নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিবি-বাচ্চাদের নিয়ে শেষ ঢাকার বাইরে বেরাতে গেছি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কক্সবাজার-টেকনাফে। ডিসেম্বর মাসে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকে দীর্ঘ দিন। বেরানোর জন্যও নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ার সময়টাই বেস্ট। এবার ইচ্ছে ছিলো ডিসেম্বরেই উত্তরবঙ্গ বেরাতে যাওয়ার, যদিও এই সময়টায় ঐ দিকে প্রচন্ড শীত থাকে। নানান কারণে ডিসেম্বররে যাওয়া হয়ে উঠেনি, তবে শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ রাতে বেরিয়ে পরি উত্তরবঙ্গের পথে। আমাদের এবারের ভ্রমণটিকে বলা যেতে পারে হ্যারিটেজ ট্রিপ। ভ্রমণ পরিকল্পনাটা আগেই সামুতে প্রকাশ করেছিলাম। তবে বাস্তবে পরিকল্পনাটা পুরাই উল্টে গিয়েছিল। তাহলে প্রথম থেকেই শুরু করি।
বিবি-বাচ্চাদের আবদার ছিলো ট্রেনে যাবার। তাই প্রথমেই অনলাইনে দ্রুতজান ট্রেনের ঢাকা টু পঞ্চগড় (কমলাপুর টু বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন) টিকেট কেটে নেই। যথা সময়ে ব্যাগ-প্যাগ নিয়ে স্টেশনে পৌছে দেখা গেলো ট্রেন আসেনি। ঘন্টা খানেক পরে ট্রেন এসে পৌছায়। সব মিলিয়ে প্রায় ঘন্টা দেড়েক লেইটে ট্রেন রওনা দেয় কমলাপুর থেকে। দেখতে দেখতে সময় কাটে, ট্রেন এগিয়ে চলে। কিন্তু মাঝ রাতের আগেই আমি সিন্ধান্ত নেই পঞ্চগড়ে পর্যন্ত না গিয়ে বিরামপুরে নেমে যাবো। আগে প্লান ছিলো পঞ্চগড় থেকে দেখতে দেখতে বিরামপুরে এসে শেষ করবো। এখন ঠিক করলাম বিরামপুর থেকে দেখতে দেখতে পঞ্চগড়ে গিয়ে শেষ করবো। যেই ভাবা সেই কাজ, ভোর সাড়ে চারটার সময় ট্রেন পৌছায় বিরামপুরে। আমরাও নেমে পরি সেখানে। একটি ভ্যান নিয়ে চলে আসি রাসিন রেস্ট হাউসের সামনে। ছোট ভাই রাসিন জানে আমি ৫ তারিখে আসবো, অথচো আজ ৩ তারিখ ভোরেই এসে হাজির হয়েছি। হোটেলের কর্মচারিকে কয়েকবার বেল বাজানোর পরে ঘুম থেকে তোলা গেলো। রাসিনকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ পাঠিয়ে ঘুম দিলাম ভোরে।
সকালে সাড়ে ৮টার দিকে রাসিন সকালের নাস্তা পরটা-ডিম ভাজি-ডাল ভূনা-মিষ্টি পাঠিয়ে দিলো রুমে। সকাল ৯টার দিকে বিবি-বাচ্চাদের ডেকে তুলে দিলাম ঘুম থেকে। সকলে দ্রুতই তৈরি হয়ে নিলো ভ্রমণ শুরুর জন্য। সকালের নাস্তা শেষে বেরিয়ে এলাম বাইরে। রাসিনের সাথে দেখা হলো, কথা হলো। জানালাম আজ সারা দিনের জন্য বেরিয়ে যাচ্ছি। সন্ধ্যার দিকে ফিরবো। রাসিন বারবার করে বলে দিলো রাতের খাবার ওর বাড়িতেই খেতে হবে। রাজি হতেই হলো। রাসিনকে বিদায় দিয়ে চলে এলাম সিএনজি স্টেশনে। ৮০০ টাকায় একটি সিএনজি রিজার্ভ করলাম নির্দিষ্ট কয়েকটি যায়গায় আমাদের ঘুরিয়ে আনবে।
আজকের দিনের আমাদের প্রথম গন্তব্য রতনপুর জমিদার বাড়ি বা রখুনি কান্ত জমিদার বাড়ি।
