নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- ১ -
আল্লাহ সমস্ত মহাবিশ্ব তৈরি করলেন।
- ২ -
সূর্য-পৃথিবী-চাঁদ-জান্নাত-জাহান্নাম-জ্বীন-ফেরেস্তা-পৃথিবীতে বিচরন করা প্রাণীকুল-গাছ ইত্যাদি তৈরি করলেন।
- ৩ -
হাজার হাজার বছর আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করে ধোয়াবিহীন নীল আগুণের তৈরি এক জ্বীন হযরত আজাজীল আল্লাহর প্রিয় হয়ে তারই অনুগ্রহে নূরের তৈরি ফেরেস্তাদের সরদার হলেন।
- ৪ -
আল্লাহ চাইলেন তার গুনোগান করার জন্য, তারই ইবাদত করার জন্য মানুষ তৈরি করবেন।
ফেরেস্তার এই কথা শুনে বিষয়টি ঠিক পছন্দ করতে পারলো না।
আল্লাহ তখন বললেন- আমি যা জানি তোমরা তা জানো না।
- ৫ -
আল্লাহ মাটি দিয়ে আদমের দেহ তৈরি করলেন, এবং তার ভিতরে ফুতকার করলেন।
আল্লাহ আদমকে দুনিয়ায় যত ভাষা আসবে সব শিখিয়ে দিলেন, দুনিয়ায় যত ফল-ফসল-গাছ-মাছ-প্রাণী আসবে সব কিছুর নাম শিখিয়ে দিলেন।
আদমকে ফেরেস্তাদের সামনে হাজির করে আল্লাহ দুনিয়ার ফল-ফসলাদি উপস্থিত করে ফেরেস্তাদের কাছে সেগুলির নাম জানতে চাইলেন। ফেরেস্তারা সেগুলি কখনো দেখেনি বলে নাম বলতে পারলো না। কিন্তু আদম সব কিছুর নাম বলে দিলেন। (পরীক্ষার আগেই প্রশ্নফাঁস হয়ে গেছে সেটা ফেরেস্তারা জানতে পারলো না।)
এবার আল্লাহ ঘোষণা দিলেন- "আদমকে সেজদা করো"। (আল্লাহ ব্যতিতো অন্য কাউকে সেজদা করার হুকুম আল্লাহ নিজেই দিলেন)
- ৬ -
আল্লাহর হুকুম পাওয়ার সাথে সাথে সমস্ত ফেরেস্তা আদমকে সেজদা করলেও ফেরেস্তাদের সরদার জ্বীন আজাজীল সেজদা না করে সটান দাঁড়িয়ে রইলেন।
আল্লাহ আজাজীলকে প্রশ্ন করলেন- কি তোমাকে সেজদা করা থেকে বিরতো রাখলো?
আজাজীল বললো- আদম মাটির তৈরি, আর আমি ধোয়াহীন নীল আগুনের তৈরি। আমি আদমের চেয়ে উত্তম। তাই আমি সেজদা করি নাই।
- ৭ -
আল্লাহ বললেন দূর হ অহংকারী।
দূর হওয়ার আগে আজাজীল আল্লাহর কাছে কয়েকটি জিনিস চেয়ে নিলেন। কেয়ামত পর্যন্ত হায়াত এবং আদম সন্তানদের রগে রগে চলার ক্ষমতা।
আল্লাহ আজাজীলকে এতোটাই পছন্দ করতেন যে এই বিশাল ক্ষমতাগুলিও তিনি তাঁকে দিয়ে দিলেন।
- ৮ -
আদম বেহেস্তে একা একা থাকতে লাগলেন। জান্নাতের বিভিন্ন ফল ফলাদি ঘুরে ঘুরে খেতে লাগলেন। মাঝে মাঝে আল্লাহর সাক্ষাৎ পেতেন। একদা আল্লাহ আদমকে মন মরা দেখে বুঝতে পারলেন আদম একা একা জান্নাতে বোর হচ্ছে। তাই তিনি আদমকে অজ্ঞান করে তার বাম পাজর থেকে একটি হাড় খুলে নিয়ে একটি নারী তৈরি করলেন, যার নাম বিবি হাওয়া।
আদম ঘুম থেকে উঠে পাশেই বিবি হাওয়াকে দেখে অবাক হয়ে গেলেন।
আল্লাহ তখন তাদের দুজনকে বললেন তোমরা দুজন জান্নাতে ঘুরে বেরাও, আনন্দ করো, খাওয়া দাওয়া করো। কিন্তু গন্দম খেও না। গন্দম খেলে তোমরা জান্নাতে থাকতে পারবে না।
(যতক্ষণ পর্যন্ত হাওয়া জান্নাতে অনুপুস্থিত ছিলো ততোক্ষণ আদমের গন্দম খাওয়ার নিষেধ ছিলো না। যেইনা হাওয়া আসলো অমনি গন্দমও আসলো জান্নাতে!!)
