নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দারুচিনির দ্বীপ – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

০৮ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:২৯

বইয়ের নাম : দারুচিনির দ্বীপ
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : শুভ্র বিষয়ক উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯১
প্রকাশক : অনুপম প্রকাশনী
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৬ টি



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট


কাহিনী সংক্ষেপ :
শুভ্র ইউনিভাসিটিতে পড়ে। চশমা ছাড়া কিছুই দেখতে পায়না বলে শুভ্রর বন্ধুরা তাঁকে কানাবাবা বলে ডাকে। শুভ্র বিশাল ধনী পরিবারের ছেলে, তাঁর বাবা বিশাল ক্ষমতাবান লোক।

শুভ্রর ইউনিভাসিটির বন্ধুরা ঠিক করেছে সাত দিনের জন্য সেন্টমাটিন দ্বীপে বেড়াতে যাবে। এরা আসলে শুভ্রর ক্লাসমেট,কারো সাথেই শুভ্রর তেমন সখ্যতা নেই। পড়াশোনা আর বাড়ি ছাড়া শুভ্রের দুনিয়াতে অন্যকিছু নেই। দুনিয়ার কঠিন বাস্তবের সাথে শুভ্রের কোন পরিচয় নেই।

শুভ্রের বন্ধুরা যখন ঠিক করলো তাঁরা সেন্টমাটিনে যাবে তখন শুভ্রও যেতে চাইলো, কিন্তু তাঁর বন্ধুরা শুভ্রকে নিতে রাজি হচ্ছিলো না। তাঁদের ধারনা শুভ্রকে নিলে নানা ঝামেলায় পরতে হবে। ধনীর ছেলে শুভ্র সেন্টমাটিনের কষ্টকর পরিবেশে মানাতে পারবে না। আবার চশমা ছাড়া সে কিছুই দেখে না। অন্যদিকে তাঁদের কয়েকজন মেয়ে ক্লাশমেটও তাঁদের সাথে যাওয়ার জন্য জেদ ধরেছে। প্রথমে ওরা কিছুতেই মেয়েদের নিতে চায় না, তবে শেষ পর্যন্ত নিতে রাজি হয়। ওরা ঠিক করে কমলাপুর থেকে ট্রেনে করে যাবে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে বাসে করে যাবে কক্সবাজার। কক্সবাজার থেকে টেকনাফে পৌছে সেখান থেকে ট্রলারে করে যাবে সেন্টমাটিনে।

যেদিন সেন্টমাটিনে যাওয়ার কথা সেই দিন রাতে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে চলে আসে ওদের ক্লাশমেট জরী। এদিকে কমলাপুরে রিক্সা করে আসার সময় শুভ্র চশমা ভেঙ্গে অন্ধের মত দাঁড়িয়ে থাকে ভুল প্লাটফর্মে। জরী শুভ্রকে দেখতে পেয়ে নিয়ে যায় সঠিক প্লাটফর্মে। শুভ্রকে দেখতে পেয়েই আনন্দে তাঁর সব বন্ধুরা এক সাথে চেঁচিয়ে উঠে কানাবাবা কানাবাবা বলে। ঠিক সেই মূহুর্তেই বন্ধুদের সাথে শুভ্রের স্বাভাবিক একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়।

সঞ্জুকে এগিয়ে দিতে এসেছে তাঁরার বাবা আর ছোট বোন মুন। এদিকে সবাই আসলেও সঞ্জুর কাছের বন্ধু বল্টু এখনো এসে পৌছনি। ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে গেছে, বল্টু ছাড়া সকলেই উঠে গেছে ট্রনে। ঠিক তখন সঞ্জুর বাবা দেখেন বল্টু দাঁড়িয়ে আছে প্লাটফর্মে। বল্টু টাকা যোগার করতে পারেনি বলে কাউকে কিছু না বলে চুপচাপ প্লাটপর্মে এসে দাঁড়িয়ে আছে। তখন সঞ্জুর বাবা বল্টুর হাতে কিছু টাকা দিয়ে বলেন ট্রেনে উঠতে।

যখন বল্টু আর তাঁর পিছন পিছন মুন ছুটতে শুরু করেছে ট্রেনের দিকে ততোক্ষণে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে।

