নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ আরো এক কাপ চা

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৩০


ছবি : নাদিয়া সোহেন

দিন কয়েক আগেই শেষ হলো একুশে বই মেলা। বিবি বাচ্চাদের নিয়ে গিয়েছিলাম একদিন মেলাতে। বেশ কিছুটা সময় নিয়ে মেলা ঘুরে ঘুরে বই দেখা, বই কেনা হলো। হঠাত করেই চোখে পড়লো পাবলিক লাইন দিয়ে চা কিনছে!! আমিতো অবাক!!! পরে বুঝলাম চা ফ্রী দিচ্ছে বলেই এই লাইন। আরেক যায়গায় দেখতে পেলাম এক প্যাকেট কফি কিনলে আরেক প্যাকেট ফ্রী দিচ্ছে। বিবি সাহেবা সেটা একটা কিনে নিলেন। সাথে কফিও খাওয়া হলো। সন্ধ্যার পরে যখন মেলা থেকে বেরিয়ে যাবো তখন দেখতে পেলাম একটি চায়ের স্টল। নানান ধরনের চা বিক্রি করছে!! বিবি সাহেবা মাটির ভারের কি এক শাহী-চা নিলেন ৭০ টাকায়। আমি আর বাচ্চার খেলাম আইসক্রিম। মাটির ভারের চা ভালো হবে না বলে আমি আগেই ভবিষ্যৎ বানী করলাম। কিন্তু হায়!! আমার ভবিষ্যৎ বানী ফললো না। চা টা নাকি অসাধারণ টেস্টি ছিলো, মুখে স্বদ লেগে থাকার মত টেস্টি!


বেশ কয়েক বছর আগের কথা, সন্ধ্যার সময় কক্সবাজারে সৈকতে বিচ চেয়ারে গা হালিয়ে দিয়ে শুয়ে আছি। একটি বাচ্চা ছেলে এসে বললো কফি খাবেন? আমি না করে দিলাম। পাশে শুয়ে থাকা বিবি সাহেবা বললেন তিনি খাবেন কফি। ছেলেটা ইনেস্টান্ট কফি মিকচার আর গরম পানি একটি প্লাস্টিকের বোতলে ভরে আচ্ছা মতো ঝাকানো শুরু করলো!! তৈরি হয়ে গেলো ফেনা উঠা গরম গরম কফি। স্বাদের কথা নাইবা বললাম। তবে সৈতকে এক চাচা মিয়া তার বড় এক ফ্লাকে করে রং চা নিয়ে এসে ছিলেন। হলকা লিকার আর আদার স্বাদে চাটা ছিলো বেশ ভালো।


দিদারের চায়ের দোকানের কথাতো বলেছি আগেই। ওর অনেক পরে আমাদের এলাকাতেই আরেক জন (কামরুল) চায়ের দোকান দিবে। দিদার কামরুলকে তার গোপন রেসেপি শিখিয়ে দিলো। প্রথম কয়েকদিন দিদার নিজেই সেই বিশেষ দুধ তৈরি করে দিলো। কিন্তু কোনো কারণে আমাদের এলাকার লোকজন সেই দুধ চা খুব একটা পছন্দ করলো না। কিছুদিন পরেই কামরুলের চায়ের দোকানটি উঠে গেলো। চায়ে স্বাদ হাতের উপরেও নির্ভর করে।


ইদানিং বেশ কিছু রং চায়ের দোকানে দেখা যায় চায়ের সাথে লেবু-আদার সাথে সাথে কালো জিরা দিয়ে দেয়। কালো জিরা এমনিতে ভালই তবে চায়ের মধ্যে কালো জিরা আমার কাছে বেশ বিরক্তিকর মনে হয়।


আমাদের মসজিদে রমজানে ২০ রাকাত খতম তারাবি হয়। হুজুরদের জন্য ফ্লাক্সে রং চায়ের ব্যবস্থা করা হতো, দোকান থেকেই তৈরি হয়ে আসতো। কিন্তু তার স্বাদ ততোটা ভালো ছিলো না। বেশ কয়েক বছর ধরে সেই চা আর নেয়া হয় না। কারণ এখন খতিব সাহেব নিজেই তার বাড়ি থেকে ছোট্ট একটি ফ্লাক্সে করে মসলাদার রং চা নিয়ে আসেন। নামাজ শেষ হয়ে গেলে সবাই বেরিয়ে যাওয়ার পরে আমরা কয়েকজন মসজিদ থেকে বের হই। হাফ পেয়ালা করে চা পাই সকলেই, কখনো তারচেয়েও কম। সেই চায়ের স্বাদ তুলনা করার মতো চা অন্য কোথাও পাইনি। আজকেও নামাজ শেষে সেই সুস্বাদু চা পান করে এলাম।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৫৭

