নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন -
মূসা (আঃ) একদা তার গোষ্ঠীর সম্মুখে আল্লাহ তা’আলার নিআমাত এবং বালা-মুসীবাত মনে করিয়ে উপদেশ দিচ্ছিলেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলে ফেললেন, দুনিয়াতে আমার তুলনায় উত্তম এবং অধিক জ্ঞানী কোন লোক আছে বলে আমার জানা নেই। আল্লাহ মূসা (আঃ) এর প্রতি ওয়াহী পাঠালেনঃ আমি জানি মূসার চাইতে উত্তম কে বা কার নিকট কল্যাণ রয়েছে। পৃথিবীতে অবশ্যই এক লোক রয়েছে যে, তোমার তুলনায় অধিক জ্ঞানী। মূসা (আঃ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তার পথ জানিয়ে দিন। তাকে বলা হলো, লবণাক্ত একটি মাছ সাথে নিয়ে যাও। এ মাছটি যেখানে হারিয়ে যাবে খানেই সে, ব্যক্তি আছে।
মূসা (আঃ) এবং তার খাদিম রওনা হলেন, পরিশেষে তারা একটি বড় পাথরের নিকট পৌছলেন। সে সময় মূসা (আঃ) তার সঙ্গীকে রেখে গোপনে চলে গেলেন। তারপর মাছটি ছটফট করে পানিতে নেমে গেল এবং পানিও ছিদ্রের মতো রয়ে গেল, মাছের রাস্তায় সংমিশ্রণ হলো না। মূসা (আঃ) এর খাদিম বললেন, হ্যাঁ, আমি আল্লাহর নবীর সঙ্গে মিলিত হয়ে তাকে এ বিবরণ দিব। তারপরে তিনি ভুলে গেলেন। তারা যখন আরো সম্মুখে চলে গেলেন। তখন মূসা (আঃ) বললেন, আমার নাশতা দাও, এ সফরে তো আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যতক্ষণ তারা এ জায়গাটি ত্যাগ করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের ক্লান্তি আসেনি। তার সাথীর যখন স্মরণে আসলো তখন বলল, আপনি কি জানেন যখন আমরা পাথরের নিকট আশ্রয় নিয়েছিলাম, তখন আমি মাছের কথা ভুলে গেছি। আর শাইতানই আমাকে আপনার নিকট বলার কথা ভুলিয়ে দিয়েছে এবং অবাক করার মতো মাছটি সমুদ্রে তার রাস্তা করে নিয়েছে।
মূসা (আঃ) বললেন, এ-ই তো ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। সুতরাং তারা পথ অনুসরণ করে প্রত্যাবর্তন করলেন। তখন তার খাদিম মাছের জায়গাটি তাকে দেখালো। মূসা (আঃ) বললেন, এ জায়গার বর্ণনাই আমাকে দেয়া হয়েছিল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারপর মূসা (আঃ) সন্ধান করছিলেন, এমতাবস্থায় তিনি কাপড়ে ঢাকা খাযির (আঃ) কে গলদেশের উপর চীৎ হয়ে ঘুমানো দেখতে পেলেন। কিংবা অন্য বর্ণনায়, গলদেশের উপর সোজাসুজি। মূসা (আঃ) বললেন, আসসালামু ’আলাইকুম। খাযির (আঃ) মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে বললেন, ওয়া আলাইকুমুসসালাম, তুমি কে? মূসা (আঃ) বললেন, আমি মূসা। তিনি বললেন, কোন মূসা? মূসা (আঃ) উত্তর দিলেন, বনী ইসরাঈলের মূসা। খাযির (আঃ) বললেন, তোমার এ মহান আগমন কিসের জন্য? মূসা (আঃ) বললেন, আমি এসেছি যেন আপনাকে যে জ্ঞান দান করা হয়েছে তা হতে আপনি আমায় কিছু শিক্ষা দেন। খাযির (আঃ) বললেন, আমার সাথে তুমি ধৈর্য ধরতে পারবে না। আর এমন ব্যাপারে কেমন করে তুমি ধৈর্য ধরবে, যার ইলম তোমাকে দেয়া হয়নি। এরূপ বিষয় হতে পারে যা করতে আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তুমি যখন তা দেখবে তখন তুমি ধৈর্য ধারণ করবে না।
