নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদীসের গল্প : ০০৮ : নবীজির পানি পান করানোর ঘটনা

০১ লা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩২



মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... ইমরান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। আমরা রাতে চলতে চলতে শেষরাতে এক স্থনে ঘুমিয়ে পড়লাম। মুসাফিরের জন্য এর চাইতে মধুর ঘুম আর হতে পারে না। (আমরা এমন ঘোর নিদ্রায় নিমগ্ন ছিলাম যে,) সূর্যের তাপ ছাড়া অন্য কিছু আমাদের জাগাতে পারেনি। সর্বপ্রথম জাগলেন অমুক, তারপর অমুক, তারপর অমুক। [(রাবী) আবূ রাজা’ (রহঃ) তাঁদের সবারই নাম নিয়েছিলেন কিন্তু ’আওফ (রহঃ) তাঁদের নাম মনে রাখতে পারেন নি।] চতুর্থবারে জেগে ওঠা ব্যাক্তি ছিলেন ’উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমালে আমরা কেউ তাঁকে জাগাতাম না, যতক্ষণ তা তিনি নিজেই জেগে উঠতেন। কারণ নিদ্রাবস্থায় তাঁর উপর কি অবতীর্ণ হচ্ছে তা তো আমাদের জানানেই।

’উমর (রাঃ) জেগে যখন মানুষের অবস্থা দেখলেন, আর তিনি ছিলেন দৃঢ়চিত্ত ব্যাক্তি—উচ্চস্বরে তাকবীর বলতে শুরু করলেন। তিনি ক্রমাগত উচ্চস্বরে তাকবীর বলতে লাগলেন। এমন কি তাঁর শব্দে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জেগে উঠলেন।
তখন লোকেরা তাঁর কাছে ওজর পেশ করলো।
তিনি বললেনঃ কোন ক্ষতি নেই বা বললেনঃ কোন ক্ষতি হবে না। এখান থেকে চল। তিনি চলতে লাগলেন। কিছু দূর গিয়ে থামলেন। উযূর পানি আনলেন এবং উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। সালাত (নামায/নামাজ)-এর আযান দেওয়া হল। তিনি লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন।
সালাত শেষ করে দেখলেন, এক ব্যাক্তি পৃথক দাড়িয়ে আছেন। তিনি লোকদের সাথে সালাত আদায় করেন নি।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে অমুক! তোমাকে লোকদের সাথে সালাত আদায় করতে কিসে বাধা দিল?
তিনি বললেনঃ আমার উপর গোসল ফরয হয়েছে। আথচ পানি নেই।
তিনি বললেনঃ পবিত্র মাটি নাও (তায়াম্মুম কর), এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় সফর শুরু করলেন।
লোকেরা তাঁকে পিপাসার কষ্ট জানালো।
তিনি অবতরণ করলেন, তারপর অমুক ব্যাক্তিকে ডাকলেন। [(রাবী) আবূ রাজা’ (রহঃ) তাঁর নাম উল্লেখ করেছিলেন কিন্তু ’আওফ (রহঃ) তা ভুলে গিয়েছেন।] তিনি ’আলী (রাঃ)-কেও ডাকলেন। তারপর উভয়কেই পানি খুজে আনতে বললেন।
তাঁরা পানির খোজে বের হলেন। তাঁরা পথে এক মহিলাকে দুই মশক পানি উটের উপর করে নিতে দেখলেন।
তাঁরা জিজ্ঞাসা করলেনঃ পানি কোথায়? সে বললোঃ গতকাল এ সময়ে আমি পানির নিকটে ছিলাম। আমার পাত্র পেছনে রয়ে গেছে।
তাঁরা বললেনঃ এখন আমাদের সঙ্গে চলো।
সে বললোঃ কোথায়?
তাঁরা বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট।
সে বললঃ সেই লোকটির কাছে যাকে সাবি’ (ধর্ম পরিবর্তনকারী) বলা হয়?
তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, তোমরা যাকে এই বলে থাক। আচ্ছা এখন চল।

