নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বীকারোক্তি :
লেখাটির শুরু হয়েছে সোনাগাজী সাহেবের একটি মন্তব্যের ঘরে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে। আমি কোনো ভ্রমণ বা দেশের দেখা প্রত্নতত্ত্বের স্থাপনার ছবি দিলেই তিনি জানতে চান সেখানকার লোকজন কেমন, তাদের জীবন যাত্রা কেমন, তারা কি করেন, তাদের জীবিকা কি ইত্যাদি।
সত্যি কথা বলতে আমি মানুষ জনের সাথে খুব একটা ভাব করতে পারি না।
তাছাড়া বেড়াতে যখন যাই তখন একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা মাফিক চলতে হয়। সেখানে মানুষ জনের সাথে মেশা গল্পগুজব করার সময় খুব একটা থাকে না। চলতি পথে হয়তো কারো সাথে টুকটাক কথা বলা যায়। এরচেয়ে বেশী কিছু না।
তবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ট্যুরিস্ট স্পটগুলির আশপাশের মানুষ, বেড়াতে আসা ট্যুরিস্টদের টাকার চলমান বোকা বাক্স বলে মনে করে। ঐসমস্ত এলাকর বেশীরভাগ লোক ধান্দাবাজ টাইপের হয় (হয়তো শুধু ট্যরিস্টদের সামনেই।) এমনকি বাচ্চাগুলিও বড়দের দেখে দেখে সেইসব শিখে নেয়। তবে কিছু ভালো লোক সব খানেই থাকে।
ট্যুরিস্টস্পটের বাইরে গ্রামের লোকগুলি এখনো খুবই আন্তরিক, খুবই মানবিক। তাদের সামনে আমরা শুহুরে লোকেরা অনেকটা রোবটের মতো, এবং স্বর্থপর।
গত ২৯-০৭-২০২২ ইং রোজ শুক্রকার। জুলাই মাসের শেষ শুক্রবার। বরাবরের মতোই Save the Heritages of Bangladesh-এর ডে-ট্রিপ ছিলো। এবারের গন্তব্য ছিলো শরিয়তপুর। সকাল থেকেই নানান পুরনো স্থাপনা ঘুরে ঘুরে দেখেছি। সারাদিন প্রচন্ড গরম গেছে। গাড়ি থেকে নেমে একটু হেঁটে স্থাপনাগুলি দেখে ছবি তুলার সময় টুকুতেই আমার গায়ের পাতলাা সাদা ফতুয়াটি বারবার ঘামে ভিজে যাচ্ছিলো।
সকাল ১১টার দিকে তেমনি ভাবেই গাড়ি থেকে নেমে অনেকটা পথ গ্রামের মেঠ পথে হেঁটে ঘামতে ঘামতে ভেজা ফতুয়া নিয়ে পৌছেছি রুদ্রকর গ্রামের রুদ্রকর মঠের সামনে। মঠটির ৩ পাশ থেকে গাছপালা এমন ভাবে ঝাকিয়ে আছে যে কোনো ভাবেই ছবি তোলা যাচ্ছে না। একপাশে সুবিশাল পুকুর থাকার কারণে সেই পাশটিতে কোনো গাছ নেই। পুকুরের উলটো পাশে গেলে ভালো ভিউ পাওয়া যাবে। তাই আমি সহ ৪০ জনের গ্রুপের অনেকেই হাঁটা শুরু করেছি পুকুরের উলটো পাশে যেতে। কেউ কেউ রয়েছে মঠেই, সেলফি তুলছে।
ততোক্ষেণে আকাশে কালো মেঘ জমেছে। অনেকেই মঠের বাম পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে পুকুরের উলটো পাশে যাওয়ার জন্য। আমার সেথে আরো তিন জন ডান পাশে হাঁটা ধরেছেন। আমিই সবার আগে। হাঁটতে হাঁটতে যখন পুকুরের উলটো পাশে প্রায় চলে এসেছি তখন শুরু হয়েছে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। ঘামে ভেজা ফুতুয়া আর গামছা এবার বৃষ্টিতে ভিজতে শুরু হয়েে। ছবি তোলার মত যায়গায় যখন পৌছেছি তখন বৃষ্টি মোটামুটি বাড়তে শুরু করেছে। দুই-তিনটি ছবি তুলতেই ক্যামেরাতে বৃষ্টির জল পড়তে শুরু করলো। গামছা দিয়ে ক্যামেরা ঢেকে একটি ঝাকালো গাছের নিজে দাঁড়ালাম। অন্য একজন দাঁড়িয়েছেন আমার কাছাকাছি, বাকি দুজন দৃষ্টির আড়ালে চলে গেছেন। বৃষ্টির