির জবাবে সারা রাত গুলি করতো।
৭২/৭৩ য়ে একবার গিয়েছিলাম আমার এক ঢাকাইয়া বন্ধুর সাথে।তার এক আত্মিয় থাকতো ঐ এলাম।নতুন বাজার খেয়ে মাইল খানিক দুরে।খুব সম্ভব তারা বাসাবো থেকে উচ্ছেদ হয়ে ওখানে বাড়ী করেছিলো।অনেক তালগাছ ছিল।কি জায়গা কি হয়ে গেলো।
আপনার দাদা ও চাচার কথা শুনে মনে দুঃখ পেলাম।তবু ভালো মেরে ফেলে নাই।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনার যুদ্ধকালীন স্মৃতিচারণ পড়ে লোভ জাগলো। আমাদের জন্য একটু একটু করে লিখলে মন্দ হতো না।
- অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে এই মন্তব্যের জন্য।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:


@কামাল৮০ ,
থানায় কারা ছিলো, কা'দের থেকে আপনারা অস্ত্র দখল করেছিলেন?

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঐ সময় থানাগুলিতে সম্ভবতো বাঙ্গালীদেরই থাকার কথা। আপনারতো জানা থাকার কথা!!

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৬

কামাল৮০ বলেছেন: @ গাজী সাহেব, থানায় বাঙ্গালীরা ছিন।আমাদের কথা শুনলেই হাত উঁচু করে দাড়িয়ে থাকতো।আমাদের প্রতিটা কর্মিই ছিল অসীম সাহসী।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনি একটু একটু করে আমাদের জন্য সামুতে আপনার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগুলি লিখুন।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: তাহলে বলা যায় যে গুলশানের আদি নিবাসীদের একজন ছিল আপনার দাদারা ! সেখান থেকে উচ্ছেদ না করে হলে আপনাদের বাসা হয়তো গুলশানেই হত !

যুদ্ধের এই রকম একটা ঘটনায় যে আপনার দাদা প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলে, এটা অনেক বড় ব্যাপার । আমার পড়তে গিয়েই মনে হচ্ছিলো এই বুঝি গুলি করে দিবে !

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আদি নিবাসীদের উচ্ছেদ না করলে ভোলা আর গুলশান হয়ে উঠতোনা সেই সময়। তবে মাদানিকে পেদানি না দিলে কিছুটা সুযোগসুবিধা পেতো হয়তো।

- দাদা আর বড় জেঠা দুজনেই ভাগ্যগুনি বেঁচে গিয়েছিলো। কি কারণে যে উনাদের ছেড়ে দিয়েছিলো এখনো বুঝে আসে না। সম্ভবতো বাড়ি থেকে খাবার পাঠানোর কারণে দয়া দেখিয়েছিলো। তবে এর চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পরে ছিলো আমার বাবা আর তার মামা। হাত বেঁধে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলো গুলি করার জন্য।

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:


কামাল৮০ বলেছেন: @ গাজী সাহেব, থানায় বাঙ্গালীরা ছিন।আমাদের কথা শুনলেই হাত উঁচু করে দাড়িয়ে থাকতো।আমাদের প্রতিটা কর্মিই ছিল অসীম সাহসী।

-আপনি "কর্মী" শব্দ কেন ব্যবহার করলেন? আপনারা কি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন, নাকি দলীয় কোন ব্যাপার ছিলো?

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:


সব মিলিয়ে আপনার দাদারা ভালোই ছিলেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী ভালোই ছিলেন।

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার আশ্রমে যাঁরা যান, তাঁরা কোন না কোনভাবে আপনার বা আপনার বন্ধদের পরিচিত; এদের মাঝে যদি ১ জন মাষ্টার ডিগ্রিধারী অথিতি "কুকুরের লেজ সোজা করার গল্প" বলে, আপনার কাছে কেমন মনে হবে?

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- যৌক্তির কোনো পরিস্থিতির উপস্থিত হলে যেকোনো কৌতুকই আনন্দ রস উৎপাদনে সমর্থ হয়। এবং সেটি উপভোগ্যও হয়। আমার কাছে কুকুরের লেজ সোজা করার গল্পটি উপভোগ্য লেখে যৌক্তিক কারণেই।

- আপনি হয়তো লক্ষ করেননি, সামুর একজন অতিপুরনো এবং খুবই পরিচিত ব্লগার দীর্ঘ কয়েক মাস কয়েক ধরনের ব্যান থেকে জাস্ট মুক্ত হয়েই প্রথম পাতায় একটি খোঁচামূলক পোস্ট করেছিলেন অন্য একজন পুরনো এবং খুবই পরিচিত ব্লগারের একটি ধারাবাহিক অনুবাদের পোস্টকে উদ্দেশ্য করে। এর প্রেক্ষিতে আবার অন্য আরেকজন পুরনো এবং পরিচিত ব্লগার কুকুরের লেজ সোজা করার গল্প লিখেছেন।
এটিকে সম্ভবতো বলে - টিট ফর ট্যাট, যেমন বুনো ওল তেমন বাঘা তেঁতুল, যেমন কুকুর তেমন মুগুর, ইট মারে পাটকেল খাওয়া।

এক হাটে দুই দর চলে না গুরু!! আপনার বেলায় যা সহি, অন্যের বেলায় তা অন্যায় কেনো হবে?