তাঁরা তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন এবং সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন।
’ইমরান (রাঃ) বলেনঃ লোকেরা স্ত্রীলোকটিকে তাঁর উট থেকে নামালেন। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পাত্র আনতে বললেন এবং উভয় মশকের মুখ খুলে তাতে পানি ঢাললেন এবং সেগুলোর মুখ বন্ধ করে দিলেন। তারপর সে মশকের নীচের মুখ খুলে দিয়ে লোকদের মধ্যে পানি পান করার ও জন্তু-জানোয়ারকে পানি পান করানোর ঘোষণা দিলেন।
তাঁদের মধ্যে যার ইচ্ছা পানি পান করলেন ও জন্তুকে পান করালেন।
অবশেষে যে ব্যাক্তির গোসলের দরকার ছিল, তাকেও এক পাত্র পানি দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ পানি নিয়ে যাও এবং গোসল সার।
ঐ মহিলা দাড়িয়ে দেখছিল যে তাঁর পানি নিয়ে কি করা হচ্ছে। আল্লাহর কসম! যখন তাঁর থেকে পানি নেয়া শেষ হল তখন আমাদের মনে হল, মশকগুলো পুর্বাপেক্ষা অধিক ভর্তি।

তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মহিলার জন্য কিছু একত্র কর।
লোকেরা মহিলার জন্য আজওয়া (বিশেষ খেজুর), আটা ও ছাতু এনে একত্র করলেন।
যখন তাঁরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী জমা করলেন, তখন তা একটা কাপড়ে বেধে মহিলাকে উটের উপর সওয়ার করালেন এবং তাঁর সামনে কাপড়ে বাঁধা গাঁটরিটি রেখে দিলেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি জান যে, আমার তোমার পানি মোটেই কম করিনি; বরং আল্লাহ তা’লাই আমাদের পানি পান করিয়েছেন।

এরপর সে তাঁর পরিজনের কাছে ফিরে গেল। তাঁর বেশ দেরি হয়েছিল। পরিবারের লোকজন তাঁকে জিজ্ঞেসা করল, হে অমুক! তোমার এত দেরি হল কেন?
উত্তরে সে বললো একটা আশ্চার্যজনক ঘটনা! দু’জন লোকের সাথে আমার দেখা হয়েছিল। তাঁরা আমাকে সেই লোকটির কাছে নিয়ে গিয়েছিল, যকে সাবি’ বলা হয়। আর সেখানে সে এসব করল। এ বলে সে মধ্যমা ও তর্যনী আঙ্গুল দিয়ে আসমান ও যমীনের দিকে ইশারা করে বলল, আল্লাহর কসম! সে এ দু’টির সবচাইতে বড় জাদুকর, নয় তো সে বাস্তবিকই আল্লাহর রাসূল।

এ ঘটনার পর মুসলিমরা ওই মহিলার গোত্রের আশেপাশের মুশরিকদের উপর হামলা করতেন কিন্তু মহিলার সাথে সম্পর্কযুক্ত গোত্রের কোন ক্ষতি করতেন না।
একদিন মহিলা নিজের গোত্রকে বললঃ আমার মনে হয় তারা ইচ্ছা করে তোমাদের নিষ্কৃতি দিচ্ছে। এ সব দেখে কি তোমরা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হবে না?
তাঁরা সবাই মহিলাটির কথা মেনে নিল এবং ইসলাম দাখিল হয়ে গেল।

সূত্র :
সহীহ বুখারী : (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদীস নাম্বার : ৩৩৭ এবং আন্তর্জাতিক হাদীস নাম্বার : ৩৪৪


ঘোষণ :
শিরনামে "গল্প" বলতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতৃক বর্ননাকৃত ঘটনাকে বুঝানো হয়েছে।
ছবি : সংগৃহীত
=================================================================