মূসা (আঃ) বললেন, ইনশাআল্লাহ্ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যেই পাবেন। আর আমি আপনার কোন আদেশ অমান্য করব না। খাযির (আঃ) বললেন, তুমি যদি আমার অনুগামী হও তবে আমাকে কোন ব্যাপারে জিজ্ঞেস করো না, যতক্ষণ না আমি নিজেই এ ব্যাপারে বর্ণনা করি। তারপর উভয়ই চললেন, পরিশেষে একটি নৌকায় চড়লেন। তখন খাযির (আঃ) নৌকার একাংশ ভেঙ্গে ফেললেন। মূসা (আঃ) তাকে বললেন, আপনি কি নৌকাটি ভেঙ্গে ফেললেন, নৌকারোহীদের ডুবিয়ে ফেলার জন্যে? আপনি তো বড় মারাত্মক কাজ করেছেন। খাযির (আঃ) বললেন, আমি কি তোমাকে বলিনি যে, তুমি আমার সাথে ধৈর্য ধরতে পারবে না? মূসা (আঃ) বললেন, আমি ভুলে গিয়েছি, আপনি আমাকে দোষী সাব্যস্ত করবেন না। আমার ব্যাপারটিকে আপনি কঠিন করবেন না। পুনরায় উভয়ে চলতে লাগলেন। এক স্থানে দেখতে পেলেন বালকরা খেলায় লিপ্ত। খাযির (আঃ) অবলীলাক্রমে একটি শিশুর নিকট গিয়ে তাকে হত্যা করলেন। এতে মূসা (আঃ) খুব ঘাবড়ে গিয়ে বললেন, আপনি প্রাণ বিনিময় ছাড়াই একটি নিষ্পাপ প্রাণকে হত্যা করলেন? আপনি বড়ই নৃশংস কাজ করেছেন।
এমতাবস্থায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ রহমত বর্ষণ করুন আমাদের ও মূসা (আঃ) এর উপর তিনি যদি জলদি না করতেন তাহলে অবাক হওয়ার আরো মতো অনেক ঘটনা দেখতে পেতেন। তবে তিনি খাযির (আঃ) এর সম্মুখে লজ্জিত হয়ে বললেন, তারপর যদি আমি আপনাকে আর কোন কিছু জিজ্ঞেস করি তবে আপনি আমায় সাথে রাখবেন না। সত্যিই আমার ব্যাপার খুবই আপত্তিকর হয়েছে। যদি মূসা (আঃ) ধৈর্য ধরতেন তাহলে আরো বিস্ময়কর ব্যাপার দেখতে পেতেন। যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন নবীর বর্ণনা করতেন, প্রথমে নিজকে দিয়ে আরম্ভ করতেন আর বলতেন, আল্লাহ আমাদের উপর রহম করুন এবং আমার অমুক ভাইয়ের উপরও। এভাবে নিজেদের উপর আল্লাহর রহমত কামনা করতেন। অতঃপর দু’জনে চললেন এবং মন্দ লোকদের একটি লোকালয়ে গিয়ে উঠলেন। তারা লোকদের অসংখ্য জায়গায় ঘুরে তাদের নিকট খাবার চাইলেন। তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। তারপর তারা ধ্বসে পড়ার উপক্রম একটা দেয়াল দেখতে পেলেন। খাযির (আঃ) সেটি মেরামত করে দিলেন। মূসা (আঃ) বললেন, আপনি চাইলে এর বিনিময়ে মজুরি নিতে পারতেন।
খাযির (আঃ) বললেন, এখানেই আমার আর তোমার মাঝে সম্পর্কচ্ছেদ। খাযির (আঃ) মূসা (আঃ)-এর বস্ত্র ধরে বললেন, তুমি যেসব বিষয়ের উপর ধৈর্যহারা হয়ে পড়েছিলে সে সবের ঘটনা বলে দিচ্ছি। নৌকাটি ছিল কিছু গরীব লোকের যারা সমুদ্রে কাজ করত’- আয়াতের শেষ পর্যন্ত পড়লেন। তারপর যখন এটাকে দখল করতে লোক আসলো, তখন ছিদ্রযুক্ত (অচলাবস্থা) দেখে ছেড়ে দিল। অতঃপর নৌকাওয়ালারা একটা কাঠ দ্বারা নৌকাটি মেরামত করে নিলো। আর বালকটি সূচনালগ্নেই ছিল কাফির। তার মা-বাবা তাকে বড়ই আদর করত। সে বড় হলে ওদের দু’জনকেই অবাধ্যতা ও কুফুরীর দিকে নিয়ে যেত। অতএব আমি আকাঙ্ক্ষা করলাম, আল্লাহ যেন তাদেরকে এর বিনিময়ে আরো উত্তম পবিত্র স্বভাবের ও অধিক স্নেহভাজন ছেলে দান করেন। আর দেয়ালটি ছিল শহরের দু’টো ইয়াতীম বালকের।
সূত্র : http://www.hadithbd.com
সহীহ বুখারী : (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদীস নাম্বার : ৩১৬২ এবং আন্তর্জাতিক হাদীস নাম্বার : ৩৪০১
