নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উইকিপিডিয়া
বড় কাটরার কথা মোটামুটি সকলেই জানেন। এটি পুরান ঢাকায় চকবাজারের কাছে অবস্থিত মুঘল আমলের একটি সরাইখানা। সম্রাট শাহজাহানের ছেলে শাহ সুজার নির্দেশে ১৬৪৪ থেকে ১৬৪৬ সালে মীর আবুল কাসিম বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এই ইমারতটি নির্মাণ করে ছিলেন। সেটি অনেক দিন থেকেই নানান ভাবে দখল হয়ে আছে। কয়েকবার এটি ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টাও হয়েছিলো বেশ কয়েক বছর ধরেই। শেষ সম্ভবতো হাইকোর্টের নির্দেশে ভাঙ্গার হাত থেকে বড় কাটরাকে বাঁচানো গিয়েছিলো। কিন্তু শুনতে পাই গত প্রায় দুই মাস ধরে বড় কাটরা আবার ভাঙ্গা হচ্ছে।
প্রথম আলো পত্রিকার রিপোট -
আবার ভাঙা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বড় কাটরা, বহুতল ভবন তৈরির পাঁয়তারা
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মোগল স্থাপত্য বড় কাটরার একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে বহুতল ভবন তৈরির পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করা সংগঠন আরবান স্টাডি গ্রুপ (ইউএসজি)।
ইউএসজির তথ্য অনুযায়ী, বড় কাটরার মূল স্থাপনার একটি অংশ (বড় কাটরা লেনের ১৫ নম্বর হোল্ডিং) ভাঙা হয়েছে। দোতলা স্থাপনাটি ভাঙা শুরু হয় গত জুলাইয়ে। বিষয়টি জেনে গত ৩১ জুলাই চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ইউএসজি। এরপর কিছুদিন ভাঙার কাজ বন্ধ ছিল।
ভবনটি আবার ভাঙা হচ্ছে বলে গত রোববার খবর পায় ইউএসজি। বিষয়টি চকবাজার থানায় জানানো হয়। তখন থানার পক্ষ থেকে কাজ বন্ধ করার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু সেদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় স্থাপনাটি ভাঙার কাজ চলছেই।
এ অবস্থায় চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করে ইউএসজি। পরে ভাঙার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটির বড় ক্ষতি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইউএসজির প্রধান নির্বাহী তাইমুর ইসলাম।
কে বা কারা স্থাপনাটি ভাঙছে জানতে চাইলে তাইমুর ইসলাম বলেন, ভাঙার সঙ্গে আলী হোসেন নামের এক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। তিনি নিজেকে স্থাপনার ওই অংশের মালিক বলে দাবি করছেন।
ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটির বড় ক্ষতি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইউএসজির প্রধান নির্বাহী তাইমুর ইসলাম
ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটির বড় ক্ষতি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইউএসজির প্রধান নির্বাহী তাইমুর ইসলামছবি: সংগৃহীত
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চকবাজারের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গার তীরে মোগল স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন বড় কাটরা। ইমারতটি আয়তাকার ভূমি পরিকল্পনায় নির্মিত। ১৬৪৪ সালে শাহ সুজার বাসস্থান হিসেবে নির্মাণ করা হয় এ কাটরা। এতে মোগল স্থাপত্যশৈলীর সব বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। ইমারতটির বিভিন্ন অংশ বর্তমানে বিলুপ্ত। দক্ষিণের আদি অংশটুকু অক্ষত রয়েছে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছে বড় কাটরা। ২০২০ সালে তালিকায় থাকা স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। আবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে সংরক্ষিত পুরাকীর্তির তালিকার ৬৪ নম্বরে রয়েছে বড় কাটরা। সে অনুযায়ী, দুটি সংস্থাই ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনা সংরক্ষণে দায়বদ্ধ।
স্থাপনাটি ভাঙার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, বড় কাটরা ভাঙার বিষয়টি তাঁকে কেউ জানায়নি। এই প্রতিবেদকের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্নসম্পদ আইন অনুযায়ী, কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে সরকার চিহ্নিত করলে সেটি ভাঙা যাবে না; সংরক্ষণ করতে হবে। কেউ সেটি সংরক্ষণে অক্ষম হলে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। অধিদপ্তর সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেবে। আবার সরকার চাইলে সংরক্ষণের জন্য ওই স্থাপনাসহ জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে।
