নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গন্ধর্বরাজের কাছে অর্জুন বশিষ্ঠের ইতিহাস জানতে চাইলে গন্ধর্বরাজ বললেন-
বশিষ্ঠ ব্রহ্মার মানস পুত্র, অরুন্ধতির স্বামী এবং ইক্ষ্বাকু কুলের পুরােহিত। কান্যকুব্জরাজ কুশিকের পুত্র গাধি, তাঁর পুত্র বিশ্বামিত্র। একদিন বিশ্বামিত্র সৈন্যদের নিয়ে হরিণ শিকারে গিয়ে পিপাসিত হয়ে বশিষ্ঠের আশ্রমে এলেন। রাজার আপ্যায়নের জন্য বশিষ্ঠ তাঁর কামধেনু নন্দিনীকে বললেন, আমার যা প্রয়ােজন তা দাও। নন্দিনী ধুয়া উঠা গরম গরম নানান খাবার, দুধ, দই, ঘি, মিষ্টান্ন, মদ্য, নানান রকম রত্ন ও জামা উৎপন্ন করল।
বিশ্বামিত্র নন্দিনীর অপরূপ আকৃতি ও গুণ দেখে বিস্মিত হলেন। বিশ্বামিত্র দশ কোটি ধেনু (দুগ্ধবতী গাভী) বা তাঁর রাজ্যের বিনিময়ে বশিষ্ঠের কামধেনুটি চাইলেন। কিন্তু বশিষ্ঠ তাতে রাজি হলেন না। তখন বিশ্বামিত্র জোড় করে নন্দিনীকে নিয়ে যেতে চাইলেন। নন্দিনী যেতে না চাইলে তিনি নন্দিনীকে কশাঘাতে করলেন। তখন নন্দিনী বশিষ্ঠকে বললো তাঁকে উদ্ধার করতে। বশিষ্ঠ বললেন, ক্ষত্রিয়ের বল তেজ, ব্রাহ্মণের বল ক্ষমা। নন্দিনী তােমার শক্তি থাকলে আমার কাছে ফেরে এসো। তখন নন্দিনী ভয়ংঙ্কর রূপ ধারণ করে সৈন্যদের উপরে ঝাপিয়ে পরলো। নন্দিনীর বিভিন্ন অঙ্গ থেকে পহ্মব, দ্রবিড়, শক, যবন, শবর, পৌন্ড্রু, কিরাত, সিংহল, বর্বর, খশ, পুলিন্দ, চীন, হুন, কেরল, ম্লেচ্ছ প্রভৃতি সৈন্য উৎপন্ন হয়ে বিশ্বামিত্রের সৈন্যদলকে হত্যা না করেই পরাজিত করলো। বিশ্বামিত্র রেগে গিয়ে বশিষ্ঠের দিকে তীর ও অন্যান্য দিব্যাস্ত্র নিক্ষেপ করলেন, কিন্তু বশিষ্ঠ ব্রহ্মশক্তিযুক্ত লাঠি দিয়ে সেগুলি প্রতিহত করলেন।
এবার বিশ্বামিত্র নিজের ভুল বুঝতেপেরে বলে উঠলেন - ক্ষত্রিয় বলকে ধিক, ব্রাহ্মতেজই বল। তপস্যাই পরম বল।
তারপর বিশ্বামিত্র রাজ্য ত্যাগ করে তপস্যায় শুরু করলেন।
