নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ কয়েকদিন থেকেই সূর্যমুখী বাগান দেখতে নরসিংদী যাব বলে ভাবছি, যাওয়া হয়ে উঠেনি। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ট্রেনের টিকেট কাটলাম গত শনিবার সকালের। ভাড়া ৭০ টাকা, প্রসেসিং ফি ২০ টাকা, মোট ৯০ টাকা দিয়ে সোভন সিটের টিকেট কাটলাম ঢাকা টু নরসিংদীর । কিন্তু বিধিবাম, রাতেই শ্বশুর মশাই ফোন দিয়ে বললেন শনিবার দুপুরে মিলাদের দাওয়াতে উপস্থিত থাকতে হবে। জানালাম ট্রেনের টিকেট কেটে ফেলেছি। পাশে থেকে বিবি সাহেবা বলে উঠলেন টিকেটের টাকা তোমাকে আমি ফেরত দিয়ে দিবো, যাওয়ার দরকার নাই। টাকা ফেরত না পেলেও যাওয়াটা বাতিল হয়ে গেলো।
যাইহোক মনের দুঃখ মনে চেপে তখনই রবিবার বাদ দিয়ে সোমবার ২১ তারিখের টিকেক কেটে ফেললাম। কিন্তু তখন মাথায় ছিলো না ২১ তারিখ মানে একুশে ফেব্রুয়ারি, অনেকের কাছেই ছুটির দিন। আমি সন্দেহ করছি আগামীকাল শত শত লোক জড়ো হবে সূর্যমুখী বাগানে। যতটানা বাগান আর ফুল দেখতে তারচেয়ে বেশী বেড়াতে আর সেলফি তুলতে। আমিও তাদেরই একজন্য অবশ্য।
আমার ট্যুর প্লান হচ্ছে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ঘর থেকে বের হবো। (যদি সকালে বৃষ্টি না থাকে।)
সকাল ১১টা ১৭ মিনিটের ট্রেন ধরবো বিমানবন্দর স্টেশন থেকে। আশা করা যায় সাড়ে ১২টার মধ্যে পৌছে যাবো নরসিংদী।
নরসিংদী রেলস্টেশন থেকে ৬০০ মিটার দূরে নরসিংদী সরকারি কলেজের পিছনে আছে তিন গম্বুজ মসজিদ। পায়ে হেঁটে সেটিই আগে দেখে নিবো।
তিন গম্বুজ মসজিদ থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে নাগরিয়াকান্দি ব্রিজের নিচেই আছে বিশাল এক সূর্যমূখী ফুলের বাগান। একটি ইজিবাইক নিয়ে পৌছে যাবো সেখানে। কিছু ছবি তুলে নিয়ে সেখান থেকে চলে যাবো আরো ৫ কিলোমিটার দূরে চান্দের পাড়া সরিষা ক্ষেত দেখতে। এতো দিনে নিশ্চয়ই সরিষা ফুল শেষ হয়ে গেছে। তবুও একটু ঢু মেরে আসবো।
সরিষা ফুলের দেখা পাই বা না পাই সেখান থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার পারি দিয়ে পৌছতে হবে পাঁচদোনা বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে বিআরটিসি বাস ধরে বাড়ির পথে রওনা হয়ে যাবো।
বি.দ্র. : কেউ যদি ঐ পথে যান তাহলে সময় নিয়ে সকাল সকাল গেলে খুবই কাছাকাছি থাকা আরো অন্ততো ৪ টি পুরনো স্থাপনা দেখে আসতে পারবেন। সেগুলি আমার আগেই দেখা বলে আমি আর ঐপথে যাবো না। তাছাড়া আমার ফেরার তাড়া আছে। সময়ে কুলাতে পারলে আমি হয়তো মাঝরাস্তায় নেমে নাগরিতে আশ্রমে চলে যাবো। সেখানে একটা পিকনিক হবে। (যদি সকালে বৃষ্টি না হয়ে থাকে।)
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সূর্যমুখী দর্শন মোটামটি সফল ভাবেই শেষ করে ফিরে এসেছি।
আশ্রমে আপনার জন্য উন্মুক্ত রইলো। তবে কোনো ভৈরবী (বৈষ্ণবী) নেই। পাশের চিতাখোলা (শ্মশান) মন্দিরে অবশ্য কাউকে পেয়েও যেতে পারেন রাতের আঁধারে একা একা গেলে।
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: কি কি ছবি তুললেন?
একটা ছবি ব্লগ পোষ্ট দেন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সরিষা ক্ষেত কেটে ফেলেছে। এটি ছাড়া বাকিগুলি দেখেছি।
তিন গম্বুজ মসজিদ
সূর্যমুখী বাগান
বোনাস হিসেবে পেয়েছি পাঁচদোনা বাজারের আগে ৩টি অতিপুরনো মন্দির।
ছবি ব্লগ আসবে
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আশা করি ইত্যবসরে সূর্যমুখী বাগান দেখা হয়ে গেছে।
আশ্রমে যাবো একবার যদি সময় সুযোগ হয়।
তবে ভাই জান, একটা কথা জানবার মুনচায় - আশ্রমে কি ভৈরবী (বৈষ্ণবী) আছে?