নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার পানামনগর থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গোয়ালদি গ্রামে ঐতিহাসিক গোয়ালদি মসজিদটির অবস্থান। মসজিদটি গোয়ালদি গ্রামে অবস্থিত হওয়অর কারণেই এর হয়েছে গোয়ালদি মসজিদ। কেউ কেউ এটিকে গোয়ালদি গায়েবী মসজিদও বলেন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এর ঐতিহাসিক সুলতানী স্থাপনার নিদর্শন এই গোয়ালদি মসজিদ। এই মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে পাওয়া একটি শিলালিপির তথ্যানুযায়ী সৈয়দ আশরাফ আল হোসাইনির পুত্র সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ এর শাসনামলে ৯২৫ হিজরির ১৫ শাবান/১৫১৯ খ্রিস্টাব্দের আগষ্ট মাসে গোয়ালদি মসজিদ নির্মাণ করেন মোল্লা হিজাবর আকবর খান নামের এক ব্যক্তি। আলেকজান্ডার কানিংহাম শিলালিপিটির একটি ছাপচিত্র গ্রহণ করে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল-এ প্রেরণ করেন। সেখান থেকেই এই তথ্য পাওয়া যায়।
সুলতানী আমলে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও এর গৌরবোজ্জ্বল মুসলিম ঐতিহ্যের অন্যতম সাক্ষী এই এক গম্বুজবিশিষ্ট গোয়ালদি মসজিদ। মসজিদের চারকোণে ৪টি গোলাকার পার্শ্ববুরুজ রয়েছে। পার্শ্ববুরুজ গুলো সুলতানি রীতিতে তৈরি। এগুলি ছাদপর্যন্ত উচু এবং প্রত্যেকটি নিয়মিত ব্যবধানে বন্ধনী দ্বারা বিভক্ত।
মসজিদের ভেতরে দেয়াল ও বাইরের দেয়ালে পাথর এবং ইটের ওপর আরব্য অলংকরণে নানান নকশা ও কারুকাজ রয়েছে।
মসজিদটির দেয়ালগুলো ১.৬১ মিটার পুরু।
মসজিদের পূর্ব দেয়ালে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালের প্রতিটিতে ১টি করে মোট ৫টি খিলান যুক্ত দরজা রয়েছে। পূর্ব দিকের দেওয়ালের ৩টি দরজার মধ্যে মাঝখানের প্রধান দরজাটি অপেক্ষাকৃত বড়।
মসজিদের ভিতরে পশ্চিম দেয়ালে ৩টি মেহরাব রয়েছে। প্রধান প্রবেশপথ বরাবর মূল কেন্দ্রীয় মেহরাবটির অবস্থান। এটি কালো পাথরের তৈরি। কালো পাথর খোদাই করে নানান কারুকাজময় নকশা করা আছে সেখানে। কেন্দ্রীয় মেহরাবে দুইপাশে মেহরাব দুটি ইটের তৈরি এবং সেখানেও পোড়ামাটির অলংকরণ রয়েছে।
এক সময় মসজিদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। কিবলা প্রাচীর বাদে পুরো মসজিদটি গম্বুজ সহ ধসে পড়েছিল। প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তর যত্ন সহকারে মসজিদটির আসল নকশার অনুরূপে পুনরুদ্ধার করে। তবে বর্তমাণে মসজিদটি অযত্ন-অবহেলায় আছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদের ইতিহাসসংবলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছেন বলে মনে হয়।
সোনারগাঁও বেড়াতে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের অনেকেই ঐতিহাসিক এ পুরাকীর্তি দেখতে গোয়ালদি গ্রামে যান।
ছবি তোলার তারিখ : ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালে তোলা ছবিগুলি
অবস্থান : গোয়ালদি, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°39'23.4"N 90°35'36.1"E
তথ্য সূত্র : বাংলাপিডিয়া ও উইকিপিডিয়া, অন্তর্জাল
=================================================================
মসজিদ দর্শন : ০১ : মহজমপুর শাহী মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০২ : ষাট গম্বুজ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৩ : বিবি বেগনী মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৪ : চুনাখোলা মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৫ : নয় গম্বুজ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৬ : জিন্দা পীর মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৭ : সিঙ্গাইর মসজিদ
=================================================================
আরো দেখুন -
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ১ম পর্ব
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ২য় পর্ব
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ৩য় পর্ব
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০১
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০২
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৩
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৪
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৫
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৬
বাংলার প্রাচীন মঠ (স্মৃতি-মন্দির) সমগ্র - ০১
বাংলার প্রাচীন মঠ (স্মৃতি-মন্দির) সমগ্র - ০২
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০১
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০২
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০৩
=================================================================
২০ শে মে, ২০২২ রাত ১২:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কোন সময় এবং কারা তৈরি করছেন তার উপরে নির্ভর করে ইমারতের ডিজাইন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১২:৪২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
তৎকালীন কত খরচ হতে পারে?