লক্ষ্যণ খারাপ, দেখতে দেখতে সারা শরীর ভিজে গেছে। আমার পাশের মুরব্বীকে বললাম সামনে বাড়ি আছে সেখানে যাই। আমি হাঁটা ধরার পরে দেখলাম উনি অন্য পথে অন্য একটি বাড়ির দিকে যাচ্ছেন। আমি একটি বাড়ির পাশেই প্রচন্ড ঝাকালো একটি আম গাছের তলে গাছের শিকরেই বসে পড়লাম। কারণ ঝুম বৃষ্টির মধ্যেও তখনো গাছের নিচটা শুকনো। কিছুক্ষণ বসে থাকতেই গাছের পাতা বেয়ে বড় বড় জলের ফোঁটা পরতে শুরু করলো। বুঝে গেলাম জলের ফোঁটার সংখ্যা এখন দ্রুত আরো বাড়বে। ঠিক তখন একটি চিকন-চাকন লম্বা ছেলে পাশের পুকুরে গোসল করার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এলো। সে আমাকে দেখে বললো-
-আপনি বৃষ্টিতে ভিজে যাবেন। আমার বাড়িতে গিয়ে বসেন। চলেন আমার সাথে।
-ঠিক আছে চলেন। বলে আমি তার পিছু নিয়ে পাশের পাট শোলার রান্না ঘর পেরিয়ে একটি টিনের কাচা ঘরে গিয়ে উঠলাম।
মোটামুটি বড় এক রুমের একটি টিনের দোচালা ঘর, সামনে টিনের বারান্দা, কাচা মাটির ফ্লোর। বারান্দায় দরজার দুপাশে দুটি চৌকি। আমি পাশেই থাকা একটি চেয়ারে সবলাম আরাম করে ভেজা শরীর নিয়ে।
আমার ভেজা শরীর দেখে একটি গামছা দেয়া হলো শরীর মোছার জন্য। যদিও আমার কাছে একটি গামছা ছিলো, যেটি অলরেডি ঘাম আর বৃষ্টিতে ভিজে আছে। আমি একটি মগের জলে আমার গামছাটি ধুয়ে নিয়ে সেটি দিয়ে নিজেকে সামান্য মুছে নিয়ে সেটি শুকানোর জন্য দরজার উপরে ঝুলিয়ে দিলাম।
পাশের চৌকিতে একজন চাচা মিয়া শোয়ার ছিলেন। তিনি উঠে বসে আমার সাথে আলাপ করলেন। আমার কোথা থেকে আসছি, কেনো আসছি, কোথায় আসছি, কোথায় যাবো ইত্যাদি নানান বিষয় নিয়ে আলাপ করতে করতে বেশ কিছুটা সময় কেটে গেলো। বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষ্যণ নেই। এদিকে শুক্রবার বলে একটু আগে আগেই জুম্মার নামাজের আজান হয়ে গেলো। এরমধ্যে বাড়ির ভিতর থেকে এক বাটি ফজলি আম, এক বাটি গাছ পাঁকা কাঠালের কোয়া, এক বাটি চানাচুর, এক বাটি বিসকুট, দুই গ্লাস সরবত, এক গ্লাস পানি দিলো আমার সামনে। যদিও আমার মোটেও খুধা লাগেনি তবুও আমি কোনো সংকোচ না করেই বিস্কুট ছাড়া সব কিছুই একটু একটু করে খেলাম।
একসময় বৃষ্টি কমে এলো। আমি বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম। তখন চাচা-চাচী দুপুরের খাবার খেয়ে যেতে বললেন। আমি জানালাম আমাদের ৪০ জনের খাবার একটি রেস্টুরেন্টে অর্ডার দেয়া আছে। সময় মতো সেখানে গিয়েই খেতে হবে। উনারা আমাকে দুপুরের খাবার না খাওয়াতে পেরে একটু যেনো মন মরাই হয়ে গেছেন। আমি আবারও চাচীকে বুঝিয়ে বলে সালাম দিয়ে বৃষ্টি ভেজা কাদা মাটির উঠনে নেমে এলাম। একবারও পিছনে না তাকিয়ে ধীরে ধীরে সাবধানে পথে উঠে হাঁটা ধরলাম আমাদের জন্য অপেক্ষমান গাড়ির দিকে।
উৎসর্গ : জেনারেল সোনাগাজী
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনি যে আলাপ-চারিতার কথা বলেছেন সেটিতো হরহামেশাই হয় বেড়াতে গেলে। তবে সোনাগাজীর জানতে চাওয়ার মতো তথ্য পেতে হলে একটি যায়গায় স্থির হয়ে সময় দিতে হয়। বেড়াতে বেরিয়ে আমি সারাদিন ঘুরার উপরেই থাকে।