কল্মাষপাদ নামে এক ইক্ষ্বাকুবংশীয় রাজা ছিলেন। একদিন তিনি হরিণ শিকারে বেরিয়ে একটি শরু পথে প্রবেশ করলে সেই সময় সেই পথেই বশিষ্ঠ মুনির বড় ছেলে শক্ত্রি আসছিলেন। রাজা তাকে পথে ছেড়ে দিতে বললেন, কিন্তু শক্ত্রি বললেন, ব্রাহ্মণকে পথ ছেড়ে দেওয়াই রাজার ধর্ম। এই শুনে রাজা শক্ত্রিকে কশাঘাত করলেন। শক্ত্রি রেগে গিয়ে রাজাকে অভিশাপ দিলেন নরমাংসভােজী রাক্ষস হওয়ার।
অন্যদিকে কল্মাষপাদকে যজমান রুপে পাবার জন্য বশিষ্ঠ আর বিশ্বামিত্রের মধ্যে প্রতিযােগিতা ছিল। অভিশপ্ত কল্মাষপাদ শকিত্রের কাছে ক্ষমা চাইছে সেই সময় বিশ্বামিত্রের আদেশে কিংকর নামে এক রাক্ষস রাজার শরীরে ঢুকে গেল।
এক ক্ষুধার্ত ব্রাহ্মণ বনের মধ্যে রাজাকে দেখতে পেয়ে রাজার কাছে মাংস ও খাবার চাইলেন। রাজা ব্রাহ্মণকে অপেক্ষা করতে বলে রাজপ্রাসাদে ফিরে গেলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে সে ব্রাহ্মণের কথা ভুলে গেলেন। পরে মাঝরাতে রাজার সেই কথা মনে পরে। তখন সে বাবুর্চিকে মাংস ও খাদ্য নিয়ে ব্রাহ্মণের কাছেযেতে বলে। বাবুর্চি জানালো মাংস নেই। রাজা বললেন, তবে নরমাংস নিয়ে যাও। বাবুর্চি বধ্যভূমি থেকে নরমাংস নিয়ে রান্না করে খাবার সহ ব্রাহ্মণে দিয়ে এলো। ব্রাহ্মণ দিব্যদৃষ্টিতে সব দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজাকে নরমাংসভােজী হওয়ার অভিশাপ দিলো।
শক্ত্রি এবং অরণ্যচারী ব্রাহ্মণ এই দুজনের শাপের ফলে রাক্ষসাবিষ্ট কল্মষপাদ উন্মাদের মতো হয়ে পরলেন। একদিন তিনি শকিত্রকে দেখে তাকে অভিশাপ দেয়ার রাগে শকিত্রকে হত্যা করে খেয়ে ফেললেন।
বিশ্বামিত্রের প্ররােচনায় কল্মষপাদ বশিষ্ঠের শতপুত্রের সকলকেই খেয়ে ফেললেন। পুত্রশােকাতুর বশিষ্ঠ পাগলপ্রায় হয়ে গেলেন। একদিন তিনি আশ্রমে ফেরার সময় পিছন থেকে বেদপাঠের ধ্বনি শুনতে পেলেন।
বশিষ্ঠ বললেন, কে আমার অনুসরণ করছে?