২০ শে মে, ২০২২ রাত ১:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: খরচের তথ্য কোথাও পাইনি আমি।
৩| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১২:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
এখনো নামাজ পড়া হয়?
২০ শে মে, ২০২২ রাত ১:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি ৩ বার গেছি ওখানে। কোনোবারই নামাজ পড়ার কোনো লক্ষ্যন দেখি নাই। দারজায় তালা মারা ছিলো।
পাশেই আরেকটি প্রাচীন মসজিদ ছিলো যেটিকে এখন সংস্কারকরে বিশাল আকার দেয়া হয়েছে। সেখানেই সম্ভবতো নামাজ পড়ে সকলে।
৪| ২০ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: বাগেরহাটে একই স্টাইলে এরকম মসজিদ বানানো হয়েছে । ১২০০ সাল নাগাদ পারস্য অঞ্চল থেকে আসা ধর্ম প্রচারকারীগন এই একই স্টাইলে বাংলাদেশের সব এলাকায় মসজিদ গড়েছিল । এর গায়ে টেরাকোটা প্লাক এর থিম বাংলার নকশা পারসিয়ান পীরদের বেশ আকৃষ্ট করেছিল বলেই আমার বিশ্বাস ।
ভাল সংগ্রহ ।
২০ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: খুবই সঠিক বলেছেন আপনি।
সিঙ্গাইর মসজিদ
বিবি বেগনী মসজিদ
চুনাখোলা মসজিদ
জিন্দা পীর মসজিদ
সিঙ্গাইর মসজিদ
বন্দর শাহী মসজিদ
ইত্যাদি মসজিদ গুলি দেখতে অনেকটাই একই রকম।
৫| ২০ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এত মোটা দেয়াল দেয়ার দরকার কি। এটা কি দুর্গ নাকি।
২১ শে মে, ২০২২ রাত ১২:০২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই মসজিদ গুলিতে কোনো রড ব্যবহার হয়নি, কোনো সিমেন্ট ব্যবহার হয়নি।
ফলে মসজিদের ছাদ ধরে রাখার জন্য এবং দেয়াল গুলির স্খথায়িত্ব বাড়ানোর জন্য এমন মোটা দেয়াল করতেই হয়েছে। তাছাড়া এর কারণে মসজিদের ভেতরটা গরমের সময় বেশ ঠান্ডাও থাকে মনে হয়।
৬| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: বাগের হাটে যে মসজিদের ছবি দিয়েছিলেন আগে, সেটার চেহারাও খানিকটা একই রকম । সেই আমলে তৈরি সব মসজিদ গুলো একই রকম ছিল !
২১ শে মে, ২০২২ রাত ১২:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বই সঠিক বলেছেন আপনি।
বিবি বেগনী মসজিদ
চুনাখোলা মসজিদ
জিন্দা পীর মসজিদ
সিঙ্গাইর মসজিদ
বন্দর শাহী মসজিদ
ইত্যাদি মসজিদ গুলি দেখতে অনেকটাই একই রকম।
৭| ২১ শে মে, ২০২২ রাত ১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: মসজিদকে আল্লাহর ঘর বলা হয়। খেয়াল করে দেখবেন আল্লাহর ঘর থেকেও চুরী হয়।
২১ শে মে, ২০২২ রাত ১:৫৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী চুরি হয়।
মসজিদে মানুষ নোংরা-ছেড়া-ফাটা-পুরনো-অচল-জাল টাকাও দেয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ১৫ সাল থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত যত মসজিদ হয়েছে এশিয়াতে সব গুলো মসজিদ একই ডিজাইনে করা। এঁর কারন কি?