নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উৎসর্গ : এই সমস্ত বালখিল্য কাজে আমারই মতো সমান আগ্রহবোধ করেন যিনি সেই প্রিয় ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ভাইকে এই পোস্টটি উৎসর্গ করা হলো।
কলিকাতার কানাই কর্মকারের কনিষ্ঠা কন্যা কাকলী কর্মকারে কথা সেই কোন কাল থেকেই আমরা শুনে এসেছি।
অনেক বছর আগে ২০১০ সালে হঠাত কি মনে করে ক সর্বস্ব ৩ লাইনের সেই লেখাটুকুকে ভেঙ্গে-চুড়ে বা বলা ভালো টেনে-হিচড়ে বেশ বড় একটা রূপ দিয়ে ছিলাম। প্রজন্ম ফোরামে সেই লেখাটি সম্ভবতো প্রথম প্রকাশ করেছিলাম। পরে সেখান থেকে অনেক যায়গায় নামে বেনামে ছড়িয়ে পড়েছে লেখাটি। লেখাটি ছিলো এমন -
কলিকাতার কবিভাবাপন্ন, কাব্যানুরাগী কানাই কর্মকারের কোমলকন্ঠি-কাজলাঞ্জন কনিষ্ঠা কন্যা কাকলী কর্মকার, কপাল কুঞ্চিত করিয়া কঙ্কন কচলাইয়া কচলাইয়া, কাকা কেদার কর্মকারকে কানে কানে কোমল কন্ঠে কহিলো-
কাকা, কুঞ্জে কৃষ্ণ-কালো কোকিল কাকুতি করিতে করিতে কুহু কুহু করিলেও কলিকাতার কতিপয় কালো কাক, কোকাইতে-কোকাইতে কোন কারণে, কুলক্ষণে কা-কা করে?
কাকেরা কা-কা করিয়া কাহাকে কাকা কহিতেছে?
কুহেলী কালো কাকেদের কাকাবা কে?
কটুভাষী, কৃপণ কেদার কাকা কটাক্ষে কটমট করিয়া কহিলেন- কন্যা, কপাল কুঞ্চিত করিতেছো কেনো? কোকিল কুহু কুহু করিলেও কাক কা-কা করিবেই, কেনোনা কা-কা করাই কাকের কাজ, কাজেই কাক কা-কা করে। ক্লিষ্ট-কপট-কটু কণ্ঠি কালো কাকের কপালে কা-কা করাই কঠিন কর্তব্য।
কাকেদের কাকা কোনো কালেই কেহনা।
সূত্র : পরিবর্তন ও পরিবর্ধনে নিজ
২০২০ সালের জুনে সামুতে বিবাহ বিভ্রাট - ১ পোস্ট করার পরে আমাদের সকলের প্রিয় সাড়ে চুয়াত্তর ভাই কমলাকান্তের কৃষ্ণ কন্যাকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে মন্তব্যের ঘরে আমি উপরের আমার লেখা অংশ টুকু দিলে সাড়ে চুয়াত্তর ভাই তার প্রতি উত্তরে লেখেন -
কোকিলকে কেউ কৃতজ্ঞ কখনই কহিবে কও? কাকের কক্ষে কিশোর কাল কাটাইয়া কাককে করে কলঙ্কিত। কলিকাতার কানাই কর্মকারের কোমল কণ্ঠি কনিষ্ঠা কন্যা কাকলি কর্মকার কলিকাতার কতিপয় কালো কাকের কা কা কলরবে কোঁকানোতে ক্লান্ত কেন কও? কলিকাতার কেউ কেউ কাকের কা কা কেও কদর করে। কুঞ্জে কৃষ্ণ-কালো কোমল কণ্ঠের কোকিলের কুহু কুহু, কখনও কখনও কিঞ্ছিত ক্লান্তিকর কেউ কেউ কহেন। কাকের কাজ কাকে করিবে। কাকলি কর্মকার কটাক্ষ করার কে।
সেই একই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে আমি ক সর্বস্ব আরো একটি সংগৃহীত গদ্যাংশ পেশ করেছিলাম। সেটি হচ্ছে-
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী কলেজের কনিষ্ঠ কেরাণী কার্তিক কুমার কর্মকারের কোকিল কন্ঠী কন্যা কপিলা কর্মকার কাশিতে কাশিতে করুণ কন্ঠে কমল কাকাকে কহিল-
"কাকা, কড়ই কাঠের কেদারা কিংবা কারখানার কাপড় কেনাকাটায় কৃষাণীরা কিছুটা কৃচ্ছতা করিলেও কলকাতার কিশোরী কন্যাদের কাছে কুষ্টিয়ার কুচকুচে কালো কাতান কাপড়ের কদর কল্পনাতীত। কীর্তিমান কতিপয় কলাকুশলী কিংবা কিশোর কবিরাও কালি-কলমের কল্যাণে- কদরের কিছু কার্যকর কথা কৌশলে, কখনো কবিতার কিতাবে, কখনো 'কালের কন্ঠ' কাগজের কলামে কহিয়াছেন।
কিন্তু কাকা, কষ্মীনকালে কেউ কী কখনো কহিয়াছেন? কী কারণে, কিসের কারসাজিতে, কেমন করিয়া কোথাকার কোন কাশ্মিরী কম্বল কিংবা কর্ণাটকের কমলা কাতানের কাছে কালক্রমে কুলীন কূলের কায়িক কৃষাণীদের কাঙ্খিত কালজয়ী কারুকার্যময় কাতান কাপড়ের কদর কমিল?
