নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মেঝো বোনের বেশ বড় একটা ছাদ বাগান আছে। ছাদে প্রচুর গাছ আছে। নানান ফল গাছের সাথে সাথে প্রচুর ফুল গাছও আছে। বিশেষ করে শীতের সময় নানান ধরনের মৌসুমী ফুলে তার বাগান ভরে যায়। বিশাল ছাদের অর্ধেক জুড়ে থাকে শুধু শীতের ফুল।
গতবছরের শেষ দিনে গিয়ে দেখলাম ছাদে নানান ধরনের চন্দ্রমল্লিকা ফুটে আছে।
কোনটা যে চন্দ্রমল্লিকার ফুল
আর কোনতা যে সূর্যমুখী
বারবার দেখেও
আমার ভুল হয়ে যায়,
আমি আলাদা করতে পারি না৷
----- তারাপদ রায় -----
চন্দ্রমল্লিকা একটি অতি পরিচিত ফুল। মোটামুটি আমরা সকলেই কম বেশী চিনি চন্দ্রমল্লিকাকে চিনি। চন্দ্রমল্লিকার কতো রকম ভ্যারাইটি যে আছে!! তাদের প্রায় সকলেই চন্দ্রমল্লিকা নামেই পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নামও (Chrysanthemum indicum) প্রায় সকলেরই একই সম্ভবতো। দুই একটি ব্যতিক্রম অবশ্য আছে। যেমন আজকে যে চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকার কথা বলছি এই গ্রুপের বৈজ্ঞানিক নাম Chrysanthemum morifolium যা অন্য সাধারণ চন্দ্রমল্লিকা থেকে আলাদা। এই গ্রুপে বেশ কয়েকটি ফুল রয়েছে। যাদের আকার-আকৃতি ও রঙে রয়েছে বিস্তর ফারাক তবুও তারা সকলেই চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা নামেই বেশী পরিচিত। যদিও চন্দ্রমুখী নামটি মণিপুরী ভাষা থেকে এসেছে।
ফুলের নাম : চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : চন্দ্রমুখী (মণিপুরী), চন্দ্রমল্লিকা, সেবতি।
Common Name : Garden mum, Hardy garden mum, Florist's daisy, Florist's chrysanthemum, Chrysanthemum
Scientific Name : Chrysanthemum morifolium
এরা এ্যাসটারাসি পরিবারের সপুষ্পক বিরুৎ উদ্ভিদ। চন্দ্রমল্লিকার বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশ (Chrysanthemum) ক্রিস্যানথিমাম গ্রীক শব্দ থেকে এসেছে। ক্রিসস অর্থ 'স্বর্ণ' আর এনথিমাম অর্থ 'ফুল'।
আগেই বলেছি চন্দ্রমল্লিকা ফুলের অনেকগুলো প্রজাতি রয়েছে। তাদের বেশিরভাগ প্রজাতির আদিনিবাস পূর্ব এশিয়া। এই ফুলের বৈচিত্র্যের কেন্দ্রস্থল হল চীন ও জাপান। মূল প্রজাতি থেকে বাগানের প্রজাতিগুলির উদ্ভব হয়েছে। নানান রঙের হয় চন্দ্রমল্লিকারা, বিশুদ্ধ সাদা থেকে লাল, উজ্জ্বল হলুদ, কমলা, মরিচা, শেড, মিশ্র রং, নানার ধরনের গোলাপী ইত্যাদি রঙের হয়। এদের আকার-আকৃতি, গঠন-গড়নেরও বিস্তর পরিধী।
চন্দ্রমল্লিকা বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়। আমাদের দেশে চন্দ্রমল্লিকা গাছে অক্টোবরে কুঁড়ি আসে এবং নভেম্বরে ফুল ফুটতে শুরু করে। দেখতে দেখতে গাছ ভরে যায় ফুলে ফুলে। তখনো গাছে কুঁড়ি থাকে। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে গাছে ফুল ফোটে। অর্থাৎ চন্দ্রমল্লিকা গাছ গ্রীষ্মের শেষ থেকে ফুল ফোটা শুরু করলে শীতের শীর্ষ হয়ে একেবারে শেষ পর্যন্ত গাছে ফুল থাকে। তাছাড়া গাছে ফুল তাজা থাকে ২০ থেকে ২৫ দিন। ফুলদানি সাজাতে চাইলে লম্বা ডাঁটাসহ ফুল কাঁটতে হয়। ফুলদানিতেও অনেক সময় পর্যন্ত তাজা থাকে এরা। আর মালা গাঁথার জন্য ডাঁটা ছাড়া ফুল তুলতে হয়।
চন্দ্রমল্লিকা, চন্দ্রমল্লিকা
রঙ-পরীদের সঙ্গিনী তুই অঙ্গে চাঁদের রূপ-শিখা।।
ঊষর ধরায় আসলি ভুলে তুষার দেশে রঙ্গিনী'
হিমেল দেশের চন্দ্রিকা তুই শীত-শেষের বাসন্তিকা।।
চাঁদের আলো চুরি ক'রে আনলি তুই মুঠি ভ'রে,
দিলাম চন্দ্র-মল্লিকা নাম তাই তোরে আদর ক'রে।
ভঙ্গিমা তোর গরব-ভরা,
রঙ্গিমা তোর হৃদয়-হরা,
ফুলের দলে ফুলরানী তুই-তোরেই দিলাম জয়টিকা।।
----- কাজী নজরুল ইসলাম -----
এদের খুব একটা যত্নও নিতে হয় না। জৈব সার দিলেই চলে, সেই সাথে রোদ আর অল্প জল। সব ধরনের পাত্রে ভাল জন্মায়, সহজেই বৃদ্ধি পায়। চন্দ্রমল্লিকা গাছ ১ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। গাছে গাঢ় সবুজ, নরম, নীচের দিকে ধূসর পাতা রয়েছে।