সিএনজি ছুটে চললো রতনপুরের দিকে। চারপাশে তখনো বেশ কুয়াশা আর ঠান্ডাটাও প্রচন্ড। বাইরের বরফ শীতল বাতাশ ছুড়ির ফলার মতো এসে বিধছে শরীরে। সিএনজির দুইপাশের পর্দা নামিয়ে দিয়ে মোটামুটি ভাবে বাতাস আটকে দেয়া গেলো। সকাল সারে দশটা নাগাদ পৌছে গেলাম দিনের প্রথম গন্তব্য রতনপুর জমিদার বাড়িতে।
জমিদার বাড়ি সম্পর্কে উইকি ও অন্যান্য সূত্র থেকে জানা যায় -
ব্রিটিশরা অষ্টাদশ শতকে ফুলবাড়ি জমিদারের পক্ষে খাজনা আদায়কারী হিসাবে রাজকুমার সরকারকে বিরামপুরের রতনপুর কাচারীতে প্রেরণ করে। এখান থেকে তিনি বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ফুলবাড়ী এলাকার প্রজাদের নিকট থেকে খাজনা আদায় করতেন। আদায়কারী রাজকুমার সরকারের কর্মদক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে জমিদার তার বোনকে রাজকুমারের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের উপহার হিসেবে সাড়ে ৬শ বিঘা জমিসহ রতনপুর কাচারী উপহার দেন।
সেই সময় সেখানে প্রতাপশালী সাঁওতাল রঘু হাসদার আড়াইশত একর জমি ও অঢেল অর্থের মালিক ছিলেন। রাজকুমার বঘু হাসদার কাছ থেকে ৫ বস্তা কাঁচা টাকা ধারে নিয়ে অন্য জমিদারের আরো ৩০০ একর জমি নিলামে কিনে নেন। এ ঘটনার ২বছর পর রঘু হাসদার ২৫০ বিঘার ফলের বাগান চতুরতায় দখল করে নিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে উপকারী রঘু হাসদাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করেন। মোট ১২শ বিঘার ফলদ, বনজ ঔষধি জমির মালিক ধূর্ত জমিদার রাজকুমার আরাম আয়েশের জন্য বিলাস বহুল এই সুদৃশ্য দ্বিতল অট্রালিকা নির্মাণ করেন।
জমিদার রাজকুমারের রতন কুমার সরকার ও রখুনি কান্ত সরকার নামে দুই পুত্র সন্তান ছিলো। বড় ছেলে রতন কুমারের বয়স যখন ১৬ বছর তখন মন্দিরের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে সে মারা যায়। পুত্র শোকে কিছুদিন পরে রাজকুমারের মৃত্যু হয়। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে অঢেল সম্পদ, বাগান ও পুকুরসহ ১২শ বিঘা জমিদারী লাভ করেন রখুনি কান্ত সরকার।
রখুনি কান্ত সরকার জমিদার থাকাকালীন সময়ে তার বাড়িতে ১০০টি বিড়াল পুশেছিলেন, বিড়ালগুলোর দুধের বাটি দিলেও দুধ পান করত না যতক্ষন পর্যন্ত মালিকের হুকুম না হত।
জমিদার রখুনি কান্ত সরকারের কোন সন্তান ছিলনা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে রখুনী কান্ত বাবু স্বস্ত্রীক একটি মহিষের গাড়িতে চড়ে রাতের আঁধারে কলকাতার উদ্দ্যেশে পাড়ি জমান।
কিছু কাল জমিদার বাড়িটি ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহার হলেও ঝূঁকিপূর্ণ হওয়ায় এটি এখন এক রকম পরিত্যাক্ত হয়ে পরে আছে। শুধু একটি মাত্র ঘর পাশের স্কুলেটি ব্যবহারর করে।
নতুন বছরের সরকারি বই বিতরন চলছে