কাজে-কর্মে কুশীলব কিন্তু কেবলই কৌতুহলী কপিলা কর্মকারের কঠিন কথায় কিঞ্চিত কর্ণপাত করিয়া ক্লান্ত কাকা কুষ্টিয়ার কিংবদন্তি কালো কাতানের ক্রমেই কদর কমার কয়েকটি কারণ কোমল কন্ঠে কপিলার কানে কানে কহিলেন। কৃষ্ণকায় কাকাকে কাপড়ের কষ্টের কিচ্ছা কাহিনী কহিয়া কপিলা কর্দমাক্ত কলস কাঙ্খে করিয়া কালোকেশী কাকিকে কহিল-
"কাবেরী কোলের কেয়া-কুঞ্জে কোয়েলের কলকাকলি কিংবা কেতকী কদম কুসুম কাননে কোকিলের কন্ঠে কুহু কুহু কুজনের কতই কারিশমা! কিন্তু কাকী, কদর্য কাক কী কারণে কর্কশ কন্ঠে কানের কাছে কেবল কা-কা করে"?
কাঁচের কংকন করিয়া কিংকর্তব্যবিমূঢ় কাকী কিলানো কাঁঠালের কদলি কচলাইতে কচলাইতে কহিলেন-
"কুৎসিত কেতাদুরস্ত কাকের কাজই কা-কা কলরবে কোলাহল করিয়া কেরামতির কৃতিত্ব কুড়ানো"।
সূত্র : কংগৃহীত থুক্কু সংগৃহীত
সাড়ে চুয়াত্তর ভাই এর প্রতি উত্তরে লেখেন -
কপিলা কর্মকারের কাকী ক্লান্ত কণ্ঠে কহিল কুষ্টিয়ার কাতান কাপড়ের কদর কমিয়াছে কে কয়? কুমিল্লার কলাতলির কুলিন কুলের কতিপয় কুচ কুচে কালো কায়িক কিশানি, কীর্তিমান কতিপয় কলাকুশলী, কেতাদুরস্ত কিন্তু কুৎসিত কিশোর কবিরা কর্ণাটকের কাতান কাপড় কিংবা কাশ্মীরী কম্বল কিনিয়া কাদিতেছে ক্লান্তিতে, কষ্টে কপাল কুঁচকাইয়া। কুষ্টিয়ার কাতান কাপড়ের কার্যকর কৌশলের কল্যাণে কর্ণাটকের কাতান কুপকাত। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি কলেজের কনিষ্ঠ কেরানী কার্ত্তিক কুমার কর্মকারের কোকিল কণ্ঠি কন্যা কপিলা কর্মকারের কৃষ্ণকায় কাহিল কাকী কর্দমাক্ত কলস কাঁখে করিয়া কর্ণাটকের কাতানের কদর কমাতে কালো কেশী কন্যা কমলাকে কর্কশ কণ্ঠে কাঁঠালের কদলি কচলাইতে কচলাইতে কহিল ‘কুষ্টিয়ার কাতান কাপড়ের কদর কমা কল্পনাতীত’।
যেই পোস্টে ক নিয়ে এতো কচলাকচলি হচ্ছিলো সেই পোস্টে সাড়ে চুয়াত্তর ভাই লিখেছিলেন -
কমলাকান্তের কৃষ্ণ কন্যা (শব্দের ব্যবহার ও বাক্য গঠন চর্চার উপর পোস্ট)
