নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চন্দ্রপ্রভা ও গৌরিচৌরি ফুল ও ফুলের গাছ দেখতে প্রায় হুবহু একই রকমের। আমি শুধু জানি দুটি আলাদা গাছ, আলাদা ফুল। এবং ধারনা করি গৌরিচৌরি ফুল সম্ভবতো বড় বড় থোকায় ঘনসন্নিবিষ্ট হয়ে থাকে। আর চন্দ্রপ্রভা কিছুটা কম ঘনসন্নিবিষ্ট বা ছাড়া ছাড়া হয়ে সারা গাছ জুড়ে ফোটে। এরচেয়ে বেশি কোনো পার্থক্যের কথা আমার জানা নেই। আগামীতে জানতে পারলে পোস্টটি আপডেট করে দিবো।
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : হলদে চন্দ্রপ্রভা, সোনাপাতি, স্বর্ণপাতি, গৌরিচৌরি, হৈমন্তী, ফাগুন বউ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), ঘন্টি ফুল (মারাঠী), ঘট পুষ্প (নেপাল)।
Common Name : Yellow bells, Yellow trumpet, Yellow-Elder, Yellow Trumpet Flower, yellow trumpetbush, Trovadora, Trumpet Flower.
Scientific Name : Tecoma stans or Tecoma gaudichaudi
চন্দ্রপ্রভা বা গৌরিচৌরি আধা-চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এরা দেখতে ঝোপালো আকৃতির হয়। এরা সাধারণত ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। কিছু কিছু গাছ আরো বেশী লম্বা হয়ে যেতে পারে। এদেরকে সেইপে রাখার জন্য ফুল ফোটার পরে প্রচুর পরিমাণে ছাঁটাই করা যেতে পারে। এদের পাতা সবুজ ও কিনার করাতের দাঁতের মতো খাঁজকাটা থাকে।
গাছের শাখার প্রান্তে গুচ্ছাকারে, থোকায় থোকায় হলুদ বা উজ্জ্বল সোনালি হলুদ রঙের ফুল ফোটে। চন্দ্রপ্রভা বা গৌরিচৌরি ফুল দেখতে ফানেল বা শিঙার মতো। অথবা ঘণ্টা আকৃতিরও বলা চলে। তাইতো এদের ঘন্টি ফুলও বলা হয়। ঘণ্টা বা ফানেল আকৃতির ফুলগুলিতে পাঁচটি যক্তপাপড়ি রয়েছে যাদের খুব লখ্যকরে না দেখলে আলাদা করে বুঝা যায় না।
বাংলাদেশ এই ফুল গুলি গ্রীষ্মের শুরু থেকে শরতের শেষ পর্যন্ত একটি খুব দীর্ঘ ফুলের ঋতু পায়। তবে কিছু কিছু গাছে প্রায় সারা বছরই কম-বেশি ফুল ফুটতে দেখা যায়। গাছে ফলু ফুটলে মৌমাছি, প্রজাপতি এবং হামিংবার্ডকেসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ ফুলের আর্ষণে ছুটে আসে। ফুল শেষে গাছে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা অনেকটা বরবটির মতো দেখতে ফল হয়। সেটির ভিতরে অনেকগুলি বীজ থাকে।
কান্ডের কাটিং দ্বারা সহজেই বংশবিস্তার করা যায়। তাছাড়া বীজ থেকেও চরা করা যায়। এই ফুলেগাছ গুলি দ্রুতবর্ধণশীল।
বাড়ি, স্কুল-কলেজ বা অফিসের আঙিনা, সদর দরজার পাশে, সড়কদ্বীপে চন্দ্রপ্রভা লাগানো যায়। কারন এদের জন্য খুব বেশী যায়গার প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া ছাদে মাঝারি বা বড় আকারের টবেও অনায়াসেই এই গাছ জন্মতে ও ফুল ফোটাতে পারে। হলদে রঙোর থোকা থোকা ফুলের বাহার যেকোন ছাদ বা বাগানের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
চন্দ্রপ্রভা আমেরিকার স্থানীয় প্রজাতী উদ্ভিদ। তবে বিশ্বের নানান দেশে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এটি একটি আকর্ষণীয় শোভাবর্ধণকারী উদ্ভিদ হিসাবে পৃথিবীর অনেক দেশেই রোপন করা হয়। এরা খরা-সহনশীল এবং উষ্ণ আবহাওয়ায় ভাল জন্মে। আফ্রিকার কোথাও কোথাও এই গাছটি প্রচুর পরিমানে জন্মে আগাছাতে পরিণত হয়েছে।
গাছের ডালপালা জ্বালানি কাঠ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করার উপায় নেই। তবে এটি একটি ঔষধি গাছ যা ডায়াবেটিসের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে কিভাবে ব্যবহার করা যায় তা আমার জানা নাউ। শুনেছি এই গাছ পাকিস্তানে কোবরা সাপের বিষের বিরুদ্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি-ভেনম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এই গাছের পাতার পেস্ট কোবরা সাপের কামড়ের উপরে প্রয়োগ করা হতো।