এক নারী উত্তর দিলেন, আমি অদৃশ্যন্তী, শকিত্রের বিধবা পত্নী। আমার গর্ভে যে পুত্র আছে তার বার বৎসর বয়স হয়েছে, সেই বেদপাঠ করছে।
বশিষ্ঠ তাঁর বংশের সন্তান জীবিত আছে জেনে আনন্দিত হয়ে পুত্রবধুকে নিয়ে আশ্রমের দিকে চললেন। পথিমধ্যে কল্মষপাদ বশিষ্ঠকে দেখে ক্রদ্ধ হয়ে তাঁকে খেতে গেলেন। বশিষ্ঠ কল্মষপাদের গায়ে মন্ত্রপূত জল ছিটিয়ে তাঁকে অভিশাপমুক্ত করে দিলেন এবং বললেন, রাজা, তুমি ফিরে গিয়ে রাজ্যশাসন কর, কিন্তু আর কখনও ব্রাহ্মণকে অপমান করাে না।
কল্মাষপাদ বশিষ্ঠের কাছে একটি পুত্র চাইলেন। বশিষ্ঠের সাথে সংঙ্গমের ফলে রাণী গর্ভবতী হলেন। বশিষ্ঠ তাঁর আশ্রমে ফিরে গেলেন। বারো বছরেও সন্তান ভূমিষ্ঠ হলো না দেখে রাণী ধারালো পাথর দিয়ে তাঁর প্যাট কেটে পুত্র প্রসব করলেন। এই পুত্রের নাম অশ্মক।
বশিষ্ঠের পুত্রবধু, অদৃশ্যন্তীও একটি পুত্র প্রসব করলেন, তাঁর নাম পরাশর। পরাশর যখন জানতে পারলো তাঁর পিতাকে রাক্ষসে খেয়ে ফেলেছে তখন সে সর্বলােক বিনাশের সংকল্প করলেন। পরাশরকে থামানোর জন্য বশিষ্ঠ একটি উপাখ্যান শোনালেন -
পুরাকালে কৃতবীর্য নামে এক রাজা ছিলেন, তিনি তাঁর পুরােহিত ভৃগুবংশীয়গণকে প্রচুর ধন-সম্পদ দান করতেন। তাঁর মৃত্যুর্ক পর তাঁর বংশধর ক্ষত্রিয়দের অর্থাভাব দেখা দিলে তাঁরা ভৃগুদের কাছে এলেন। ভার্গবদের কেউ কেউ মাটির নিচে ধন লুকিয়ে রাখলেন, কেউ ব্রাহ্মণদের দান করলেন, কেউ ক্ষত্রিয়দের দিলেন। একজন ক্ষত্রিয় ভার্গবদের ঘরের মেঝে খনন করে ধন খুঁজে পেয়ে ক্রুদ্ধ হয়ে ভার্গবদেন হত্যা করলেন। ভার্গবনারীরা ভয়ে হিমালয়ে আশ্রয় নিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন ব্রাহ্মণী গর্ভবতী ছিলেন। ক্ষত্রিয়রা জানতে পেরে সেই গর্ভ নষ্ট করতে সেখানে গেলে সেই ব্রহ্মণীর উরু ভেদ করে সূর্যের ন্যায় দীপ্তিমান পুত্র ঔর্ব জন্ম নিল। তাঁর তেজে ক্ষত্রিয়রা অন্ধ হয়ে গেলেন। ক্ষত্রিয়রা অনুগ্রহ ভিক্ষা করলে ঔর্ব তাঁদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। তারপর পিতৃপুরুষদের মৃত্যুর প্রতিশােধ নেবার জন্য তিনি তপস্যা করতে লাগলেন। ঔবকে সর্বলােক বিনাশে উদ্যত দেখে পিতৃপুরুষরা এসে বললেন, বৎস, ক্রোধ সংবরণ কর। আমরা স্বর্গারােহণের জন্য উৎসুক ছিলাম, কিন্তু আত্মহত্যায় স্বর্গলাভ হয় না, সেজন্য স্বেচ্ছায় ক্ষত্রিয়দের হাতে মরেছি। আমরা ইচ্ছা করলেই ক্ষত্রিয়সংহার করতে পারতাম।
এই কথা শুনে ঔব তার ক্রোধাগ্নি সমুদ্রজলে নিক্ষেপ করলেন।
বশিষ্ঠের কাছে এই উপাখ্যান শুনে পরাশরের রাগ কিছুটা কমলো। কিন্তু তিনি রাক্ষসসত্র যজ্ঞ আরম্ভ করলেন, তাতে আবালবৃদ্ধ সকল রাক্ষস দগ্ধ হতে লাগল। অত্রি, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রতু ও মহাক্রতু রাক্ষসদের প্রাণরক্ষর জন্য সেখানে হাজির হয়ে বললেন, বৎস, যারা তােমার পিতার মৃত্যুর বিষয় কিছুই জানে না সেই নির্দোষ রাক্ষসদের মেরে তােমার কি আনন্দ হচ্ছে? তুমি আমার বংশনাশ করাে না। তোমার পিতা অভিশাপ দিয়েই নিজের মৃত্যু ডেকে এনেছিলেন। এখন তিনি তাঁর ভ্রাতাদের সঙ্গে দেবলােকে সুখে আছেন। এই কথা শুনে পরাশর তাঁর যজ্ঞ বন্ধ করলেন।
অর্জুন গন্ধর্বরাজের কাছে জানতে চাইলো- কল্মাষপাদ কি কারণে পুত্র লাভের জন্য তাঁর রাণীকে বশিষ্ঠের কাছে পাঠালো?