কাঠুরিয়া কমলাকান্ত কষ্ট করিয়া কাঠ কাটিয়া কামাই করে। কমলাকান্তের কৃষ্ণবর্ণ কেশযুক্ত কৃষ্ণকায় কিন্তু কমনীয়, কোকিল কণ্ঠি কন্যা কুমুদিনী কল্পনা কুমারী কুঁড়েঘরের কাছে কাপড় কাঁচে। কমলাকান্ত কন্যাদানের কথা কল্পনা করিয়া ক্লান্ত, ক্লিষ্ট, কাতরভাবে কাটায় কাল। কমলাকান্তের কালো কন্যার কন্যাদানের কথায় কেউ কেউ কেবলই কানাঘুষা করে। কমলাকান্তের কষ্ট, কাতরতা কন্যা কুমুদিনী কল্পনা কুমারিকে করে কেবলই কুণ্ঠিত। কলিকাতার কবি কল্লোল কুমার কিরণ কমলাকান্তের কালো কেশযুক্ত কৃষ্ণকলি কন্যা কুমুদিনী কল্পনা কুমারিকে কায়মনোবাক্যে কামনা করিয়া কবিতায় কাটায় কাল। কার্তিকেই কমলাকান্ত কন্যাদান কার্যনিষ্পত্তি করিল। কন্যাদান কার্যসাধন করিয়া কালান্তরে কাঠুরিয়া কমলাকান্ত কষ্ট করিয়া কাটায় কাল কাঠ কাটিয়া, কন্যার কল্পনায়।
এই সবই গেলো পুরনো কথা। ক নিয়ে এতো কপচানোর পরে নতুন কোনো ক-কপচানি না দিলে খারাপ দেখায়। তাই বেশ কিছুটা সময় কাটাকাটি করে নিচের গদ্যাংশটুক তৈরি করা গেলো।
করনা কালিন কষ্টের কঠিন কাল কাটাইয়া কৃষ্ণকায় কাদম্বরী কাকী কনিষ্ঠা কন্যা কনকপ্রিয়াকে কহিলেন- করনার কষ্টের করুণ কাহিনী কহিব কাকে?
কাকীর কনিষ্ঠা কন্যা কনকপ্রিয়া কহিল- কেন কঞ্চন কাকাকে কও!
কনকপ্রিয়া কাঞ্চন কাকার কাছে করনায় কাতর কাদম্বরীর করুন কাহিনী কাঁদিতে কাঁদিতে কহিলো।
কাঞ্চন কাকা কনকপ্রিয়া কাছে কাদম্বরীরর করুন কাহিনী কর্ণগোচর করিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে কহিল - করুণাময়ের কাছে কাদম্বরীর কুসল কামনা করি। কৃপাময় কৃপা করিয়া কাদম্বরীর কল্যাণ করুন।
কনকপ্রিয়ার কনীনিকায় ক্যাচ করিলো কাজিন কিরণ কর্মাঙ্গনের কোনের কাননে কসরত করিতেছে।
কনকপ্রিয়া কাব্যকে কহিলো- কিরে কি করিস?
কিরণ কহিল- কসরত করিতেছি।
কনকপ্রিয়া কহিল- কলেজ কামাই করিয়া কসরত করিবার কথা কে কহিয়াছে? কসরত কম করিয়া কোন কাজ-কর্ম কর।
কিরণ কহিল- কি কাজ করিবো? কাজ করিবই কিভাবে? কখনো কোনো কাজ করিনাই। কাজ করে কামলায়। কিরণ কেন কষ্টের কাজ করিবে? কওতো কনকপ্রিয়া কেনো কু-বুদ্ধী কইতেছে কানে?
কিরণের কটু কথায় কনকপ্রিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে কহিলো। কাকাকে কাজের কাথা কহিলে কোনো কথা কয়না। কজের কথা কহিলে কিরণ কেবল কটু কথা কয়। কিরণ কন্ঠে কলকল করিয়া কেবল কর্কশ-কটু কথা কয়। কুটু কথায় কান্না পায়। কিরণ কইতেছি- কঠিন কর্কশ কথা কম কইবে, কেমন?