সহীহ মুসলিম : (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদীস নাম্বার : ৫৯৪৯ এবং (ইসলামিক সেন্টার) হাদীস নাম্বার : ৫৯৮৯
ঘোষণ :
শিরনামে "গল্প" বলতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতৃক বর্ননাকৃত ঘটনাকে বুঝানো হয়েছে।
ছবি : সংগৃহীত
=================================================================
হাদীসের গল্প : ০০১ : জাস্সা-সাহ ও দাজ্জাল
হাদীসের গল্প : ০০২ : দোলনায় কথা বলা তিন শিশু
হাদীসের গল্প : ০০৩ : তিন যুবকের গল্প
হাদীসের গল্প : ০০৪ : যামিনদার হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট
=================================================================
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আরবি উচ্চারণ নিয়ে আমাদের বেশ ঝামেলা হয়। হুজুররাই ভালো বলতে পারবেন।
এতোদিন আমিও জানতাম খিজির (আঃ) এখন দেখি খাযির (আঃ) ও লেখা হয়। আমি জেনেই লিখেছি।
২| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১:৪৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ধৈর্য্যের শিক্ষা পৃথিবীতে সবাই একই ভাবে পায়নি,চর্চাও করেনি। খিজির (আঃ) নাকি জীবিত এখনো?
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১:৪৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এইকারণেই আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন তিনি ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।
কেউ কেই মনে করেন খিজির (আঃ) জীবিত আছেন। তবে এর সহী কোনো সূত্র কেউ দেখাতে পারেনাই সম্ভবতো।
৩| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ২:৫১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এই নিয়ে লেখার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
আমার দুটো প্রশ্ন ছিলো-
১) মুসা নবী'র সঙ্গীর নাম কি ছিলো?
২) তিনি যখন খিজির/ খাযির (আ)-এর সাথে দেখা করেন, তখন কি সেই সঙ্গী সাথে ছিলেন?
২৭ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:৪২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
উত্তর ১ : সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) এর হাদিস থেকে জানা যায়মুসা নবীর সঙ্গীর নাম কি ছিলো ইউশা ইবনু নূন।
উত্তর ২ : এর সঠিক উত্তর আমার জানা নেই। তবে এই ঘটনার প্রতিটি হাদিস যা আমি পড়েছি এবং শুনেছি তাতে খাযির (আ)-এর সাথে দেখা করার পরে মুসা নবীর সঙ্গীর কথা আর বলা হয়নি। তাছাড়া হাদিসের বর্ননা থেকে বুঝা যায় মূসা নবী একাই খাযির (আ) এর সঙ্গী ছিলেন।
খাযির (আঃ) বললেন, তুমি যদি আমার অনুগামী হও তবে আমাকে কোন ব্যাপারে জিজ্ঞেস করো না, যতক্ষণ না আমি নিজেই এ ব্যাপারে বর্ণনা করি। তারপর উভয়ই চললেন, পরিশেষে একটি নৌকায় চড়লেন
শুধু দুজনের কথাই বলা হচ্ছে। খাদেম তখন সাথে নেই।
৪| ২৭ শে মে, ২০২২ ভোর ৪:০৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি সুইডেন, নরওয়ের তৈরি লবনাক্ত স্যামন, কিংবা বাংলাদেশের লবনাক্ত ইলিশ ( ১টা পুরো ইলিশ ) কিনেছেন? লবনাক্ত ১টা ইলিশ কিনে আপনার আশ্রমের পুকুরে ছেরে দিয়ে দেখবেন, কি ঘটে!