ঘুরতে গিয়ে লোকজনের সাথে কথা বলে আমি যত স্পটের (পুরানা স্থাপনার) খোঁজ পেয়েছি সেটির তালিকা বেশ লম্বা হবে।
আবার ভুল তথ্য পেয়ে অনেক ঘুরতেও হয়েছে। এইসব নিয়েই ভ্রমণ।
তবে বেড়াতে বেরিয়ে আমি সেই এলাকার লোকের সামাজিক অবস্থা, ব্যবসা, চাকরি, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি তথ্য জোগার কারার চেষ্টা করিনা। এগুলি আমার ভ্রমণের সাথে যায় না।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৯
ককচক বলেছেন: টুরিস্ট স্পটগুলোতে ধান্দাবাজ মানুষের আনাগোনা বেশি এটা ঠিক। তবে গ্রামের মানুষ এখনো আতিথিয়েতা করেন।
সোনাগাজীকে লেখার সুযোগ দেওয়া হলে খুশি হতাম। ব্লগের বা ব্লগারদের নেগেটিভ পজেটিভ মন্তব্য নেওয়ার মানসিকতা না-থাকাটা দুঃখজনক!
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই পোস্টটি টুরিস্ট স্পটগুলোর ধান্দাবাজ মানুষের নিয়ে লেখা নয়, বরং গ্রামে সহজ সরল অতিথী পরায়ন মানুষের কথাই লিখেছি।
সোনাগাজীর সমসাময়কি ঘটনার উপর নিজস্ব ব্লিশেষণমূল লেখা এবং তার ছোট ছোট স্মৃতিকথা গুলি আমার ভালো লাগে। সম্ভতো তার অশোভন মন্তব্যের কারণেই তিনি বার বার টুপি করছেন জেনারেলের। চাঁদগাজী থেকে সোনাগাজী হয়ে বেশ কিছুটা সংযোগ ছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েকজনের তৈলাক্তা উৎসাহের কারণে আবার হয়তো বেপরোয়া হয়ে উঠছিলেন।
যাইহোক, জেনারেলের টিপু পরা সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৫
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ভাল লেখছেন দাদা
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চাচা-চাচীর অতিথিপরায়ণতা ভালো লেগেছে।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছেলেটির নাম রাব্বী। সেও অতিথিপরায়ণ।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩০
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ছবির দৃশ্য দেখা হয়না মেলা দিন। লেখা খুব ভালো হয়েছে।শেয়ারে ধন্যবাদ।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ছবির দৃশ্য দেখা হয়না মেলা দিন।
ছবিটি জয়দেবপুরের দেউলিয়া গ্রামের। এখানেই আমার ৩২ কাঠা জমি কেনা আছে। সেদিন আমরা ৩-৪জন গিয়েছিলাম। মাটির ঘরে বসে মাটির চুলায় রান্না করা খাবার খাওয়া শেষে নামলো ঝুম বৃষ্টি। তখন মোবাইলে ছবিটি তুলেছিলাম।
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আশেপাশের গাছপালা থেকেও বাড়ির বয়স বেশি মনে হয়।বৃষ্টির ছবি দেখে মনে হয় ভিজলাম।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ছবিটি জয়দেবপুরের দেউলিয়া গ্রামের।
এখানেই আমার ৩২ কাঠা জমি কেনা আছে। সেদিন আমরা ৩-৪জন গিয়েছিলাম। মাটির ঘরে বসে মাটির চুলায় রান্না করা খাবার খাওয়া শেষে নামলো ঝুম বৃষ্টি। তখন মোবাইলে ছবিটি তুলেছিলাম।
কাহিনীর স্থান ভিন্ন।
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: এই পোস্টে 'দোষ মিয়া'র কোনো মন্তব্য করা উচিৎ হবে না।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
দোষ মিয়াটা কে? সোনাগাজী সাহেব!!