জমিদার বাড়িটি দোতলা, আরো ভালো ভাবে বললে বলতে হবে দেড় তলা। সামনের অংশের সদর দিয়ে ভিরতে ঢুকে গেলে নিচে সম্মুখ অংশ পেরিয়ে উপরে উঠার সিড়ি। অনায়াসেই এখনো দোতলায় উঠে যাওয়া যায়। উপরে কয়েকটি রুম ছিলো নিশ্চয় একসময়। আর সামনের আংশ ছিলো উন্মুক্ত।
সিড়ি কোঠাড়ি উঠে গেছে আরো উপরে কিন্তু উপরে উঠার সিড়ির ধাপগুলি ভেঙ্গড়ে গেছে বলে তার উপরে আর উঠিনি।
মিনিট দশেক সময় এখানে কাটিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলে আমরা আবার সিএনজিতে ঊঠে পরি। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য স্বপ্নপুরী।
=================================================================
মরুভূমির জলদস্যুর ভ্রমণ বিলাস
সিলেট ভ্রমণ : হযরত শাহজালাল ও শাহপরান দরগাহ, চাষনী পীরের মাজার, বিছনাকান্দি, লালাখাল, জাফলং, হরিপুর পরিত্যাক্ত গ্যাস ফিল্ড
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ : লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক,
খাগড়াছড়ি ভ্রমণ : আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝর্ণা, শতবর্ষী বটগাছ, ঝুলন্ত সেতু, অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার
রাঙ্গামাটি ভ্রমণ : সুভলং ঝর্ণা ও কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার
বান্দরবান ভ্রমণ : নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, নীলাচল, মেঘলা, স্বর্ণ মন্দির
কক্সবাজার ভ্রমণ : রঙ্গীন মাছের দুনিয়া, আগ্গ মেধা ক্যাং, বিজিবি ক্যাম্প মসজিদ, ভুবন শান্তি ১০০ সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধ মূর্তি, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার, রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার, ইনানী সৈকত, টেকনাফ সৈকত, মাথিনের কুপ, টেকনাফ জেটি, সেন্টমার্টিন, ছেড়া দ্বীপ
নারায়ণগঞ্জ ভ্রমণ : ১নং ঢাকেশ্বরী দেব মন্দির, টি হোসেন বাড়ি, কদম রসুল দরগাহ, সোনাকান্দা দূর্গ, হাজীগঞ্জ দূর্গ, বাবা সালেহ মসজিদ, বন্দর শাহী মসজিদ, সিরাজ শাহির আস্তানা, কুতুববাগ দরবার শরিফ, বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ী, পালপাড়া মঠ, বীরেন্দ্র রায় চৌধুরী বাড়ি, মহজমপুর শাহী মসজিদ
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পড়ে ভালোলাগলো। স্বপ্নপুরীতে আমি গিয়েছিলাম। এবার আপনার মুখে বর্ণনা শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি এর আগে অন্ততো ২ বার গিয়েছি স্বপ্নপুরীতে। সত্যি বলতে কৃত্রিম কোনো পার্কই আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না, আমাকে টানে না। তবে স্বপ্নপুরীতে কৃত্রিমতার সাথে সাথে প্রকৃতিকেও বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আর বিশেষ করে বলতে হয় ওদের তৈরি করা কৃত্রিম প্রাণীগুলি বেশ জীবন্ত।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুণ লাগলো ভাইয়া