২৭ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি সম্ভবতো আমার এই সিরিজের আগের পোস্ট গুলি মনোযোগ দিয়ে পড়েন নি।
পড়লেও এখন মানে নেই।
আপনি যাতে এই প্রশ্নটি এবং আরো কয়েকটি প্রশ্নও করতে পারনে সেই চেষ্টাই করা হয়েছে।
এবং এই কারণেই কেউ কেউ আমাকে এই টাইপের হাদিস গুলি শেয়ার করতে নিষেধও করেছেন।
সবচেয়ে বড় কথা আমি আপনাকে এই হাদিসটি বিশ্বাস বা অবিশ্বস করতে জোড়াজুড়ি করছি না। আমি শুধু আপনাকে এই হাদিসটি দেখাচ্ছে মাত্র।
ভালো কথা এখানে আপনি বলতে ব্যক্তি আপনি নন। বরং যে পাড়ছেন তিনিই।
৫| ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ৭:২৬
জুয়েল ফুজি বলেছেন: খুব ভাল লাগলো পড়তে।
২৭ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৬| ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: ধর্ম বিষয়ক লেখা আপনার কলমে এর এর আগে চোখে পড়েনি!
কিছু লাইন গুছিয়ে দিন। মনযোগ বিঘ্নিত হয়।
২৭ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অল্প কিছু লিখেছি, তবে সেগুলি ধর্মপালনের সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয়।
আমার বক্তব্য পরিষ্কার। আপনি (যেকোন কেউ) কিভাবে ধর্ম পালন করবেন অথবা না করবেন সেটি নিতান্তই আপনার (যেকোন কারো) নিজস্ব বিষয়। আমি সেই বিষয়ে আপনাকে (যেকোন কাউকে) কিছুই বলবো না। আমি আমার মতো করে যেটুকু বুঝি সেটুকু ধর্ম পালন করবো, সে বিষয়ে কেউ নাক না গলালেই আমি খুশী।
আমি যা কিছু লিখেছি-
হাদীসের গল্প : ০০১ : জাস্সা-সাহ ও দাজ্জাল
হাদীসের গল্প : ০০২ : দোলনায় কথা বলা তিন শিশু
হাদীসের গল্প : ০০৩ : তিন যুবকের গল্প
হাদীসের গল্প : ০০৪ : যামিনদার হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট
হাদীসের গল্প : ০০৫ : খাযির (আঃ) ও মুসা (আঃ) এর ঘটনা
নবী দুলালী হযরত জয়নব (রাঃ) – ১ম পর্ব
নবী দুলালী হযরত জয়নব (রাঃ) – শেষ পর্ব
নবী দুলালী হযরত রুকাইয়া (রাঃ)
নবী দুলালী হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ)
৭| ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:০৮
ফারহানা শারমিন বলেছেন: ছোটবেলায় মায়ের মুখে অনেক বার শুনেছি। তারপরও পড়তে ভালো লেগেছে।
২৭ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য ও পোস্টে ভালো লাগা জানানোর জন্য।
৮| ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:২৭
নতুন বলেছেন: সম্ভবত কোরানের কথা হইলো আল্লাহ ছাড়া ভবিষ্যত কেউই জানেনা। এই কাহিনিতে খাযির আ: ভবিষ্যত জানেন.... এটা কি কোরানের কথার বিরুদ্ধে যায় না?