সোবুজ বলেছেন: সেহেরি খেয়েই ব্লগ লেখতে শুরু করেছেন।চায়ের কাহিনী বেশ ভালো হয়েছে।শরাবের অনেক গজল আছে পঙ্কজের গলায়,চায়ের এমনটা নাই।

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখাটা আগেই প্রায় তৈরি ছিলো, এখন শেষ করলাম।
শরাব নিয়ে আসলেই চমৎকার সব গজল আর শায়েরী আছে।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি কোন বরান্ডের চা কিনেন? চা'পাতায় ভেজাল আছে?

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি কোনো ব্রেন্ডের চাই কিনি না। কদাচিত কিনতে হলে তেমন কোনো চিন্তা ভাবনা করি না, দোকানি ভালো একটা দিয়ে দেয়।

চা পাতার ভেজাল সম্পর্কে আমার কোনো ধারনা নেই।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:০৯

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: চা তৈরীর নির্দিষ্ট নিয়ম থাকলেও
ও পানের সময় ,স্থান ,সহচরের উপর অনেকটাই নির্ভর করে স্বাদ।
আর
ছবিটি আসলেই গোপন বাস্তব ,যা ইউক্রেনীয়রা বুঝতে পারছে না বা জানেনা

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো বলেছেন। অনুসঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সব সময়ই।

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১০

রাজীব নুর বলেছেন: মাটির ভারে চা খুব স্বাদ হয়। কলকাতাতে মাটির ভারে চা বিক্রি করা হয় সব সসময়। ইদানিং আমাদের দেশে ঢাকা শহরের বহু জায়াগায় মাটির ভারে চা বিক্রি হচ্ছে। তবে তাঁরা দাম খুব বেশি নিচ্ছে। যে চায়ের দাম ত্রিশ টাকা রাখলে হয়, তাঁরা দাম নিচ্ছে ৩০০ টাকা।

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মাটির ভারে সম্ভবতো আলাদা কিছু নিউট্রেশন থাকে। যদিও আমার কাছে মাটির ভারের চা খুব একটা ভালো লাগেনাই কলকাতার গুলি।
আর আজগুবি দাম রাখার জন্য বাংলাদেশের আলাদা ট্যালেন্ট আছে।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৩০

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার বাসার পাশে যে মসজিদ, এখানে করোনার আগে নিয়মিত প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার ইফতার আয়োজন করা হতো। গোটা ২০-২৫ লোক ইফতার করতেন। ইফতার শেষে বিশেষ আকর্ষণ ছিলো আরাবিক গাহওয়া। ছোট্ট এক কাপে দেওয়া হয়। আমার কলিগ আবার গাহওয়ার ভক্ত। অন্য কোন দিন সে অফিস থেকে দ্রুত বাসায় না আসলেও সোম এবং বৃহস্পতিবার দ্রুত বাসায় আসতেন এবং এই মসজিদেই সালাত আদায় করতেন। আমরা মাগরিবের সালাতের শেষে এক সাথে এই গাহওয়া খেতাম।

করোনার পর সব এলোমেলো হয়ে গেছে। শুনলাম এবার রমজানের পর নাকি আবার ইফতারী শুরু হবে। কারণ এবার রমজানের মধ্যেই রেগুলার ইফতারীর আয়োজন হচ্ছে। আগের মত যদিও লোক নাই, আগে দিনে ৭০০-৮০০ লোক ইফতার করতো, এখন সেটা ৪০০-৫০০তে নেমে এসেছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার এক বন্ধু সৌদি থেকে গাওয়া নিয়ে এসেছিলো, অনেক বছর আছে। খেয়েছি বেশ কয়েক বার। আমার কাছে খুব একটা আহামরি কিছু মনে হয় নি।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: বাঙ্গালী নতুন কিছু পাইলে খুব আগ্রহ দেখায়। এই আগ্রহ দেখানোটা তারেয়া ফ্যাশনের অংশ বলে মনে করে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী, আমিও তাদেরই একজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.