হাদীসের গল্প : ০০১ : জাস্‌সা-সাহ ও দাজ্জাল
হাদীসের গল্প : ০০২ : দোলনায় কথা বলা তিন শিশু
হাদীসের গল্প : ০০৩ : তিন যুবকের গল্প
হাদীসের গল্প : ০০৪ : যামিনদার হিসাবে আল্লাহ্‌ই যথেষ্ট
হাদীসের গল্প : ০০৫ : খাযির (আঃ) ও মুসা (আঃ) এর ঘটনা
হাদীসের গল্প : ০০৬ : মি’রাজ
হাদীসের গল্প : ০০৭ : কিয়ামতের দিন

=================================================================

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুবহানআল্লাহ

০১ লা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আল্লাহ মহান

২| ০১ লা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!!

০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হুম

৩| ০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভাল লাগল।

০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪| ০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



১ জন মহিলা পানি নিচ্ছিলেন, তাকে তার পথ থেকে সরায়ে আনা হলো; ২ মশক থেকে পানি নেয়া হলো: অনেকে পানি পান করলেন, পশুদের পানি পান করতে দেয়া হলো, ১ জনের গোসলের পানিও সেখান থেকে নেয়া হলো; শেষে দেখা গেলো, মশক ২টাতে আগের চেয়েও বেশী পানি আছে।

আপনার কি মনে হয়, মহিলার ২ মশক থেকে পানি নেয়ার পর, পানি কমেছে, সমান আছে, নাকি বেড়েছে?

০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আসমানী কিতাব সমূহে, হাদিসে এমন অলৌকিক কাহিনী অনেক আছে।
মসলিম হিসেবে কোরআনে যা আছে তা আমাকে বিশ্বাস করতেই হবে।
হাদীসের গল্পগুলিকে বিশ্বস না করলে ইমানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা কম।

যদি আপনি ইসলাম না মেনে থাকেন তাহলে আপার জন্য সবই সমান।

৫| ০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহর সান কে বুঝিতে পারে!

০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
অলৌকিক ঘটনাগুলি বিশ্বাস করা কঠিন।

৬| ০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মাশা আল্লাহ খুব সুন্দর পোস্ট। আল্লাহ আপনার উদ্দেশ্য সফল করুক

০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এই পোস্ট করার উদ্দেশ্য খুব একটা ভালো না ভাই।
হাদিসের এই যে গল্প গুলি আমি শেয়অর করছি, তার প্রতিটাই বিশ্বাস করা কঠিন।
বিজ্ঞান আর যুক্তিতে টেকে না।

৭| ০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩২

কামাল৮০ বলেছেন: নূরু ভাই ঠিকই বলেছে,”কে বুঝিতে পারে”।তাই বুঝার চেষ্টা বৃথা।কেবল শুনি।

০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
হে, এই সব বুঝের বাইরে, অলৌকিক ঘটনাগুলি বিশ্বাস করা কঠিন।

৮| ০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আমার প্রশ্ন ছিলো, "আপনার কি মনে হয়, মহিলার ২ মশক থেকে পানি নেয়ার পর, পানি কমেছে, সমান আছে, নাকি বেড়েছে? "

আপনার উত্তর,"আসমানী কিতাব সমূহে, হাদিসে এমন অলৌকিক কাহিনী অনেক আছে। মসলিম হিসেবে কোরআনে যা আছে তা আমাকে বিশ্বাস করতেই হবে। হাদীসের গল্পগুলিকে বিশ্বস না করলে ইমানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা কম। যদি আপনি ইসলাম না মেনে থাকেন তাহলে আপার জন্য সবই সমান। "

-এখন বলেন, আপনি কি আমার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছেন?