জানতে চাইলে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত প্রথম আলোকে বলেন, ভাঙার খবর পেয়ে অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা সেখানে গিয়েছিলেন। দিনভর সেখানে থেকে স্থাপনাটি যাতে না ভাঙা হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছেন।
ছবি : ফেসবুক
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
পুরানা ঢাকার পুরানা দালানের বেশ কয়েকবার তালিকা করে হয়েছে। বেশ কয়েকবার সেগুলিতে লোক না থাকার অথবা না ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছে। যতদুর জানি প্রায় ২২০০ ইমারত সেই তালিকায় ছিলো। এই পর্যন্ত, তারপরে আরো কোসনো খবর রাখে নাই। ঈদের ছুটি ধুম করে কোনো দালানা ভেঙ্গে ফেলার পরে আমরা কিছুটা লম্ফ-ঝম্প করি, পুরাতত্ত্ব বিভাগ সেই লম্ফ-ঝম্প দেখে বিনদিতো হয়।
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৮
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: শহরে মানুষ নামের জানোয়ার গুলো সংরক্ষনের জায়গা দরকার।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কারো কারো ভিতরে জানয়ার বাস করে বটে।
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৯
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: নিজেরাই এখন ঐতিহ্যবাহি হয়ে গেছে; পুরাতন ঐতিহ্যবাহি রেখে কি হবে?
তাদের তো ঐতিহ্যবাহি ধরে রাখতে হবে না!--------
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সবাই লাভ আর লোভের কাছে বন্দী
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন খারাপ করার মতোই ঘটনা।
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
স্বদেশ১ বলেছেন: আহারে!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হুম
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
বিটপি বলেছেন: আচ্ছা, ঐটা কি ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা? তাই যদি হয়ে থাকে, তবে সরকার তা ভাঙ্গায় কওন নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেনা। যার দরকার, সে ভাঙবেই। কিন্তু সেটা যদি সরকারী জায়গা হয়, তবে কারো তো ভাঙতে যাবার কথা নয়। বুঝতে হবে সরিষার মধ্যেই ভূত আছে। সেই ভূত ঝাড়বে কে?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বড় কাটরার মালিকানা কেউ কি করে পেতে পারে? সরকার কি কখনো বড় কাটরা বিক্রি করেছের। আশপাশের যায়গা নানান জালিয়াতি করে লোকের দখল করে রেখেছে। এই গত বছরই দেখে এসেছি সদরঘাটের কাছেই এখনো টিকে আছে ভাওয়াল রাজার কাচারি। সেটির মালিকানা কার?
তবে সরিষার মধ্যেই ভূত আছে সেটিতে কোনো সন্দেহ নাই। সেই ভূল তিন তরফেই আছে।
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৩
অক্পটে বলেছেন: এতবড় সাহসতো হবার কথা নয়। এর ঐতিহ্য ইতিহাস কি বলে? এটাতো ব্যক্তিমালিকানাধিন হবার কথা নয়।
বেতনখোরেরা অবশ্যই এখানে ঘুষটুষ খেয়েছে। তাদের চরম সাস্তি হবার কথা।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: উইকি বলছে বর্তমানে এটি জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম, বড় কাটরা মাদ্রাসার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালীদের প্রভাব আর ঘুষের কাছে সব কিছু পরাজিত হচ্ছে।
৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অজানা ছিল। জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কত কিছই অজানা থেকে যায় আমাদের।
এটি আপনার গন্ডির বাইরের বিষয় তাই আপনার অজানা ছিলো। যেমনি ভাবে মিডিয়া জগতের খবর আমার কাছে অজানা থেকে যায়।
৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: " দেখা হয় নাই দু চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দু পা ফেলিয়া" -
যদিও নানা কারনে ও দীর্ঘদিন পুরান ঢাকায় যাওয়া-আসা হয়েছে তবে জানার অভাবে কিংবা সময়ের অভাবে যা দেখতে-জানতে পারিনি তা আপনার লেখার মাধ্যমে জানা ও দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ রইলো ভাই।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
দেখার আগেইতো ভেঙ্গে শেষ করে দিচ্ছে!!
