নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি তোলার স্থান : হাটুভাঙ্গা ঝর্ণা, মীরসরাই, চট্টোগ্রাম, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৯/০৭/২০১৬ইং
GPS coordinates : 22°42'40.0"N 91°38'04.3"E
বছর পনের আগেও ঝর্ণা বললতেই দেশের মানুষ চিনতো মাধবকুণ্ড ঝর্ণা, হিমছড়ি ঝর্ণা, বান্দরবানের শৈলপ্রপাত এই হাতে গোনা কয়েকটিই। কিন্তু এখন জানা যায় আমাদের দেশে প্রচুর ঝর্ণা আছে। আমি নিজে অল্প কয়েকটি ঝর্ণা দেখার সুযোগ পেয়েছি। ব্যাকপেইন আর বিশাল ভূড়ি নিয়ে ২০১৬ সালে সাহস করে গিয়েছিলাম মিরসরাই ঝর্ণা অভিযানে। ২ দিনে গোটা আট-নয় টা ঝর্ণা দেখেছিলাম।
২০১৫ সালে কাশ্মীম ভ্রমণের সময় সেখানেও কয়েকটি ঝর্ণা বা বলা ভালো পাহাড়ি ছড়া দেখার সুযোগ হয়েছে। সেই সব ঝর্ণার ৫টি ছবি রইলো।
সহস্রধারা (১নং ঝর্ণা)
ছবি তোলার স্থান : সীতাকুণ্ড, চট্টোগ্রাম, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৯/০৭/২০১৬ইং
GPS coordinates : 22°36'51.5"N 91°41'35.2"E
আসলে সহস্রধারা এক ও সহস্রধারা দুই নামে দুটি ঝর্না আছে। দুটি ঝর্ণাই দেখতে সুন্দর। তবে এক এর চেয়ে তুই দেখতে অনেক অনেক বেশী সুন্দর এবং সেখানে পৌছানোটাও বেশ কষ্টকর। আগামীতে সহস্রধারা দুই এর ছবিও দিবো।
সহস্রধারা এক ঝর্নায় যেতে অনেকগুলি সিঁড়ি ভেঙ্গে নামতে হয়। নামতে যেমন তেমন, সিঁড়ি টপকে উঠার সময় অবস্থা বেগতিক হয়ে য়ায়।
সহস্রধারা (১নং ঝর্ণা)
ছবি তোলার স্থান : সীতাকুণ্ড, চট্টোগ্রাম, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৯/০৭/২০১৬ইং
GPS coordinates : 22°36'51.5"N 91°41'35.2"E
ঝর্ণা! ঝর্ণা! সুন্দরী ঝর্ণা!
তরলিত চন্দ্রিকা! চন্দন-বর্ণা!
অঞ্চল সিঞ্চিত গৈরিকে স্বর্ণে,
গিরি-মল্লিকা দোলে কুন্তলে কর্ণে,
তনু ভরি' যৌবন, তাপসী অপর্ণা!
ঝর্ণা!
পাষাণের স্নেহধারা! তুষারের বিন্দু!
ডাকে তোরে চিত-লোল উতরোল সিন্ধু|
মেঘ হানে জুঁইফুলী বৃষ্টি ও-অঙ্গে,
চুমা-চুমকীর হারে চাঁদ ঘেরে রঙ্গে,
ধূলা-ভরা দ্যায় ধরা তোর লাগি ধর্ণা!
ঝর্ণা!
এস তৃষার দেশে এস কলহাস্যে -
গিরি-দরী-বিহীরিনী হরিনীর লাস্যে,
ধূসরের ঊষরের কর তুমি অন্ত,
শ্যামলিয়া ও পরশে কর গো শ্রীমন্ত;
ভরা ঘট এস নিয়ে ভরসায় ভর্ণা;
ঝর্ণা!
শৈলের পৈঠৈয় এস তনুগত্রী!
পাহাড়ে বুক-চেরা এস প্রেমদাত্রী!
পান্নার অঞ্জলি দিতে দিতে আয় গো,
হরিচরণ-চ্যুতা গঙ্গার প্রায় গো,
স্বর্গের সুধা আনো মর্ত্যে সুপর্ণা!
ঝর্ণা!
মঞ্জুল ও-হাসির বেলোয়ারি আওয়াজে
ওলো চঞ্চলা ! তোর পথ হল ছাওয়া যে!
