নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার খুবই পছন্দের একটি সাইফাই মুভি সিরিজ Alien। মহাজাগতিক ভিনগ্রহী ভয়ঙ্কর প্রাণীদের নিয়ে তৈরি করা এই সিরিজের প্রথম সিনেমা Alien রিলিজ হয় আমার জন্মেরও আগে ১৯৭৯ সালে। সেই সময় এতো চমৎকার একটি সিনেমা কি করে তৈরি করা সম্ভব হলো সেটা এখনো আমাকে অবাক করে।
১৯৭৯ সালে Alien সিনেমাটি প্রথম রিলিজ করার পরে এই সিকুয়েন্সে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আরো ৩টি সিনেমা রিলিজ করা হয়। কিন্তু প্রথম সিনেমাটিতে বেশ কিছু প্রশ্নের সঠিক জবাব দর্শক পায়নি। ফলে ২০১২ সালে Alien সিরিজে পঞ্চম সিনেমা Prometheus এবং ২০১৭ সালে সিরিজের ষষ্ঠ সিমেনা Alien: Covenant এর মাধ্যে সেই সব অজানা প্রশ্নগুলির সঠিক ব্যাখ্যা করা হয়। এই দুইটি সিনেমা সবার শেষে রিলিজ করা হলেও এদুটি হচ্ছে সিরিজের প্রথম কানিহী।
অর্থাৎ এলিয়েন সিরিজের ৬টি সিনেমার সঠিক টাইমলাইন হচ্ছে -
১। Prometheus (2012)
২। Alien: Covenant (2017)
৩। Alien (1979)
৪। Aliens (1986)
৫। Alien3 (1992)
৬। Alien Resurrection (1997)
মাত্র কয়েকটি লাইনে ৬টি মুভির কাহিনী বলে দিচ্ছি-
১। Prometheus :
কিছু বিজ্ঞানী ও তাদের তৈরি মানব আকৃতির এ্যান্ড্রয়েড রোবট ডেভিড যায় একটি গ্রহে ভিনগ্রহয়ের প্রাণীদের অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে। সেখানে তারা সকলেই নিহত হয় ভিনগ্রহের আজীব প্রাণীদের হাতে। শুধু বেঁচে যায় বিজ্ঞানী এলিজাবেথ শ এবং প্রায় ধ্বংশ হয়ে যাওয়া রোবট ডেভিড।
২। Alien: Covenant :
বিজ্ঞানী এলিজাবেথ শ ও রোবট ডেভিড সেই গ্রহে থাকা ভিনগ্রহয়ের প্রাণীদের একটি মহাকাযান নিয়ে প্রাণধারনের উপযোগী অন্য একটি গ্রহে গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানে বোরট ডেভিড ভিনগ্রহয়ের প্রাণীদের পরীক্ষার মাধ্যে তৈরি করতে থাকে হাজার হাজার রকমের অসংখ্য এলিয়েন। এক সময় সেখানে অন্য একটি মহাকাশ জানের ক্রুরা এসে উপস্থিত হলে তারা সকলেই একে এক মারা পড়ে। কোনো রকমে সেখানে বেঁচে যায় একজন মাত্র মহিলা ক্রু এবং সেই রোবট ডেভিড। ডেভিড সেই মহাকাশযানটি নিয়ে অন্য আরেকটি গ্রহের দিকে রওনা হয়ে যায়।
৩। Alien :
এলিয়েনদের একটি মহাকাশযান গিয়ে পরে অন্য একটি গ্রহে যেখানে বিজ্ঞানীদের একটি কলনী ছিল। এলিয়েনরা বিজ্ঞানীদের সবাইকে হত্যা করে ফেলে। ঠিক তখন সেখান থেকে একটা সিগনাল পায় পাশের আরেকটি কারগো মাহাকাশযান। তারা সেই গ্রহে গিয়ে একে একে সকলেই মারা পরে এলিয়েনদের হাতে। শুধু রিপলি নামের একটি মেয়ে কোনো রকমে বেঁচে ফিরে আসে।
৪। Aliens :
সেই গ্রহটিতেই আবারো একটি টিম পাঠানো হয় সেখান থেকে সকল তথ্য উদ্ধার করে আনতে। সেই দলের সাথে যেতে রিপলি কে বাধ্য করা হয়। এবং যথারীতি সেখানে গিয়ে তারা সকলেই মারা পরে এলিয়েনদের হাতে। শুধু রিপলি সেই গ্রহে থাকা একটি বাচ্চা মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে পারে।
৫। Alien3 :
দূঘটনাবশত এলিয়েনদের নিয়ে যাওয়ার একটি মহাকাশযান পতিতো হয় এমন একটি গ্রহে যেখানে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের নির্বাসন দেয়া হয়। সেই মহাকাশযানটিতে রিপলি ও ছিলো, এবং সেও এই গ্রহটিতে এসে পরেছে। এলিয়েনেরা একে একে সবাইকে মরে ফেলতে শুরু করে। শেষে রিপলি নিজেকে উৎসর্গ করে এলিয়েনদের মেরে ফেলতে সক্ষম হয়।
৬। Alien Resurrection :
একটি মহাকাশ স্টেশনে নতুন করে এলিয়েনদের তৈরি করা হয়। তৈরি করা হয়ে রিপলিকেও। তাদের তৈরি করা হয় সেই রিপলি ও এলিয়েনদের ডিএনএ মিশিয়ে। শেষ পর্যন্ত এলিয়েনেরা ছাড়া পেয়ে যায় এবং মারতে শুরু করে সবাইকে।
এই সিরিজের সাথে আরো ২টি সিনেমা রিলেডেড আছে। সেগুলি হচ্ছে -
Alien vs. Predator (2004)
এবং
Aliens vs. Predator: Requiem (2007)
=================================================================
সিনেমা নিয়ে আমার আরো কিছু পোস্ট -
The Invisible Guest
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ১
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ২
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ৩
জনি ডেপের সিনেমা "Nick of Time"