পুরান ঢাকায় এগুলি দেখার দুটি সমস্যা। প্রথম সমস্যা হচ্ছে প্রচুর যানজট ও জনজট। লোকেদের জন্য হাঁটা যায় না। তাই আমরা প্রতি বছর রোজার ঈদের পরের ২ দিন ঐ এলাকায় হেঁটে হেঁটে সব ঘুরে দেখি। তখন কিছুটা সবটাই ফাঁকা থাকে।
দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে প্রায় সবগুলিই বেদখল হয়ে আছে। যারা দখল করে রেখেছে তারা দেখতে দিতে ছবি তুলেতে দিতে চায় না। মাঝে মাঝে মারমুখিও হয়ে উঠে।
১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এটার আশে পাশে বেশ কিছু ঐতিহ্য বাহী পুরান ঢাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সম্ভবত।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বলতে আপনি ঠিক কিবুঝাতে চেয়েছেন আমি বুঝিনি। তবে আর চারপাশে কয়েক হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।
১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৭
খাঁজা বাবা বলেছেন: হয়ত দেখা যাবে এর পেছনে হাজি সেলিম রয়েছে।
পুরান ঢাকার সবচেয়ে বড় ভূমি খেকো।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সারা দেশ জুড়েই হাজার হাজার সেলিম রয়েছে রয়েছে। তাদের কেউতো পিছনে আছেই।
১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৪
কামাল৮০ বলেছেন: শকুনের চোখ যখন পড়েছে,এটাকে আর রক্ষা করা যাবে না।টাকায় সব ম্যানেজ হয়ে যাবে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কিছু দিন পরপর এমন একটু একটু কর ভাঙ্গতে ভাঙ্গে এক দিন সবটাই শেষ হয়ে যাবে।
১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা এমনিতেই দখল হয় আছে বহু আগ থকেই। এখন ভাঙার কারনে নিউজ হয়ছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
দখল হয়ে থাকলেও অস্তিত্বটাতো ছিলো, দেখাতো যেতো। এখনোতো....!
১৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৬
আবদুল বারি রোহিতপুর বলেছেন: খুবই খারাপ একটি জিনিস
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
হে
১৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা ভালো কিছু গড়তে পারিনা। গড়া জিয়া রক্ষাও করতে পারি না। +
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লোভ আর অশিক্ষা্ আমাদের গ্রাস করেছে।
১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: প্রথম আলোতে নিউজটি আগেই পড়েছিলাম...। আর পড়ে মেজাজটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল.....নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে আর কোনো জাতি মনে হয় এতটা অবহেলায় ফেলে রাখে না.....আপসোস....গদির নেশায় সব গোল্লায় চলেছে.....
কিছুদিন আগে নাটোরের এক কয়েকশ বছরের পুরোনো রাধাগোবিন্দ মন্দির দেখতে গিয়েছিলাম....প্রত্যন্ত গ্রামে....এক গোয়াল ঘরের পাশে আধা-ভাঙ্গা অবস্থায় আছে। প্রত্নত্বাত্তিক অধিদপ্তর একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে সেটায় কোনো লেখা নেই..মুছে গিয়েছে....কোনো তদারকি নেই....আর কিছুদিন পরে হয়ত নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাবে অসাধারণ কারুকাজ করা প্রায় চারশ বছরের পুরান মন্দিরটি.....এগুলো আর সরকারি কর্মচারিরা এখন দেখেও না মনে হয়। আপসোস....