গন্ধর্বরাজ বললেন- রাজা কল্মষপাদ যখন রাক্ষসরূপে বনে বিচরণ করছিলেন তখন এক ব্রহ্মণ ও তাঁর পত্নীকে দেখতে পান। রাজা সেই ব্রহ্মণকে খেয়ে ফেললে ব্রহ্মণী অভিশাপ দিয়ে বলেন- "রাজা তুমি স্ত্রীসংগম করলেই তােমার মৃত্যু হবে। যাঁকে তুমি পুত্রহীন করেছ সেই বশিষ্ঠই তােমার পত্নীতে সন্তান উৎপাদন করবেন।" এই কারণেই কল্মষপাদ তাঁর রাণীকে বশিষ্ঠের কাছে পঠিয়েছিলেন।
অর্জুন তখন গন্ধর্বরাজকে বললেন- আমাদের উপযুক্ত পুরােহিত কে আছেন তা বলো।
গন্ধর্বরাজ বললেন- দেবলের ছোট ভাই ধৌম্যকেই পৌরােহিত্যে বরণ করতে পারো।
অর্জুন গন্ধর্বরাজকে নিজের আগ্নেয় অস্ত্র দান করলেন। বললেন অশ্বগুলি তোমার কাছে থাক। প্রয়োজন হলে আমি চেয়ে নিবো। এই বলে তারা বিদায় নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা হলেন।
পাণ্ডবগণ ধৌম্যের আশ্রমে গিয়ে তাঁকে পৌরােহিত্যে বরণ করলেন এবং তাঁর সঙ্গে পাঞ্চালীর স্বয়ংবরে যাবার জন্য রওনা হলেন।
====================================================================
বিশেষ ঘোষণা : হিন্দুদের ধর্মীয় সাহিত্যের মহাকাব্য মহাভারতের কথা আমরা সকলেই জানি। আমি এটিকে পড়ছি একটি কল্পকাহিনীর সাহিত্য হিসেবে, ধর্মগ্রন্থ হিসেবে নয়। আমি মনে করি "যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে। অন্যের বিশ্বাস বা ধর্মানুভূতিতে খোঁচা দেয়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।" এই গ্রন্থে প্রচুর কল্পকাহিনী রয়েছে। সেগুলিই আমি এই সিরিজে পেশ করবো। যারা মহাভারত পড়েননি তারা এখান থেকে ধারাবাহিক ভাবে সেগুলি জেনে যাবেন। মনে রাখতে হবে আমার এই পোস্ট কোনো ভাবেই ধর্মীয় পোস্ট নয়।
লেখার সূত্র : কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস কৃত মহাভারত : অনুবাদক - রাজশেখর বসু।
ছবির সূত্র : এই সিরিজে ব্যবহৃত সকল ছবি বিভিন্ন সাইট থেকে সংগৃহীত।
=================================================================
মহাভারতের গপ্পো : এক নজরে সকল পর্ব
=================================================================
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যারা খোঁচাখুঁচিতে আগ্রহী সেটা নিতান্তই তাদের নিজস্ব বিষয়, নিজস্ব পছন্দ।
আমি ধর্মপালন সংক্রান্ত কোনো পোস্ট করি না। সেই ধরনের কোনো পোস্টে মন্তব্যও করি না। ধর্মপালন যার যার ব্যক্তিগত বিষয় বলেই আমি মনে করি।
আমি হাদীসের গল্প নামে একটি সিরিজ পোস্ট করি। সেখানে ধর্মপালন সংক্রান্ত কোনো হাদিস থাকে না। শুধু মাত্র ঘটানা সম্বলিত হাদীসই সেখানে স্থান পায়। আমার কোনো বক্তব্য সেখানে থাক না।
আর এই সিরিজটিতে আমার রাজশেখর বসুর অনুবাদ করা মহাভারত প্রায় হুবুহু শেয়ার করছি। কিছুটা ছোট আর সহজ করে।
আর কিছুই না।
২| ০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১০
সোনাগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে এখন কামধেনু পাওয়া গেলে, আপনি আশ্রমের জন্য ১টা কিনতে পারেন।
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমরিকায় আপনার গেরেজের সামনেও একটি বেঁধে রাখার জন্য আপনাকেও একটি পাঠিয়ে দিতাম।
৩| ০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আহারে কষ্ট! আহারে জীবন!!