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:


এখন ব্লগে আপনাকে অনেকে চেনেন, শিক্ষিতরা ইডিওটিক পোষ্ট করলে, ওদেরকে বুঝার চেষ্টা করবেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ব্লগে আপনাকে অনেকে চেনেন জেনে আনন্দিত হলাম।
- আপনার নসিহতের জন্য শুকরিয়া। তবে আমি ব্লগে কোনো ব্লগারকেই বুঝার চেষ্টা করি না। ভালো লাগলে পোস্ট পড়ি, না লাগলে এরিয়ে যাই। ভুল দেখলে ধরি দেই, আমার ভুল ধরিয়ে দিলে সেটি শুধরেনেই।

১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন:


সব মিলিয়ে আপনার দাদারা ভালোই ছিলেন।



দাদা কাহিনী উপভোগ্য।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আগামী পর্বে দাদা কাহিনী শেষ হবে।

১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কুকুর টুকুর নিয়ে কেউ কথা বললে সে বিখ্যাত কবিতা মনে পড়ে-

উত্তম ও অধম
- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত---সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (সংকলিত)
মূলঃ শেখ সাদী

কুকুর আসিয়া এমন কামড়
দিল পথিকের পায়
কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটে
বিষ লেগে গেল তাই।
ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারা
বিষম ব্যথায় জাগে,
মেয়েটি তাহার তারি সাথে হায়
জাগে শিয়রের আগে।
বাপেরে সে বলে র্ভৎসনা ছলে
কপালে রাখিয়া হাত,
তুমি কেন বাবা, ছেড়ে দিলে তারে
তোমার কি নাই দাতঁ?
কষ্টে হাসিয়া আর্ত কহিল
“তুই রে হাসালি মোরে,
দাঁত আছে বলে কুকুরের পায়ে
দংশি কেমন করে?”
কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়,
তা বলে কুকুরে কামড়ানো কিরে
মানুষের শোভা পায়?

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এই কবিতার শেষাংশ
কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়,
তা বলে কুকুরে কামড়ানো কিরে মানুষের শোভা পায়?

আর সেই সাথে এর উলটো একটি প্রবাদ আমার মাথায় আসে-
যেমন কুকুর তেমন মুগুর

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "- আপনি হয়তো লক্ষ করেননি, সামুর একজন অতিপুরনো এবং খুবই পরিচিত ব্লগার দীর্ঘ কয়েক মাস কয়েক ধরনের ব্যান থেকে জাস্ট মুক্ত হয়েই প্রথম পাতায় একটি খোঁচামূলক পোস্ট করেছিলেন অন্য একজন পুরনো এবং খুবই পরিচিত ব্লগারের একটি ধারাবাহিক অনুবাদের পোস্টকে উদ্দেশ্য করে। "

-আমার পোষ্টটা খোঁচা ছিলো না, উহা ছিলো রম্য ধরণের সায়েন্টিফিক পোষ্ট; ইহাতে বলা হয়েছে যে, দুরত্বের কারণে, পৃথিবী থেকে মানুষ অন্য কোন গ্রহে যেতে পারবে না, এবং অন্য গ্রহের কোন প্রাণী পৃথিবীতে আসতে পারবে না; কারণ, নভোযানে নিটবর্তী "বসবাস যোগ্য" গ্রহে যেতে ১৬০ হাজার বছর লাগবে! এই সহজ বক্তব্য কেন আপনার কাছে খোঁচা মনে হলো?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আবার সেই একই কথা বলতে হচ্ছে। এক হাটে দুই দর চলে না গুরু!! আপনার বেলায় যা সহি, অন্যের বেলায় তা অন্যায় কেনো হবে? আপনারটি যেমন আপনি রম্য হিসেবে দেখছেন, তেমনি ভাবে অন্যেরটিকে আপনি রম্য হিসেবে কেনো দেখতে পাচ্ছেন না?