Knowledge of the unseen is something that Allaah has kept for Himself, as is indicated by the texts of the Qur’aan and Sunnah. Allaah says (interpretation of the meaning):
“Say: “None in the heavens and the earth knows the Ghaib (Unseen) except Allaah, nor can they perceive when they shall be resurrected”
[al-Naml 27:65]
“And with Him are the keys of the Ghayb (all that is hidden), none knows them but He. And He knows whatever there is in the land and in the sea; not a leaf falls, but He knows it. There is not a grain in the darkness of the earth nor anything fresh or dry, but is written in a Clear Record”
[al-An’aam 6:59]
The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) explained these keys as referring to five things which are mentioned in Soorat Luqmaan, where Allaah says (interpretation of the meaning):
“Verily, Allaah, with Him (Alone) is the knowledge of the Hour, He sends down the rain, and knows that which is in the wombs. No person knows what he will earn tomorrow, and no person knows in what land he will die. Verily, Allaah is All‑Knower, All‑Aware (of things)”
[Luqmaan 31:34].
২৭ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: নতুন বলেছেন: সম্ভবত কোরানের কথা হইলো আল্লাহ ছাড়া ভবিষ্যত কেউই জানেনা। এই কাহিনিতে খাযির আ: ভবিষ্যত জানেন.... এটা কি কোরানের কথার বিরুদ্ধে যায় না?
অবশ্যই।
খাযির আ: যদি নিজে কোনো ভবিষ্যত জানার দাবি করেন তাহলে সেটি অবশ্যই কোরানের বিরুদ্ধে যায়।
ভালো করে লখ্য করলে দেখতে পাবেন হাদিসটিতে লেখা আছে -
মূসা (আঃ) বললেন, আমি এসেছি যেন আপনাকে যে জ্ঞান দান করা হয়েছে তা হতে আপনি আমায় কিছু শিক্ষা দেন।
খাযির (আঃ) বললেন, আমার সাথে তুমি ধৈর্য ধরতে পারবে না। আর এমন ব্যাপারে কেমন করে তুমি ধৈর্য ধরবে, যার ইলম তোমাকে দেয়া হয়নি। এরূপ বিষয় হতে পারে যা করতে আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তুমি যখন তা দেখবে তখন তুমি ধৈর্য ধারণ করবে না।
আল্লাহ খাযির (আঃ) কে কিছু বিষয়ে জ্ঞান দান করেছেন এবং মূসা (আঃ) সেই বিষয়ে জ্ঞান দান করেন নি।
খাযির (আঃ) বরিষ্কার বলেছেন তাকে কাজ গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অর্থাৎ খাযির (আঃ) নিজে কোনো ভবিষ্যৎ জানেন না। বরং আল্লাহ তাকে যতটুকু জানিয়েছেন ততোটুকুই জানেন।
৯| ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার নামের প্রকৃত উচ্চারণ খাজর। উনি এখন জীবিত নাই এই মতের পক্ষে কিছু প্রমাণ কোরআন এবং হাদিসে আছে। অধিকাংশ আলেমের মতে হজরত খাজর (আঃ) নবী ছিলেন।
কোরআনেও আপনার পোস্টে দেয়া বর্ণনা আছে। সুরা কাহাফের ৬০ থেকে ৮২ নং আয়াতের এই ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা আছে। ব্লগে অনেকে হাদিসকে অস্বীকার করে। তাই কোরআনের আয়াত নীচে দিলাম।
৬০. আর স্মরণ করুন, যখন মূসা তার সঙ্গী যুবককে বলেছিলেন, দুঃসাগরের মিলনস্থলে না পৌছে আমি থামব না অথবা আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব। ৬১. অতঃপর তারা উভয়ে যখন দু’সাগরের মিলনস্থলে পৌঁছল তারা নিজেদের মাছের কথা ভুলে গেল; ফলে সেটা সুড়ঙ্গের মত নিজের পথ করে সাগরে নেমে গেল। ৬২. অতঃপর যখন তারা আরো অগ্রসর হল মূসা তার সঙ্গীকে বললেন, আমাদের দুপুরের খাবার আন, আমরা তো এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। ৬৩. সে বলল, আপনি কি লক্ষ্য করেছেন যে, আমরা যখন শিলাখণ্ডে বিশ্রাম করছিলাম