- ৯ -
শয়তান নানান কৌশলে ভুলি ভালিয়ে আদম ও হাওয়াকে গন্দম খাওয়ায়ে ফেললো।
(যেহেতু আদম ছিলেন নবী এবং শয়তান কখনোই নবীদের ধোকা দিতে পারে না, তাই অবশ্যই আদম নিজ ইচ্ছায় গন্দম খয়েছেন। কারণ আদম জানেন আল্লাহ পৃথিবী তৈরি করেছে, জান্নাত-জাহান্নাম তৈরি করেছেন। আদম আল্লাহর নিষেধ অমান্য না করলে এই সব সৃষ্টি বৃথা যাবে। এবং এই একই কারণে আজাজিলও সেজদার হুকুম অমান্য করেছিল।)
- ১০ -
গন্দম খাওয়ার পরেই আদম ও হাওয়ার জ্ঞানচক্ষু উন্মচিত হলো। তারা আল্লাহর সামনে হাজির হতে লজ্জাবোধ করলেন।
উনারা নিজেদের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করলেন এবং পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিলেন।
চলবে.....
বিশেষ ঘোষণা : ইহা নিতান্তই গল্প, ধর্মীয় পোস্ট ভাবিয়া ভুল করিবেন না।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সোনা সাহেব গতকালই এই একই মন্তব্য করেছিলেন।
সেখানে লিখেছিলাম-
গল্প লিখি না,
উপন্যাস লিখি না
রাজনৈতিক পোস্ট লিখিনা
ধর্ম পালন সম্পর্কিত কোনো পোস্ট লিখি না
উপদেশমূলক পোস্ট লিখি না
উদ্দেশ্যমূলক কোনো পোস্ট লিখি না
কোনো ব্লগার সম্পর্কিত কোনো পোষ্ট লিখি না (প্রথম পাতায় একাধিক পোস্ট করা নিয়ে একটি পোস্ট ব্যাতিক্রম।)
কবিতা লিখি না (তিনটি ব্যাতিতো)
অর্থনৈতিক বিষয়ক পোস্ট লিখিনা
চলমান সংকট নিয়ে কোনো পোস্ট লিখি না
কে বই পড়লো, কে পড়লোনা সেটা নিয়ে পোস্ট লিখি না।
আমি তিনটি কবিতা লিখেছি, আপনার হয়তো চোখেপড়ি।
একজন ব্লগারে কবিতা পরে কিছুটা জেদের বসেই লিখেছিলাম কবিতার খপ্পরে!
যখন দিন রাত মিলেমিশে একাকার নামে একটি কবিতা লিখে বলতে পারেন আশ্রমের প্রভাবে। আর
তোমার চোখে জ্যানারান্ডার আলো লিখেছিলাম একটি ফুলের গান শুনে।
আরো একটি কবিতা কয়েক লাইন লিখে রেখে দিয়েছি।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩০
সোনাগাজী বলেছেন:
১ নং:
আল্লাহ যে বিশ্বটা তৈরি করেছিলেন, উহা কত বড় ছিলো?
আজকেরটা কে তৈরি করেছেন?