আজ তবে এই পর্যন্তই রইলো।
=================================================================
বাংলা ভাষার সৌন্দর্য
প্রবাদ-প্রবচনে "অতি"
বাংলা বাগধারা-প্রবাদ-প্রবচনে চাঁদ
চাঁদ নিয়ে আরো ৫৯টি প্রবাদ-প্রবচন
বাংলা বাগধারা-প্রবাদ-প্রবচনে তাল
তাল নিয়ে আরো ৪৩টি প্রবাদ-প্রবচন
অন্ধ নিয়ে ২০টি প্রবাদ-প্রবচন
অন্ধ বা কানা নিয়ে আরো ১৫৫টি প্রবাদ-প্রবচন
কপাল নিয়ে ৫১টি প্রবাদ-প্রবচন
কুকুর নিয়ে ৩৭টি প্রবাদ-প্রবচন
গাধা নিয়ে ২৮টি প্রবাদ-প্রবচন
গাধা নিয়ে আরো ৫৯টি প্রবাদ-প্রবচন
বানর নিয়ে ৬৭টি প্রবাদ-প্রবচন
বাঘ নিয়ে ১৩২টি প্রবাদ-প্রবচন
সাপ নিয়ে ১১০টি প্রবাদ-প্রবচন
হাতি নিয়ে ১৫২টি প্রবাদ-প্রবচন
ভাল্লুক নিয়ে ২৪টি প্রবাদ-প্রবচন
ঢাকাবাসীকে ডেকে কই, নাক-মুখ ঢাকা কই!!!, দেখা-দেখি, হট্টবিলাসিনী (১৮+), শুক্তিবাক্য
ব্যাসবাক্য সহ কতিপয় সমাস, আধুনিক বাক্য সংকোচন, নতুন শব্দার্থ, নতুন বিপরীত শব্দার্থ, অ তে অজগর, A for Apple
প পদ্য....., এ-পলাশ সে-পলাশ নহে, বিবাহ বিভ্রাট - ১, বিবাহ বিভ্রাট - ২
পরিচিত শব্দের ভিন্ন রকম অর্থ - ১, পরিচিত শব্দের ভিন্ন রকম অর্থ - ২
=================================================================
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
রমাকান্তপোদ্দার না ভাইজান, এটা হবে রমাকান্ত কামার। এমন আরো আছে- নিধুরাম রাধুনি, সুবললাল বসু। তবে মহাসাগর টা বুঝলাম না।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কাজটি রীতিমত এক গবেষণার বিষয় এবং যথেষ্ট সময় ও শ্রমসাধ্যও বটে।
গত বছর পত্রিকায় দেখেছিলাম- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক লোক ২০ বছর গবেষণা করে ক আদ্যক্ষরে ২৭ হাজার শব্দের সমাহারে ৩ টি বই লিখেছেন; এ কাজ করতে গিয়ে তিনি তার সংসার হারিয়েছেন, মানে তার বউ ছেলেমেয়ে তাকে ছেড়ে চলে গেছে এবং চাকরিও হারিয়েছেন। view this link ভাষা নিয়ে এমন গবেষণা করার জন্য লোকটিকে পুরষ্কৃত করা উচিৎ।
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এই বেচারা খবর অনেক দিন আগেই শুনেছি। উনার নাম ইকবাল সর্দার নাজমুল কবির। তার বই ৩টি হচ্ছে- কেষ্ট কবির কষ্টগুলো, কেষ্ট কবির কনফারেন্স, কেষ্ট কবি।
উনি শুধু একটি শব্দ ক দিয়ে লিখতে পারেন নি। সেটি হচ্ছে মৃত্য।
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ক আদ্যক্ষরে মৃত্যু'র কোন সমর্থক শব্দ নেই আসলে, থাকলে উনি তা এতদিনে বের করে ফেলতেন। তাই আপনি মৃত্যু'র নতুন একটা সমর্থক শব্দ তৈরি করে ফেলেন।
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
দস্যুরা নতুন শব্দ তৈরি করে না। নতুন শব্দ তৈরির কারিগর হচ্ছেন কবিগণ। এই দুই দিন আগেও আমাদের একজন কবি একটি নতুন শব্দ উপহার দিয়েছেন।
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর (সাচু ভাই)এর সব পোস্ট ভালো লাগে পড়তে। আপনার পোস্টও। আসলে সুন্দর মনের মানুষের পোস্ট সবাই পড়েন। তাদের সবাই পছন্দ করেন।
এই পোস্টটি ভালো হয়েছে।
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আমি ব্লগিং করি নিজের আনন্দের জন্য। নিজের তোলা ছবি শেয়ার করি। ওতে কারো উপকার না হলেও ক্ষতি হয় না। আমি বেকার মানুষ, হাতে অলস সময়ের কোনো অভাব নাই। তাই বেকার সময়টুকু আনন্দে কাটানুর জন্যই পোস্ট তৈরি করি, ব্লগিং করি। কারো কারো ভালো লাগে, সেটা আনন্দকে শতগুন বাড়িয়ে দেয়।
৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: ক নিয়ে বিশাল ইতিহাস! পড়ে শেষ করেছিলাম অফলাইনে, পড়তে গিয়ে আমার দাত অক্ষত আছে এতেই খুশি!
