নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন -
একবার তিনজন লোক পথ চলছিল, তারা বৃষ্টিতে আক্রান্ত হল। অতঃপর তারা এক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিল। হঠাৎ পাহাড় থেকে এক খণ্ড পাথর পড়ে তাদের গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তখন তারা একে অপরকে বলল, নিজেদের কৃত কিছু সৎকাজের কথা চিন্তা করে বের করো, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়েছে এবং তার ওয়াসীলা করে আল্লাহর নিকট দু’আ করো। তাহলে হয়ত আল্লাহ তোমাদের উপর থেকে পাথরটি সরিয়ে দিবেন।
তাদের একজন বলতে লাগলো,
হে আল্লাহ! আমার আব্বা-আম্মা খুব বৃদ্ধ ছিলেন এবং আমার ছোট ছোট সন্তানও ছিলো। আমি তাদের ভরণ-পোষণের জন্য পশু পালন করতাম। সন্ধায় যখন আমি বাড়ি ফিরতাম তখন দুধ দোহন করতাম এবং আমার সন্তানদের আগে আমার আব্বা-আম্মাকে পান করাতাম। একদিন আমার ফিরতে দেরী হয় এবং সন্ধ্যা হওয়ার আগে আসতে পারলাম না। এসে দেখি তারা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তখন আমি দুধ দোহন করলাম, যেমন প্রতিদিন দোহন করি। তারপর আমি তাঁদের শিয়রে (দুধ নিয়ে) দাঁড়িয়ে রইলাম। তাদেরকে জাগানো আমি পছন্দ করিনি এবং তাঁদের আগে আমার বাচ্চাদেরকে পান করানোও অসঙ্গত মনে করি। অথচ বাচ্চাগুলো আমার পায়ের কাছে পড়ে কান্নাকাটি করছিলো। এভাবে ভোর হল। হে আল্লাহ, আপনি জানেন আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্যই এ কাজটি করে থাকি তবে আপনি আমাদের থেকে পাথরটা খানিক সরিয়ে দিন, যাতে আমরা আসমানটা দেখতে পাই।
তখন আল্লাহ পাথরটাকে একটু সরিয়ে দিলেন এবং তারা আসমান দেখতে পেলো।
দ্বিতীয় ব্যাক্তি বলল,
হে আল্লাহ! আমার এক চাচাত বোন ছিলো। পুরুষরা যেমন মহিলাদেরকে ভালোবাসে, আমি তাকে তার চাইতে অধিক ভালোবাসতাম। একদিন আমি তার কাছে চেয়ে বসলাম (অর্থাৎ খারাপ কাজ করতে চাইলাম) কিন্তু তা সে অস্বীকার করলো, যে পর্যন্ত না আমি তার জন্য একশ দিনার নিয়ে আসি। পরে চেষ্টা করে আমি তা জোগাড় করলাম (এবং তার কাছে এলাম)। যখন আমি তার দু’পায়ের মাঝে বসলাম (অর্থাৎ সম্ভোগ করতে তৈরি হলাম) তখন সে বলল, হে আল্লাহর বান্দা, আল্লাহকে ভয় করো। অন্যায় ভাবে মাহর (পর্দা) ছিড়ে দিয়ো না (অর্থাৎ আমার কুমারী সতীত্ব নষ্ট করো না)। তখন আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। হে আল্লাহ! আপনি জানেন আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্য এ কাজটি করে থাকি। তবে আপনি আমাদের জন্য পাথরটা সরিয়ে দিন।
তখন পাথরটা কিছু সরে গেলো।
তৃতীয় ব্যাক্তি বলল,
হে আল্লাহ! আমি এক ফারাক চাউলের বিনিময়ে একজন শ্রমিক নিযুক্ত করেছিলাম। যখন সে তার কাজ শেষ করলো আমাকে বলল, আমার পাওনা দিয়ে দাও। আমি তাকে তার পাওনা দিতে গেলে সে তা নিল না। আমি তা দিয়ে কৃষি কাজ করতে লাগলাম এবং এর দ্বারা অনেক গরু ও তার রাখাল জমা করলাম। বেশ কিছুদিন পর সে আমার কাছে আসল এবং বলল, আল্লাহকে ভয় করো (আমার মজুরী দাও)। আমি বললাম, ওই সব গরু ও রাখাল নিয়ে নাও। সে বলল, আল্লাহকে ভয় কর, আমার সাথে ঠাট্টা করো না। আমি বললাম, আমি তোমার সাথে ঠাট্টা করছি না, ওইগুলো নিয়ে নাও। তখন সে তা নিয়ে গেলো। হে আল্লাহ, আপনি জানেন, যদি আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ কাজটি করে থাকি, তবে পাথরের বাকীটুকু সরিয়ে দিন।