টাইম-লুপ নিয়ে হিন্দি সিনেমা Looop Lapeta
আইনি ড্রামা সিনেমা - জয় ভীম (Jai Bhim)
=================================================================
২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এলিয়েন যে কতো বার দেখেছি গোনা যাবে না। এলিয়েনস টিও দেখেছি অনেক অনেক বার।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১১
অপু তানভীর বলেছেন: ২০১২ আর ২০১৭ সালের টা দেখেছি । আর একদম প্রথম এলিয়েনটা দেখেছি মনে হয় । তবে এখন আমার কাহিনী মনে নেই ।
এলিয়েন ভার্সেস প্রিডেটরটাও দেখেছি । সুপান্যাচারাল এলিয়েন সায়েন্স ফিকশন টাইপ মুভি আমার সব সময় পছ্দ । মুভি দেখার সময় এই গুলো দেখি বেশি ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সাইন্স ফিকশনের প্রতি আমার আলাদা একটা ভালোলাগা আছে।
সামনে পরেই কোনো কথা নাই, দেখা শুরু হয়ে যায়।
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩৩
নিমো বলেছেন: এই কাল্ট চলচ্চিত্রটা অজস্রবার দেখেছি। প্রতিবার দেখার পরই মনে হয়, কোন একটা দৃস্য বোধহয় আগে দেখা হয় নি। চমৎকার লিখেছেন। ব্লগের তাপপ্রবাহের ভিতরে খানিকটা শীতল বৃষ্টির পরশ পেলাম পোস্টটা পড়ে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আসলেই ব্লগে একটা উদ্ভট হাওয়া শুরু হয়েছে। সেই হাওয়ার মাঝে আলাদা আলাদা কয়েকটা পাক আছে। আমি এইসব হাওয়ার পাকে পড়তে নারাজ। তবুও হাওয়অ বইলে তার কিছুটা ছোঁয়াতো লেগে যায়ই।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আমার কাছে ছেলেমী মনে হয়।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই এই সিরিজটি দেখেন নি?
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:২০
বিটপি বলেছেন: এই সিরিজে সবচেয়ে হাস্যকর লেগেছে এঞ্জিনিয়ারের চেহারা - যে এঞ্জিনিয়াররা পৃথিবীতে মানুষের জীন এসেছে, তারা দেখতে এত ফালতু ও হাস্যকর!
ফালতু লেগেছে এলিয়েনদের রক্ত এসিড হওয়ার ব্যাপারটা। এসিডের যেসব রাসায়নিক গুণাগুণ আছে, তাতে এই তরলের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয় কোন প্রাণীর সঞ্জীবনী ধারা হওয়ার। সিনেমাটা তৈরির আগে বিজ্ঞানীদের মতামত নেয়া দরকার ছিল।
একজন মানুষের শরীর ছিঁড়েফুড়ে যে প্রাণীটা বের হল, দশ মিনিট আগেও তার কোন অস্তিত্ব সেই মানুষটি টের পায়না - এটা কি বালখিল্য নয়?
কানের ভেতর একটা স্পোর ঢুকে কোন পদ্ধতিতে একটা প্যারাসাইট বিশাল এক প্রাণীতে রূপান্তর হতে পারে? কলাবাগান১ কি ব্যখ্যা দিতে পারবে?
ফেসহ্যাগার জিনিসটার জন্ম কিভাবে, আর কাজ করে কিভাবে - সেটাও ক্লিয়ার নয়।
সব মিলিয়ে ফালতু একটা কনসেপ্ট। তবে এলিয়েন ভার্সেস প্রেডেটর ১ খুব ভালো লেগেছে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সাইন্স ফিকশনে সব যদি বাস্তবতার মধ্যেই থাকে তাহলে আর ফিকশন হলো কি ভাবে!!
আপনার সবকয়টা যুক্তির ব্যাখ্যাদেয়া সম্ভব।
ধন্যবাদ আপনাকে ন্তব্য আপনার ভালো লাগা মন্দ লাগাকে আলোচনা করার জন্য।
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এই সিরিজের একটা ছবি আমার দেখা হয়নি যদিও আমার দুই ছেলেরই সব গুলি দেখা ।
তবে আপনার লেখা পড়ে ভাবছি দেখে ফেলব এবার ঈদের ছুটিতে এক এক করে।
আর যে কোন উদ্ভট হাওয়া বা যে কোন পাক কিংবা হুযোগ থেকে দূরে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারন , তা না হলে আমাদেরকে এমন কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় যা আসলেই নিজের জন্য লজ্জাকর।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
যদি সাই-ফাই এর প্রতি সামান্য আকর্ষণও থাকে তাহলে এই সিরিজ ভালো লাগতে বাধ্য।
শুভকামনা ও ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
এই গুমট হাওয়া ঈদের ছুটি পর্যন্ত থাকবে মনে হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০
আরইউ বলেছেন:
খুবই প্রিয় একটা ম্যুভি ফ্র্যানচাইজি। আমার সবচেয়ে প্রিয় এলিয়েন (১ম, ১৯৭৯) তারপর এলিয়েনস (২য়, ১৯৮৬)। এরপর তালিকা করলে এলিয়েন ৩ আসবে; তারপর প্রমিথিউস; রিজারেকশন; কোওভেনেন্ট; এলিয়েন ভার্সাস প্রিডেটর; এলিয়েন ভার্সাস প্রিডেটর রিকুইয়েম।