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
শেষপর্যন্ত অক্ষত দাঁতে পড়া শেষে মন্তব্য করতে পার জন্য আপনাকে অভিনন্দন।
৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: এত কষ্ট জীবন নষ্ট!
ক দিয়ে কষ্ট
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ক দিয়েই এমন কাজ সবচেয়ে বেশী করা হয়েছে।
একজনতো শুধু কদিয়েই ৩ টি বই লিখে ফেলেছন।
৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫
অপ্সরা বলেছেন: কে???
কোথায়???
কোন বই????
কি নাম???
কার বই???
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
উনার নাম ইকবাল সর্দার নাজমুল কবির।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থাকেন।
বই ৩টি হচ্ছে- কেষ্ট কবির কষ্টগুলো, কেষ্ট কবির কনফারেন্স, কেষ্ট কবি।
উনি শুধু একটি শব্দ ক দিয়ে লিখতে পারেন নি। সেটি হচ্ছে মৃত্য।
তার লেখার নমুনা নিম্নে রইলো-
কাকা কবিরকে কহিলেন কষ্ট করে কাজটি কর। কাজটি কিন্তু কঠিন। কাকার কথায় কবির কাজটি করিল। কিন্তু কবির কাজটি করে কাদঁছিল। কবিরের কান্নায় কাকা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কিছুক্ষণ কেদেঁ কবির কাকাকে কহিল কোমর ও কাধেঁর কষ্টের কথা। কেন কাকা কবিরকে কাগজ কাটার কঠিন ও কষ্টকর কাজটি করতে কহেছিলেন? কাগজ কাটাই কবিরের কোমর ও কাধেঁর কষ্টের কারণ। কাকা কখন কোথায় কী করেন কহা কষ্টকর।
কবির কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে কাগজের কোম্পানিতে কাজ করে। কবিরের কাকা কোম্পানির কমিউনিকেশন কর্মকর্তা। কাকা কবিরকে কর্মবীর কহিলেন। কারণ কবির কাজে কখনো ক্লান্তিবোধ করেনা। কবিরের কলিগ কেশব কুমার কর্মকার কোম্পানিতে ক্লার্কের কাজ করেন। কনিকা কুমারী কোম্পানীর কনিষ্ঠা কর্মচারী। কাকার কঠোর কমান্ডে কাজ করতে কবির-কেশব-কনিকা কখনোই কুন্ঠাবোধ করেননা। কিন্তু কাকা-কনিকার কিছু কর্মকাণ্ডে কবির-কেশব কখনোই কাকাকে কুর্ণিশ করেনা।
কিন্তু কাকি কাকাকে কিছু কহিলে কাকা কাকিকে কঠিন কঠিন কথা কহেন। কোন কারণে কাকি কোম্পানির কথা কিংবা কোম্পানির কনিষ্ঠা কর্মচারী কনিকার কথা কিছু কহিলে কাকা কর্কশ কন্ঠে কাকিকে কিছু কুকথা কহেন। কাকার কর্মকাণ্ডে কখনো কখনো কাকি কান্নাকাটি করেন। কাকি কাকাকে কিছু কষ্টের কথা কহিতেন। কিন্তু কহিবেন কিভাবে? কাকা কখন কটায় কোথায় কি কাজ করেন কহা কষ্টকর। কাকির কথা, কোম্পানিতে কাজের কাজ কিছুইনা। কোম্পানির কিছু কর্মকাণ্ড কাকির কষ্টের কারণ।
৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ প্রতিভা আপনাদের দুজনেরই।
আমরা হাইস্কুলে থাকা কালে (১৯৭৯-৮৪) জনৈক শিক্ষক ক-বর্ণের কচকচানি দিয়া একটা বাক্য বলেছিলেন, যেখানে কাক কা-কা করে ইত্যাদি ছিল। পুরো বাক্য মনে নাই, মনে রাখার চেষ্টাও করি নাই। আপনার এ সংক্রান্ত পোস্টগুলো দেখে সেই কথা মনে পড়ে।
তবে, ভাষার উপর যথেষ্ট দখল ও প্রতিভা না থাকলে এগুলো লেখার জন্য অ্যাটেম্পট নিলে খামোখা শ্রম ও সময় নষ্ট হবে এগুলো কেবল আপনাদের দ্বারাই সম্ভব।