০১ লা জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
হাদিসে বক্তব্য অনুযায়ী : পানি কমে নি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি জান যে, আমার তোমার পানি মোটেই কম করিনি; বরং আল্লাহ তা’লাই আমাদের পানি পান করিয়েছেন।

আমি আপনিকে আগেও বলেছি আমি মুসলিম, আমি ইসলাম মানি। যদিও হাদিসের সবটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। হাদিসে অনেক জাল-ভুল জিনিস ঢুকে গেছে।

আপনাকে আমি একবার প্রশ্ন করেছিলাম এইভাবে -
অর্থাৎ আপনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতে চাইছেন যে আপনি ধর্ম মানে, কিন্তু ধর্মের কিছু কিছু অংশ যেগুলি আপনার কাছে আজগুবি মনে হয় সেগুলি আপনি মানেন না?
ইসলামে অনেক আজগুবি বিষয় আছে যেগুলি কোনো প্রশ্নছাড় মেনে নিতে হয় যেমন - নবী-রসুল, কিতাব, কেয়ামত, দোজখ, বেহেস্ত, জ্বীন, ফেরেস্তা, স্রষ্টা। এর কোনো একটি অস্বীকার করার কোনো উপায় মুসলমানদের নেই। আপনি এগুলি অস্বীকার করেও বলতে চাইছেন আপনি ইসলাম মানেন?


যার উত্তর আপনি দেননি। ফলে আমি লিখেছিলাম।
আপনার মতো ভীতু মানুষ অনেক দেখা যায়।
যারা সাহস করে কোন একটা পথ বেছে নিতে পারে না। আবার কোনো একটা পথ বেছে নিতে পারলেও সাহস করে সেটা স্বীকার করতে পরে না।


আজকে ঐ প্রশ্নের উত্তর দিন।

১০| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫২

মো নুরুজ্জামান ইসলাম বলেছেন: এই ঘটনাটি আমি আগে জানতাম না।প্রথম জানলাম । এই অলৌকিক ঘটনাটি বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু হাদীসটি সহীহ হওয়ায় আমি বিশ্বাস করি ।

০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী, এমন নানান অলৌকিক ঘটনার কথা আছে হাদিসে, আছে কোরআনে।
কোরআনে যেগুলি আছে সেগুলি অবিশ্বাস করার সুযোগ নেই। তবে হাদিসে কিছু কিছু জাল জিনিস ইচ্ছে করে ঢুকানো হয়েছে। কোনটি সত্যি কোনটি মিথ্যে সেটি বুঝা মুশকিল।

১১| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি বলেছেন, "আপনার মতো ভীতু মানুষ অনেক দেখা যায়।
যারা সাহস করে কোন একটা পথ বেছে নিতে পারে না। আবার কোনো একটা পথ বেছে নিতে পারলেও সাহস করে সেটা স্বীকার করতে পরে না। আজকে ঐ প্রশ্নের উত্তর দিন। "

-আমি আধুনিক সময়ে জন্ম নিয়েছি; আমি কোন প্রকার ভুল জীবনকে সাপোর্ট করি না।

০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমার প্রশ্নগুলির উত্তর দেয়ার সাহস আপনি কেনো এখনো জোগাড় করতে পারলেন না?
আপনি আধুনিক মানুষ, আপনি আধুনিক দেশের বাসিন্দা অথচ এখনো মনের কোনে কুসংস্কার নিয়ে বসে আছেন?

১২| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে কারও সন্দেহ করা উচিত না।

০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এইটাই কথা।
নবীজী পরিষ্কার বলেছেন :
তুমি জান যে, আমার তোমার পানি মোটেই কম করিনি; বরং আল্লাহ তা’লাই আমাদের পানি পান করিয়েছেন।

১৩| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সোনাগাজীকে কোন ভাবেই বোঝাতে পারবেন না।

০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমি কাউকে বুঝানোর বোঝা কাধে নিতেও চাই না।
আমি শুধু চাই উনি বা আপনি বা আমি বা অন্য যেকেউ প্রশ্ন করার আগে নিজের অসবস্থানটা সঠিক ভাবে জেনে প্রকাশ করুক।

১৪| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


হাদীসের গল্প ও ঈশপের গল্পের মধ্যে পার্থক্য কি? অলৌকিকতা শুধু?

