নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ৫০ বছরে ক্ষমতার পালাবদলের সংক্ষিপ্ত চিত্র

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০১


দেখতে দেখতে বাংলাদেশের বয়সটা ৫০ বছর পার করে দিলো। এই ৫০ বছরে বাংলাদেশের নানান ধরনের সরকার প্রধান দেখেছি আমরা। এই সব সরকার প্রধানদের কেউ ছিলেন রাষ্ট্রপতি, কেউ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, কারো প্রদবি ছিল প্রধান উপদেষ্টা আবার কেউ ছিলেন প্রধান সামরিক প্রশাসক। গত ৫০ বছরে সরকার প্রধানদে কে কিভাবে ক্ষমতায় এলেন তার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র দেয়ার চেষ্টা করছি।


শেখ মুজিবুর রহমান

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানের কারাগারে আটক থাকা শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি করে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে আসেন ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি। ১১ই জানুয়ারি তাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ১২ই জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে বাকশাল গঠন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করে আবারো রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট একদল সামরিক কর্মকর্তার হাতে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।


খন্দকার মোশতাক আহমাদ

বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশতাক আহমাদকে রাষ্ট্রপতির পদে বসায়। সেইদিনই মোশতাক আহমাদ দেশে সামরিক আইন জারী করেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ।

তবে বাংলাদেশের রাজনীতির সেই ভয়ংকর অস্থির সময়ে সামরিক অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের জের ধরে পঁচাত্তরের ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ এর নেতৃত্বে একটি ছোট্ট সামরিক অভ্যুত্থানে খন্দকার মোশতাক আহমাদের পতন হয়। তিন দিন পরে অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর মোট ৮৩ দিন ক্ষমতায় থাকার পরে খন্দকার মোশতাক আহমাদ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত হন।


আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ অভ্যুত্থানে সেনা প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান পদচ্যুত হন। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ নিজেকে সেনা প্রধান ঘোষণা করেন এবং ৬ই নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতির পদে বসান। কিন্তু পরদিন ৭ই নভেম্বর সিপাহী বিদ্রোহতে নিহত হন খালেদ মোশাররফ। জেনারেল জিয়াউর রহমান আবার সেনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেন ।

ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ মারা গেলেও বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে বহাল ছিলেন। তবে ক্ষমতার ছড়ি ছিল জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে।


জিয়াউর রহমান

সামরিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থান এবং সবশেষে সিপাহী বিদ্রোহের হাত ধরে ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম জেনারেল জিয়াউর রহমানেকে চিফ অফ আর্মি স্টাফ এবং উপ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হন। এরপর ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট সায়েমকে সরিয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান নিজেই রাষ্ট্রপতি হয়ে যান ।

এক বছর পর ১৯৭৮ সালের ৩ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৮১ সালের ৩০শে মে একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।


আব্দুস সাত্তার

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিচারপতি আব্দুস সাত্তার প্রথমে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬৬% ভোট পেয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করতে তিনি বাধ্য হন। তখন ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনা প্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে সামরিক শাসন জারীর করে প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে নেয়।


জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ

১৯৮২ সালে প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার পরে ১৯৮৬ সালে নির্বাচনের আয়োজন করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। পরে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর প্রবল গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন জেনারেল এরশাদ।


বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ হন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ একটি 'নিরপেক্ষ নির্দলীয় কেয়ারটেকার' সরকার গঠন করেন, যার একমাত্র দায়িত্ব ছিল পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি সেই পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসে।


বেগম খালেদা জিয়া

রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ১৭ বছর দেশ শাসনের পরে ১৯৯১ সালের অগাষ্টে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে দেশে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয়। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার প্রধান হন।

বেগম খালেদা জিয়া সরকারের সময়সীমার শেষ দিকে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকার একটি সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে। তবে সেই নির্বাচনটি সকল বিরোধী দল বর্জন করে। বিএনপি নির্বাচনে জিতলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিরোধী দলগুলো তুমুল আন্দোলন শুরু করে। ফলে বিএনপি বাধ্য হয়ে সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়।

ফলে ১৯৯৬ সালের ৩০শে মার্চ সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন। ১৯৯৬ সালের জুনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আয়োজন করা নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।


শেখ হাসিনা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আয়োজন করা ১৯৯৬ সালের জুনে মাসের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন আব্দুর রহমান বিশ্বাস। রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হলে পরে নতুন রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ।

শেখ হাসিনা সরকারের ৫ বছরের মেয়াদ শেষে আইন অনুযায়ী ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন শেখ হাসিনা।


খালেদা জিয়া

বিচারপতি লতিফুর রহমানের অধীনে ২০০১ সালের অক্টোবরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় নতুন রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন অধ্যাপক ড: ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ।

এবারও মেয়াদ শেষের সময়ে সংবিধানের একটি সংশোধনীকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলো তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে। আন্দলনের চাপে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন খালেদা জিয়া।

নানান চড়াই-উতরায়ের মধ্যদিয়ে ২০০৬ সালের ২৯শে অক্টোবর প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদের শপথ নেন প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদ।

২০০৬ সালের শেষ দিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাপক সহিংসতার রূপ নিলে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।



ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ ২০০৭ সালের ১২ই জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ক্ষমতায় আসেন। সেনাবাহিনীর সমর্থন থাকায় প্রায় ২ বছর সরকার প্রধান হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর ফখরুদ্দীন সরকারের আয়োজন করা সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে বিজয়ী হয় আওয়ামী।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তর করেনফখরুদ্দীন আহমদ।



শেখ হাসিনা

২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি দ্বিতীয় বার,
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি তৃতীয় বার,
২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলেও এর পরের নির্বাচনগুলো শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই হয়েছে। সেই ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকার প্রধান হিসেবে দেশ শাসন করছেন শেখ হাসিনা।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মেয়াদ শেষে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মোঃ জিল্লুর রহমান। ২০১৩ সালের ২০শে মার্চ তার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশের রাস্ট্র ক্ষমতার উইকিপিডিয়া - ভালো হয়েছে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তথ্য এবং ছবি সবই সংগৃহীত
ধন্যবাদ

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল হয়েছে । সময়োচিত আলাপ । গুম নিয়ে কিছু লেখ ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গুম নিয়ে কিছু লেখার আপাততো কোনো ইচ্ছে নেই।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠনের আগে জাগদল নামে আরেকটা দল ছিল। এটার নিয়ন্ত্রণ ছিল জিয়াউর রহমানের হাতে। এই জাগদল ১৯৭৮ সালে বিএনপিতে একীভূত হয়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে তথ্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩১

সোবুজ বলেছেন: এর মধ্যে ভাল শাসক খুব কম বেশির ভাগই খারাপ।সবথেকে বেশি খারাপ জিয়া এরশাদ খালেদার দ্বিতীয় পর্যায়ের শাসন।এরা জাতিকে একটা অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।জাতীর চলার পথ কে অমশ্রিন করে গেছে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে শাসক সম্পর্কে আপনার নিজস্ব মতামত প্রকাশের জন্য।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রপতি পদ দখল করার পর ৩০ মে ১৯৭৭ সালে একটা হ্যাঁ বা না ভোটের ব্যবস্থা করেন।

উইকিপিডিয়া অনুসারে এটা 'বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আস্থা গণভোট ১৯৭৭' নামে পরিচিত। বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় ৩০শে মে ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় এই ভোট। ভোটারদের কাছে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি কি রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) প্রতি এবং তার দ্বারা গৃহীত নীতি ও কার্যক্রমের প্রতি আস্থাশীল? ভোটের ফলাফল ছিল, ৯৮.৯% হ্যাঁ ভোট এবং ১.১% না ভোট। মোট ভোট সংগৃহীত হয়েছিল, ৮৮.১%। তবে এটি একটি বিতর্কিত এবং পাতানো ভোট ছিল।

ক্ষমতা জায়েজের জন্য অনুরুপ কাজ করেছিলেন এরশাদ। উইকিপিডিয়া অনুসারে;

এই ভোটের নাম ছিল 'বাংলাদেশের সামরিক শাসনের গণভোট ১৯৮৫'। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য ২১শে মার্চ ১৯৮৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় এই ভোট। যিনি ১৯৮২ সালে নির্বাচিত সরকারের অধীনে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন কালে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেন। গণভোটে ভোটারদের কাছে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কি রাষ্ট্রপতি এরশাদের গৃহীত নীতি সমর্থন করেন এবং আপনি কি চান, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্ব পর্যন্ত তিনি তার প্রশাসন পরিচালনা করবেন?

ফলাফল ছিল ৯৪.৫% হ্যাঁ এবং ৫.৫% না ভোট। মোট ৭২.২% ভোট সংগৃহীত হয়েছিল। বিরোধীরা গণভোটের দিন সাধারণ ধর্মঘটের আয়োজন করেন এবং ফলাফল পূর্ব নির্বারিত বলে ঘোষণা করেন। এটাও একটা বিতর্কিত পাতানো ভোট ছিল।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে তথ্যগুলি শেয়অর করার জন্য।

ওগুলিযে ক্ষমতাকে যায়েজ করার জন্য লোকদেখানো ভোট ছিলো তা সকলেই জানেন।

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫১

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: আগামী পঞ্চাশ বছরে কারা ক্ষমতা দখল করে থাকবে , আগাম লিখে দিতে পারতেন !

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঐটা আপনার জন্য বাকি রইলো।

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বেলা শেষে জানি যা আয় করি তাতে সংসার আর চলে না।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অথচো কেউ কেউ বলছেন আমরা রাতে ঘুমালে সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাকি ধনী হয়ে যাচ্ছি নিজের অজান্তে!!

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০২

সোবুজ বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর,আপনার অনেক সুন্দর একটা পোষ্টে কমেন্ট করতে গিয়ে দেখি আমাকে ব্লক করে রেখেছেন।

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:০৯

গরল বলেছেন: ১৯৯৬ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান জাস্টিস হাবিবুর রহমান বাদ গেল কেন?

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাদ যায়নি তো -

ফলে ১৯৯৬ সালের ৩০শে মার্চ সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন। ১৯৯৬ সালের জুনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আয়োজন করা নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ইয়াজ উদ্দিনের নাম নাই

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আছে তো -

আন্দলনের চাপে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন খালেদা জিয়া। নানান চড়াই-উতরায়ের মধ্যদিয়ে ২০০৬ সালের ২৯শে অক্টোবর প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদের শপথ নেন প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদ।

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন বলে মনে করেন?

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.