তখন মাছের যা ঘটেছিল আমি তা আপনাকে জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম শয়তানই সেটার কথা আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল; আর মাছটি আশ্চর্যজনকভাবে নিজের পথ করে সাগরে নেমে গেল। ৬৪. মূসা বললেন, আমরা তো সে স্থানটিরই অনুসন্ধান করছিলাম, তারপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চলল। এরপর তারা সাক্ষাত পেল আমাদের। ৬৫. এরপর তারা সাক্ষাৎ পেল আমাদের বান্দাদের মধ্যে একজনের, যাকে আমরা আমাদের কাছ থেকে অনুগ্রহ দান করেছিলাম ও আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা দিয়েছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান। ৬৬. মূসা তাকে বললেন, যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে তা থেকে আমাকে শিক্ষা দেবেন, যা দ্বারা আমি সঠিক পথ পাব, এ শর্তে আমি আপনার অনুসরণ করব কি? ৬৭. সে বলল, আপনি কিছুতেই আমার সংগে ধৈৰ্য ধারণ করে থাকতে পারবেন না, ৬৮. যে বিষয় আপনার জ্ঞানায়ত্ত নয় সে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করবেন কেমন করে? ৬৯. মূসা বললেন, আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন এবং আপনার কোন আদেশ আমি অমান্য করব না। ৭০. সে বলল, আচ্ছা, আপনি যদি আমার অনুসরণ করবেনই তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যতক্ষণ না। আমি সে বিষয়ে আপনাকে কিছু বলি। ৭১. অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল, অবশেষে যখন তারা নৌকায় আরোহণ করল তখন সে তা বিদীর্ণ করে দিল। মূসা বললেন, আপনি কি আরোহীদেরকে নিমজ্জিত করার জন্য তা বিদীর্ণ করলেন? আপনি তো এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন! ৭২. সে বলল, আমি কি বলিনি যে, আপনি আমার সঙ্গে কিছুতেই ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না? ৭৩. মূসা বললেন, আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না ও আমার ব্যাপারে অত্যাধিক কঠোরতা অবলম্বন করবেন না। ৭৪. অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল, অবশেষে তাদের সাথে এক বালকের সাক্ষাত হলে সে তাকে হত্যা করল। তখন মূসা বললেন, আপনি কি এক নিষ্পাপ জীবন নাশ করলেন, হত্যার অপরাধ ছাড়াই? আপনি তো এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন! ৭৫. সে বলল, আমি কি আপনাকে বলিনি যে, আপনি আমার সংগে কিছুতেই ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না? ৭৬. মূসা বললেন, এর পর যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করি তবে আপনি আমাকে সংগে রাখবেন না; আমার ওযর-আপত্তির চূড়ান্ত হয়েছে। ৭৭. অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল; চলতে চলতে তারা এক জনপদের অধিবাসীদের কাছে পৌঁছে তাদের কাছে খাদ্য চাইল; কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। অতঃপর সেখানে তারা এক প্রাচীর দেখতে পেল, যা পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, তখন সে সেটাকে সুদৃঢ় করে দিল। মূসা বললেন, আপনি তো ইচ্ছে করলে এর জন্য পারিশ্রমিক গ্ৰহণ করতে পারতেন। ৭৮. সে বলল, এখানেই আমার এবং আপনার মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হল; যে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি অচিরেই আমি সেগুলোর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করছি। ৭৯. নৌকাটির ব্যাপার– এটা ছিল কিছু দরিদ্র ব্যক্তির, ওরা সাগরে কাজ করত; আমি ইচ্ছে করলাম নৌকাটিকে ত্রুটিযুক্ত করতে; কারণ তাদের সামনে ছিল এক রাজা, যে বল প্রয়োগ করে প্রত্যেকটি ভাল নৌকা ছিনিয়ে নিত। ৮০. আর কিশোরটি— তার