২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সেটা গোটাটাই ছিলো।
আজকেরটা হয়তো আপনি তৈরি করেছেন।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে হাওয়ার।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আরো অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি আছে আদম হাওয়ার
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভালো লাগলো।
অঃটঃ
ভাই ফেবুতে দেখলাম শয়তানের নিঃশ্বাস নামক একটি ড্রাগ আছে, যেটা স্পর্ষ করানো মাত্র চামড়ার মাধ্যমে অন্যের শরীরে প্রবেশ করার জন্য ইউজ করসে অপরাধীরা। এই ড্রাগটি শরীরে স্পর্ষ প্রবেশ করলে মানুষ নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোবটের মত অন্যের ইচ্ছায় নিজেকে চালিত করে। ড্রাগটি প্রস্তুত উপকরণ একটি ফুল। ঐ ফুল সম্পর্কে এবং এই ব্যাপারে একটা ডিটেইল পোস্ট চাই।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী, আপনি সঠিক শুনেছে।
ফুলটি ধুতরা প্রজাতীর। বাংলাদেশে সেটি খুব একটা দেখা যায় না। আমি সম্ভবতো একবার দেখেছি ও ছবি তুলেছি। ডাল কেটে এনেছিলাম চারা করার জন্য। চারা করতে পারি নাই। তবে সেটিই প্রকৃতি শয়তানের নিঃশ্বাস গাছ কিনা তা আমি নিশ্চিত নই।
এই গাছটি সম্পর্কে সম্তবত আমাদের জুন একটি পোস্ট করেছিলেন। অন্য কেউও হতে পারেন, কে করেছিলেন পোস্টটি সেটি ঠিক মনে পড়ছে না। ঐ গাছ এবং এই ড্রাগ সম্পর্কে আমার জ্ঞান প্রায় শূন্যের কোঠায়।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:০৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
মিথ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এ গল্প?
২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কারো কারো কাছে ধর্মকথা,
কারো কারো কাছে রূপকথা,
কারো কারো কাছে মিথ।
আপনার কাছে কি?
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
: আপনার কাছে কি?
- স্থান,কাল ও পাত্রভেদে আমার কাছে এটা একেক রকম হয়ে যায়; তরলের ন্যায়,যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রের আকার ধারণ করে।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমিও সেটাই বললাম।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৩
নতুন বলেছেন: ফেরেস্তা কিভাবে সৃস্টিকতার কথার অবাধ্য হয়ে আদম আ: কে সেজদা করতে অস্বীকার করে?
আর যদি মানুষ সৃস্টির আগেই যদি পৃথিবি তে মানুষ পাঠাবেন বলে ফেরেস্তাদের বলে থাকেন তবে তো এটা একটা পরিকল্পনার অংশ। তবে আদমের গন্ধমের ঘটনা করার কি দরকার ছিল?
শয়তান হবার পরে তাকে কেন ক্ষমতা দিলেন সৃস্টিকতা? তাকে সাজা দিলেই তো আদম বিপথে যাইতো না এই পৃথিবিতে....
তাহলে এই মানব জীবনের এতো কস্ট থাকতো না.... বেহেস্তেই যাইতো সবাই, দোযখে মানুষের পোড়া লাগতো না।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনার সকল প্রশ্নের জবার দেয়া আছে গল্পেই।
নতুন বলেছেন: ফেরেস্তা কিভাবে সৃস্টিকতার কথার অবাধ্য হয়ে আদম আ: কে সেজদা করতে অস্বীকার করে?
- আল্লাহর হুকুম পাওয়ার সাথে সাথে সমস্ত ফেরেস্তা আদমকে সেজদা করলেও ফেরেস্তাদের সরদার জ্বীন আজাজীল সেজদা না করে সটান দাঁড়িয়ে রইলেন।
নতুন বলেছেন: তবে আদমের গন্ধমের ঘটনা করার কি দরকার ছিল?
- কারণ আদম জানেন আল্লাহ পৃথিবী তৈরি করেছে, জান্নাত-জাহান্নাম তৈরি করেছেন। আদম আল্লাহর নিষেধ অমান্য না করলে এই সব সৃষ্টি বৃথা যাবে। এবং এই একই কারণে আজাজিলও সেজদার হুকুম অমান্য করেছিল।
নতুন বলেছেন: শয়তান হবার পরে তাকে কেন ক্ষমতা দিলেন সৃস্টিকতা?
