নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : দিনের শেষে
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : মে ২০০৩
প্রকাশক : অন্যপ্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮৮ টি
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
জহির বি.এ. পাশ করে গ্রাম থেকে ঢাকাতে আসে চাকরির খোঁজে। ঢাকাতে সে উঠে একটি মেসে। প্রথমেই দেখা করে তাঁর একমাত্র আত্মীয় দূর-সম্পর্কের মামার সাথে। মামার তিন মেয়ে পড়াশুনা করে।
জহির সহজ সরল সাদাসিদা মানুষ, কখনো মিথ্যে কথা বলে না। যেকারো যেকোন উপকার সে হাসি মুখে করে যায়। কারো কাছে কখনো কিছু চায় না। ঢাকাতে এসেই সে তাঁর বন্ধুর কল্যানে দুটি টিউশানি পেয়ে যায়, পরে সে একটি কেরানির চাকরিও জুগিয়ে নেয়।
জহিরের মামাত বোন অরু তখন ডাক্তারি পড়ে। সেই সময় অরু হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে পালিয়ে কাউকে না জানিয়ে তার এক কলেজের টিচারকে বিয়ে করে ফেলে। এরপর থেকে অরুর সাথে বাড়ির কোন যোগাযোগ থাকে না, শুধু জহিরের সাথে কখন কখন যোগাযোগ হয়। অরুর ছোটবোন তরু কলেজে পরে। বোকাসোকা জহিরকে সে খুব পছন্দ করে।
এদিকে জহির বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখে, তাঁর মামাই মেয়ের সন্ধান আনেন। পরপর দুটি মেয়ে দেখার পরেও বিয়ে হয়নি কিন্তু তৃতীয় মেয়েটি দেখতে গিয়ে বিয়ের কথা বাতা সব ঠিক হয়ে যায়। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যায়। পরে জহিরের সাথে মেয়েটির আলাপ হয়, দুজনই দুজনকে পছন্দ করে।
অন্যদিকে অরুর জীবনে কেমন একটা এলোমেলো ভাব চলে আসে। তাঁর স্বামীর সাথে খুব একটা বনিবনা হয় না। এরমধ্যে জহির জানতে পারে অরু বিয়ের আগে জহিরের বোকামির জন্যই জহিরকে ভালোবাসতো, কিন্তু বোকা জহির তা বুঝতে পারেনি।
জহিরের বিয়ের সময় যখন এগিয়ে আসে ঠিক তখনই হঠাৎ করে জহিরের চাকরি চলে যায়। জহির তার এই বিপদের কথা কাউকে বলতে পারে না। এরমধ্যে সব ঠিক হয়ে থাকা বিয়েটিও তখনই ধুমকরে ভেঙ্গে যায়। অন্যদিকে অরু পা পিছলে পরে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে মারা যায়। সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায় জহিরের।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এই অভ্যাস আমারও আছে।
হাজার হাজার এপিগ্রাম লেখা আছে আমার কাছে।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১২
কামাল৮০ বলেছেন: মধ্যবৃত্ত ছেলে মেয়েদের প্রিয় লেখক।লেখকদের লেখক না।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:০১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুধু মধ্যবৃত্ত ছেলে-মেয়েদের না। পড়ুয়া প্রায় সকল স্তরের ছেলে মেয়েদের বলা চলে।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
হুমায়ন বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:০১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
উনার লেখার ধারাটাই আলাদ। সহজেই আপন, নিজের মনে হয়।
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:০৯
কামাল৮০ বলেছেন: টাউট দুর্নীতিবাজ আর হতদরিদ্র ছাড়া বাকী সবাই মধ্যবিত্ত।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
টাউট দুর্নীতিবাজ আর হতদরিদ্রের ছেলে মেয়েরা কি বই পড়ে না?
না কি হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে না?
