নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একসময় Star Movies, HBO ইত্যাদি চ্যানেল গুলিতে প্রতি রাতেই হলিউডের মুভি দেখতাম। পরে আরো কিছু চ্যানেলে হিন্দি ডাব হলিউড মুভি দেখাতো। সেগুলিও আগ্রহ নিয়ে দেখতাম। কত শত মুভি দেখেছি তখন!!
কিছু কিছুর নাম মনে আছে, কিছু কিছুর মনে নেই। কোনোটির হয়তো নাম মনে আছে, কাহিনী মনে নেই। কোনটি একাধীকবার দেখা হয়েছে, কোনটি একবার দেখেই আর দেখার ইচ্ছে হয়নি। হলিউডের পুরনো মুভি গুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরনো যে মুভিটির কথা মনে পরে সেটি হচ্ছে ১৯৭৩ সালে রিলিজ হওয়া হরোর সিনেমা The Exorcist. সেটিকে প্রথম ধরে রিলিজ ডেট হিসাবে আমার দেখা ৬ থেকে ১০ পর্যন্ত মুভি সম্পর্কে সামান্য কিছু তথ্য দিচ্ছি।
০৬ : Jesus (1979)
এই মুভিটির বাংলা বাড দেখেছি অনেক আগে বিটিভিতে। এই মুভিটি ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষ্যে দেখানো হতো। অনেকবার দেখিছি এই সিনেমাটি, এবং বেশ ভালো লাগে দেখতে।
নিউ টেস্টামেন্টে লুকের সুসমাচারের উপর ভিত্তি করে, কুমারী মাতার গর্ভে যীশুর অলৌকিক জন্ম থেকে শুরু করে তার বেরে উঠা, শিষ্যদের আহ্বান, জনসাধারণকে অলৌকিক কাজ দেখানো, রোমান সাম্রাজ্যের হাতে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু এবং তৃতীয় দিনে পুনরুত্থান পর্যন্ত যীশুর জীবনী দেখানো হয়েছে এই মুভিতে।
০৭ : Rambo First Blood - I (1982)
ফার্স্ট ব্লাড - ১ মুভিটিও আমি অনেকবার দেখেছি। এটি র্যাম্বো সিরিজের প্রথম সিনেমা। র্যাম্বো একটি আমেরিকান অ্যাকশন মুভি সিরিজ। এখন পর্যন্ত ৫টি মুভি বেরিয়েছে এই সিরিজে।
প্রথম পর্বে দেখা যায় প্রাক্তন সৈনিক জন র্যাম্বো (সিলভেস্টার স্ট্যালোন) ভিয়েতনামের যুদ্ধ শেষে ছোট একটি শহরে এসেছে তাঁর এক বন্ধুকে খুঁজতে। স্থানীয় শেরিফ মোটামুটি বিনা কারণেই তাঁকে পুলিশ স্টেশনে ধরে নিয়ে যায়। র্যাম্বো পুলিশদের পিটিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে একটি বনে ঢুকে যায়। শেরিফ তার লোকজন নিয়ে ধাওয়া করে। র্যাম্বো একে একে তাদের আহতো করে গোপনে পালিয়ে থাকে। পরে তার প্রাক্তন বস কর্নেল ট্রাউটম্যানের মধ্যস্থতায় একটি সমাধান হয়।
০৮ : Indiana Jones and the Temple of Doom (1984)
ইন্ডিয়ানা জোন্স সিরিজের রিলিজ হওয়া ২য় সিনেমা হলেও এটিই আসলে এই সিরিজের কাহিনী হিসেবে প্রথম মুভি। এখান থেকেই শুরু হয় ইন্ডিয়ানা জোন্স সিরিজে কাহিনী। তাই এই সিরিজ দেখতে চাইলে এই সিনেমা থেকেই শুরু করা উচিত।
এই সিনেমায় দেখানো হয় ইন্ডিয়ানা জোন্সকে একটি প্রত্যন্ত পূর্ব ভারতীয় গ্রামের জন্য একটি মূল্যবান রত্ন এবং বেশ কয়েজন অপহৃত যুবককে উদ্ধার করে আনতে হবে। এই অভিযানে জোন্সের সঙ্গি হয় একজন গায়ক ও ১২ বছরের একটি বালক।
০৯ : The Terminator (1984)
টার্মিনেটর একটি সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন মুভি সিরিজ। টার্মিনেটর ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এখন পর্যন্ত ৬টি সিনেমা রিলিজ হয়েছে। সিরিজের প্রথম সিনেমা The Terminator. এই সিনেমায় দেখানো হয় একটি সাইবোর্গ আততায়ীকে (আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার) ২০২৯ সাল থেকে ১৯৮৪ সালে পাঠানো হয় সারা কনরকে হত্যা করার জন্য। অন্যদিকে একই সময়ে সারাকে রক্ষা করার জন্য পাঠানো হয় কাইল রিস নামের একজন মানুষকে। সারাকে টার্গেট করা হয়েছে কারণ স্কাইনেট জানে যে তার অনাগত ছেলে স্কাইনেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেবে।