তখন আল্লাহ পাথরটাকে সরিয়ে দিলেন।
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী) হাদীস নাম্বার : ৬৮৪২
ও
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদীস নাম্বার : ২১৮২
ঘোষণ :
শিরনামে "গল্প" বলতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতৃক বর্ননাকৃত ঘটনাকে বুঝানো হয়েছে।
ছবি : সংগৃহীত
=================================================================
হাদীসের গল্প : ০০১ : জাস্সা-সাহ ও দাজ্জাল
হাদীসের গল্প : ০০২ : দোলনায় কথা বলা তিন শিশু
=================================================================
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হাদীসটি পড়ে নিজের উপলব্ধি ব্যাখ্যা করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ চাঁদগাজী সাহেব।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
টাইপো:
৩ নং লোকের বর্ণনা থেকে:
মক্কা, মদীনা, সৌদী আরবে তখন চাউল হতো না, মরুদ্যানে সামান্য সামান্য গম, বার্লি হতো; এই রূপকথা বাংলাদেশের কেহ লিখে থাকতে পারেন। *আল্লাহ পাথর সরায় না, পাথর সরাতে মানুষ লাগে, মানুষের বুদ্ধি লাগে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: টাইপিং মিস্টেক নিয়ে টেনশনে কিছু নাই।
ইচ্ছে করে লিখলেই সমস্যা।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: সুরা কাহফ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি লেখাটি পড়েননি। শুধু শিরনামের একটি অংশ দেখেই মন্তব্য করেছেন।
আমি কোরআনের কাহিনী লিখিনি, লিখেছি হাদীসের গল্প।
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পাথর সরে যাওয়া সম্পর্কে কিছু বললেন না?
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
হাদীস কোটি কোটি মুখ হয়ে, কলমের আগায় আসতে পরিবর্তিত হয়।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তাতো হতেই পারে।
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বেশির ভাগ হাদীস কোরানের সুরার ব্যাখ্যা প্রসংঙ্গে আসছে।আল বিদায়াা ওয়ান নিহায়া হাদীসের ব্যাখ্যা গ্রন্থে তাই বলা আছে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হে, কোরানের ব্যাখ্যার জন্য অনেক হাদীস এসেছে। তা ছাড়াও আরো অসংখ্য হাদিস আছে।
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনার কি জানা আছে বুখারী কত হাদীস লিখে ছিল?প্রায় ছয় লাখের মতো।বুখারী আরবী জানতো না এবং কোন দিন মক্কা মদিনায় যায় নাই।বেশিরভাগ হাদীস ছিল গাজাখোরের থেকেও খারাপ। বাদ ছাদ দিয়ে ৫/৬ হাজার টিকে আছে।এর মধ্যে কিছু আছে স্ববিরোধী কিছু আছে কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সহী কথা বলেছেন ভাইজান।
৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: পাথর সরে যাওয়া সম্পর্কে কিছু বললেন না?