০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনি যদি পার্থক্য না জেনে থাকেন তাহলে পার্থক্য জানার চেষ্টা করুন নিজে নিজে।
আপনার কাছে কোনো পার্থক্য ধরা না পরলে, আপনার জন্য কোনো পার্থক্য নেই।

১৫| ০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হাদিস লেখা হয়েছে রসুলের মৃত্যুর ৩০০ বছর পরে।
রসুলের মৃত্যুর পরেও ইসলাম প্রচার বা ইসলাম কায়েম সম্ভব হয়নি কারণ নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ বিদ্রোহ লেগে গিয়েছিল। নামাজের রাকাত নির্ধারিত ছিল না আর নামাজ পড়ার সময়ও ছিল না যুদ্ধের কারণে।
তিনশত বছর পর মক্কা মদিনার হাজার হাজার মাইল দূরে একসময়ের সোভিয়েট রাশিয়া এলাকা তাসখন্দের কাছে বোখারা শহরে হাদিস লেখা শুরু হয়।
সেখানকার এক রাজার নির্দেশে হাদিস লিখেছিলেন একজন অনারব ব্যক্তি, ইমাম বোখারি যিনি কখনো আরবে বসবাস করেননি শুধু একবার হজে গেছিলেন। ফেরার সময় মিশর জেরুজালেম বসরা ভ্রমন করেন। শিক্ষিত ছিলেন বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শি ছিলেন। মক্কা মদিনায় কিছু মানুষের বিভিন্ন কথা শুনে এসেছেন এতে অনেক আজগুবি গল্প হাদীসের স্থান পেয়েছে।
সেই হাদিসের উপর ভিত্তি করে উপমহাদেশের আমাদের সুন্নি ইসলাম।
অধিকাংশ আরব গোত্রের ইসলাম এসব হাদিস গল্প বিশ্বাস করেনা, আলীর অনুসারিরাও বিশ্বাস করে না।
ইরাক লেবাননের ড্রুজ মুসলিমরা ৪০ বছর না হওয়া পর্যন্ত নামাজ কালাম ধর্ম পালন করে না, যুক্তি হচ্ছে রসুল ৪০ এর পর ধর্ম কর্ম শুরু করেন, আরবে এরুপ অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত মুসলিম আছে, সবাই আপনার মত নিজেদের সহি মনে করে।

এটা তো সত্য যে রসুলের দলটা মক্কা থেকে বিতাড়িত হয়ে পেশা হিসেবে নিয়েছিল ছিনতাই। ডাকাতি বলা যায় মানে মক্কার মোকাম কাফেলাদের উপর ছিনতাই করে মালামাল নিয়ে নেওয়া, এরপর সোনা দানা লুটের গমের বস্তা দিয়ে মদিনার খেজুর বাগানে জমি কিনে নেওয়া হয়। ভাল দামে দামে জমি বেচে মদিনাবাসীরাও খুশি। মক্কার বাটপারদের ভিষণ অপছন্দ করতো মদিনার কৃষকরা।