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
প্রত্নত্বাত্তিক অধিদপ্তর একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েই তাদের দায়িত্ব থেকে হাত ধুয়ে নেয়। শুধু যেখানে যেখানে টিকিটের ব্যবস্থা করে টাকা তোলার সুযোগ আছে সেগুলিতে তাদের আগ্রহ থাকে লিস দিয়ে তলে তলে কিছু কামিয়ে নেয়ার।
পুরনো এই স্খাপনা গুলি সম্পর্কে আমাদের দেশের লোকদের কোনো আগ্রহ বা জ্ঞান নেই।
একবার ধামরাইয়ের একটি গ্রামের ভিতরে গিয়েছিলাম একটি ছোট সুন্দর চিনিটুকরির কাজ করা মসজিদের সন্ধানে। গ্রামের বেশ কিছুটা গিয়েছিলাম ভ্যানে করে। পরে কাচা রাস্তা খুব খারা হয়ে গেলো। আমরা ৩-৪জন ছিলাম। সকলে মিলে সেই ভ্যানটাকে তুলে ধরে, কিছুটা টেনে, কিছুটা ঠেলে মেলা কষ্ট যায়গামত পৌছে দেখি সমজিদটিকে ভেঙ্গে সেখানে একটি তিন তলা মসজিদের কাজ শুরু করেছে।
১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,
কষ্টকর এবং একই সাথে দুঃখজনক।
যে জাতি তার ইতিহাসকে মুছে ফেলে, ইতিহাস একদিন তাকেই ছুঁড়ে ফেলে আস্তাকুড়ে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লোভ আর অশিক্ষা্ আমাদের গ্রাস করেছে। শুধু মাত্র সৎইচ্ছাই যথেষ্ট এগুলি রক্ষা করার জন্য। সেই ইচ্ছেটাই নেই উপর মহলের।
১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: একবার ধামরাইয়ের একটি গ্রামের ভিতরে গিয়েছিলাম একটি ছোট সুন্দর চিনিটুকরির কাজ করা মসজিদের সন্ধানে। গ্রামের বেশ কিছুটা গিয়েছিলাম ভ্যানে করে। পরে কাচা রাস্তা খুব খারা হয়ে গেলো। আমরা ৩-৪জন ছিলাম। সকলে মিলে সেই ভ্যানটাকে তুলে ধরে, কিছুটা টেনে, কিছুটা ঠেলে মেলা কষ্ট যায়গামত পৌছে দেখি সমজিদটিকে ভেঙ্গে সেখানে একটি তিন তলা মসজিদের কাজ শুরু করেছে। --- কী নিদারুন অবস্থা? নাটোরের সেই মন্দিরটি দেখার জন্যও আমাদের প্রায় কিলো দুই রাস্তা কাদা মেখে হেটে. বিল..নদি পার হয়ে এ বাড়ি সে বাড়ির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল.....
অথচ মজার বিষয় হচ্ছে সেই গ্রামে ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি উচ্চ বিদ্যালয় লক্ষ্য করেছি যা গোটা বাংলাদেশের মফস্বলে প্রতিষ্ঠিত স্কুলের মধ্যেই অন্যতম পুরাতন মনে হয়। ঐ বিলের ভেতরের গ্রামে এই স্কুল...পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ি আর অবহেলিত মন্দির....