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৫৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই পার্টটা বেশ বড় এবং ছোট ছোট করে অনেকগুলি কাহিনীর মিশেল।
৪| ০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
মহাভারত লিখতে কতবছর লেগেছিলো?
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:০১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: উইকি থেকে জানা যায় -
মহাভারত কথাটির অর্থ হল ভরত বংশের মহান উপাখ্যান। গ্রন্থেই উল্লিখিত হয়েছে যে ভারত নামে ২৪,০০০ শ্লোকবিশিষ্ট একটি ক্ষুদ্রতর আখ্যান থেকে মহাভারত মহাকাব্যের কাহিনিটি বিস্তার লাভ করে। তবে ব্যাস প্রথমে ৮৮০০ শ্লোক বিশিষ্ট জয়া (বিজয়) নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন। পরে ব্যাসের শিষ্য বৈশম্পায়ন সেই গ্রন্থকে বৃদ্ধি করে ২৪০০০ শ্লোক বিশিষ্ট ভারত গ্রন্থ রচনা করেন। পরে অপর এক শিষ্য উগ্রশ্রবাঃ ভারত গ্রন্থকে বৃদ্ধি করে এক লাখ শ্লোক বিশিষ্ট "মহাভারত" গ্রন্থ রচনা করেন।
ফলে ঠিক কতটা সময় লেঘেছে সেটি বলা মুসকিল।
৫| ০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: পরাশর বেদের অনেক মন্ত্রের রচয়িতা। এঁর রচিত সংহিতা 'পরাশর-সংহিতা' নামে খ্যাত।
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
৬| ১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৮
বিটপি বলেছেন: আপনি একটি বিষয় উল্লেখ করেননি, পুরাকালের ব্রাহ্মণদের তো কথায় কথায় খালি অভিশাপ দেবার অভ্যাস, এই প্রথম দেখলাম না জেনে বুঝে বুঝে অভিশাপ দেবার ফল হাতে হাতে মিলে গেল।
যিনি অভিশাপ দিলেন, অভিশপ্ত তাকেই খেয়ে ফেলল। তাঁর বংশ বিনাশ করে দিল। আবার নিজ স্ত্রীকে তার কাছে পাঠিলে দিল পুত্রলাভের জন্য। কি বিচিত্র!
১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে বড় এই পর্বটি পড়ে সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য।
আগামী পর্ব দ্রুতই আসবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অন্যের বিশ্বাস বা ধর্মানুভূতিতে খোঁচা দেওয়ার ইচ্ছা আপনার নেই, খুবই সুন্দর কথা; খোঁচা দেওয়া ঠিকও না কিন্তু আমাদের এই ব্লগে কয়েকজন তো আছে ধর্মে খোঁচাখুঁচিতেই বেশি আগ্রহী।