-আল্লাহ আজাজীলকে এতোটাই পছন্দ করতেন যে এই বিশাল ক্ষমতাগুলিও তিনি তাঁকে দিয়ে দিলেন।
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:৪২
কামাল৮০ বলেছেন: আফ্রিকা থেকেই মানব প্রজাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।এটা প্রায় সর্বজন স্বীকৃত।সমস্ত শিল্পীই প্রথম মানব জাতির ছবি আঁকেন ফর্সা।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আফ্রিকার কালো মানুষেরা আকলে সেগুলিতে নিশ্চয়ই প্রথম মানব-মানবীর গায়ের রং কালো হবে।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:৫৫
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: সুন্দর।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:২৩
ফারহানা শারমিন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট!
২৮ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৪
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আপনার সকল প্রশ্নের জবার দেয়া আছে গল্পেই।
নতুন বলেছেন: ফেরেস্তা কিভাবে সৃস্টিকতার কথার অবাধ্য হয়ে আদম আ: কে সেজদা করতে অস্বীকার করে?
- আল্লাহর হুকুম পাওয়ার সাথে সাথে সমস্ত ফেরেস্তা আদমকে সেজদা করলেও ফেরেস্তাদের সরদার জ্বীন আজাজীল সেজদা না করে সটান দাঁড়িয়ে রইলেন।
তার অর্থ হইলো ফেরেস্তারাও নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাই আজাজীল হুকুম পালন করে নাই?
আর ফেরেস্তাদের হুকুম না মানার ঘটনাও সম্ভবত এই ১ টাই।
নতুন বলেছেন: তবে আদমের গন্ধমের ঘটনা করার কি দরকার ছিল?
- কারণ আদম জানেন আল্লাহ পৃথিবী তৈরি করেছে, জান্নাত-জাহান্নাম তৈরি করেছেন। আদম আল্লাহর নিষেধ অমান্য না করলে এই সব সৃষ্টি বৃথা যাবে। এবং এই একই কারণে আজাজিলও সেজদার হুকুম অমান্য করেছিল।
আদম জানেন যে তারা পৃথিবিতে যাবেন এটা কোরানে কোথাও সম্ভবত নাই।
সৃস্টির শুরুতেই আজাজিল আর আদম দুইজনই সৃস্টিকতার হুকুমের অবাধ্য হলো?
নতুন বলেছেন: শয়তান হবার পরে তাকে কেন ক্ষমতা দিলেন সৃস্টিকতা?
-আল্লাহ আজাজীলকে এতোটাই পছন্দ করতেন যে এই বিশাল ক্ষমতাগুলিও তিনি তাঁকে দিয়ে দিলেন।
হুকুমের অবাধ্য হবার পরেও তাকে ক্ষমতা দিলো? তাকে সাজা দেবার কথা বরং তাকে আদম আ: এর পেছনে লাগার সুযোগ করে দিলো?
তুমি র্সপ হইয়া দংশন কর ওঝা হইয়া ঝাড়ো.... এই গান সম্ভবত এই কাহিনি বুঝার পরেই গাতক লিখেছিলেন।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি আবারও ভুল করেছেন।
নতুন বলেছেন: তার অর্থ হইলো ফেরেস্তারাও নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাই আজাজীল হুকুম পালন করে নাই? আর ফেরেস্তাদের হুকুম না মানার ঘটনাও সম্ভবত এই ১ টাই।
- ফেরেস্তারা নিজে নিজে কোথায় সিদ্ধান্ত নিলো?
- ফেরেস্তারা আল্লাহর হুকুম মেনে সেজদা করেছে। সেজদা করেনি আজাজীল। আর আজাজীল ফেরেস্তা নয়। সে ছিলো জ্বীন।
নতুন বলেছেন: আদম জানেন যে তারা পৃথিবিতে যাবেন এটা কোরানে কোথাও সম্ভবত নাই।
- নেই, এটা কোরানে নেই।
নতুন বলেছেন: সৃস্টির শুরুতেই আজাজিল আর আদম দুইজনই সৃস্টিকতার হুকুমের অবাধ্য হলো?
- সৃষ্টির শুরুতেই নয় বরং অনেক পরে। তাছাড়া শুধু আজাজিল আর আদম নয়, তাদের সাথে বিবি হাওয়া ছিলেন।
নতুন বলেছেন: হুকুমের অবাধ্য হবার পরেও তাকে ক্ষমতা দিলো? তাকে সাজা দেবার কথা বরং তাকে আদম আ: এর পেছনে লাগার সুযোগ করে দিলো?