ভাই বলতে গেলেই আমি ''জেনারেল'' হবো।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তাহলে থাকে, বলার দরকার নাই।
৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৮
ঈশ্বরকণা বলেছেন: ভেবেছিলাম আপনার কুরআন হাদিস বিষয়ক লেখাগুলোতে অযৌক্তিক মন্তব্যগুলোর বিষয়ে আর বলবো না । কিন্তু কিছু জেনারেল স্পেশালিস্ট (কেমন করে ব্লগ জেনারেল হওয়া যায় সেই বিদ্যায় আপ্ত ) ব্লগারের বিদ্যার দৌড় আর সেই দৌড় সাথী করে অজানা বিষয় নিয়ে বেলাজ মন্তব্য দেখে অল্প কিছু বলতেই এই মন্তব্য করতে হচ্ছে । গুগুল করে মনে হয় কেউ জেনেছে "মক্কা মদিনা সৌদী আরবে তখন চাউল হতো না, মরুদ্যানে সামান্য সামান্য গম, বার্লি হতো...." আর সেই ঐতিহাসিক জ্ঞান থেকেই একটা চূড়ান্ত অজ্ঞ মন্তব্য করেছে হাদিস নিয়ে । এই হাদিসের বিষয়ে বলাই আছে এটা ইসলাম পূর্ব কোনো নবীর তিনজন নেক উম্মতের কথা। তারা যে মক্কা মদিনা বা সৌদি আরবের বাসিন্দা ছিল সেটা কিন্তু এই হাদিসের কোথাও লেখা নেই । আর রাসূলের যে বর্ণনা আপনি বলেছেন সেটা থেকেও বিষয়টা বোঝা যায় "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "একবার তিনজন লোক পথ চলছিল, তারা বৃষ্টিতে আক্রান্ত হল...." ।এই তিনজন ব্যক্তি যদি রাসূলের (সাঃ)উম্মত মক্কা মদিনার মানুষ হতেন রাসূল (সাঃ) তাদের নাম বলতেন ।যেমন আপনার হাদিস নিয়ে আগের লেখায় রাসূল (সাঃ) দাজ্জালের ঘটনা বলার সময় তামিম দারির (রাঃ) নাম উল্লেখ করেছিলেন ।এই তিন ব্যক্তি যদি হজরত ইব্রাহিম (আঃ) বা হজরত মুসার (আঃ) কোনো উম্মতের ঘটনা হয় তাহলে চালতো ভৌগোলিক কাৰণে সমস্যা হবার কথা না ! এই ব্লগার মন্তব্য করার আগে হাদিসটা সম্পর্কেতো একটু গুগুল করলেওতো পুরো হাদিসের আরো একটু পরিষ্কার বর্ণনা পেতে পারতো । মানুষ না জানতেই পারে যে কোনো বিষয় নিয়ে। কিন্তু কোনো বিষয়ে মন্তব্য করার আগে একটু জানবার চেষ্টা না করে মন্তব্যঃ করা একজন ভালো ব্লগারের লক্ষণ না বলেই জানি । এই লোকতো দেখি ব্লগার হবারই অযোগ্য।তার মধ্যে কয়েক দিন আগেই নাকি ইসলাম নিয়ে কোনো লেখায় আবোলতাবোল মন্তব্যের জন্য জেনারেল হয়েছে !
এই লোকের চূড়ান্ত অজ্ঞতার আরেকটা পরিচয় হলো তার মন্তব্য "আল্লাহ পাথর সরায় না, পাথর সরাতে মানুষ লাগে, মানুষের বুদ্ধি লাগে" । পাথর সরাতে মানুষ বা মানুষের বুদ্ধি লাগবে কেন সব সময় ? কি আশ্চর্য অজ্ঞের মতো কথা ? প্রাকৃতিক উপায়ে পাথর পাথর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে যেতে বা স্থানচ্যূত হতে পারে না ?এই রকম চূড়ান্ত অজ্ঞের মতো মন্তব্যের উত্তরে কি বলা যায় সেটাই ভাবছি ।ঘটনাটা একটা পাহাড়িয়া এলাকার যেখানে কিছু মানুষ পাহাড়ের গুহায় আটক পড়েছে । 'ল্যান্ড স্লাইড' বলতে জিওগ্রাফিতে একটা ব্যাপার আছে যার মানে হলো ওপরের থেকে মাটি যখন ধসে নিচে পরে । এই ব্যাপারগুলো কোথায় হয় বেশি ? উঁচু মাউন্টেন এরিয়াতেইতো নাকি ? এই ল্যান্ড স্লাইড কোস্ট লাইন বা রিভার ভ্যালিতেও অনেক ঘটে , মনে রাখতে হবে খুবই বুকিশ জিওগ্রাফির কথা এগুলো কিন্তু। সৌদি আরবের দক্ষিণ পশ্চিমের ইয়েমেনের পাশ থেকে শুরু করে উত্তরের জর্ডান, সিরিয়া, ইসরাইল পর্যন্ত রেড সির হাজার মাইল কোস্ট লাইনে বা পূর্বদিকে পার্সিয়ান গলফের পাশে ইরাক আরো একটু উত্তরে টাইগ্রিস ইউফ্রেটিস নদীর ধারে সিরিয়া-- এই দেশগুলোর মাউন্টেন এরিয়ার যে কোনো জায়গায় এই ল্যান্ড স্লাইডের ব্যাপার অনেক কমন । এই অঞ্চলগুলোতে অনেক নবীর আগমনের কথা কুরআন, তোরাহ্ আর বাইবেলে আছে । এই বিরাট অঞ্চলে প্রেরিত যে কোনো নবীর উম্মতের ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটতে পারে ।