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এই রকম ছোটখাটো কয়েক লাইন কিছুক্ষন সময় দিলে যে কেউ এমন একটা লেখা তৈরি করে ফেলতে পারেন।
এর জন্য ভাষায় দক্ষতার চেয়ে ধৈর্য্য আর শব্দ খোঁজার কৌশলটাই প্রধান।
তবে এমন টটোগ্রাম সাহিত্য রচনা করা কঠিন কাজ। বাংলা ভাষায় জাস্ট ৩টি এমন টটোগ্রাম বই আছে।
৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১
ককচক বলেছেন: কিরণের কটুকথা কনকপ্রিয়াকে কষ্টে ক্লিষ্ট করিয়াছে। কমবখত কিরনকে কট করিয়া কুচকুচে কেউটেসমেত কয়েদখানায় কিছুদিনের কয়েদি করিলে কিরনের কটুকথা কিংবা কমবখতি কিঞ্চিৎ কমতো।
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কিরণের কটু কথার কারণে কনকপ্রিয়া কাঁদিলেও ককচকের ক-এর কেরামতির কারিশমা কম কইবে কে?
১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কঠিন কঠিন কথা কইয়া কয়ের কচকচানি করিলেন। কেবলই কল্যাণ কামনা করিলাম কষ্ট করিবার কারণে।
কহিবে কি কলিকাতার কবি কল্লোল কুমার কমলাকান্তের কালো কেশযুক্ত কৃষ্ণকলি কন্যা কল্পনা কুমারিকে কেন কায়মনোবাক্যে কামনা করিয়া কবিতায় কাটায় কাল?
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কবি কল্লোল কুমারের কোন কালের কামনা কালো কেশী কন্যাকে কুল-কনে করিয়া কক্ষে কারাগারের কয়েদি করিবে। কল্পনা কুমারির কালো কেশে করি কল্লোর কুমার কারাবদ্ধ। কলাকৌশল করিয়া কবিতার কৌশলজালে কন্যাকে কামনা করিতেছে।
১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২১
রযাবিডি বলেছেন: অসাধারণ সব কচকচানি, শুধু মাত্র ভাষার উপরে কঠিন দখল স্বত্ত থাকলেই সম্ভব। অভিনন্দন।
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এই রকম ছোটখাটো কয়েক লাইন কিছুক্ষন সময় দিলে যে কেউ এমন একটা লেখা তৈরি করে ফেলতে পারেন।
এর জন্য ভাষায় দক্ষতার চেয়ে ধৈর্য্য আর শব্দ খোঁজার কৌশলটাই প্রধান।
১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: রমাকান্তপোদ্দার না, হবে রমাকান্ত কামার। এমন আরো আছে- নিধুরাম রাধুনি, সুবললাল বসু। তবে মহাসাগর টা বুঝলাম না।
মহাসাগর, মহাভারত কলম একবারও না তুলে একটানে লিখতাম.....
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
দ্বিতীয় বার মন্তব্য করে বিষয়টি জানানোর জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাই।
১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৬
ককচক বলেছেন: আপনার পোস্ট এবং মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়ে আনন্দ পেলাম।
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পোস্টে দ্বিতীয় বার মন্তব্য করে আনন্দ পাওয়ার কথা জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: কিছুদিন আগে ফেসবুকে এটাই পড়েছিলাম যতসামান্য ভিন্ন আংগীকে- কিশোরগঞ্জে কটিয়াদি কলেজের......... ছেলে বেলায় এমন খেলা খেলতাম/লিখতাম চিত্রালী/পূর্বাণী সিনে ম্যাগাজিনে। আবার নিচের ক্লাসে থাকতে একটানে রমাকান্তপোদ্দার, মহাসাগর ইত্যাদি শব্দ লিখতাম......সেইসব সৃজনশীলতা এখন আর নাই।