মোতিয়া মোতির কুঁড়ি মূরছে ও-অলকে;
মেখলায়, মরি মরি, রামধনু ঝলকে
তুমি স্বপ্নের সখী বিদ্যুত্পর্ণা
ঝর্ণা!
----- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত -----
খৈয়াছড়া ঝর্ণা
ছবি তোলার স্থান : খৈয়াছড়া, মীরসরাই, চট্টোগ্রাম, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ৩০/০৭/২০১৬ইং
GPS coordinates : 22°46'11.1"N 91°36'44.8"E
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪.২ কিলোমিটার পূর্বে খৈয়াছড়া ঝর্ণা অবস্থান। মহাসড়ক থেকে নিজস্ব গাড়ি বা সিএনজি ভাড়া করে বেশ কিছুটা পথ এগিয়ে তারপরে বাকি পথটুকু ঝর্ণার জল বয়ে যাওয়ার ঝিরি পথ ধরে পায়ে হেঁটে পৌছতে হয় খৈয়াছড়া ঝর্ণার পাদদেশে। খুব একটা চড়াই উতরা নেই এই পথে। পাহার ট্রেকিং করতে হয়না বলে মোটামুটি সহযেই পৌছানো যায় ঝর্ণাটির কাছে। তবে খৈয়াছড়া ঝর্ণায় মোট ৯টি ধাপ রয়েছে। সেই ধাপগুলি দেখতে হলে খুবই বিপদজনক ভাবে পাহাড়ের গাঁবেয়ে উঠতে হয়।
হাটুভাঙ্গা ঝর্ণা
ছবি তোলার স্থান : হাটুভাঙ্গা ঝর্ণা, মীরসরাই, চট্টোগ্রাম, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৯/০৭/২০১৬ইং
GPS coordinates : 22°42'40.0"N 91°38'04.3"E
=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
ঝর্ণাধারা - ০১
ঝর্ণাধারা - ০২
=================================================================
৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পাহার আমারও পছন্দ। শেষ পাহারে গেছি গত মার্চ মাসে বগালেক হয়ে কেওক্রাডং পর্যন্ত।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: *ফ্যাসিনেশন
৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বুঝতে পেরেছি।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২
সোনাগাজী বলেছেন:
এলাকার মানুষজন কেমন, কিছু খেয়েছিলেন?
৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনার কাছা কাছি এলাকার লোক কেমন সেটিতো আপনারই ভালো জানার কথা!
এই তালিকা দেখে এখানে কিছু খাইনি। তবে প্রথম দিন একটি বেড়াদিয়ে বানানো রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেতে হয়েছিলো। পাহাড়ে ঢুকার আগে খাবার অর্ডার দিয়ে যেতে হয়ে ছিলো। খাবার সম্পর্কে বলার কিছু নাই।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৮
সোনাগাজী বলেছেন:
একটু দুরের হলেও, সেই এলাকার মানুষজনকে আমি বুঝি; আপনি দেশের অনেক যায়গায় গেছেন, তুলনামুলক আইডিয়া পেতে প্রশ্ন করেছিলাম।
৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সত্যি কথা বলতে আমি মানুষ জনের সাথে খুব একটা ভাব করতে পারি না।
তাছাড়া বেড়াতে যখন যাই তখন একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা মাফিক চলতে হয়। সেখানে মানুষ জনের সাথে মেশা গল্পগুজব করার সময় খুব একটা থাকে না। চলতি পথে হয়তো কারো সাথে টুকটাক কথা বলা যায়। এরচেয়ে বেশী কিছু না।
তবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ট্যুরিস্ট স্পটগুলির আশপাশের মানুষ, বেড়াতে আসা ট্যুরিস্টদের টাকার চলমান বোকা বাক্স মনে করে। ঐসমস্ত এলাকর বেশীরভাগ লোক ধান্দাবাজ টাইপের হয় (হয়তো শুধু ট্যরিস্টদের সামনেই।) এমনকি বাচ্চাগুলিও বড়দের দেখে দেখে সেইসব শিখেনেই। তবে কিছু ভালো লোক সব খানেই থাকে।
ট্যুরিস্টস্পটের বাইরে গ্রামের লুকগুলি এখনো খুবই আন্তরিক, খুবই মিনবিক। তাদের সামনে আমরা শুহুরে লোকেরা অনেকটা রোবটের মতো। এবং স্বর্থপর।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,
ঝর্ণার মতো লাস্যময়ী ছবি।
সহস্রধারা কি ঝর্ণা নাকি পাহাড়ি ছড়া ?
৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমি যতদূর জানি, ঝর্ণার বা পাহারের বৃষ্টির জল মোটামুটি সমতল যে পথ ধরে নেমে যায় সেটিকেই সাধারণত ছড়া বা ঝিরি বলে।
সহস্রধারাকে ঝর্ণা বলেই জানি।
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৫
কামাল৮০ বলেছেন: পাঠ্যপুস্তকে এই কবিতাটি ছিল। এখন বোধ হয় নাই।হিন্দুদের লেখা কোন কবিতাই মনে হয় নাই।
৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এই ছড়াটি আমি পড়ি নাই পাঠ্যতে।
হিন্দুদের কবিতা পাঠ্য বইতে নেই এমন কথা শুনি নাই আমি।
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫৫
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে বেশ পরিচিত একটি পর্যটন স্থান এই ঝর্ণাধারা।
৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ঝর্ণা ধারা ৩-এ ৩টি ঝর্ণার ছবি আছে। তাদের মধ্যে খৈয়াছড়াটি সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় ও পরিচিত। তারপরে আছে সহস্রধারা অবস্থান। আর হাঁটুভাঙ্গাটি খুব বেশী লোকে চেনে না, পরিচিতি ও সৈন্দর্যেও পিছিয়ে আছে।
৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
খৈয়াছড়া ও হাটুভাঙা ঝর্ণায় গিয়েছিলাম।
৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বাহ! চমৎকার।
কেমন লেগেছিলো?
৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুণ সব ছবি ।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৬
কামাল৮০ বলেছেন: আমি পাঠ্য বইতে পড়েছি ৬০ এর দশকে এবং ৬০ এর দশকেই আমার ছাত্র জীবন শেষ।তার পর পাঠ্য বইতে কি আছে না আছে আমার জানা নাই।এক দিন একটা আলোচনায় শুনেছিলাম, হেফাজতের দাবির পরিপ্রক্ষিতে পাঠ্য বই থেকে হিন্দুদের গল্প কবিতা বাদ দিয়েছে।এবার বোধহয় আবার যুক্ত করেছে।হেফাজত থেকে সরকার সরে আসছে।এখন ধরে ধরে জেলে ভরছে।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
৬০ এর দশক মানে আমার জন্মেরও কয়েকদশক আগের কথা।
সরকারী হাওয়া কখন কোনদিকে বয় বলা মুশকিল।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
মন্তব্যে +
১১| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ৩ টিই সুন্দর। টিজিবি তে খুব সুন্দর ছবি আছে এ ঝর্না গুলোর।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমি ফটোগ্রাফার নই, শুধু স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ছবি তুলি। তাই এর চেয়ে ভালো, এর চেয়ে সুন্দর ছবি তোলা আমার কম্ম নয়। তার জন্য ব্লগে অনেক প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার আছেন।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪২
নিয়াজ সুমন বলেছেন: বাহ !
আমার এলাকা এসে ঘুরে চলে গেলেন।
জানতে পারলে আপনার সাথে দেখা ও ঘুরাঘুরি দুটি হতো..
০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এসব ভ্রমণ আর ছবি ২০১৬ সালের ভাইজান।
১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫১
নিয়াজ সুমন বলেছেন:
আমার তোলা ২০২০ সালে সহস্রধারা ঝরনার ছবি
০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমিতো এতো জল পাইনি!!
১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:০৮
নিয়াজ সুমন বলেছেন: আমি ভরপুর বর্ষায় গিয়েছিলাম।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমি গিয়েছিলাম জুলাইয়ের শেষে সময়ে।
১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১১
নিয়াজ সুমন বলেছেন:
০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বুঝাই যাচ্ছে প্রচুর জল ছিলো, আনন্দও হয়েছে ভরপুর।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: খৈয়াছড়াতে গিয়েছিলাম সেই ছাত্রাবস্থায়। সাথে আরও কয়েকটাতে গিয়েছিলাম। সেগুলোর নাম অবশ্য মনে নেই। আমি পাহাড়ে গিয়েছি অনেক কয়বার। পাহাড় সব সময়ই টানে কিন্তু ঝর্ণার প্রতি কেন জানি এতো ফ্যাসিনেশম নেই।