এই সিনেমাটি ততোটা আকর্ষণীয় না হলেও এটি দেখতে হবে যদি আপনি এই সিরিজের পরেও অসাধারন সিনেমাগুলি দেখতে চান।
১০ : Commando (1985)
কমান্ডো একটি অ্যাকশন মুভি। অনেকবার দেখেছি আমি এই মুভিটি।
অবসরপ্রাপ্ত স্পেশাল ফোর্সের সৈনিক জন ম্যাট্রিক্স (আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার) তার কন্যা জেনিকে নিয়ে পাহাড়ের একটি নির্জন গোপনীয় যায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করে। একদিন তাঁর প্রাক্তন কমান্ডার ফ্র্যাঙ্কলিন কিরবি এসে তাঁকে জানায় জনের সহযোদ্ধাদের একে একে হত্যা করা হচ্ছে। কমান্ডার চলে যাওয়ার পর, জেনিকে লাতিন আমেরিকার সাবেক স্বৈরশাসক আরিয়াসের লোকেরা অপহরণ করে। লাতিন আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে আরিয়াসকে গদিতে না বসালে জনের কন্যা জেনিকে হত্যা করা হবে। ওয়ান ম্যান আর্মি কমান্ডো জন ম্যাট্রিক্স কি করে তার মেয়েকে উদ্ধার করে সেটাই সিনেমার কাহিনী।
=================================================================
সিনেমা নিয়ে আমার আরো কিছু পোস্ট -
আমার দেখা হলিউড মুভি - ০১
The Invisible Guest
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ১
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ২
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ৩
জনি ডেপের সিনেমা "Nick of Time"
টাইম-লুপ নিয়ে হিন্দি সিনেমা Looop Lapeta
আইনি ড্রামা সিনেমা - জয় ভীম (Jai Bhim)
সাই-ফাই মুভি সিরিজ Alien
২০২১ সালের বলিউডের যে হিন্দি সিনেমা গুলি দেখেছি
================================================================
১২ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই আলোচনামূলক মন্তব্যের জন্য।
জিসাস মুভিটা দেখে নেন, খারাপ লাগবে না।
আমিও টারমিনেটর টু মুভিটা দেখেছি প্রথমে। অনেক অনেক পরে দেখেছি টারমিনেটর মুভিটি।
টারমিনেটর টু সিনেমাটি আমি প্রথমে দেখেছি ভিসিয়ারেই। পরে আমরা ২ বন্ধু মিয়ে মালিবাগের পদ্মা-সুরমা সিনেমা হলের একটিতে গিয়ে দেখেছিলাম এই মুভিটি।
এই ৫টি মুভির মধ্যে ইন্ডিয়ানা জোন্স বাদে বাগি ৪টি মুভিই আমি অসংখ্যবার দেখেছি। এখনও সুযোগ পেলেই দেখি।
২| ১২ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:০৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: উফফফফফফফফফফ . ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন । এখন আর চ্যালেন দুটো ভাল ছবি প্রচার করে না , যা করে সেগুলোর প্রিন্ট ও ভাল না ।
১২ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
এখন আসলে টিভিতে মুভি খুব একটা দেখা হয় না। ইচ্ছে হলেও যে কোনো ভালো প্রিন্টের মুভি ডাউনলোড করে দেখে নেয়া যায়।
৩| ১২ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:০৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
Jesus দেখলে গুনাহ হবে না?