ছবি তোলার স্থান : উত্তর বাড্ডা, ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলার তারিখ : ৩১/১২/২০২১ ইং
=================================================================
আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
ফুলেদের কথা
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী,
এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কালো বাদুড় ফুল
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, গামারি, গামার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু
ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা)
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা,
ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
ডালিয়া
তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা
ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীল বনলতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা
ভাট ফুল
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল,
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ
শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত অকন্দ
সুলতান চাঁপা, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে
হাতি জোলাপ,
=================================================================
ফুলেদের ছবি
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১, ফুলের রাণী গোলাপ - ০২, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৪
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৫, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৬, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৭, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৮
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৯, ফুলের রাণী গোলাপ - ১০, ফুলের রাণী গোলাপ - ১১, ফুলের রাণী গোলাপ - ১২
ফুলের রাণী গোলাপ - ১৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ১৪
রাতের গোলাপ - ০১, রাতের গোলাপ - ০২, রাতের গোলাপ - ০৩, রাতের গোলাপ - ০৪
অর্কিড-২, অর্কিড-৩, অর্কিড-৪, অর্কিড-৫
কচুরিপানা ফুল-২, কসমস-২, কসমস-৩, কসমস-৪, কসমস-৫, কসমস-৬, কর্ণফ্লাওয়ার-২,
গ্লুকাস ক্যাসিয়া-২, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-৩, গোলাপি আমরুল-২,
ডালিয়া-২, ডালিয়া-৩, ডালিয়া-৪,
দাদমর্দন-২, দাদমর্দন-৩, দাদমর্দন-৪, দোলনচাঁপা-২
পপী-২, পপী-৩, পপী-৪, পপী-৫
বোতল ব্রাশ-২, বোতল ব্রাশ-৩, বোতল ব্রাশ-৪
শিমুল গাছে আগুন, অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল,
=================================================================
গাছেদের কথা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০১, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০২, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৩, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৪, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৫, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৬
=================================================================
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
হা হা হা।
গোপনে চিঠি পড়ার আনন্দটা এই যুগের ছেলে মেয়েরা পেলো না। বড়উ আপসুস।
আমাদের এক বন্ধু ছিলো, চিঠি লিখায় এক্সপার্ট। সেটি চিঠি লিখবো!! যে কেউ মুগ্ধ হবে চিঠি পড়ে। হাতের লেখাও খুব সুন্দর, গোটাগোটা। মাস দুই আগে হঠাত দেখি ওর কাঠে একটা চিঠি!! কিরে ভাই, এই যুগে চিঠি!! কোনো এক স্কুল শিক্ষিকার সাথে তার এখনো পত্রপ্রেম চলে।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আহা মরি !!!!!! মরি !!!!!!!!!!!!!!!