আরো মজার বিষয় হচ্ছে আমি যখন নাটোরেই আমার এক বিসিএস ক্যাডার বন্ধুর কাছে সেই গ্রাম, স্কুল, মন্দিরের গল্প বলছিলাম...তখন সে জানালো যে সেই এক গ্রামেই নাকি বিসিএস 'এডমিন ক্যাডার'-র ১৭ জন রয়েছে...যা এলাকায় বিরাট আলোচিত ব্যপার। এখন বুঝুন....এত ঐতিহ্যবাহী গ্রাম...এত এত আমলা অথচ একটা কয়েকশ বছরের পুরাতন মন্দির চোখের সামনে ধ্বসে যেতে দেখছে। গ্রামটির নাম লাহিনীপাড়া-খাজুরাহ.......
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি খাজুরা মন্দির এর কথা বলছেন হয়তো। এর পাশে কি কোনো জমিদার বাড়িও আছে? এই মন্দির সঠিক লোকেশন আমার কাছে নেই। পেলে ভালো হতো।
বীরকুটশা আদর্শ স্কুল আর কলেজের কথাকি আপনি বলছেন?
১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪২
রানার ব্লগ বলেছেন: লোভী আর নোংরা মানুষে ভরে গ্যাছে দেশ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
দিন দিন তাদের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে।
২০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমার ভাবতেই কষ্ট লাগছে, কিভাবে এই স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলছে?
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মাঝে মাঝেই এমন কাজ এরা করে দেশের নানান যায়গায়। সরকার নিশ্চুপ থাকে।
২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাকে ঢাকা থাকার অনুমতি কে দিল আমি চিন্তা করি। প্রায় ৫০ বছর ঢাকা থাকার পরও বড় কাটরা, ছোট কাটরা দেখলাম না। বড় কাটরা পুরো ভাঙ্গার আগেই দেখে আসা উচিত হবে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এখন যাবেন না।
পরিস্থিতি ঠান্ডা হওয়ার পরে যাবেন। এখন ইয়ে ফাওয়ের উপরে ফ্রী ফ্রী গ্যাঞ্জামে পরে গেলে বিষয়টা খারাপ দেখাবে।
সবচেয়ে ভাল সময় হচ্ছে রোজার ঈদের পরের দিন যাওয়া। ততো দিন অপেক্ষা না করতে চাইলে শুক্রবার যাবেন।
মূল ফটক ছাড়া তেমন ভাবে দেখার কিছু নেই। ফটকের পূর্বপাশ দিয়ে উপরে উঠার সুযোগ পাবেন। পশ্চিম পাশের গলি দিয়ে এগুলো সামান্য দেখতে পাবেন।
পুরান ঢাকায় অনেক কিছু দেখার আছে। আপনি চাইলে আমি তাদের তালিকা, গুগল ম্যাপে লোকেশন আপনাকে দিতে পারবো। তবে দেখতে হবে হেঁটে হেঁটে। তাই শীতের সময়টাই বেস্ট সময়।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
২২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩
অঙ্গনা বলেছেন: জগন্নাথ ইউনি তে গেলে এইসব বিল্ডিং খুজেখুজে যাওয়া মাস্ট। সবাই মিলে ঘুরতে যাইতাম।
হেরিটেজ বলে এই দেশে কিছু রাখবে না মনে হয়।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি গত কয়েক বছরে রোজার ঈদের পরেইন ঐ এলাকায় পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে নানান স্থাপনা দেখেছি। একেবারেই বেহাল অবস্থা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৪
শাহ আজিজ বলেছেন: খুবই উদ্বেগজনক বিষয় । আমরা ছাত্রাবস্থায় বড় কাটরার স্কেচ করতেে যেতাম । পুরাতন ঢাকার কোন স্থান বাদ নেই যেখানে আমি পা দেইনি । পুরাতন স্থাপনা সংরক্ষনে সরকারের উদাসীনতা লজ্জাজনক । কিন্তু পুরাতত্ত্ব বিভাগ আছে আছে বেতনখোর কর্মচারী । আমি খুবই দুঃখিত ভাঙ্গার ছবি দেখে ।