- এবং আপনি আরো এক যায়গায় ভুল করছেন। আপনি দূরত্ব পার করার বিষয়টি দেখছেন মানুষের প্রযুক্তি থেকে। অথচো অনুবাদে মানুষের প্রযুক্তিকে বিবেচনা করা হচ্ছে না।

- সবচেয়ে কাছের তারকায় যতে হলে ৪.২ বছর লাগবে আলোর গতিতে গেলে, যেটি অসম্ভব। কিন্তু শুধু মাত্র গতি দিয়েই দূরুত্ব পার করতে হবে এমনটি কিন্তু নয়। অন্ততো আর কয়েটি থিউরি আছে এই বিষয়ে। সম্ভবতো সেগুলি আপনি জানেন। এই বিষয়ে চাইলে আমি বড় একটি পোস্ট লিখতে পারি।

- আপনি বলেছেন নিটবর্তী বসবাস যোগ্য গ্রহের কথা। আমি যতদূর জানি এখন পর্যন্ত কোনো বসবাস যোগ্য গ্রহ নিশ্চিত ভাবে সনাক্ত করা যায়নি।

- আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অজানা কাহিনী জানলাম। আপনারা তাহলে ঢাকার আদী বাসিন্দা?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ঢাকার এই এলাকার আদি বাসিন্দা।

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক দিন পর এসে দাদা কাহিনী পড়তে গিয়ে নিজের দাদার কথা মনে পড়লো। আমার মনে হয় ঢাকা থেকে ফেনী এবং চিটাং যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি বেশী হয়েছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ঢাকা মুক্তিযুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। তবে বিশিষ্টব্যাক্তিদের হত্যা করা হয়েছে ঢাকায় বেশী।

১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: এভাবেই নগরায়ণ হয়। এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে আমাদের পরিবারও। বর্তমান ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় আমাদের ১১.৫ বিঘা জমি ছিলো। কিছু অংশে লো কস্ট হাউজিং বাকীটা ধানক্ষেত এবং জংগল ছিলো। ১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকার ৫০০ একর(১৫০০ বিঘা) জমি অধিগ্রহণ করে এবং সেই জমি সমতল করে অনুমোদিত মানদন্ড অনুযায়ী জনসাধারণের মধ্যে প্লট বরাদ্দ করে। পরবর্তীকালে ডিআইটি সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি, রাস্তা ও অন্যান্য ভৌতকাঠামো নির্মাণ করে। এলাকাটি কয়েকটি ব্লকে বিভক্ত করে প্রতিটি ব্লককে এক বিঘা অথবা তার কম পরিমাপ প্লটে ভাগ করা হয়। এ সকল প্লট মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা, জননেতৃবৃন্দ, পেশাজীবীদের বরাদ্দ করা হয় এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিঘাপ্রতি ৫,০০০ টাকা পরিশোধের পর বরাদ্দপ্রাপ্তদের প্লটসমূহ ৯৯ বছরের জন্য লিজ প্রদান করা হয়। আমরাও এক বিঘার একটা প্লট পাই.... যদিও আমাদের অধিগ্রহণ করা জমির চাইতেও কম অধিগ্রহণ জমির মালিকেরা একই একই পরিমাণ প্লট পেয়েছেন। যেহেতু আমাদের পরিবারের উয়ারীতে বাড়ির মালিকানা ছিলো তাই আমরা আংশিক মালিকানা পেয়েছি।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- মাদানির সাথে ঝামেলা করার কারণে আমার দাদা বেশ ভুগেছেন, নানান সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সম্ভতো অল্পকিছু অর্থ পেয়েছিলেন। কোনো প্লট পাননি।

২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ভোলা পুনঃউদ্ধার কর্মসুচি নেয়া হোক B-)

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ঠিক ঠিক

২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ইতিহাস জানিয়ে দিলেন। অনেক ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকেও মন্তব্যের জন্য।

২২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: দাদা কাহিনীর এ পর্ব সত্যিকার অর্থেই কষ্টের, তবে আপনার লেখনীশৈলী দারুন ভালো লেগেছে।

ঢাকা এবং এর আশেপাশের অনেক স্থানীয় বাসিন্দারা যখন দেখেছে জমির দাম বাড়ছিল তখন তারা ভিটা-মাটি বিক্রি করে আরো ভিতরের দিকে গ্রামাঞ্চলে কম দামে জমি কিনে বসতি স্থাপন করে এমন অনেক লোক এখন আফসোস করে। অবশ্য তাদের করার তেমন কিছু ছিলোও না। কারন তারা বেশিরভাগই অর্থ-বিত্ত এবং শিক্ষা-দীক্ষায় খুবই পশ্চাদপদ ছিল।