আমার আর ঘুরাঘুরি হলো না
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তবের জন্য।
শুভকামনা রইলো।
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বাংলার অধিকাংশ জমিদারের কাহিনী প্রায় একই রকম। শেষমেষ নির্বংশ হতে হয়েছে এমন। পঞ্চগড় এলাকার ঠান্ডা ভয়াবহ। আগে থেকে প্রিপারেশন না থাকলে শীতের কষ্ট করতে হয়।
আপনার সাথে ছবি ও কাহিনী ভ্রমণে আমিও যোগ দিয়েছি। গল্পের জন্য পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি। +++
ভিন্ন প্রসঙ্গ: মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাংলায় একটা কথা আছে, যতগর্জে ততো বর্ষে না। করোনাকে কেনো যেনো আমার কাছে এইটাইপেরই মনে হয়।
- আপনি যথার্থ বলেছেন। বাংলাদেশে করোনা দুর্বল হয়েছে কোনো কারণে অথবা অনেক কিছুই হতে পারে যা আমরা জানি না। বা কখনো জানতে পারবো না।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য।
ভ্রমণ কাহিনীর সাথে থাকার ঘোষণা আমাকে আরো বেশী অনুপ্রাণিত করলো।
উত্তরবঙ্গের শীতের বিষয়টা জানা ছিলো, মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়েই গিয়েছিলাম বাচ্চাদের জন্য। আমি ভুল করেছি হাতমুজা না নিয়ে।
আবারও ধন্যভাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ভাবা যায়, এক সময় এই বাড়ি ঘিরে কত কিছু হতো। কত মানুষের পদচারণা, এই সিড়িতে বসে কত হাসি-খুনসুটি............ সব হওয়া! সব শেষ। যে বাড়ির দিকে তাকিয়ে কেউ হয়ত মনে মনে ভাবতো যে আমার যদি এমন একটা বাড়ি থাকতো, সেই বাড়িই আজ ভেংগে পড়ছে!
এমন ভাবে আমরাও হারিয়ে যাবো। কেউ কোন খোঁজ রাখার প্রয়োজনও মনে করবে না!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এক সময় সবই বিনাশ হবে। অনেকেই জানেন আমি পুরনো স্থাপনা ঘুরে দেখতে পছন্দ করি। তবে যখনই আমি অর্ধবিনষ্ট পরিত্যক্ত এমন পুরনো স্থাপনা দেখি তখনই একটা কথা মনে হয়- আহা! যদি সামান্য কিছু অর্থ ব্যয় করা হয় এই স্থাপনার পিছনে তাহলে এটি আরো অনেক অনেক বছর নিজের প্রাচিন গৌরবের কথা আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য দেখাতে পারতো। শুধু যদি সরকার সামান্য কিছু অর্থ খরচ করতো!!
৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর ছবি ব্লগ। স্বপ্নপুরীতে আমিও গিয়েছিলাম।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২২
শায়মা বলেছেন: আহারে জীবন আহা জীবন
জলে ভাসা পদ্ম জীবন......
মানুষের নামের কিছু গুন আছে রাজকুমারের নাম শুনে এমন আবারও মনে হলো।
চাতুরতায় পাওয়া সম্পদ ছেড়ে একদিন চলে যেতে হয় তবে মাঝের পাওয়াটুকুও মনে হয় আসলে প্রাপ্তি তবে যে ঠকলো সেও নিশ্চয় অন্যকে ঠকানোর ফলই পেয়েছিলো।
তবুও এমন প্রানহীন বাড়ি দেখলেই আমাদের মনে গানের লাইন
আহারে জীবন আহা জীবন
জলে ভাসা পদ্ম জীবন...