- আল্লাহ আজাজীলকে এতোটাই পছন্দ করতেন যে এই বিশাল ক্ষমতাগুলিও তিনি তাঁকে দিয়ে ছিলেন। তাছাড়া এই ক্ষমতাগুলি না দিলে জাহান্নাম তৈরির স্বার্থকতা থাকতো না।
১২| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০২
জ্যাকেল বলেছেন: @নতুন
তাহলে এই মানব জীবনের এতো কস্ট থাকতো না.... বেহেস্তেই যাইতো সবাই, দোযখে মানুষের পোড়া লাগতো না।
আপনি এক্ষেত্রে ঠিক বলেছেন। যদি আদম আঃ আল্লাহর আদেশ মেনে চলতেন তবে সমস্যা গুলো হইতে পারত না।
ফেরেস্তা কিভাবে সৃস্টিকতার কথার অবাধ্য হয়ে আদম আ: কে সেজদা করতে অস্বীকার করে?
এখানে আপনার জানার ঘাটতি আছে। আজাজীল কিন্তু ফেরেশতা জাতের ছিল না। সে ছিল জ্বীন জাতের।
আর যদি মানুষ সৃস্টির আগেই যদি পৃথিবি তে মানুষ পাঠাবেন বলে ফেরেস্তাদের বলে থাকেন তবে তো এটা একটা পরিকল্পনার অংশ। তবে আদমের গন্ধমের ঘটনা করার কি দরকার ছিল?
এই ঘটনার সাথে ভাগ্য জড়িত আছে। মানুষের সিদ্বান্তের প্রতিফলন ঘটে ভাগ্যে।
শয়তান হবার পরে তাকে কেন ক্ষমতা দিলেন সৃস্টিকতা? তাকে সাজা দিলেই তো আদম বিপথে যাইতো না এই পৃথিবিতে....
এটাও আপনার সীমিত জ্ঞানের কারণে বলতেছেন। আল্লাহ শয়তানকে তার সহস্র সহস্র বছর এবাদাতের বিনিময় স্বরুপ সে যা যা চেয়েছে তিনি তা দিয়েছেন। ভাগ্য কিভাবে কাজ করে এটা নিয়ে আমি একটা পোস্ট লিখব।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার ভাগ্য বিষয়ক পোস্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যদিও এই ঘটনাগুলো আগেই পড়েছি তবে আপনারটা পড়ে ভাল লাগলো। সুন্দর+++
২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
হে, এটি সেই অতি পুরনো কাহিনী।
আমি একটু ছোট আর সহজ করে লিখেছি। সাথে ছবি জুড়ে দিয়েছি।
১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৩
নতুন বলেছেন: আর ইসলামীক কাহিনি অনুযায়ী মানুষ এই পৃথিবিতে সৃস্টি হয়ে নাই। বরং অনেক পরে এখানে এসেছে।
তার মানে আমরা ভীনগ্রহ থেকে এখানে এসেছি।
আমরা এসেছি বেহেস্ত থেকে, সেখানে পৃথিবির মতন এমন কঠিন আবোহাওয়া ছিলো না, তাই আমরা অন্য প্রানীদের মতন পৃথিবির পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানের মতন জিনিস নাই। ( যেমন আল্টাভায়োলেট রে আমাদের জন্য ক্ষতিকর, আমাদের শরির চরম ঠান্ডা গরমের জন্য তৌরি না আরো অনেক কিছু আছে যেটা অনেক প্রানীর আছে আমাদের নাই)
২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বেশ বলেছেনতো!!
