নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ১১ তারিখ শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আমার মুঠফোনে কল দিয়ে আমার চাচাতো বড় ভাই বললো - সভাপতি সাহেব তোমার সেক্রেটারি ফিরোজ ভুঁইয়া মারা গেছে।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন
আমি ঢাকার উত্তর বাড্ডার স্বাধীনতা স্বরণী জামে মসজিদের সভাপতি। ফিরোজ ভুঁইয়া সাহেব ছিলেন সেক্রেটারি, ষাট উর্ধ বয়স হয়েছে। কারো সাথে পাঁচে নেই টাইপ সাদাসিদে মানুষ। ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন, অবসরে নিয়েছেন অনেকদিন হয়। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে দ্রুত উপস্থিত হলাম তার বাড়িতে। চাদরে ঢাকা লাশটি পড়ে আছে সদর দরজার বাইরে, মসজিদের খাটিয়াতে। বাড়িতে মৃতবাড়ির কোনো আবহ লক্ষ্য করা গেলো না।
ফিরোজ ভুঁইয়া সাহেবের দুই ছেলে, বড় ছেলেটি সামান্য বুদ্ধি-প্রতিবন্দী, কিছুদিন আগে তাকে বিয়ে করিয়েছেন। ছেলেটি এখন তার স্ত্রীকে নিয়ে ফিরোজ ভুঁইয়া সাহেবের নরসিংন্দীর গ্রামের বাড়িতে থাকে। ছোটো ছেলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকে স্বাধীনতা স্বণীর ৫ তলা বাড়িতে। তাঁর সাথেই আলাপ করে রাতেই লাশের গোসলের ব্যবস্থা করে দিলাম। জানাজার সময় নির্ধারন করা হলো পরদিন ১২ তারিখ শনিবার বাদ যোহর।
আমাদের পাশের এলাকায় একটি করবর স্থান আছে, পূর্বাচল সামাজিক কবরস্থান। আমি কবরস্থানটির যুগ্ন অর্থ-সম্পাদক। তাই আমার জানা আছে, ফিরোজ ভুঁইয়া সাহেব ঐ কবরস্থানের সদস্য ছিলেন। তার ছোট ছেলে জানালো পূর্বাচল সামাজিক কবরস্থানেই তার বাবাকে দাফন করবে। আমি সাথে সাথেই কবর খোড়ার লোকদের ফোন করে পরদিন সকালেই কবর খুড়ে রাখার কথা বলে দিলাম। ওরাই বাঁশ-চাটাই ইত্যাদির ব্যবস্থাও করে রাখবে। সকল ব্যবস্থা সু-সম্পন্ন করে আমি রাত ১১টার পরে বাড়িতে ফিরে এলাম।
পরদিন ১২ তারিখ শনিবার সকালে স্থানীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একটি বিচারে যেতে হয়েছিলো। এরমাঝে কবরস্থান থেকে ফোন করে জানালো কবর খোড়া হয়ে গেছে। সাড়ে বারোটা পর্যন্ত কমিশনারের কার্যালয়েই ছিলাম। সেখান থেকেই চলে গেলাম মসজিদে। ফিরোজ ভুঁইয়া সাহেবের বাড়ি আর স্বাধীনতা স্বরণী জামে মসজিদ সামনাসামনি। দেখলাম ফিরোজ ভুঁইয়া সাহেবের বাড়ির সামনে অনেক লোকের ভির, পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে!!