ছবি তোলার স্থান : হাতিরঝিল ও কার্জন হল, ঢাকা বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ০৮/০৩/২০১৭ ইং ও ২৯/০৪/২০১৮ ইং
=================================================================
আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
ফুলেদের কথা
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অলকানন্দা, আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা,
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা
গাঁদা, গামারি, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া,
ঘোড়া চক্কর
জ্যাকারান্ডা,
ঝুমকোলতা
ডালিয়া
তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা
ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা,
পপী, পুন্নাগ
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং
ভাট ফুল
মাধবীলতা, মধুমঞ্জরি
রঙ্গন, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাধাচূড়া, রাণীচূড়া
লতা পারুল
শাপলা (সাদা), শিউলি, শিবজটা, শ্বেত অপরাজিতা, সুলতান চাঁপা
জবা - ১, জবা - ২, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, গোলাপী জবা
=================================================================
ফুলেদের ছবি
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১, ফুলের রাণী গোলাপ - ০২, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৪
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৫, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৬, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৭, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৮
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৯, ফুলের রাণী গোলাপ - ১০, ফুলের রাণী গোলাপ - ১১, ফুলের রাণী গোলাপ - ১২
ফুলের রাণী গোলাপ - ১৩
রাতের গোলাপ - ০১, রাতের গোলাপ - ০২, রাতের গোলাপ - ০৩, রাতের গোলাপ - ০৪
অর্কিড-২, অর্কিড-৩, অর্কিড-৪, অর্কিড-৫, অলকানন্দা (বেগুনী)-২, অলকানন্দা (বেগুনী)-৩, আমরুল-২,
কচুরিপানা ফুল-২, কসমস-২, কসমস-৩, কসমস-৪, কসমস-৫, কসমস-৬, কর্ণফ্লাওয়ার-২,
গাঁদা-২, গাঁদা-৩, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-২, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-৩, গোলাপি আমরুল-২,
ঝুমকোলতা-২
ডালিয়া-২, ডালিয়া-৩, ডালিয়া-৪,
তারাঝরা- ২
দাঁতরাঙ্গা-২, দাদমর্দন-২, দাদমর্দন-৩, দাদমর্দন-৪
নাগেশ্বর-২, নাগলিঙ্গম-২, নাগলিঙ্গম-৩
পুন্নাগ-২, পপী-২, পপী-৩, পপী-৪, পপী-৫, ফাল্গুনমঞ্জরী-২,
বাগানবিলাস-২, বাগানবিলাস-৩, বাদুড় ফুল-২, বোতল ব্রাশ-২, বোতল ব্রাশ-৩, বোতল ব্রাশ-৪, বিড়াল নখা-২, বোতল ব্রাশ-৪
মাধবীলতা-২, মাধবীলতা-৩
রুদ্রপলাশ-২, রুদ্রপলাশ-৩, রাজ অশোক-২, রাজ অশোক-৩, রাধাচূড়া-২, রাধাচূড়া-৩, রাধাচূড়া-৪, রাধাচূড়া-৫
লতা পারুল-২, লতা পারুল-৩, লতা পারুল-৪
শিউলি-২, সুলতান চাঁপা-২
গামারির হলুদ বন্যা, আরো কিছু গামারি, শিমুল গাছে আগুন, অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল,
=================================================================
গাছেদের কথা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================
১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৭
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।
১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩১
সোনাগাজী বলেছেন:
ফুল তো অনেক দেখলাম, এবার ঢাকার মানুষ নিয়ে কিছুটা লেখেন
১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনার বুদ্ধিশুদ্ধি নিয়ে মাঝে মাঝেই আমার সন্দেহ হয়।
আপনার কেনো মনে হয় সবাইকে আপনার পছন্দের রাস্তায় হাতটে হবে?