বক্তব্যে যুক্তি আছে।
১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
নতুন বলেছেন: @ জ্যাকেল ভাই এটাও আপনার সীমিত জ্ঞানের কারণে বলতেছেন। আল্লাহ শয়তানকে তার সহস্র সহস্র বছর এবাদাতের বিনিময় স্বরুপ সে যা যা চেয়েছে তিনি তা দিয়েছেন। ভাগ্য কিভাবে কাজ করে এটা নিয়ে আমি একটা পোস্ট লিখব।
আমার কাছে ভাগ্য বলতে মানুষ কিছু একটা মেনে নিয়েছে মাত্র। কোন কিছুই নিদ্ধারাত থাকে না।
মানুষের বর্তমানে নেয়া সিদ্ধান্ত তার ভবিষ্যত নিদ্ধারন করে মাত্র।
তাই আমার কাছে ভাগ্য বলতে আমি সিদ্ধান্তকে বুঝি।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বেশ, আপন বুঝই আপনার জন্য যথেষ্ট। অন্য কারো কথায় কান দিবেন না।
১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৯
নতুন বলেছেন: - ৯ -
শয়তান নানান কৌশলে ভুলি ভালিয়ে আদম ও হাওয়াকে গন্দম খাওয়ায়ে ফেললো।
শয়তান সাপের রুপে বেহেস্তে হাওয়াকে এবং আদম কে গন্দম খাওয়ালো এটাও কোরানে নাই। বাইবেলের কাহিনি এটা
গন্ধম কি সেটাও কোথাও বলা হয়নি পরিস্কার করে, এটা রুপক অর্থে ব্যাবহার হয় মাত্র।
আর আসলে যেটা হয়েছিলো they just had sex
২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গল্পটি কোরআন-হাদীস থেকে তাতো আমি বলি নাই ভাইজান। বরং পোস্টের শেষে লিখেছি-
বিশেষ ঘোষণা : ইহা নিতান্তই গল্প, ধর্মীয় পোস্ট ভাবিয়া ভুল করিবেন না।
৯ এর আগে ৮ আসে। আর ৮ এর শেষে আমি লিখেছি -
যতক্ষণ পর্যন্ত হাওয়া জান্নাতে অনুপুস্থিত ছিলো ততোক্ষণ আদমের গন্দম খাওয়ার নিষেধ ছিলো না। যেইনা হাওয়া আসলো অমনি গন্দমও আসলো জান্নাতে!!
এই অংশ টুকু পড়ে কি আপনি কিছুই বুঝতে পাড়েন নি?
১৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একটি ধর্মের অনুকরণে গল্পটি সুন্দর হয়েছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
একটি নয়, এখানে দুইটি ধর্মের গল্প মিশেছে।
১৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: শয়তান সাপের রুপে বেহেস্তে হাওয়াকে এবং আদম কে গন্দম খাওয়ালো এটাও কোরানে নাই। বাইবেলের কাহিনি এটা
গন্ধম কি সেটাও কোথাও বলা হয়নি পরিস্কার করে, এটা রুপক অর্থে ব্যাবহার হয় মাত্র।
আর আসলে যেটা হয়েছিলো they just had sex )
নতুন ভাই, এসব আপনি কি বলছেন? এটার রিয়েলি ফল। যা মানবদেহে নতুন কিছু হরমোন সৃষ্টি করেছিলো। জ্ঞান অর্জনের প্রেষনা এবং আচরন পরিবর্তনের একটি সাইকোলজিক্যেল চেেইঞ্জ মাত্র।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বেস, এটাও জানা রইলো।
তবে কথা হচ্ছে - হাওয়াকে সৃষ্টি করার আগে যখন আদম একা জান্নাতে ছিলেন তখন কেনো গন্দম খাওয়ার নিষেধ করেননি আল্লাহ?
১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৫
নতুন বলেছেন: নতুন ভাই, এসব আপনি কি বলছেন? এটার রিয়েলি ফল। যা মানবদেহে নতুন কিছু হরমোন সৃষ্টি করেছিলো। জ্ঞান অর্জনের প্রেষনা এবং আচরন পরিবর্তনের একটি সাইকোলজিক্যেল চেেইঞ্জ মাত্র।
রিয়েল ফল এটা কোথায় আছে?
আর এটা কেমন ফল যে পুরুষ খেলে তার জ্ঞান অর্জনের প্রেষনা আচারনে যেই পরিবর্তন হবে তাতে কো সমস্যা নাই। কিন্তু সাথে নারী থাকলে সমস্যা হয়ে যাবে?