এবার জানতে পারলাম ফিরোজ ভুঁইয়া সাহেবের বড় ছেলে, তার দুই কাকা ও মামাদের নিয়ে এসেছে। বড় ছেলের অভিযোগ তার ছোট ভাই তার বাবাকে অবহেলায়া বিনা চিকিৎসায় হত্যা করেছে। তার বাবাকে একটি ঘরে সব সময় বন্দী করে রাখতো, ঠিক মত খাবার দিতো না। তার মাকেও নির্যানত করতো। ফিরোজ ভুঁইয়া ও তার স্ত্রীর পেনশনে সমস্ত টাকা ছোট ছেলে ব্যবসার কথা বলে নিয়ে নিয়েছে। গ্রামের সমস্ত জমি বিক্রি করে ব্যবসায় লাগিয়েছে। গ্রামের বাড়ি ব্যাংকে মর্টগেজ রাখার কথা বলে নিজের নামে লিখে নিয়েছে। অথচো সকলেই জানে ঐ বাড়িটি তিনি বড় ছেলেকে লিখে দিতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি ছোট ছেলের নামে মামলাও করেছেন। ছোট ছেলে তার মায়ের নামে থাকা স্বাধীনতা স্বরণীর ৫ তলা বাড়িটিও নিজের নামে লিখে নিয়েছে। বড় ছেলের জন্য কিছুই নেই!!!
এইসব শুনে আমি হতোবাক হয়ে গেলেম। সকাল থেকেই এলাকাবাসী সকলে মিলে ছোট ছেলেকে বুঝানোর চেষ্টা করেছে অসহায় বড় ভাইটিকে তার বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী গ্রামের বাড়িটি ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু সে কিছুতেই রাজি হয়নি। ফোন করে পুলিশ ডেকে এনেছে। পুলিশ এসেও তাকেই দোষী পেয়েছে। এইদিকে যোহরের সময় হয়ে গেছে। সে তার বাবার জানাজার অনুমোতিও দিতে রাজি নায়। আমরা একরকম জোড় করেই লাস নিয়ে এসে জানাজা পড়লাম। জানাজা শেষে আবার আমরা চেষ্টা করলাম ঝামেলাটা মিট করাতে, কাজ হলো না। ৩টা পর্যন্ত চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আমি বাসায় ফিরে আমার স্ত্রীকে নিয়ে চলে গেলাম ডাক্তারের কাছে।
সন্ধ্যায় আবার যেতে হলো ফিরোজ ভুঁইয়া সাহেবের বাড়িতে। এখনো লাস দাফন করা হয়েনি। প্রায় ২৪ ঘন্টা পার হয়েছে। লাশ ফুলতে শুরু হয়েছে, গন্ধ ছড়াবে। কয়েকজনের কাছ থেকে চাঁদা তুলে একটি এসিযুক্ত এ্যাম্বুলেন্স আনিয়ে লাশটি সেখানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৭১ টিভি ও যমুনা টিভির সংবাদমাধ্যমের কর্মিরা হাজির হয়েছে। কাউন্সিলার সাহেবও এসেছে। শেষে বাড্ডা থানার ওসি সাহেব এসে লাশটি নরসিংন্দীর গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসীর চাপে উপস্থিত পুলিশ-সাংবাদিক-কমিশনারের সামনে তিনটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করা হয়।
১। ফিরোজ ভুঁইয়া সাহেবের ছোট ছেলে তার বড় ভাইকে গ্রামের বাড়িটি ১৫ দিনের মধ্যে নিজ খরচায় রেজেষ্ট্রি করে লিখে দিবে।
২। ফিরোজ ভুঁইয়া সাহেবের বড় ছেলে স্বাধীনতা স্বরণীর বাড়িটির দাবি ছেড়ে দিবে।
৩। ফিরোজ ভুঁইয়া সাহেবের স্ত্রী তাঁর বড় ছেলের সাথে গ্রামের বাড়িতে থাকবেন। যত দিন তিনি জীবিত থাকবেন ততোদিন প্রতি মাসে ২০,০০০/= টাকা ছোট ছেলে মায়ের খরচ হিসেবে দিবে।
তিনটি আলাদা আলাদা অঙ্গীকারনামা তৈরি করে সকলের স্বাক্ষর নিয়ে ঝামেলাটি শেষ করা হয়।
আমাদের সামাজিক অবক্ষয় কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে!!! বাবার লাশ পরে আছে, সেদিকে সন্তানের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আগে চাই সম্পদের দখল। আল্লাহ এমন সন্তান কোনো পিতা-মাতাকে না দেক।
যমুনা টিভি
৭১ টিভি
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:০০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এমনটা এতোদিন সংবাদে দেখেছি-শুনেছি-পড়েছি। এবার চোখের সামনে দেখে হতবাক হয়ে গেছি।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:০২
অপু তানভীর বলেছেন: মানুষ বলে রক্তের সম্পর্ক নাকি সব চেয়ে বড় সম্পর্ক । অথচ এই রক্তের সম্পর্কের মানুষ গুলোই সব সময় সব থেকে বড় ছোড়া মারে !