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:১১
অপু তানভীর বলেছেন: দিনের শেষে বইটার কাহিনী সংক্ষেপ পড়েও তো কাহিনীটা ঠিক মনে পড়লো না । এমন তো স্বাধারণত হয় না আমার । একটু কাহিনী পড়লেই মনে পড়ে । কেবল অরুর পালিয়ে বিয়ে করার ব্যাপারটা একটু মনেপড়লো কিন্তু অন্য কোন কাহিনীই মনে পড়ছে না । দেখি বইটা আরেকবার পড়তে হবে কাল ।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:২৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এ্ই কাহিনী সংক্ষেপ গুলি লিখার সময় একটানা হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সমস্ত লেখা পড়েছিলাম। কতো কাহিনীই ভুলে গেছি।
৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৫৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আরেকটু ডিটেইলস হতে পারতো।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এর চেয়ে ডিটেইলস বললে উপন্যঅসের আর কিছুই বাকি থাকতো না।
৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:২৭
কামাল৮০ বলেছেন: আপনি কোন দেশে বাস করেন ।তাদের ছেলে মেয়েরা বাংলা লেখা পড়া জানে।
আমার চোট মেয়েকে কোন দিন দেখিনাই বাংলা কোন বই পড়তে ।ওলেবেল এলেবেলে পাশ করার জন্য পাঠ্য বই পড়তো।বাংলায় ১৯ মানে কত তাও জানে না।আমি কখনো তাদের বলিনি এটা পড় ওটা পড়না।বিশ্ব সাহিত্যের ধ্রুপদী বইগুলো তার পড়া।আমার সাথে বন্ধুর মতো তর্কবিতর্ক করতে করতে,আমার মতোই একজন কু সংস্কার মুক্ত মানুষ।
তাদের ছেলে মেয়েরা বেশির ভাগ অমানুষ।পত্রিকায় তাদের খবর দেখেন না।এক এক জন কত বড় লম্পট।জানেন বুঝেন সবই।তবু তর্ক করার জন্য তর্ক করেন।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
না, তর্ক করার জন্য তর্ক করছি না ভাইজান।
হতদরিদ্রের সন্তানরা বেশীরভাগই সেই ভাবে পড়াশুনার সুযোগ পায় না। তবে দরিদ্রের সন্তানরা পড়ে, বরং মধ্যবিত্তের চেয়ে বেশী পড়ে। আপনি ভাবছে ধনী মানেই টাউট দুর্নীতিবাজ এবং তাদের ছেলে মেয়ে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। এই কথাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়, সেটি আপিও জানেন। টাউট দুর্নীতিবাজ ও ধীনিদের বাচ্চাদের সাথে সাথে বর্তমাণে প্রচুর মধ্যবিত্ত ও বেসরকারী চাকুরেদের বেশীর ভাগ সন্তান ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ছে।
তাদের মধ্যে বাংলা গল্প-উপন্যাস পড়ার রেওয়াজ কম, কিন্তু শূণ্য নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৮| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। সমস্যা হচ্ছে, ওনার লেখা পড়ার পর ঘটনাগুলো তেমন আর মনে করতে পারি না!
০৯ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমিও প্রায় সব কাহিনীই ভুলে যাই। তাই এই ভাবে কাহিনী সংক্ষেপ লিখে রাখতাম।
৯| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
প্লটটা তেমন কিছু নয়।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
অবশ্যই তেমন কিছু নয়।
তেমন কিছু নয় প্লটকেই অসাধারন ভাবে উপস্থাপন করার ক্ষমতা ছিলো হুমায়ূন আহমেদে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: "মানুষতো আর কম্পিউটার না যে পুরোপুরি সত্যি কথা বলবে। একমাত্র কম্পিউটার পুরোপুরি সত্যি কথা বলে। এই জন্যেই কম্পিউটারের প্রেমে পড়া যায় না। মানুষের প্রেমে পড়া যায়।"
এইসব কথা একসময় ডাইরীতে লিখে রাখতাম। দিনের শেষে বইয়ের কথা মনে হলেই এই কথাগুলো মাথায় আসে।