পিতামাতা ছিল মুমিন। অতঃপর আমরা আশংকা করলাম যে, সে সীমালঙ্ঘন ও কুফরীর দ্বারা তাদেরকে অতিষ্ঠা করে তুলবে। ৮১. তাই আমরা চাইলাম যে, তাদের রব যেন তাদেরকে তার পরিবর্তে এক সন্তান দান করেন, যে হবে পবিত্রতায় উত্তম ও দয়া-মায়ায় ঘনিষ্ঠতর। ৮২. আর ঐ প্রাচীরটি— সেটা ছিল নগরবাসী দুই ইয়াতিম কিশোরের এবং এর নীচে আছে তাদের গুপ্তধন আর তাদের পিতা ছিল সৎকর্মপরায়ণ। কাজেই আপনার রব তাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে ইচ্ছে করলেন যে, তারা বয়ঃপ্ৰাপ্ত হোক এবং তারা তাদের ধনভাণ্ডার উদ্ধার করুক। আর আমি নিজ থেকে কিছু করিনি; আপনি যে বিষয়ে ধৈর্য ধারণে অপারগ হয়েছিলেন, এটাই তার ব্যাখ্যা।
২৭ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর মন্তবের জন্য।
এই আয়াতগুলি আমার জানা ছিলো। আমি যেহেতু হাদিসের কহিনী শুনাচ্ছি তাই কোরআনেরটি বলিনি। তবে বলে দেয়া যেতো।
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:১৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি প্রতি শুক্রবারে সুরা কাহাফের প্রথম ও শেষ দুই আয়াত বাংলা অনুবাদ সহ পড়ার চেষ্টা করি, শুক্রবারে সুরা কাহাফ পড়লে দজ্জালের ভয়াবহ ফিতনা ও হিংসা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। (সূত্র) সুরা কাহাফের ফজিলত লেখা আছে ওয়াজিফায়) ।
২৭ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাহ! চমৎকার। আমার তেমন কিছু করা হয় না। আরবি পড়াও ভুলে গেছি। মুখস্তও অতি অল্প কিছু আছে সূরা।
তবে আমি যখনই ফরজ নামজ শেষ করি তখনই চেষ্টা করি
৩৩ বার সুবহানাল্লাহ,
৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ
৩৪ বার আল্লাহু আকবার
৭ বার রাব্বিল হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা
৭ বাল লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।
২১ বার রাব্বি জিদনি ইলমা
পড়তে।
১১| ২৭ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: লাউ কদু একই কথা।
খাযির খিজির একই কথা।
২৭ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কখা সঠিক বলেছেন।
১২| ২৭ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯
রানার ব্লগ বলেছেন: খিজির আঃ নাকি এখানো জীবিত আছে আপনার কি মতামত??!!
২৭ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
কেউ কেউ মনে করেন খিজির (আঃ) জীবিত আছেন। তবে এর সহী কোনো সূত্র কেউ দেখাতে পারেনাই সম্ভবতো।
১৩| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: হাদীস গুলো আমার কাছে বানোয়াট মনে হয়। কারন নবিজির মৃত্যুর বহু বছর পর হাদীস তৈরি করা হয়েছে।
হাদীস সংকলনের ইতিহাস পড়ে আমার এরকমটাই ধারনা হয়েছে।
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১১:২৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হাদীসের মধ্যে অনেক অনেক জাল হাদিস আছে। কোনো কোনোটা পুরাই জাল আবার কোনো কোনোটা হয়তো ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে দুই একটি শব্দ বা বাক্য পরিবর্তন করেছে। তবে সবটাই বানোয়াট না।
১৪| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ১:০১
জ্যাকেল বলেছেন:
এটা তো দেখছি কোরআনের গল্প!
২৯ শে মে, ২০২২ রাত ১:২৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী কোরআনেও এই কাহিনীটি আছে।
১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হাদীসের কাহিনী পড়তে
ভালোই লাগে।
১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমিও মাঝে মাঝে পড়ি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামে খাযির (আঃ) লিখেছেন। সম্ভবত খিজির (আঃ) হবে।