ল্যান্ড স্লাইডের কারণে তিনজন মানুষ পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিলো আর ওপর থেকে গড়িয়ে পড়া একটা পাথর গুহার মুখ বন্ধ করে দিলো সেটাতো আজগুবি কোনো ব্যাপার না। এ রকম অহরহই ঘটে মাউন্টেন এরিয়াতে। ল্যান্ডস্লাইডের সাথে ভূমিকম্পও খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ইনফ্যাক্ট ভূমিকম্পের একটা প্রধান কারণই হলো ভূমিধ্বস বা ল্যান্ডন্ডস্লাইড !পাথর গড়িয়ে গুহার মুখ আটকে দেবার পরে যদি এ'রকম তিনটে মৃদু ভূমিকম্প হয় তাহলে একটু করে গোল টাইপ একটা পাথর গুহার মুখ থেকে গড়িয়ে সরে যেতেই পারে (একই সাথে একাধিক ভূমিকম্প কিন্তু খুবই স্বাভাবিক ।আমাদের দেশেও কিছুদিন আগে মনে হয় এরকম কয়েকবারই হলো ভূমিকম্প)। এটা কি কোনো অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো ? জিওগ্রাফি, সিসমোলোজি নিয়ে প্রাথমিক জ্ঞান থাকা কোনো মানুষতো এই হাদিসের একটা কথাও অবিশ্বাস করবে না এই অজ্ঞ ব্লগার ছাড়া । এখন পাথর গুহা মুখ ঢাকার পর স্বাভাবিক ভাবেই আটকে পড়া মানুষ তার ইবাদত করা উপাস্যের কাছে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করবে । খুবই স্বাভাবিক কথা । প্রথমবার দোয়ার পরে যদি ভূমিকম্পে পাথর একটু সরে যায় তাহলে দ্বিতীয় আর তৃতীয় জনের জনের দোয়ার সময় হওয়া আরো দুটো ভূমিকম্পে পাথর পুরোই সরে যেতে পারে গুহা মুখ থেকে । এটার সাথেতো কল্প কাহিনীর কোনো ব্যাপার নেই । এখন ল্যান্ডন্ডস্লাইডের কারণে গড়ানো পাথর ভূমিকম্পের কারণেও গড়িয়ে যেতে পারে এটা জিওগ্রাফিক কারণেই বিশ্বাসযোগ্য । কিন্তু দোয়ার জন্য ঠিক সেই মুহূর্তেই ভূমিকম্পগুলো বা আরো ল্যান্ডস্লাইড হয়েছে কি না পাথর সরানোর জন্য সেটা প্রমান করা যাবে না কখনো । কারণ আপনি আল্লাহকে যোগাযোগ করতে পারছেন না এই ঘটনার সত্যসত্যি জানতে । এটুকু বিশ্বাস করতে হবে । কিন্তু আমাদের জেনারেল স্পেশালিস্ট ব্লগার যেই ভাবে হাদিসের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে নিজের অগ্গতার কথা প্রকাশ করছেন সেটার সত্যসত্যি বিচার করার মনে হয় দরকার নেই । এই লোক যে ব্লগার নামের একটা কলঙ্ক হবার শপথ করেছে সেটা সবাই হয়তো বুঝতে পারছে ব্লগে । যাক ভালো থাকুন ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আশা করছি গাজী সাহেবের সন্দেহ (চাল ও পাথর সরে যাওয়া সম্পর্কে) নিরশন হবে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ চমৎকার প্রতি উত্তরের জন্য। মন্তব্যে + রইলো।
১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৬
বিটপি বলেছেন: মক্কা মদীনায় তখন চাল উৎপাদন হত না, খুব ভালো কথা। আমাদের দেশেও তো আপেল উৎপাদন হয়না, আমরা কি আপেল খাইনা?
মক্কা মদীনার লোকজন কি কেবল কৃষিকাজই করত? ব্যবসা বাণিজ্য করত না? অন্য দেশ থেকে চাল আমদানি করা কি অসম্ভব ছিল?