সোনাগাজী সাহেব এখন জেনারেল হয়ে আছেন। উনি মন্তব্য করতে পারবেন না।
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:০১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভালো লাগলো।
অঃ টঃ
জটিল ভাই এর পোস্টে একটা মন্তব্য করলাম ওনি মুছ্র দিলেন। খুব ভালো মন্তব্য। ওনাকে সম্মান দিয়ে কথা বললাম। ওনি লিখেছেন ব্লগে নাকি মানুষ নাম কামাতে আসে। এগুলোর জন্য আল্লাহর কাছে হিসাব দিতে হবে। আমি মন্তব্য করলাম ভাই একমাত্র গরু ছাগল ছাড়া কেউ ব্লগে নামের জন্য লিখে না। এখানে ৯৫% ব্লগার ছদ্ম নামে লিখেন। মানুষ আত্নার প্রশান্তির জন্য লিখেন। নিজের কষ্ট দূর করতে লিখেন। একাকীত্ব দূর করতে লিখেন। দেশের জন্য লিখেন। মানুষের জন্য লিখেন। ব্লগে জ্ঞান অর্জন ও বিতরণ হয়। আপনি ব্লগ ও ব্লগার সম্পর্কে ভুল তথ্য দিচ্ছেন। আরও লিখলাম আপনাদের পোস্টে মন্তব্য করলে গালি খেতে হয়। ব্যক্তি আক্রমণ করা হয়। অথচ ইসলামে গালি হারাম। ব্যক্তি আক্রমণ হারাম। আরো লিখলাম ব্লগার চাঁদগাজী কে পোস্ট ব্যান কমেন্ট ব্যান করা হয়েছে। এতে তো কারো কোন লাভ হয়েছে? ওনি মন্তব্য টা মুছে দিলেন।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য, মন্তব্যে ভালো লাগা জানানোর জন্য।
জটিল ভাই কেনো আপনার মন্তব্য মুছে দিয়েছেন সেটি জটিল ভাই-ই ভালো বলতে পারেন। আমার কোনো ধারনা নেই এই সম্পর্কে।
আমি আপনাকে কথা দিতে পারি আমার পোস্টে মন্তব্যের জন্য আপনি গালি খাবেন না, ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হবেন না। এর চেয়ে বেশী কিছু করার নেই আমার। আমি অতি নগণ্য লোক।
চাঁদ/সোনা গাজী সাহেব সম্পর্কে আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করে কয়েক বার বলেছি।
সোনাগাজীর সমসাময়িক ঘটনার উপর নিজস্ব ব্লিশেষণমূলক লেখা এবং তার ছোট ছোট স্মৃতিকথা গুলি আমার ভালো লাগে। সম্ভতো তার অশোভন মন্তব্যের কারণেই তিনি বার বার টুপি করছেন জেনারেলের। চাঁদগাজী থেকে সোনাগাজী হয়ে বেশ কিছুটা সংযতো ছিলেন তিনি। তবে ইদানিং হয়তো আবার মন্তব্যের লাগাম ছুটে গেছে বলেই টুপি পরানো হয়েছে।
যাইহোক, উনার জন্য শুভকামনা রইলো।
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: "দোষ মিয়া" নামটা স্বয়ং এই অধমের.....
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আচ্ছা!!
হে, এর আগে মনে হয় একটা লেখা পড়েছিলাম দোষ মিয়াকে নিয়ে।
যাইহোক, মন্তব্য করায় কোনো বাধা নাই।
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০
আরইউ বলেছেন:
সম্ভবত আগেই আপনাকে বলেছিলাম পেশাগত কারণে দেশের অনেকগুলো জায়গায় আমাকে ঘুরতে হয়েছে। আমি যতটুকু দেখেছি তাতে বড় শহরের মানুষের চেয়ে গ্রামের মানুষগুলো বেশি অমায়িক। গ্রামগুলোর ভেতর উত্তরবংগের মানুষগুলোকে আমার মাটির মানুষ মনে হয়েছে। অবশ্য মানছি এভাবে বলা মানে অতিসরলিকরণ।
“রুদ্রকর গ্রাম” কি সুন্দর নাম!