অপূর্ব ।
কি চমতকার তার রং (চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকার )।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আরো নানান রঙের হয়। আরোক কয়েকটা আগামী কয়েক দিনে দেখাবো আমি।
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যখন প্রথম ধরেছে কলি আমার মল্লিকা বনে - রবি দাদু
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এটিতো মল্লিকা ফুল নয়। এটি চন্দ্রমল্লিকা।
মল্লিকা আর চন্দ্রমল্লিকা দুটি আলাদা আলাদা ফুল।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৬
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ফুলের গন্ধ কেমন?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সম্ভবতো গন্ধ নেই।
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭
কামাল৮০ বলেছেন: বৈজ্ঞানিক নামটা কি ভাবে নির্ধারণ করা হয়।এই ফুলটি দেখতে সুন্দর।আমি অনেকগুলো লাগিয়ে ছিলাম।এখন শীতের আগমনে গাছগুলো মরতে শুরু করেছে।হত কাল ছিলো আট ডিগ্রি সেলসিয়াছ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বৈজ্ঞানিক নামটা নাম নির্ধারণরে ক্ষেত্রে ফুলের গন, পরিবার, প্রজাতি, ধরন, আদিবাস, আবিষ্কারক ইত্যাদি নানান দিক বিবেচনা করা হয়।
আপনার গাছগুলির জন্য শুভকামনা রইলো।
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪১
জানা বলেছেন: বাহ্, সুন্দর পোস্ট। আপনার দেয়া লিঙ্কগুলোর বেশীর ভাগই আমার আগে দেখা হয়নি নানা কারণে! এবার সময় সুযোগ একে একে সবগুলো পোস্টে ঘুরে আসবো। আমি নিশ্চিত, আমার ভালো লাগবে এবং অনুপ্রেরণা পাবো। বাগান করা আমার অন্যতম শখ। নানান ফুল, ফল, সবজি এবং বাহারি গাছপালার সাথে সময় কাটানো আমাকে বিশেষ আনন্দ দেয়।
চন্দ্রমল্লিকা আমার পছন্দের পরিচিত ফুলগুলোর একটা। আমার মনে হয়, বাংলা সাহিত্য এবং সঙ্গীতে যেমন করে নানান স্থানীয় ফুলের রং, রূপ এবং বৈচিত্র নিয়ে চর্চা হয়েছে বা হয়, এমনটা অন্য কোথাও হয়না। কিংবা হয়তো হয়, আমার জানা নেই।
চন্দ্রমল্লিকা নিয়ে আমার শৈশবের খুব প্রিয় একটা গান মনে পড়ে গেল। বিখ্যাত শিল্পী, বিখ্যাত গীতিকার এবং বিখ্যাত সুরকার এর অসাধারণ সৃষ্টি "ও আমার চন্দ্রমল্লিকা বুঝি চন্দ্র দেখেছে"। আমার মনে হয় গানটা শুনে এখানে অনেকেরই সেই ছোট্টবেলার কথা মনে পড়বে। শুনে দেখুন তো ।
Manabendra Mukharjee
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য।
আমার লেখাগুলিতে আমি চেষ্টা করেছি সহজ করে গাছ ও ফুলের কিছু তথ্য দিতে। চেষ্টা করেছি সঠিক তথ্য দিতে। তবে আমি যেহেতু এই লাইনের লোক নই তাই কিছু ভুল থাকতেই পারে। কোনো ভুল পেলে আমি সেটি শুধরে নেয়ার চেষ্টা করি।
যে লিংক গুলি দিয়েছি আশা করি সেগুলি আপনার ভালো লাবে।
চন্দ্রমল্লিকা আপনার পছন্দের ফুলগুলির একটি জেনে ভালো লাগলো।