পানি সংকটে রসূল বলেছিল পানি খুঁজে আনতে কিন্তু পথে পানি সহ দুই বেদুইন মহিলা উটে চামড়ার ব্যাগে করে পানি নিয়ে যাচ্ছিল গ্রামে, পথে দুজন অস্ত্র ধারি ডাকাত দেখে ভয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় কিন্তু অস্ত্রধারি দুজন পানির উৎসে না যেয়ে সর্টকাটে এই দুই মেয়ে কে পানি সহ ধরে নিয়ে যায় রসুলের সম্মুখে হাজির করে। পানি সব পানি ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার পরও রসুল খুব সুন্দর ব্যবহার করেন এবং তাদেরকে কিছু খাবার খেজুর দিয়ে দেন, গরু মেরে জুতা দান করার মত কিছু একটা।
মেয়ে দুটো উট নিয়ে আবার পানির উৎসের কাছে যে পানি নিয়ে গ্রামে ফিরে যায় , প্রাণে বেঁচে গেছে ধর্ষণ হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেছে দাস হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেছে এটাই তো বিশাল পাওনা, খেজুর না দিলেও হত।
মেয়ে দুটো গ্রামে ফিরে গল্প করে যে রসূল এত সুন্দর ব্যবহার করেছে এত এত ভালো মানুষ এত সত্যবাদী খেজুর দিয়েছে ইত্যাদি মূল কথা প্রাণে বেঁচে গেছে। বাস্তবেও রসুলের প্রানশক্তি মানুষের মন জয় করার ক্ষমতা ছিল অসাধারন।
কিন্তু জেনারেশন এর পর জেনারেশনে মক্কা মদিনার সমাজে এসব গাল গল্প আরও বড় হয়েছে অলৌকিক জিনিস যুক্ত হয়েছে বলছে যে পানি নিজেই ভরে গেছে আসলে এসব কিছুই হয়নি সব গল্প। ইমাম বুখারি হজে এসে এই গল্প সম্মধে অবগত হয়েছিলেন।

০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইমাম বুখারী যেমন গল্প ফেদেছেন (!) আপনিও তেমন গল্প ফাদলেন ?
গল্প ভালো হয়েছে।

১৬| ০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী আপনার সব তথ্যই ভুল, মিথ্যে এবয়ং বানোয়াট। কেন আপনি ভুল তথ্য দেন এবং মনগড়া কথা বলেন?

০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
হাসান কালবৈশাখী সাহেব উনার বলা গল্পের সত্যত্বা প্রামাণ করতে পারবেন না।
আপনিও বা আমিও বুখারীর লেখার সত্যত্বা প্রামণ করতে পারবো না।
ধর্মের কিছু কিছু জিনিস নিশর্ত ভাবে বিশ্বাস করতে হয়। কোনো উপায় নেই।

১৭| ০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৩

বিটপি বলেছেন: এই হাদীসটি আমার কাছে তেমন গ্রহণযোগ্য মনে হয়না। আল্লাহ যদি কাফেলাকে পানি পান করানোর ইচ্ছে করে থাকতেন, তবে তো মরুভূমিতে অলৌকিকভাবে কূপ খনন করে, বা লৌকিকভাবে বৃষ্টি ঝরিয়ে পানি সরবরাহ করতে পারতেন। মশকধারী উট খুঁজে আনতে হল কেন?

আমরা যতদূর জানি, রাসূল (স) যুক্তি দিয়ে পৌত্তলিক ধর্মের অসারতা প্রমাণ করে আরবদেরকে ইসলামের পথে টেনে আনতেন। মোজেজা তিনি দেখাতেন, তিনি সেই মোজেজা দেখে ভারতের রাজা পোরমল ছাড়া আর কেউ ইসলাম গ্রহণ করেছেন বলে আমার জানা নেই। আর পীর আউলিয়াদের মত যত্র তত্র উনি মোজেজা দেখিয়েও বেড়াতেন না।

তাই গল্পে উল্লেখিত মহিলা ও তার পরিবার মেশকের পানি বিষয়ক তুকতাক দেখেই ইসলাম কবুল করেছে - এটা বিশ্বাসযোগ্য না।

০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
যৌক্তিক কথা বলেছেন।
আমি আগেও বলেছি, হাদিসে অনেক জাল জিনিস ঢুকে গেছে।
এই হাদিসটিতে জাল আছে কিনা তা আজ আর প্রমাণ করার কোনো উপায় নেই।
যদিও যুক্তি বলে এমনটা হওয়া সম্ভব না।
আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ চাইলে সবই করতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.