এখন থেকে আপনি আগামী ১৫ দিন ফুল-ফল-গাছ, ফটোগ্রাফী, বই রিভিউ, ভ্রমণ, সিনেমা রিভিউ নিয়ে দৈনিক একটি করে পোস্ট লিখেন। কথা দিচ্ছি আগামী ১০ বছর আমি ঢাকার মানুষ নিয়ে লিখবো।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: চেনা ফুল কিন্তু নাম জানতাম না। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ফুলের নাম পরিচয় জানতে পারছি।
১৪ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
নাম না জানা কতো চেনা গাছ, কত ফুল রয়ে গেছে আমার এখনো।
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আমি ফুল, ফল, আর ভ্রমণ কাহিনীর ছবি দিলে, আপনি বালির মাঝে সাঁতার কাটবেন; বাকী থাকবে আশ্রম।
১৪ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: নিজেকে এতো মহারথী ভাবার কিছু নাই গুরু।
যোগ্যতা থাকলে মন্তব্যের ঘরে খৈ না ভেজে আগামী ১৫ দিন সরাসরি পোস্ট করতে থাকেন।
আমার সাঁতার কাটা আর আশ্রম নিয়ে আপনাকে টেনশন করতে হবে না। আপনি আপনার চোখ আর বয়স নিয়ে ভাবেন। এই দুইটার ক্ষমতার সাথে সাথে মাঝে মাঝে মনে হয় আপনার আক্কেলটাও কমে যাচ্ছে গুরু।
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: অপূর্ব, মুগ্ধ হলাম দারুন পোস্ট
১৪ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই ফুলটা আমি চিনি। কিন্তু নামটা জানতাম না।
একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে এই ফুলটা রাস্তায়া পড়ে থাকতে দেখি। প্রায়ই দেখি। এক বাড়ির উঠানে এই গাছ। হালকা বাতাস বা বৃষ্টিতে এই ফুল গুলো ঝরে পড়ে।
একদিন আমি অনেক গুলো ফুল কুড়াই। পথে এক মেয়ের সাথে দেখা। মেয়েটার নাম মল্লিকা। সব গুলো ফুল মল্লিকাকে দিয়ে দেই। সে ভীষন খুশি হয়। এরপর মল্লিকার সাথে আমার বেশ 'ভাব' হয়ে যায়। সেই 'ভাব' একটা সম্পর্কে দিকে যাওয়ার আগেই মল্লিকারা অন্য এলাকায় চলে যায়।
১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই গাছ গুলিতে থোকায় থোকায় প্রচুর ফুল ফোটে। বিশেষ করে মাটিতে সার-জল দিলেতো কথাই নেই।
ফুল গুলি যখন ঝরেপরে তখন গাছের নিচে হলুদ চাদরের মতো বিছিয়ে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ফুলগুলো দারুণ।