নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদিও উড়তে পারে না তবুও আমাদের রাজহাঁস বা রাজহংস গৃহপালিত পাখি। রাজহাঁস আমাদের সাধারণ হাঁসের তুলনায় যথেষ্ট বড়। হাঁস শব্দটি এসেছে সংস্কৃত হংস শব্দটি থেকে। সাধারন হাঁসের তুলনায় আকারে বড় বলেই এদেরকে রাজহাঁস বা রাজহংস বলা হয়।
রাজহাঁস দম্পতি সাধারণত সারাজীবনের জন্য জোট বাঁধে, তবে কখনো কখনো প্রজনন অক্ষমতার জন্য বা বাসা বাঁধতে না পারার কারণে এদের বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। রাজহাঁস দল বেধে চলাফেরা করে। দলে ৩ থেকে ৪ টি মাদিহাঁসের জন্য একটি মর্দা হাঁস রাখতে হয়।
রাজহাঁসদের বয়স এক বছর পেরিয়ে গেলেই প্রজননের উপযোগী হয়ে উঠে। মার্দি রাজহাঁস ১৫ বছর পর্যন্ত প্রজননক্ষম থাকলেও মর্দা রাজহাঁস ৭ বছরে প্রজননে কিছুটা বা পুরপুরি অক্ষম হয়ে পড়ে।
রাজহাঁস সাধারনত বসন্ত কালে, সকালের দিকে ডিম দেয়। বছরে সাধারণত ২ বারে খুব অল্পই ডিম দেয় এরা। সাধারণত প্রতিবারে ৩টি থেকে ১০টি ডিম পাড়ে। এই কারণে রাজহাঁসের ডিম না খেয়ে সেটা থেকে বাচ্চা ফোটানোতেই বেশী আগ্রহী হয় লোকে। ডিম পারা শেষ হলে রাজহাঁস নিজের ডিম নিজেই তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায়।
রাজহাঁসের মাংস খাওয়া হয় বেশ আগ্রহ করেই। চার মাস বয়স হলেই রাজহাঁস মাংস হিসেবে খাওয়া চলে। এই সময় একটি রাজহাঁসের ওজন সাড়ে চার কেজি পর্যন্ত হতে পারে। একটি রাজহাঁসের দেহের ওজনের শতকরা ৭০ ভাগ মাংস পাওয়া যায়।
রাজহাঁসের তেমন রোগ-ব্যধি হয় না। রোগের মড়ক নেই বললেই চলে। এরা সাধারণত নিজেরাই নিজেদের খাবার জোগাড় করে নেই প্রকৃতি থেকে। তবে প্রকৃতিতে খাবার জোগাড়ের সুযোগ না থাকলে বা কম থাকলে পুষ্টিকর খাবার দিতে হয়।
অপরিচিতো পরিবেশ বা হঠাত কোনো কারণে রাজহাঁস প্রবল উত্তেজনায় অনেক সময় মানুষকেও আক্রমন করে বসে।
রাজহাঁসের পলক দিয়ে লেপ-তোষক, বালিশ তৈরি হয়।
ছবি তোলার স্থান : রতনপুর জমিদার বাড়ি, বিরামপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ০৩/০১/২০২২ ইং
=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
পাক-পাখালি - ০১, পাক-পাখালি - ০২, পাক-পাখালি - ০৩, পাক-পাখালি - ০৪, পাক-পাখালি - ০৫ : পায়রা
পাক-পাখালি - ০৬, পাক-পাখালি - ০৭ : চড়াই, পাক-পাখালি - ০৮ : ফিঙ্গে, পাক-পাখালি - ০৯ : সবুজ বাঁশপাতি
পাক-পাখালি - ১০ : চড়াই, পাক-পাখালি - ১১ : বন বাটান, পাক-পাখালি - ১২, পাক-পাখালি - ১৩, পাক-পাখালি - ১৪
পাক-পাখালি - ১৫ : পায়রা, পাক-পাখালি - ১৬, পাক-পাখালি - ১৭ : গাংচিল, পাক-পাখালি - ১৮ : সাদা ময়ূর
পাক-পাখালি - ১৯, পাক-পাখালি - ২০ : কাক, পাক-পাখালি - ২১
=================================================================
২২ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
রাজহাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে এমন কোনো লোকের খবর আমার জানা নেই। ইউটিউবে খুঁজলে পাওয়া যাবে।
আমরা আশ্রমে ২০টি রাজহাঁস পালার পরিকল্পনা করছি।
২| ২০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মাংস খুব শক্ত আর হাড় পাথরের মতো শক্ত।
২২ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হাঁসের মাংস কিছুটা শক্তই হয়, হাড়ও শক্ত হয়।
শুনতে পাওয়া যায় আগে গ্রামে নতুন জামায়ের দাঁতের ক্ষমতা পরীক্ষার জন্য হাঁতে মাথা খেতে দিতো। ভেঙ্গে ঘিলু খেতে পারলে পাশ, না পারলে ফেল।
৩| ২০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: হাস ভূনা কিন্তু খেতে দারুন।
২২ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সে আর বলতে!!
আমরা আশ্রমে ২০টি রাজহাঁস পালার পরিকল্পনা করেছি। সেই সাথে ১১০টি দেশি হাঁস।
আশা আছে আগামী বছর আশ্রমের হাঁসই আমরা খাবো।
৪| ২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩০
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার আশ্রমের পুকুর হাঁসের জন্য ভালো যায়গা।
২২ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমরা আশ্রমে ২০টি রাজহাঁস পালার পরিকল্পনা করেছি। সেই সাথে ১১০টি দেশি হাঁস।
৫| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:১৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বিস্তারিত জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
২২ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
৬| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ এতকিছু জানতাম না তো!
সুন্দর পোষ্ট।
২২ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমিও এতো কিছু জানতাম নাকি!!
৭| ২২ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জুন বলেছেন: আমার তোলা হাসের ছবি জলদস্যু
২২ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হে, এমন চমৎকার ধবধবে সাদা রাজহাঁসও দেখা যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ২:৫৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
মড়ক না লাগার পেছনে গলার টোনের সম্পর্ক আছে মনে হয়।রাজহাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে এমন আছে কেউ?