পোস্ট এ ++

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সঠিক বলেছন আপনি।
- আমার নানীর সূত্রে নানার প্রচুর সম্পত্তি ছিলো। আমার নানা বাড়ি হচ্ছে পূর্ব-রামপুরাতে, মোল্লা বাড়ি। আমার নানাই মোল্লা বাড়ির প্রথম মোল্লা। টিভিসেন্টারটি আমার নানার জমিতেই। এর পিছনে বনশ্রীতেও নানার প্রচুর জমি বেদখল হয়েছে। সেখানে আমার মায়েরও জমি ছিলো। প্লট এ্যলোড হলেও সেটি কখনোই পাই শুধু কাগজ ছাড়া। আমি দেখেছি আমার বাবা শুধে কাগজই নাম মাত্র অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে।

২৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার দাদা কাহিনী বেশি ইন্টারেস্টিং এই লেখাটি সময় নিয়ে মন দিয়ে পড়লাম ভালো লাগলো অনেক অতীত ইতিহাস জেনে সেগুলো আসলে জানা ছিল না।
এত বড় জমিদারির মালিক কত কষ্টই না করেছেন সে সময়।
ছোট্ট একটি চোখে পরার মত ভুল আছে শুধরে নিবেন -বিশাল কে বিলাশ লিখেছেন।

অফটপিক: গাজী সাহেবকে বলছি আপনার পোস্টে গিয়ে বারবার মন্তব্য করতে ভালো লাগেনা তাই এখানে বলছি ডক্টর এলিস সাহেব হয়তো আপনার মত বিজ্ঞ নন হয়তো উনার জানাশোনা ঘাটতি আছে- কিন্তু আপনার মনে যে প্রশ্নের উদয় হয়েছে তার উত্তর অবশ্যই পাবেন তিনি জানার চেষ্টা করেছেন বুঝার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে আমাদের নিকটতম নক্ষত্রের যদি এরকম কোন গ্রহ থাকে সেখান থেকে আসতে কতটুকু সময় লাগতে পারে অথবা কি উপায় আসা যেতে পারে উনি সম্ভাব্য সব ধরনের চিন্তাভাবনা করেছেন!
খোঁচাখুঁচি ব্যাপার নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না তবে এতদিন পরে ফিরে এসে আপনি যে পোস্টটা দিয়েছেন সেটা আমি উপভোগ করেছি! যেমন উপভোগ করেছি অপু তানভীরের পোস্টটাও।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
- আমার দাদা জমিদার ছিলেন না। তবে তার প্রচুর জমি ছিলো।
- বানানের ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য আবারও ধন্যবাদ আপনাকে, আমি ঠিক করে দিয়েছি এখন।

২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৩

রেজাউল৮৮ বলেছেন: অপরেশন সার্চ লাইট-----১৯৭১ এর ২৫ মার্চ মধ্যরাতের কয়েক ঘন্টার মধ্যে শুধু ঢাকায় হত্যা করা হয় অন্তত ২০ হাজার সিভিলিয়ানকে। ফুটপাথে ঘুমিয়ে থাকা ছিন্নমূল মানুষরাও রক্ষা পান নাই।

মাস কিলিং এর নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ডদের মাঝে ছিলেন ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খান, রাও ফরমান আলি প্রমুখ।
এই তিনজনই ছিলেন পাঞ্জাবি।

৩. ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৭
সোনাগাজী বলেছেন:
ঢাকা পান্জাবীদের অধিকারে থাকায় ও সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কম থাকায় মানুষ অল্পতে রক্ষা পেয়েছেন।


১৯৭১এ ঢাকাবাসিদের উপর সহমর্মিতা দেখানোয় পাঞ্জাবিদের অবদানের উপর এমন যুগান্তকারি আবিস্কার করায় বির মুক্তিযোদ্ধা জনাব সোনাগাজি সাহেবকে সিতারা ই ইমতিয়াজ উপাধি দেয়া যাইতেই পারে।
আমার ইংরেজি জ্ঞান ভাল না। আমি সকলের নিকট আবেদন জানাই, বির মুক্তিযোদ্ধা সোনাবাবার বক্তব্য গবেষনা কর্ম অনুবাদ করে পাকিস্তান এম্বেসিতে পাঠানোর ব্যাবস্থা নিন। বাঙ্গালিদের পরম বন্ধু কিসিন্জার সাহের কাছ থেকে সোনা বাবা ভাতা পচ্ছেন। আরেক বন্ধু পাকিস্তানের কাছ থেকে ভাতা নেয়া বন্ধ থাকে কেন?

২৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


দাদা কাহিনী শেষ হয়ে যাবে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- জ্বী, আগামী পর্বে শেষ হয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.