১২ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গুনা হবে।
শুধু Jesus নয়, বরং যেকোন মুভি দেখলেই গুনা হবে।
৪| ১২ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের ৮ নং ছাড়া সব গুলোই দেখেছি।
১২ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই ৫টি মুভির মধ্যে ইন্ডিয়ানা জোন্স বাদে বাকি ৪টি মুভিই আমি অসংখ্যবার দেখেছি।
৫| ১২ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৯
বিটপি বলেছেন: কমান্ডো মুভিটা বেশ মজা নিয়ে দেখেছি, কিন্তু বড় হবার পরে মনে হয় যে একটা সস্তা কাহিনীর বলিউডি মুভি। টোটাল রিকলও তাই। টারমিনেটর টু ছবিটা আমার পছন্দ সারাহ কনর নামের চরিত্রটির জন্য। একটা মহিলার এতটা দুঃসাহসী চরিত্রে অভিনয় নারীর ক্ষমতা সম্পর্কে আমার শিশুমনের ধারণাই পরিবর্তন করে দিয়েছিল।
টেম্পল অফ দ্যা ডুম চমৎকার সিনেমা। কি এ্যাকশন, কি এ্যাডভেঞ্চার, কি কমেডি - সবদিক থেকেই ছক্কা মেরে দিয়েছে এই সিনেমা। অসাধারণ এই সিনেমার একটা সীনও বোরিং লাগেনি। জেসাস ছবিটা অত ভালো লাগেনি। মনে হয়েছে একটা রোবটকে দিয়ে অভিনয় করানো হয়েছে।
১২ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য ও মুভিগুলি সম্পর্কে সুন্দর আলোচনার জন্য।
৬| ১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সবগুলোই ভালো মুভি।
১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধনবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: জিসাস মুভিটা তো দেখা হয় নি । বাকি গুলো সবই দেখেছি । টারমিনেটর ওয়ান মুভিটা তখন আমাদের কাছে এতো পচিচিত ছিল না । এই মুভি নিয়ে মানুষের খুব একটা হাইপ ছিল না কিন্তু এরপরের পর্বটা নিয়ে মানে টারমিনেটর জাজমেন্ট ডে মুভি নিয়ে তখন যেই না হাইপ ছিল !
আসলে তখন তো এখনকার মত এতো প্রযুক্তি ছিল না । সবার বাসায় মুভি দেখার সরঞ্জামও ছিল না । মুভি দেখতে হলে তখন ভিসিআর লাগতো । আর সেই ভিসিআর ভাড়া হয়ে আনতে হত । প্রতিটা দোকানে দোকানে এই টারমিনেটর মুভিটা থাকতো ।
আমাদের যখন প্রথম ভিসিআর কিনে আনে তার সাথে এই টারমিনেটর টু মুভির ক্যাসেটও কিনে আসা হয়েছিল । এই মুভি কতবার যে দেখেছি তার কোন ঠিক নেই । মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি টাইমিনেটর টু মুভিটা দেখেছি আগে ওয়ান টা দেখেছি পরে।
র্যাম্বো থেকে আামর কাছে কমান্ডো মুভিটা বেশি পছন্দের ছিল সব সময় !