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অতি সত্যি কথা বলেছেন। দেখেছি বড় ক্ষতি করে কাছের রক্ত সম্পর্কিয় আত্মিয়রাই। যদিও আমার সাথে এমন কিছু কখনো হয়নি।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:১৯
বিষন্ন পথিক বলেছেন: খুব আগ্রহভরে বিষাদময় নিউজটা দেখছিলাম, আপনার কাছে বিস্তারিত পেলাম। ধন্যবাদ
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাবা মার প্রতি এতো নিষ্ঠুর আচরন করতে আর কোনো সন্তানকে সামনাসামনি আমি দেখিনি।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:৪৭
সাজিদ! বলেছেন: আল্লাহ মাফ করুন। খুব কষ্ট পেলাম পড়ে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছোট ছেলেটিরও দুটি ছেলে আছে, তারাও বড় হবে, সেও বুড়ো হবে।
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কয়েকবার ভিডিওটা দেখেছি। মানুষ দিন দিন কত ভয়ংকর হয়ে যাচ্ছে । সমাজে এমন আরো আছে এমন অমানুষ
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এরা সমাজেরই অংশ, অল্প সময়ে আমি যতদূর বুঝেছি ছেলেটি তার বউয়ের এবং শ্বাশুড়ির নেওটা। ইন্টাভিয়তেও দেখবেন সে নিজে থেকে কিছু বলছেনা, পিছন থেকে তার ওয়াইফ বলে দিচ্ছে। তাছাড়া কিছুটা দোষ হয়তো তার বাবা-মায়েরও ছিলো।
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১৯
ফারহানা শারমিন বলেছেন: উনার সন্তানের ভেতরকার মানুষ অনেক আগে মরে, পঁচে, গলে গেছে তাই বাবার লাশ নিয়ে এমন জঘন্য কান্ড ঘটিয়েছে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমরা এলাকাবাসী চেষ্টা করেছে যেকোনো ভাবেই হোক অসহায় বড় ভাইটিকে তার প্রাপ্য থেকে যতটুকুই হোক পায়িয়ে দিতে। লাশ দাফনে আমরা কোনো বাধা দেই নাই। বারবার বলার পরেও ওরা লাশ দাফনের অনুমতি দেয়নি।
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৫
বিটপি বলেছেন: আপনারা একটু ভুল করেছেন। মানুষ মরে গেলে তার জানাযা এবং সমাহিত করার দায়িত্ব এলাকাবসীর। এটা ফরজে কেফায়া - সন্তানের অনুমতির কোন প্রয়োজন নেই। যে সন্তান সম্পত্তির মিটমাট করার জন্য বাবার লাশকে জিম্মি করে, আপনাদের উচিত ছিল সবার সামনে তাকে কয়েকটা চড় থাপ্পর দিয়ে লাশটা নিয়ে নেওয়া।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সরি বস আপনি বিষয়টি বুঝতে পারেন নি।
লাশ দাফনের সকল প্রস্তুতি আমি শেষ করে রেখে ছিলাম। বাংলাদেশের আইন কি বলে? সন্তানের আপত্তি সত্তেও আপনি লাশ দাফন করতে পারেবন? তাছাড়া একতরফ থেকে হত্যার অভিযোগ তোলা হচ্ছিলো। লাশ দাফন করলে এলাকাবাসী মামলা খাওয়ার সুযোগ ছিলো।
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জঘণ্য লোক।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এবং আবেগহীন
৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: কী জঘণ্য! এরাও সন্তান!!
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আল্লাহ সকলকে সঠিক পথ দেখাক। পিতা-মাতা জীবিত অবস্থায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখুক।
১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মৃত ব্যক্তিকে কিছু বলার নেই কিন্তু উনি সন্তানদের সঠিক নৈতিক দিতে পারেননি যার ফলাফল এটা...............