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
অল্পবিস্ত যা বেরিয়েছি আমি, এমন পুরনো বাড়িগুলিতে প্রায় সব সময়ই বেশ ইন্টারেষ্টিং কাহিনী শুনতে পাওয়া যায়। আবার দেশেছি এমন অনেক পুরনো স্থাপনা আছে যার সম্পর্কে একটি বাক্যও কেউ জানে না।
একসময় যেখানে প্রাণের উচ্ছাস ছিলো সময়ের আবর্তে এখন সেখানে পরিত্যাক্ত অবহেলা।
৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
জোবাইর বলেছেন:
ভ্রমণবৃত্তান্ত ভালো লাগলো। আমি দেশ-বিদেশের অনেক জায়গায় ভ্রমণ করলেও উত্তরবঙ্গে কখনোও যাওয়া হয়নি! তাই আপনার ভ্রমণের তথ্য-অভিজ্ঞতাগুলো স্মরণে রাখলাম। সামনের কোনো একসময় উত্তরবঙ্গে যাবো।
বাংলাদেশে সচরাচর পরিত্যক্ত জমিদার বাড়িগুলো যেরকম হয় অনেকটা সেরকমই। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এ ধরনের ছোটোখাটো হ্যারিটেজগুলো স্থানীয় লোকেরাই সামান্য পরিচর্যা করে সুন্দর রাখতে পারে। যেমন: বাড়িটির চারপাশে ফুলের গাছ লাগানো যেতে পারে, খোলা জায়গাতে সবুজ ঘাসের লন করা যেতে পারে। পর্যটকরা বসার জন্য বাড়িটির আঙিনায় কয়েকটা বেঞ্চ দিতে পারে। এতে খুব বেশি টাকাও লাগে না, খুব বেশি লোকও প্রয়োজন হয়না। সমস্যা হচ্ছে সবাই শুধু লেকচার দেয়, উদ্যোগ নেয় না।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: খুবই ভালো বলেছেন।
ছোটোখাটো হ্যারিটেজগুলো সম্পর্কে আমাদের কাছে প্রায় সময়ই কোনো তথ্য থাকে না। স্থানিয় লোকজন সেগুলি নিয়ে মাথা ঘামায় না। আমরা একবার দেখে, ছবি তুলেই ফিরে আসি। সামান্য লেখা লেখি করি। তেমন কোনো কাজ হয় না।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৯
ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুকরিয়া
১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫২
সোবুজ বলেছেন: এই সমস্ত জমিদার প্রাকৃতিক নিয়মে চলে যান নি,অনেকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একঝাঁক টাউট বাটপার।সেই টাউটরা আজো আমাদের ঘাড় থেকে নামছে না।নামার সম্ভাবনা ও দেখা যায় না।৭১ রে একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়ে ছিল কিন্তু আমরা কাজে লাগাতে পারি নি।বিনিময়ে আমরা আরেক দল নতুন টাউট বাটপার পেলাম।তারা ফুলে ফেপে আজ বটবৃক্ষ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে আমি ১০০% সহমত।
সামনে যে কি আছে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কত প্ল্যান থাকে কিন্তু প্রতিবার সেই যে বাসায় গিয়ে ঢুকি , আবার বের হয়ে ঢাকা
আপনার ছবিগুলো দারুণ !!!! ভাই এমন উরাধুরা প্ল্যানে আপনার বাচ্চারা মজা পাচ্ছে দেখতে ও ভালো লাগছে। অনেক অনেক শুভ কামনা।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভ্রমণের ব্যাপারে এরা আমার মতোই সহ্যসীমার চূড়ান্ত পর্যন্ত যেতে পারে।
১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৪
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
এই সব পুরনো সম্পদ কেন এভাবে অবহেলায় পড়ে থাকে? কেন সংস্কার করা হয় না? আপনি আপনার পরিবার নিয়ে দেখে এসছেন কিন্তু আপনার সন্তান তার পরিবার নিয়ে এটা আর দেখতে পারবে না!! বিলীন হয়ে যাবে।
সোনারগাঁও পানাম জমিদার বাড়ি দেখি এরকমই অবহেলায় পড়ে আছে!!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সোনারগাঁও এর চিত্র চেঞ্জ হয়ে গেছে ভাইজান। ওখানে এখন চকচকে অবস্থা ওটি টিকে গেছে বলতে পারে। তবে সারা দেখে এমন অনেক সোনারগাঁও-পানাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যাদের ৯৯% কোনো যাত্ন পায় না, কোনো গুরুত্ব পায় না। ফলে সেগুলি খুব দ্রুতই বিলিনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমার সন্তানের কথা বলছে!! আমি দেখেছি, কিন্তু এখন নেই, এমন তালিকাও অনেক লম্বা হবে। আমার সন্তান দেখতে পায়নি, তাদের সন্তানতো অনেক দূরের ব্যাপার।
১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই জমিদার বাড়ীটি মনে ধরেছে খুব। শীঘ্রই যেতে হবে। অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য। +++
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সময় সুযোগ থাকলে অবশ্যই দেখে আসবেন। কবে কখন নাই হয়ে যাই কিছু বলা যায় না এই দেশে।
পোস্টে + এর জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সুন্দর লাগল