----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:৩৪

সোবুজ বলেছেন: বইটা পড়া হয়নাই।চলচিত্রটি একাধিক বার দেখেছি।

০৮ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমিও চলচিত্রটি একাধিকবার দেখেছি। এখনো কখনো কখনো দেখা হয়। খবই ভালো হয়েছিলো সিনেমাটি।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:৫১

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ভাল লেগেছে। বইটি পড়া হয়নি। মুভি দেখেছিলাম।
শুভেচ্ছা।
আরেকটি কথা, প্রচ্ছদ শিল্পীর নামটি উল্লেখ থাকলে ভাল হয়।

০৮ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য ও পরামর্শের জন্য।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: দারুচিনির দ্বীপ সিনেমাটা আমি টিভিতে দেখেছিলাম। আমার ভালো লাগেনি। তবে উপন্যাস পড়ে ভালো লেগেছিলো।

০৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার উপন্যাস যেমন ভালো লেগেছিলো, তেমনি সিনেমাটিও বেশ ভালো লেগেছিলো।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:২৪

বিটপি বলেছেন: দুই একদিনের মধ্যে আশা করি রূপালী দ্বীপ বইটিরও রিভিউ দেবেন। তাহলে আজকের ব্লগটা বুঝতে সুবিধা হবে।

০৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হিসাব মতো এর পরে রূপালী দ্বীপ এর রিভিউ আসার কথা। মনে রইলো আপনার পরামর্শ। ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আহা!!!!!!!!!!!!!!! দারুচিনি দ্বীপ , :P
আহা !!!!!!!!!!!!!!!!! বল্টু-সঞ্জু :(( মোনা
আহা !!!!!!!!!!! শুভ্র (কানা বাবা )

যখন প্রথমবার এই বইটি পড়ি কি যে ভালো লেগেছিল বলে বোঝাতে পারব না ভাইজান ।

আপনার লেখার কল্যাণে হয়ত আজ আরেকবার হয়ে যাবে সেই ভাল লাগার কাজ।

০৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমিও মুগ্ধ হয়ে এই উপন্যাসটি পড়েছি। সিনেমাটাও বেশ মুগ্ধ হয়ে দেখেছি।
আজকে এর দ্বিতীয় পার্ট রূপালী দ্বীপ পুনরায় পড়ার ইচ্ছে হচ্ছে। জোছনা ও জননীর গল্প ব্রেক দিয় রূপালী দ্বীপ পড়বো ঠিক করেছি।

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: বইটা পড়েছি। ভালো বই।
এই বইয়ের কাহিনী দিয়ে সিনেমা হয়েছে। সিনেমাটি ভালো হয়নি। তবে এই সিনেমাটা হুমায়ূন আহমেদ তৈরি করলে দারুন হতো।

০৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার কাছে সিনেমাটি কিন্তু দারুন লেগেছিলো।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:২২

বিটপি বলেছেন: জোছনা ও জননীর গল্প যে পুরো ফালতু একটা বই - এটা স্বীকার করবেন? এই বই মুক্তিযুদ্ধের মত সিরিয়াস একটা বিষয়কে জাস্ট খেলা বানিয়ে ফেলেছে। একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ক্যারেক্টার বলতে গেলে মজা করতে করতেই শহীদ হয়ে গেল।

০৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সত্যি কথা হচ্ছে আমি এর আগে জোছনা ও জননীর গল্প কমপক্ষে তিন বার পড়া শুরু করে কয়েক পাতা পড়েই পড়া বন্ধ করে দিয়েছি। হুমায়ূন আহমেদের কোনো লেখার ক্ষেত্রে এমনটি আমার হয়নি। এখন পর্যন্ত সম্ভবতো প্রায় ১৫০ পাতার মতো পড়েছি, একটু একটু করে। এতটুকু পড়ে যেটা মনে হয়েছে - উপন্যাসে যুদ্ধের সময় এলাকাভেদে সংসারজীবনের চিত্রটাই তুলে ধরা হচ্ছে। পুড়টা পড়লে বুঝা যাবে ।
হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল পড়েও আমার কাছে মনে হয়েছে। তাড়াহুড়া করে হুরমুরিয়ে বলা শেষ করে দিয়েছে। অথচো সুনীলের ঐতিহাসিক উপন্যাস গুলি অসাধারন লেগেছে।

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বই পড়েছি
ছবি দেখেছি।
অসম্ভব সুন্দর

০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পছন্দ না হয়ে যেনো কোনো উপায় নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.