বাংলা সাহিত্য এবং সঙ্গীতে ফুলের উপস্থিতি আসলেই লখ্য করার মতো। আমি রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু কবিতা ও গানের অংশ সংগ্রহ করে রেখেছি খুটে খুটে, যেগুলিতে বিভিন্ন ফুলের উল্লেখ আছে। শুধু রবীন্দনাথ নয়, আরো অনেকেরই আছে আমার সংগ্রহে। আমি ভাবছি শুধু নির্দিষ্ট একটি ফুল নিয়ে বিখ্যাত কবিদের কবিতাংশ নিয়ে একটি করে পোস্ট করবো। কাজ এগিয়ে রেখেছি।
আপনি সত্যি বলেছেন আমাদের বাংলা যেভাবে ফুলের বন্দনা আছে তেমনটা অন্য সাহিত্যে অন্য ভাষায় খুব একটা নেই বোধহয়।
আপনার দেয়া গানের লিংকটি কাজ করেনি। তবে ইউটিউবে আমি গানটি খুঁজে পেয়েছি। এই গান এই প্রথম আমি শুনলাম। পরপর ৪বার শুনলান।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই গানের কথাটি জানানোর জন্য।
https://www.youtube.com/watch?v=yTN7QyMUdrk
ও আমার চন্দ্রমল্লিকা বুঝি চন্দ্র দেখেছে
যেন কোন শুক্লাপঞ্চমী চোখে স্বপ্ন একেছে
তার সবুজ পাতা দোলে ,তার অবুঝ হিয়া ভোলে
ও তার অঙ্গ ভঙ্গিমায় বাতাস ছন্দ রেখেছে
ও আমার চন্দ্রমল্লিকা বুঝি চন্দ্র দেখেছে
যেন কোন শুক্লাপঞ্চমী চোখে স্বপ্ন একেছে
আমার ভাঙলো দ্বিধা ভয়, তোরই রঙানো পরাগে
অধর মানলো পরাজয় নতুন আলোর সোহাগে
সেই প্রহর ফিরে এল, সেই ভ্রমর দোসর পেল
ও সে পাপড়ি ধরে আজ যেন স্বর্ণ মেখেছে
ও আমার চন্দ্রমল্লিকা বুঝি চন্দ্র দেখেছে
যেন কোন শুক্লাপঞ্চমী চোখে স্বপ্ন একেছে
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৭
শাহ আজিজ বলেছেন: এই ক্রিসেন্থিমাম ফুলের একটা চা চায়নায় পাওয়া যায় । বেশ দামি চা আর খেতেও চমৎকার । আমার কাছে অনেকদিন ছিল এক টিন । ফুল শুকিয়ে তারপর চায়ের সাথে মেশাতে হয় । চন্দ্রমল্লিকা আমার খুব প্রিয় ফুল । ফুলের বুকেট বানাতে দিলে আমি চন্দ্রমল্লিকা বা ক্রিসেনথিমাম ফুল প্রেফার করি ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য।
চন্দ্রমল্লিকার চায়ের খবর জানা ছিলো না। চীনারা বোধহয় সব ফুলেরই চা তৈরি করে!!
চন্দ্রমল্লিকার তোরা করলে অনেক সময় পর্যন্ত সতেজ থাকে। দেখতেও চমৎকার হয়। তাছাড়া কালারভ্যারাইটিও পাওয়া যায়।
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগলো। সুন্দর ফুল।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভালো লাগা জানানোর জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: চন্দ্র মল্লিকা সম্পর্কে চমতকার লিখেছেন! +
চন্দ্র মল্লিকা, রাঁধাচুড়া এবং রংগন নিয়ে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে চমতকার এবং মজার কিছু স্মৃতি আছে। তখন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সূর্যসেন হলে আমাদের এক সহপাঠী প্রেম করতো... প্রেমিককে লেখা চিঠিগুলো আমরা কয়েকজন বন্ধু খুব কৌশল করে গোপণে পড়তাম। বন্ধুটি তার প্রেমিকাকে কখনো চন্দ্র মল্লিকা, কখনো রাঁধাচুড়া এবং রংগন সম্বোধন করে লিখতো। আমরা চিঠি পড়ে টিএসসি কিম্বা ঢাকা ইউনিভার্সিটি ক্লাব চত্তরের ছোট ফুলের বাগান থেকে চন্দ্র মল্লিকা, রাঁধাচুড়া এবং রংগন ফুল এনে ওর টেবিলে রাখতাম...