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
রুদ্রকর নামটি আসলেই সুন্দর। গ্রাম যতটুকু দেখেছি সেটিও সুন্দর। তবে শহরের হাওয়া লাগতে শুরু হয়েছে।
১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার ও এমন অনেক দারুণ দারুণ ঘটনা আছে, কিছু বেড়াতে যেয়ে আর বাকি সব আমার জব এর অভিজ্ঞতা।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ছোট ছোট এমন ঘটনাগুলি মাঝে মাঝে অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি করে।
১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:০৭
কামাল৮০ বলেছেন: আমি অনেক জায়গা ঘুরি ইউ টিউবের মাধ্যমে।তাতে খরচ লাগে না।পড়ার দরকার হলে গুগলে পড়ে নিই।যৌবনে অবশ্য অনেক ঘুরেছি।
০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইউটিউবে আমিও ঘুরি, ঘুরতে ঘুরতে বাস্তবে ঘুরার পরিকল্পনা করি।
১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমি বলবো আপনি চমৎকার গুছিয়ে লিখেছেন।
০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লেখার ব্যাপারে আমার ধৈর্য কম। দ্রুত সমাপ্তির পথে হাঁটতে হচ্ছে করে।
আবার মাঝে মাঝে দেখি লেখা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, শেষ করতে পারছি না। এটি তেমন একটি লেখা।
১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: সুন্দর গ্রামের নাম সুন্দর অভিজ্ঞতা। আমারও প্রচুর ভালো অভিজ্ঞতা আছে, দেশে বিদেশে। মানুষ আসলে বেশির ভাগ সহজ সরল। কিছু জটিল কুটিলের জন্য বদনাম হয়।
ছবিটা খুব সুন্দর আপনার এই জায়গায় কি রির্সোট বানাবেন? দেশে গেলে যাওয়ার ইচ্ছা রাখি যদি যেতে বলেন।
রুদ্রকর খুব সুন্দর গ্রামের নাম। একজন মুক্তিযোদ্ধার গল্প পড়ি। উনার গ্রামের নাম কানসোনা।
সুন্দর গ্রামের নামগুলো এক করে একটা পোষ্ট দিবেন।
০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
গ্রামের নামটি আসলেই সুন্দর।
আমিও ঠিক করেছি ছোট ছোট অভিজ্ঞতা গুলি লিখবো।
যে ছবিটি দেখছেন সেটি জয়দেবপুরের দেউলিয়া গ্রামের। সেখানে আমি ৩২ কাঠা জমি কিনেছি। সম্ভবতো আরো ৮-১০ কাঠা কিনবো। রিসোট বানাবো না, গ্রামের বাড়ি বানাবো। কারণ আমার নিজের এবং শ্বশুর বাড়ি সবটাই ঢাকায়। তাই আমাদের বাচ্চাদের কোনো গ্রাম নেই, গ্রামের বাড়ি নেই।
দেশে আসলে অবশ্যই নিমন্ত্রণ রইলো। দেউলিয়াতে এখনো কিছু না করলেও, কাছেই নাগরিতে আমরা একটি আশ্রম তৈরি করেছে। সেখানে আশা করছি খারাপ লাগবে না।
গ্রামের সুন্দর নামের একটি তালিকা করা যেতেই পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৮
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এই লিখাটাও সুন্দর ছিল, লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- লিংক ধরে এসে পুরনো এই লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় গেঁয়ো ভূত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৪
জুন বলেছেন: আমি কিন্ত বেড়াতে গেলে সব সময় স্থানীয় লোকজনের সাথে গল্প করি সময় পেলেই। রেংগুনের থামাডা হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে ফ্রি ফ্রি চা নিয়ে গল্প করার সময়ই আমরা জানতে পারি সেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত জাপানি সৈনিকদের একটা সিমেট্রি আছে যা নাকি আর কোন দেশে নেই। যা আমরা পরদিন দেখতে যাই আর ব্লগেও এটা নিয়ে পোস্ট আছে আমার।ঘুরতে গেলে গল্প করলে অনেক অজানা জিনিস জানা হয় জলদস্যু।