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার সাথে আমি সহমত পোষণ করছি, তাছাড়া আরো অনেক নিয়ামক কাজ করেছে এর পিছনে।
১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৭
জাদিদ বলেছেন: মনটা খারাপ হলো! প্রচন্ড খারাপ হলো।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই সব আমাদের চারপাশেই ঘটছে।
১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৮
বিটপি বলেছেন: বাংলাদেশের আইন লাশ দাফনের ক্ষেত্রে কোন বাধা নয়। পুলিশ যিদি লাশ দাফনে আপত্তি করত, তাহলে ব্যাপার ছিল, কিন্তু দেশের প্রচলিত কোন আইনে মৃতের সৎকারে সন্তানের আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। তবে আইনের চেয়ে আমাদের উচিত আল্লাহকে বেশি ভয় করা। দেরিতে দাফনের জন্য যদি মৃতদেহের কোন অমর্যাদা হয়, সেজন্য সন্তানকে নয় - এলাকাবাসীকে আল্লাহ্র কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার মতো সাহসী মানুষ আমাদের এলাকাতে ছিলো না। আপনি উপস্থিত থাকলে নিশ্চয়ই পরিস্থিতী অন্য রকম হতে পারতো।
১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫২
বিটপি বলেছেন: আমি অতটা সাহসী নই। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেবার বিদ্যা জানা আছে। আমি সেখানে উপস্থিত থাকলে চড় থাপ্পড় অবশ্যই বাদ যেতোনা। ইসলামী শরীয়তের ব্যাপারে যেহেতু আমার মোটামুটি দখল আছে, তাই কেউ সেখানে টু শব্দটিও করতে পারত না।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সম্ভবতো এই ধরনের পারিবারিক-সামাজিক ঝামেলা মিটানোর প্রচুর অভিজ্ঞতা আপনার আছে। অথবা আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই।
১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।
এই ঘটনা থেকে বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা বুঝা যাচ্ছে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভুল বললেন।
এমন বিচ্ছিন্ন একটি-দুটি ঘটনা থেকে সমাজ ব্যবস্থার পুরো চিত্র তৈরি করা বোকামি হবে। বরং এর উলটো চিত্রই অনেক বেশী। তবে এমন ঘটনা একটিও কাম্য নয়।
১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একটা গান আছে না "টাকা সঙ্গে যাবে না, পয়সা সঙ্গে যাবে না "? এই গানটা মনে পড়ল। মারা যাওয়ার আগে সব ফায়সালা করে যাওয়া উচিত ছিল।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছোট ছেলের চরিত্র সম্পর্কে তার নিশ্চয়ই পরিষ্কার ধারনা ছিলো। সেই হিসেবে তার আগেই সতর্ক হয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিলো। সমস্যা হচ্ছে আমাদের সমাজে বাবা-মায়েরা বৃদ্ধ হলে তাদের মানুষিক জোড় কমে যায়।
১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: মানুষ কতটা বস্তুবাদী-ভোগবাদী হয়ে যাচ্ছে এই ঘটনা তারই জলন্ত প্রমাণ। নিজের পরিবার তথা রক্তকে এভাবে...মন খারাপ হয়ে গেলো।
মায়া-মমতা, ভালোবাসা এসব এখন একমুখী হয়ে যাচ্ছে.....। কবি আবিদ আনোয়ারের একটি কবিতার লাইন ছিল এরকম, 'ভালোবাসা ক্রমশই নিম্নগামী হয়'। এই 'নিম্নগামী ভালোবাসা' (স্ত্রী-সন্তান) যে এভাবে 'উর্ধ্বে বসে থাকা আগের ভালোবাসাকে' (বাবা-মা-ভাই-বোন) এভাবে অস্বীকার করবে তা কী সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ ভাবতে পারে।
আসলেই সমাজের নিদারুণ 'অবক্ষয়'।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সঠিক বলেছেন আপনি।
সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে অনেকের কাছে।
সমাজের কিছু কিছু নিয়ামক যা বন্ধনকে অটুট রাখতো তা যেনো দিন দিন দূর্বল হয়ে যাচ্ছে।
সময়ের সাথে আমরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছি।
১৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: প্রথমেই ফিরোজ ভূইয়া সাহেবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ।
মহান আল্লাহপাক উনার দুনিয়ার সকল ভূল-ত্রুটি ক্ষমা করে দিন এবং কবরে উনার সাথে রহম করুন।
তারপর, এ একটা কমন রোগ হিসাবে দেখছি সমাজে যে, সকল বাবারাই মনে হয় বড় ছেলের পিছা (বড় দুঃখের সাথে বলছি কারন - ) মেরে ছোট ছেলের উদর পূর্তি করে । এ এক মানষিক ব্যাধি মনে হয়। এসব জায়গায় বাবা-ছেলে দুজনেই ভূলে যায় এর শেষ একদিন হবে এবং তাদেরও এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
আমার মনে হয় আপনার উল্লেখিত মসজিদে আমি কয়েকবার নামাজ পড়েছি ।
আর এসবই আমাদের সমাজ ও মানুষের নীতি-নৈতিকতার অবক্ষয়কেই আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। কিছুদিনের এই জীবনে আমরা মানুষ ন্যায় - অন্যায় মানতে চাইনা , এ বড়ই পরিতাপের বিষয়।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার ব্যাক্তিগত মতামত হচ্ছে ঐ ঘটনায় বাবা-মা দুজনেরই দোষ আছে। কিন্তু ছোট ছেলের দোষ অপরিসীম। ওর বড় ভাইয়ের যে শারীরিক ও মানুষিক অবস্থা তাতে তার ভিক্ষে করা আয়ের ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই দিক বিবেচনা করেও কিছু সম্পত্তি বড় ভাইয়ের জন্য ছেড়ে দেয়া উচিত ছিলো ছোট জনের। তা সে করেনি। সবটাই নিজের করে নিয়েছে। ওরও দুটি ছেলে আছে, ছেলেরা বড় হচ্ছে, ওও ওর বাবার মতো বুড়ো হবে।
স্বাধীনতা সরণীতে যাতায়েত আছে আপনার?
১৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৯
জুন বলেছেন: মর্মান্তিক। সেদিন পেপারে পড়লাম বৃদ্ধনিবাসের এক বাসিন্দা আক্ষেপ করছে ছেলে মেয়েদের ব্র্যান্ডের জুতা কিনে দেয়ার জন্য ১০/১২ দোকান ঘুরতেন। সেই ছেলে মেয়েরা এখন প্রবাসী, বাবা মায়ের খবরও নেয়ার সময় নেই। এটা পড়ে মনে হলো উনি যদি শুধু ছেলে মেয়েদের চাহিদা না মিটিয়ে সাথে শশুর- শাশুড়ী, দেবর- ননদ, ভাই বোনের জন্য একবার হলেও ঘুরতেন তাহলে হয়তো তার সন্তানরা স্বার্থপর না হয়ে মা বাবা সহ অন্যদেরো ভালোবাসতে শিখতো। ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক স্যোসাইটির এই এক কুফল জলদস্যু।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার মনে হয় এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পিছনে বাবা মাই প্রথমে দায়ী।
আমার ধারনা ভুঁইয়া সাহেবের ছেলেরা দাদা-দাদীকে নিজেদের সাথে থাকতে দেখেনি। বাবা-মাকে তাদের নিজেদের বাবা-মায়ের প্রতি উদাসীন দেখেছে। তাই তারাও বাবা-মাকে কেয়ার করার হাতে কলমের শিক্ষাটা পায়নি।
আমার বাচ্চারা দেখেছে আমি এবং আমার ওয়াইফ আমার বাবা-মায়ের যত্ন নিয়েছি। এখনো দেখছে ওদের নানা-নানীর সাথে আমাদের ব্যবহার। আমি আশা করছি ওরা দেখে শিখছে।
বাকিটা আল্লাহর হাতে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:২০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সত্যি সেলুকাস ! বড় বিচিত্র এই দেশের মানুষ !!