মক্কা মদীনায় চাল হয়না, অন্য দেশে তো হয়? হতে পারেনা যে রাসূল (স) এমন দেশের গল্প বলেছেন, যে দেশে চাল উৎপাদন হয়?
এইরকম বিদ্যা বুদ্ধি নিয়ে একজন জ্ঞানবৃদ্ধ আপনার লেখা গল্পে ভুল ধরে হিরো হয়ে গেল? উনি তো মানুষ, উনার তো বুদ্ধি আছে। তো বুদ্ধি প্রয়গ করে একটা পাথর সরিয়ে দেখাক তো? শর্ত হল, কোন শক্তি প্রয়োগ করা যাবেনা - কেবল বুদ্ধি প্রয়োগ করতে হবে। এইবার পরীক্ষা হয়ে যাক, চাঁদগাজী সাহেবের বুদ্ধি কত!
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চাল আর পাথর সরে যাওয়ার বিষয়টি যুক্তি দিয়ে সমাধারন করা গেলো।
কিন্তু কথা হচ্ছে যদি সমাধান করা না যেতো তাহলে কি হতো!!!
যেহেতু এটি হাদীস তাই বিশ্বাস না করলেও তেমন কোনো ক্ষতি হতো না।
কিন্তু যদি কোরআনের কোনো বিষয় হয় তখনো কি হবে!!
যাইহোক প্রতি উত্তররে জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০১
বিটপি বলেছেন: ইসলামের কোন বিষয় বা গল্প বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করতে কোন যুক্তির দরকার নেই। কাজেই সমাধান না হলেও কিছু করার নেই। যাদের ঈমান আছে, তারা ইসলামের সবকিছু আজগুবি বলে প্রমাণিত হবার পরেও ঈমানদার থাকবেন।
কোরআনে যে অযৌক্তিক কিছু নেই, সেটা বলা যাবেনা। তবে আমাদের মাথায় কোন যুক্তি না এলেও ভবিষ্যতে কেউ বোধ হয় ব্যাখ্যা দিতে পারেন। কুরআন তো কেবল কোন এক যুগের প্রয়োজনে অবতীর্ণ হয়নি।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঠিক সেইটাই।
অবিশ্বাসীদের কটু মন্তব্য আদিতেও ছিলো।
যক্তিতে সমাধান করতে না পারলেও, ইমানের বিশ্বাসে অটল থাকতে হয়। কটু তর্কে না জড়ানোই ভালো।
১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৬
ঈশ্বরকণা বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,
যেহেতু এটি হাদীস তাই বিশ্বাস না করলেও তেমন কোনো ক্ষতি হতো না।
কিন্তু যদি কোরআনের কোনো বিষয় হয় তখনো কি হবে!!
কুরআনে বলা বিষয়ে এমন কিছু কি আপনার কাছে মনে হয়েছে ? এমন মনে হয়ে থাকলে সেটা কি বিষয়ে ? আপনার একজন পাঠক বলেছে কোরআনে যে অযৌক্তিক কিছু নেই, সেটা বলা যাবেনা !সেই বিষয়গুলো কি জানবার অনুরোধ থাকলো ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস।
স্রষ্টায় বিশ্বাস, নবীদের উপরে বিশ্বাস, আসমানী কিতাবে বিশ্বাস, আখেরাতে বিশ্বাস, বেহেস্ত-দোজকে বিশ্বাস।
যে স্রষ্টাকেই বিশ্বাস করে না তাকি আপনি বাকি গুলি কোন যুক্তিতে বিশ্বাস করাবেন?
আদমকে সৃষ্টি করা কি করে বিশ্বাস করাবেন?
১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: নিজের মনের মতোন মন্তব্য করলে ''জেনারেল'' করা হবে আমাকে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জেনারেল না হওয়ই ভালো। শেধে শেধে টুপি পরার দরকার নাই। চেপে যান।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
৩ নং লোকের বর্ণনা থেকে:
মক্কা, মদীনা, সৌদী আরবে তখন চাউল হতো না, মরুদ্যানে সামান্য সামান্য গম, বার্লি হতো; এই রূপকথা বাংলাদেশের কেহ লিখে থাকতে পারেন। আল্লখ পাথর সরায় না, পাথর সরাতে মানুষ লাগে, মানুষের বুদ্ধি লাগে।