২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
গন্দম আমার হিসেবে রূপ। অন্যকেউ অন্য কিছু ভাবতেই পারে।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: রূপক
২০| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: আপনার গল্প সুন্দর হয়েছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
২১| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:৪৪
জি এইস মেহেদী বলেছেন: পোস্টকারীর চুলকানি বেশি -- আল্লাহকে বিশ্বাস না করলে আপনার এসব লেখার কোন অধিকার নাই -- পৃথিবী সৃস্টি কিভাবে হলো আল্লাহ কেনা এটা করলেন,, তিনি এটা না করে এইভাবে করলেন কেন এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন -- আল্লাহর দেওয়া কোন নেয়ামত কে তোমরা অবিশ্বাস করবে??? আল্লাহ সত্য নবী সত্য আর কি প্রমাণ চাও -- নিদর্শন গুলো তাকাই দেখো তোমরা??
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার চুলকানি নিয়ে আপনার টেনশন করতে হবে না, কারণ আমার কোনো চুলকানি নেই।
আপনার চুলকানী আছে বলেই আপনার মনে হয়ে আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করিনা।
আপনার বুঝের দৌড় অতি অল্প। সেই বুঝ নিয়ে আপনি বরং চুলকানীর ডাক্তর দেখান।
ভালো থাকেন।
২২| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৩
সাসুম বলেছেন: শোন্দর রুপকথার গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দস্যু ভাই ।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কারো কারো কাছে ধর্মকথা,
কারো কারো কাছে বিশ্বাস,
কারো কারো কাছে রূপকথা,
কারো কারো কাছে মিথ।
২৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৫
নিমো বলেছেন: শিরোনাম ঠিক হয় নি। হওয়া উচিত ছিল অজাচারের ইতিকথা:পর্ব-০১।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এই শিরনামে বরং আপনি কিছু লিখেন, আমরা পড়ি।
২৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছবিতে হাওয়ার চুলের যে সৌন্দর্য দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে হাওয়া বেহেশত থেকে চিরুনি নিয়ে পৃথিবীতে পতিত হয়েছিলেন। ঐ সময় তো আদম আর হাওয়া ছাড়া কেউ ছিল না। কষ্ট করে গাছের পাতা জড়ানোর কি দরকার ছিল। আর আদমের তো এত পাতার দরকার ছিল না। কিছু হাওয়াকে দেয়া উচিত ছিল।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ছবি দেখে দেখে এতো কিছু চিন্তা করে ফেললেন!!
আসলে পোস্টে লিখে দেয়া উচিত ছিলো ছবিগুলি শুধু মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
ঐ সময় তো আদম আর হাওয়া ছাড়া কেউ ছিল না। কষ্ট করে গাছের পাতা জড়ানোর কি দরকার ছিল।
ছিলো, উনাদের সামনে আল্লাহ ছিলো। তাই পাতার দরকার পড়েছিলো।
২৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @নতুন,
রিয়েল ফল এটা কোথায় আছে? জান্নাত শব্দের অর্থ বাগান। আমরা এটাকে বেহেস্ত বানিয়েছি বোঝার অক্ষমতার কারনে। পাহাড়ি কোন স্থানে আদম ও হাওয়া ছিলো। হাওয়া বলে কারো অস্তিত্ব আল কোরআনে নাই। বলা আছে আদম ও তার সঙ্গি।
আর এটা কেমন ফল যে পুরুষ খেলে তার জ্ঞান অর্জনের প্রেষনা আচারনে যেই পরিবর্তন হবে তাতে কো সমস্যা নাই। কিন্তু সাথে নারী থাকলে সমস্যা হয়ে যাবে? আপনার কথা বুঝলাম না। জ্ঞান অর্জনের প্রেষনা নারী পূরুষ উভয়েরই হয়েছিলো। কারন দুজনে খেয়েছিল।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বেশ, নতুন কিছু জানা গেলো আপনার কাছ থেকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভাই আপনি কি কোন সেক্টরই বাদ দিবেন না?
রামায়ন, মহাভারত, বেদ পুরাণ, হাদিস কোরআন,
ফল ফুল, লতা পাতা, মাছ, গাছ সবইতো আপনার
লেখার মধ্যে!
এবার কবিতায়
হাত লাগান!